রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তিন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, মঙ্গলবার তাদের ঢাকায় আনা হয়েছে। তিনজনই চোখে আঘাতপ্রাপ্ত।
ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলিমুল ইসলাম, ফারসি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মিসবাউল ইসলাম ও আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন।
গত শনিবার সন্ধ্যার পর রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। তাদের মধ্যকার সংঘর্ষ থেমে গেলেও গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে শিক্ষার্থীদের। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হন। এদের মধ্যে ৯৬ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়। রোববারই বেশিরভাগ আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন রামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, গত শনিবার রাতে আহত অবস্থায় আসা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাদের চোখে অস্ত্রপচার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, তিনজন শিক্ষার্থীকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনজনেরই চোখে আঘাত। ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার ঢাকায় আনা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, সদস্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুর্শেদা বেগম এবং সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বাইরে বের হচ্ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
এ সময় অডিটোরিয়ামের গেইটে তাকে রড দিয়ে পেটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এতে সাইফুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাইফুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পর আজ শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই বহিষ্কৃত পাঁচ নেতা-কর্মীর তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়।
পদ স্থগিতকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি, সহ-সম্পাদক আহমেদ গালিব এবং সদস্য আহসানুল হাবীব রেজা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ১৭(খ) ধারা অনুযায়ী তাদের পদসমূহ স্থগিত করা হলো। ভবিষ্যতে তাদের যেকোনও অসামাজিক, অনৈতিক এবং সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ভার জাবি শাখা ছাত্রলীগ বহন করবে না।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। শিক্ষার্থীদের দুপুরের ও রাতের খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় ডাইনিংয়ের ওপর।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২১ সালে হলের খাবারের দাম ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও মান না বাড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল অসন্তোষ।
এরই মধ্যে রোজাতে হলগুলোর ডাইনিংয়ে খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে এক লাফে ৩৫ টাকা এবং সেহরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে প্রভোস্ট কমিটি। গত ২২ মার্চ প্রভোস্ট কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমনিতেই হলের খাবারের মান ঠিক নেই। ভর্তুকি না দিয়ে হঠাৎ দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়ে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষার্থীদের আয় বাড়েনি, উল্টো ব্যয় লাগামে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিল না। এতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের খাবারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো ধরনের ভর্তুকি দেয় না। হলের স্টাফদের বেতন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলকে ভর্তুকি হিসেবে ধরা হয়।
দান বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. স্বপন মিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘২০১৯ সালে ১ম বর্ষে থাকাকালে ২০ টাকার বিনিময়েও দুবেলা খাইতে পারিনি টাকা বাচানোর জন্য। একবেলা খেয়ে দিন পার করে দিসি। তাই খুব ভালো করে জানি ক্ষুধা কি জিনিস। ১ম বর্ষে যারা আছে তাদের জন্য ৩৫ টাকা আত্মহত্যার মত। অনেকের ২৫ টাকা দিয়ে দুবেলা খাওয়ার সামর্থ্য নেই, সেখানে ৩৫ টাকা অনেক বেশি। মাননীয় প্রভোস্ট, দয়া করে আমাকে ক্ষুধার্থ রাখবেন না। আমার খাবার নিশ্চিত করুন।’
আসাদ নেওয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘মাননীয় প্রশাসন, দয়া করে আমাদের একটা জোরে লাথি মেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। কারণ এই তল্লাটে থাকার মতো অবস্থা আর রইল না। এবার সত্যই সেই বাপ-দাদাদের বলে যাওয়া কথাটাই সত্যি হচ্ছে। পেটে গামছা বেধে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতি বছর যে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিচ্ছে, সেখান থেকে নূন্যতম একটা অংশ ভর্তুকি হিসেবে দিলেও তো আজ এই দিন দেখতে হতো না। এটা কোনোদিনও একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। একটা নোটিশ নেই, পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে দাম বাড়ালো। এটা কোনোদিনও আমরা মেনে নেবো না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এভাবে না খেয়ে মরে যেতে পারি না। সবাই এভাবে চুপ থাকলে এটাই ফিক্সড হয়ে যাবে।’
মিলন শেখ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বাড়ে, কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাড়ে কিন্তু কখনোই বাড়েনা শিক্ষার্থীদের ইনকাম। শিক্ষার্থীদের তো কোন ইনকামই নেই তাহলে বাড়বে কেমনে? শিক্ষার্থীদের বাড়ে শুধু খরচ। এই খরচ শিক্ষার্থীরা কেমনে মিটাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে ভাবা উচিৎ। অতিদ্রুত হল ডাইনিংয়ের খাবার মূল্য কমিয়ে মানসম্মত খাবার দেয়ার জন্য ম্যানেজারদেরকে নির্দেশ দেয়া হোক।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘আলোচনা ছাড়া হুট করে কোন কিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা আরোপ করা একধরনের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন। গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের এ ধরনের বিরুপ আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই খাবারের দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে এবং অন্য ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা যেন রমযানে খাবার গ্রহণে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি হল প্রভোস্টদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্রে সেহরি খাওয়ার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘হলের খাবারের দাম না বাড়ালে আগের মেনু দেয়া যাচ্ছিল না। মুরগি না দিয়ে শুধু ডিম-সবজি দেয়া হচ্ছিল। ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিল না। তাই আমরা রেগুলার খাবার ও সেহরিতে ১০টাকা বাড়িয়েছি। বাজারে সবকিছুর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দিবে। খাবারে সরাসরি ভর্তুকি দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে ব্যবসা করারও সুযোগ নেই। ডাইনিং ম্যানেজার যদি এই টাকার মধ্যে কিছু করতে না পারে কীভাবে হবে। তাকে খরচটাও তুলতে হবে। তাদের আমরা কোনো ব্যবসাও করতে দিই না। উল্টো তাদের লস হয় বলে তারা কান্নাকাটি করে।’
মানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মানের বিষয়ে আমরা বলে দিছি আগের চাইতে মানটা যেন বাড়ানো। খাবারের আইটেম যাতে বাড়ানো হয়, ঝোল যাতে পাতলা না থাকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে দামটা বাড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দিষ্ট বাজেটে চলে। বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দিবে। এর বাইরে সরকার হলের ছেলেদের খাবারের জন্য বাড়তি টাকা দেবে? আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাবে আলোচনা করেছি। কেউ কোনো আপত্তি করেনি, শুধু বলেছে খাবারের মানটা যেন ঠিক থাকে। এখন সারাদেশে অর্থনৈতিক সংকট, সেই চাপটা আমাদের ওপর এসেও পড়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে সামার ২০২৩ সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম।
স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-ই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিপিং এবং মেরিটাইম সাইন্স নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। শিপিং এন্ড মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য সমুদ্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, ভূ-ভাগ ও সাগরের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্রসম্পদ আহরণের উপায় ও সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে জানা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর সৈয়দ আখতার হোসেন। বিভাগে রয়েছে একঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক, রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম। বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ইনোভেশন ইনকিউবেশন এনবং রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা।
স্কুল অফ বিজনেসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক এবং সিইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা ড. রিদওয়ানুল হক। ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ জহুরুল হক। এমবিএ ও ইএমবিএ’র কোর্স পরিচালনা করেন মার্কেটিংয়ের কিংবদন্তী শিক্ষক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিভাগে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিন আশরাফসহ আরও অনেকে।
তাছাড়াও মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে পড়ার মাধ্যমে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপরে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি থাকছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ–৫ রয়েছে, তারা টিউশন ফিতে শতভাগ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি তিন বা ততোধিক ছাত্র/ছাত্রী একসাথে ভর্তি হলে আরো ৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে ৪০% ছাড়। মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস-এ ভর্তিতে রয়েছে ২৫% ছাড়। তাছাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে এমবিএ (রেগুলার) প্রোগ্রামে ও ৬০ শতাংশ ছাড়ে ইএমবিএ (এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রামে।
ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে। উক্ত নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির অ্যাডমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণী, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:র্যাগিংয়ের দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আরেক ছাত্রকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে পুরো শিক্ষা জীবনে তারা আর হলে থাকতে পারবে না।’
বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি উপাচার্য।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।’
অন্য এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গাড়িচালককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি সিনিয়ররা জুনিয়রদের র্যাগিং করার অভিযোগ ওঠে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেদিন অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তারা হলেন- আপন মিয়া, আল আমিন, পাপন মিয়া, রিয়াজ হোসেন ও আশিক হোসেন। তারা সবাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
এছাড়া ওই ঘটনায় অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন:নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন ছাত্র আহত হয়েছেন।
ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতন, টং ও আবদুস সালাম হল এলাকায় বুধবার দুপুর ও রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ট্যুরিজম বিভাগের তামিরুল হাফিজ ও ফয়সল, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন এবং মাইনুল আহত হয়েছেন।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নুহাশ গ্রুপ ও নাঈম গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ান। এসময় মাইনুল নামে এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুহাশ গ্রুপের অনুসারীরা সালাম হলের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে। পুনরায় সেখানেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গিয়ে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে কল করা হলে তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে বৈঠক চলমান রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার সঙ্গে তারা কোনো পক্ষ জড়িত নন।
নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান পাঠান জানান, কয়েকজন ছাত্র আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন:হলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের জের ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার রাত ৮ টার দিকে এ মহড়া দেয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল থেকে রড, রামদা, লাঠি ও ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বটতলায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের বাধা দেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে অনেকক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার সাংবাদিক জুবায়ের আহমেদ ও ডিবিসি নিউজের আবদুল্লাহ আল মামুনের ওপর হামলা চালান।
এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেনিন মাহবুব, সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ ফরিদ, আবুল কালাম আজাদ এবং আবদুল্লাহ আল ফারুক ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
হামলার শিকার জুবায়ের আহমেদ প্রক্টর অফিসে দেয়া এক লিখিত অভিযোগে বলেছেন, ‘উল্লিখিত ছাত্রলীগ নেতাদের ইন্ধনে তাদের অনুসারীরা লোহার পাইপ ও রামদা নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়।’
মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দাবি, ‘আজ সন্ধ্যায় বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র আহমেদ গালিবকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের একদল শিক্ষার্থী মারধর করেন। এর জের ধরেই তারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের দিকে যাচ্ছিলেন।’
সাভারের একটি রেস্টুরেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে গত রোববার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) ৪৭তম ব্যাচের ও রবীন্দ্রনাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ গালিব, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভীর ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির হাসান সাগর ও খালিদ হাসানসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন মাহফুজুর। এদের ২ পক্ষই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বটতলায় দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন উপস্থিত হন।
জানতে চাইলে সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। তাই ঘটনাস্থলে আসতে দেরি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আজকের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। আমরা এই ধরনের ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রেও সেটি করা হবে। এর বাইরে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে অতিথি এক শিক্ষার্থীকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ ফরিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সজিব আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বহিরাগতদের সঙ্গে মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা হয়। বহিরাগতদের একজন ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য দিব্য। তাকে মীর মশাররফ হোসেন হলে নিয়ে যান হলের শিক্ষার্থীরা। অনিন্দ্য দিব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পূর্বপরিচিত।
বাগবিতণ্ডার ওই ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের হলের গেস্টরুমে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতারা। তারা দিব্য ও অন্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সজীবের কানে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারতে থাকেন হাসান মাহমুদ ফরিদ। এতে সজীবের কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
আহত সজীবকে তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইমরান বাধা দেন। পরে সজীবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়। পরে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অতিথি কক্ষে আমাদের পাঁচজনকে সামনে দাঁড় করিয়ে কানে থাপ্পড় মারতে থাকেন ভাইয়েরা। সজিবের কানে একটু আগে থেকেই সমস্যা ছিল। থাপ্পড়ের কারণে তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইমরান বলেন, ‘আমরা হলে প্রতি সপ্তাহে গেস্টরুম করি। সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজকর্ম করার জন্য সেখানে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়। গতকালও (মঙ্গলবার) তেমনটিই হয়েছিল।’
তবে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাকে তো মারা হয়নি। তার কানে আগে থেকেই একটু সমস্যা ছিল। ডাক্তার তাকে পানি লাগাতে নিষেধ করেছে। গেস্টরুমে একটু চিৎকার হয়েছিল, তাতেই তার কানে সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য আমরাই দায়িত্ব নিয়ে মেডিক্যালে পাঠিয়েছিলাম। সে আমাদের ছোট ভাই। তাকে কেন আটকে রাখব?’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ ফরিদ বলেন, ‘কাল (মঙ্গলবার) রাতে গেস্টরুম হয়েছিল। সেখানে স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছে। কাউকে কানে থাপ্পড় দেয়া বা মারা হয়নি। ওই ছেলে গেস্টরুমে অসুস্থ বোধ করছিল। তাই তাকে আমরা তার বন্ধুদের সঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
অতিথি কক্ষে এ ঘটনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও শাহ পরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আল রাজি সরকার প্রমুখ।
তারা সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘অতিথি কক্ষে নির্যাতন কিংবা মারধর হয়ে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। স্বপ্রণোদিত হয়ে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য