× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
New Provost in Chubi Hall after resignation
google_news print-icon

পদত্যাগের পর চবিতে দুই হলে নতুন প্রভোস্ট

পদত্যাগের-পর-চবিতে-দুই-হলে-নতুন-প্রভোস্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ছবি
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ জানান, দুই হলে প্রভোস্ট নিয়োগ হয়েছে। খালেদা জিয়া হলের নতুন প্রভোস্ট জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম। আর অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ।

পদত্যাগের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই হলে নতুন করে প্রভোস্ট নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ জানান, দুই হলে প্রভোস্ট নিয়োগ হয়েছে। খালেদা জিয়া হলের নতুন প্রভোস্ট জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম। আর অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ। তবে শহীদ আব্দুর রব হলে এখনও কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

এর আগে গত রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আব্দুর রব হলের প্রভোস্টসহ বিভিন্ন পর্ষদের ১৬ জন। সোমবার খালেদা জিয়া হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্টসহ আরও তিন জন পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
মাঝসমুদ্রে চবি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ১০
চবিতে ১৬ জনের পর আরও তিনজনের পদত্যাগ
চবি প্রশাসনে গণপদত্যাগের নেপথ্য কারণ কী?
চবিতে প্রক্টরের পদত্যাগের ঘণ্টাখানেক পর নতুন প্রক্টর
চবি প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্ষদের ১৬ জনের পদত্যাগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Protest march in Jabi demanding the release of journalist Shamsuzzaman

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, ‘কোনো সংবাদে আপত্তি থাকলে তার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু এখানে অন্যায়ভাবে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inter hall investigation committee to identify deluge gang members

‘প্রলয় গ্যাং’ সদস্য চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি

‘প্রলয় গ্যাং’ সদস্য চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রলয় গ্যাং নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। এই গ্যাং-এর সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই গ্যাং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কথিত প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হল, কবি জসীমউদ্‌দীন হল, জগন্নাথ হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, বিজয় একাত্তর হল, জিয়া হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রলয় গ্যাং নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। কথিত এই গ্যাং-এর সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এই গ্যাং কার্যক্রম কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না।

এ অবস্থায় যেসব শিক্ষার্থী এই গ্যাং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করার জন্য এই আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার
ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার
‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ অধিকার পরিষদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 members of deluge gang expelled from DU

প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , দুজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বহিষ্কারের এই অনুমোদন প্রদান করেন।

বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাকিব ফেরদৌস। সাকিব। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , দুজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বহিষ্কারের এই অনুমোদন প্রদান করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না' মর্মে পত্রপ্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মর্তুজা মেডিকেল সেন্টারে এই দুই আসামি অবস্থান করছেন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীও উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার
‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ঢাবির রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নিজাম চৌধুরী
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Job students were beaten by locals

জবি শিক্ষার্থীদের পেটাল স্থানীয়রা

জবি শিক্ষার্থীদের পেটাল স্থানীয়রা হাসপাতালে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়ে প্রথম দফায় ও ১১টার দিকে বানিয়ানগর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় স্থানীয়দের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়ে প্রথম দফায় ও ১১টার দিকে বানিয়ানগর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে রাত ১১টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরা অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন স্থানীয় যুবক এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালান তারা।

এসময় তাদের চিৎকারে আরও আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও আক্রমণ করেন স্থানীয়রা।

আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ১০-এর বেশি পুলিশ সদস্য অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।

হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেন? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া দুই থানার ওসির সাথেই কথা বলেছি। থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ যে শিক্ষার্থীদের ওপর হাত তুলেছে সেই ভিডিওটিও ওসিকে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, ‘এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে। তবে ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনায় হামলার শিকার কেউ এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা তারা আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি
গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তি চায় জবি শিক্ষক সমিতি
জবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Proloy Gang Affiliated terrorist organization of Chhatra League Chhatra Dal

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে বলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বেদম পিটুনির ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে ‘প্রলয় গ্যাং’। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধরসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থী এই গ্যাং তৈরি করেছেন। আর এই গ্যাং-এর কিছু সদস্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রলয় গ্যাংস্টারের উদ্ভব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের ‘সিরিজ অপকর্ম’-এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় সংগঠনটির নেতারা প্রলয় গ্যাংকে ছাত্রলীগের নতুন সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে কার্জন হলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়।

এ সময় খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানায় এবং সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলসহ সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি।’

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নব্য সন্ত্রাসী সংগঠন হচ্ছে প্রলয় গ্যাং, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন সেল।

‘ছাত্রলীগ তাদের অতীত ঐতিহ্যগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত রেখেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, হলে সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, মাদকের কারবার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঘৃণ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ছাত্রলীগের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।’

ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম তারিক, নাছির উদ্দিন শাওন, সাদ্দাম হোসেন, রাজু আহমেদ, হান্নান তালুকদারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
কোমরে পিস্তল নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতা
জাবিতে ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ এপ্রিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the campus I was beaten everywhere for doing whatever I wanted

‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’

‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’ কবি জসীম উদ্দীন হলের সামনে রোববার সন্ধ্যায় বেধড়ক মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন। কোলাজ: নিউজবাংলা
ঢাবির ছাত্র জুবায়ের বলেন, “হঠাৎ দেখি, ২০/৩০ জন ছেলে স্টাম্প, বাঁশ, রড হাতে নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসছে। তারপরও আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারা এসে ‘ক্যাম্পাসে আমরা যেমন ইচ্ছা তেমন করব। তোরা কে ঠেকাবার?’ এই কথা বলে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পাঁচ থেকে সাত মিনিট ধরে আমাকে হাত, পা, মাথাসহ শরীরের সব জায়গায় পেটানো হয়।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্‌দীন হলের সামনে রোববার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

সেই ছাত্রকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি হলে অবস্থান করছেন।

ওই ছাত্রের নাম জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন। তিনি অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী, থাকেন স্যার এ. এফ রহমান হলে।

জুবায়ের জানান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র তবারকের নেতৃত্বে তাকে পেটানো হয়। এতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হেদায়েতুন নুর, জিয়া হলের বিপ্লব হাসান জয়, মোহাম্মদ শোভন, সাকিব, সিফরাত সাহিল, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের লাবিব, কবি জসীম উদ্‌দীন হলের সাদ ও রহমান জিয়া এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের অর্ণব খান জড়িত ছিলেন। তারা সবাই ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

ঢাবি ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরাসহ আরও কয়েকজন মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটা গ্যাং পরিচালনা করে, যার নাম ‘প্রলয়’। গ্যাংয়ের সদস্যদের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঢাবির ছাত্র জুবায়ের বলেন, ‘আজকে (রোববার) আমি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আমার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের বন্ধুদের সাথে ইফতার করছিলাম। ইফতার শেষে যখন আমরা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বসার জন্য যাচ্ছিলাম, এ সময় একটা প্রাইভেট কার খুব বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আমাদের অতিক্রম করছিল। বৃষ্টি পড়ায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়েছে। সে জন্য রাস্তার সব কাদা রাস্তার পাশে থাকায় সবার ওপর ছিটকে পড়ছে। আমাদের গায়েও পড়েছে।

‘এরপর তাদের থামিয়ে আমরা জিজ্ঞাসা করি আপনারা এ রকম উগ্র আচরণ করছেন কেন? পরে তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, তারা সবাই আমাদের ব্যাচমেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এরপর আমরা তাদের এভাবে গাড়ি না চালাতে বলে ছেড়ে দিছি।’

এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি যখন তাদের সাথে কথা বলছি, তাদের মুখ থেকে একটা স্মেল আসছিল, যেটাতে আমরা প্রায় নিশ্চিত হয়েছি তারা ড্রাংক ছিল। গাড়িতে থাকাদের পরে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। তারা হলেন জিয়া হলের সাকিব, জসিম উদ্দীন হলের দুর্জয় আর রহমান জিয়া, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় আর জহুরুল হক হলের আব্দুল হাই।’

তিনি আরও বলেন, “তাদের সাথে কথা শেষ করে আমরা জসিম উদ্‌দীন হলে এসে ফ্রেশ হচ্ছিলাম। এরপর আমার মোবাইলে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। পরে আমরা জানতে পারি এই নম্বরটা জিয়া হলের সাহিলের নম্বর। ফোনে আমরা কই আছি সেটা জানতে চাওয়া হয়। আমি আমার লোকেশন বলি। এ সময় আমরা তিনজন ছিলাম। হঠাৎ দেখি, ২০/৩০ জন ছেলে স্টাম্প, বাঁশ, রড হাতে নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসছে। তারপরও আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারা এসে ‘ক্যাম্পাসে আমরা যেমন ইচ্ছা তেমন করব। তোরা কে ঠেকাবার?’ এই কথা বলে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পাঁচ থেকে সাত মিনিট ধরে আমাকে হাত, পা, মাথাসহ শরীরের সব জায়গায় পেটানো হয়। পরে কয়েকজন বড় ভাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।”

অভিযুক্তদের ভাষ্য

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তবারক হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বরং তাদেরকে পেটানোর হাত থেকে রক্ষা করছি।’

ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দিয়ে তবারক বলেন, ‘জুবায়েরের সাথে প্রাইভেট কারে থাকা আমাদের যেসব বন্ধুদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, সেটা আমাদের কানে আসে। যেহেতু এটা আমাদের ব্যাচের ঘটনা, তাই জুবায়ের আমাদের বন্ধুদের গাড়ি কেন থামিয়েছে সেটা জিজ্ঞস করতে আমাদের একজন সাহিলের ফোন থেকে জুবায়েরকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে, তারা কই আছে। এরপর আমরা তাদের বলা লোকেশন জসিম উদ্‌দীন হলের সামনে যাই। এ সময় তাদের সাথে আমাদের কথা বলার একপর্যায়ে জুবায়ের আমাদের বন্ধু হেদায়েত নুরকে থাপ্পড় দেয়। পরে সাথে থাকা বাকি বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে। আমিসহ আরও কয়েকজন তাদেরকে থামিয়ে হাসপাতালে পাঠাই।’

আরেক অভিযুক্ত সাহিল বলেন, ‘আমার মোবাইল থেকে ফোন দেয়া হয়েছে, এটা ঠিক। আমার কয়েকজন বন্ধু এই ফোন দিয়েছে। আমি দেইনি। আর আমি মারধরেও ছিলাম না।’

যা বললেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাবির প্রক্টর

ঘটনার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমার হলের যেসব শিক্ষার্থী এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত, তাদের কাছ থেকে বক্তব্য নিয়েছি। শুনে বুঝেছি, এটার সাথে অনেক হলের শিক্ষার্থী জড়িত এবং আরও ডিটেইলসে এই সম্পর্কে জানা দরকার। তাই আমি তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করেছি। তারা আমাকে আমি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট দেবে।’

ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ অধিকার পরিষদের
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মৃত্যু
সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা ঢাবি ছাত্রলীগের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EB campus busy with Iftar

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস ইবি ক্যাম্পাসে ইফতার করছে শিক্ষার্থীরা । ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর মাত্র ছয় মাসের মতো অবস্থান করব। হয়তো ছাত্র হিসেবে এটাই আমার ক্যাম্পাসে শেষ ইফতার। তাই যতোটুকু সম্ভব এই সময়টা উপভোগ করছি। রোজায় ক্যাম্পাসে আলাদা একটা আমেজ কাজ করে। একসঙ্গে ইফতার, রাতে সবাই সবাইকে ডাকাডাকি করছে সেহরি খাওয়ার জন্য। জিনিসগুলো খুবই আনন্দের। হয়তো ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলে এই রোজার দিনগুলো খুব মনে পড়বে।’

পবিত্র রোজা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৪০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এরই মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশ্যে হল ও মেস ত্যাগ করেছেন।

তবে কিছু বিভাগে পরীক্ষা ও অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি করানোর কারণে বাকিরা এখনও ক্যাম্পাসের হলে ও পার্শ্ববর্তী মেসে অবস্থান করছেন। রোজার এই সময়টাতে পরিবার থেকে দূরে থাকলেও বন্ধু, বড় ভাই ও জুনিয়রদের সঙ্গে ইফতার আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার প্রথম রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠে ইফতার আয়োজনে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার আয়োজনে ভ্রাতৃত্বের প্রতিফলন ঘটেছে বলেও জানায় ইফতারে অংশ নেয়া অনেক শিক্ষার্থী।

বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়ে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, ‘নিজের পরিবার, মা-বাবা, ভাইবোন থেকে দূরে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার আরেকটি পরিবার হয়েছে। ইফতারের এই সময়ে বাসার কথা বেশি মনে পড়লেও বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সেই প্রভাব পড়েনা। যদিও ক্লাশ বন্ধ, টিউশনির কারণে এখনও বাড়িতে যাইনি। যতদিন আছি আশা করি বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব।’

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস
ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস। ছবি: নিউজবাংলা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর মাত্র ছয় মাসের মতো অবস্থান করব। হয়তো ছাত্র হিসেবে এটাই আমার ক্যাম্পাসে শেষ ইফতার। তাই যতোটুকু সম্ভব এই সময়টা উপভোগ করছি। রোজায় ক্যাম্পাসে আলাদা একটা আমেজ কাজ করে। একসঙ্গে ইফতার, রাতে সবাই সবাইকে ডাকাডাকি করছে সেহরি খাওয়ার জন্য। জিনিসগুলো খুবই আনন্দের। হয়তো ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলে এই রোজার দিনগুলো খুব মনে পড়বে।’

শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীরাই নয় ইফতার আয়োজনে মিলিত হয়েছেন অন্যান্য ধর্মালম্বীর শিক্ষার্থীরাও। অন্য ধর্মের বন্ধুদের নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়ে অসাম্প্রদায়িকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থী।

ইফতারে অংশ নেয়া আদিবাসী শিক্ষার্থী মংক্যচিং মারমা বলেন, ‘বড়ভাইদের সঙ্গে ইফতার করেছি। আয়োজনেও সাহায্য করেছি। আমি বিষয়গুলি খুবই উপভোগ করছি।’

ইফতার কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং বা ক্যাফেটেরিয়ায় কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও ক্যাম্পাস মধ্যবর্তী দোকানগুলোতে নানা রকমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করছেন দোকানীরা। তবে হলগুলো যেহেতু খোলা রয়েছে তাই ডাইনিংয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে ইফতারের আয়োজন থাকলে আরও সুবিধা হতো বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
ইফতারি তৈরিতে পোড়া তেল ব্যবহার না করার আহ্বান
ইফতারের দোয়া
গুচ্ছে থাকতে চায় না ইবি, নিতে চায় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা
ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি
ইবিতে এবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অডিও ফাঁস!

মন্তব্য

p
উপরে