রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আরও একজনের মৃত্যু নিয়েছে।
এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি হলো।
বিস্ফোরণের ঘটনায় সর্বশেষ প্রাণ হারানো আয়েশা আক্তার (২৬) বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন,যার বাসা রাজধানীর জিগাতলায়।
ফিনিক্স নামের একটি কোম্পানির অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করতেন আয়েশা।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আয়েশা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
‘এখনও আমার এখানে আরও চারজন চিকিৎসাধীন। তাদের প্রত্যেকেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
গত ৫ মার্চ সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন আহত ও ৫ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ঘটনার দিনই তিনজনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার প্রাণ গেল আরও একজনের।
মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে রোববার সকালে ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত দাস রোববার রাত ২টার দিকে মামলাটি করেন, যাতে আসামি করা হয় বাসমালিককে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাইম মোফাজ্জেল জানান, ইমাদ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হোসেনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। বাসটিতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, বেপরোয়া গতি ও এর ফিটনেসের বিষয়টি মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার নিহত হওয়ায় তাদের নামে মামলা করা হয়নি। সার্জেন্ট জয়ন্ত দাস মামলার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের বাসটি রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এটি পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়েতে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় এলে সামনের চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নিচে পড়ে যায়।
ওই সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হয়। পরে হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরের শিবচরে রোববার সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বাসটির ১০ জনের বেশি যাত্রী।
নিহত আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন গোপালগঞ্জের মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার (২৫), একই জেলার বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহমেদ (৪০), ইসমাইল হোসেন (৫৫), তৈয়ব আলীর ছেলে মো. হেমায়েত হোসেন (৩০), নড়াইলের বকুল শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার (৪০), গোপালগঞ্জের নওশের আলী শেখের ছেলে সমীর শেখ (২০), একই জায়গার কাঞ্চন শেখের ছেলে কাদির শেখ (৪০) ও একই জেলার অনাথি নাথ মন্ডল (২৫)।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে প্রাণ হারানো দুজনের একজন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ, অন্যজন ২৫ বছরের যুবক।
আহত যাত্রীদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজন হলেন ফয়সাল আহমেদ, আবদুল হামিম, বদরুদ্দোজা, পঙ্কজ কান্তি ঘোষ, ঝুমা, বুলবুল ও এনামুল।
শিবচর উপজেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খুলনা থেকে যাত্রীবোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়েতে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় যানটির সামনের চাকা ফেটে যায। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, বাসটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের প্রাণহানি হয়। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় মাদারীপুরে ১৭ জন নিহত হয়। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে শনিবার একটি দোতলা ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ হয়েছেন আটজন।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনের গুদামে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির পেছনের অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে। যা আশেপাশের বসতিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
নিতাইগঞ্জের ডাইলপট্টিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট।
বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো ব্যক্তির নাম আউলাদ হোসেন। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সরকার হোসেন, জাহাঙ্গীর, সেন্টু, রাজু, বিশু, জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জগদীশ সরকার। তারা শ্রমিক, ট্রাকচালক ও দোকান মালিক। তারা শ্রমিক, ট্রাকচালক ও দোকান মালিক।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর আগুন বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। তবে ভবনের পেছনের অংশে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ধসে পড়েছে ভবনের এক পাশ। নিচ তলার দোকানে ও গুদামে থাকা মালপত্র পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর পাশে একটি সচল গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেছে। সেটি গুদামের পাশ হয়ে দুই তলায় রান্নাঘরে সংযোগ ছিল। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও গ্যাস লাইন সচল অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লাইনের পাইপ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে গুদামে জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর বাইরে আরও যেসব বিষয় রয়েছে তা নিয়ে কাজ চলছে। বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে সিআইডি।’
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। ১০ বছর আগেই এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবুও ভবনের নিচ তলায় ডাল, চাল, ভূষি, লবণ ও কাগজ গুদামে রেখে ব্যবসা করা হতো। দুই তলায় শ্রমিক, ট্রাকচালকরা থাকতেন। নিচে চলতো বেচাকেনা। প্রায় সময় ভবন থেকে ইট খসে পড়ত। শনিবার সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
নিতাইগঞ্জ বহুমুখী ব্যবসায় সমিতির সাবেক সভাপতি শংকর সাহা জানান, গত বছরেও এখানে এমন আরও একটি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়। তবে তারা উদ্যোগ না নেয়ায় এবার বড় ধরনের ঘটনা ঘটলো।
নারায়ণগঞ্জে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস জানান, গত কয়েক বছরে একাধিকবার এই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভবনের মালিককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি ভবনটি অপসারণ করেননি।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ ও আহত আটজনকে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশও ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
পরিত্যক্ত ভবন থেকে কেন গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি জানতে চাইলে তিতাসের নারায়ণগঞ্জের প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, ‘ভবনের পাশে গ্যাস রাইজার আছে। এটি গ্যাসের লাইন থেকে হয়েছি কি না আমরা এখনও নিশ্চিত নই।’
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক বাসচালককে মারধর করার ঘটনায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে জেলা মটর মালিক সমিতি ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে সবার সিদ্ধান্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরআগে বুধবার সকালে নান্দাইলের চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক পার হচ্ছিলেন মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়া। এ সময় বাসের ভেতর থেকে এক যাত্রী বলেন, ‘আপনি সমাজের গণমান্য ব্যক্তি হয়েও অসচেতনভাবে রাস্তা পারাপার হলেন।’ এতে চালকও সায় দিলে মেয়র ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করেন। এ ঘটনায় ওই চালক জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে জানালে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।’’
বাসের চালককে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়া শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কাওকে মারধর করিনি। এসব মিথ্যা অভিযোগ।’
তাহলে পরিবহন ধর্মঘট থাকার কারণ কি এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর বিস্তারিত জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় ইউনিটেক্স গ্রুপের তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
প্রায় ২০ ঘণ্টা পর রোববার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ধোঁয়া আছে শুধু, আমরা পানি ছিটাচ্ছি এখনও। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরোপুরি নির্বাপণ হয়ে যাবে।’
রাতভর যৌথ বাহিনীর ২২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য, পানি সংকট ও তুলা দাহ্য পদার্থ হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির ২২টি ইউনিট একযোগে কাজ করায় বিপুল পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়। এতে আশেপাশের সব জলাশয় শুকিয়ে যায়। শেষ হয়ে আসে কিছু দূরের পুকুর, খাল ও ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর রিজার্ভারও।
এমন পরিস্থিতিতে বাড়বকুণ্ড, ভাটিয়ারী ও চট্টগ্রাম সেনানিবাস এলাকা থেকে আগুন নির্বাপণে প্রয়োজনীয় পানির জোগান দেয়া হয়।
ওই গুদামে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও পাঁচ ইউনিট। তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সামরিক বাহিনীকে সাহায্যের অনুরোধ জানান। এতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে একে একে যোগ দেয় সশস্ত্র বাহিনীর ১৪টি ইউনিট।
রাত সাড়ে আটটার দিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদের নেতৃত্বে সেনবাহিনীর চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নৌবাহিনীর ৪টি ও বিমানবাহিনীর দুটি ইউনিট যোগ দেয় নিয়ন্ত্রণের কাজে। মধ্যরাতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিনহাজের নেতৃত্বে বিজিবির চারটি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
রোববার ভোর পৌনে চারটার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবির মোট ২২টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে রয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম ইউএসএআর (ইউনিট সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম)।
‘এই টিমই সম্প্রতি তুরস্কে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী জানান, গুদামে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওয়েল্ডিয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাজের সময় স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ হওয়া ভবনটিতে উদ্ধারকাজ স্থগিত করেছে ফায়ার সার্ভিস, তবে ভবনে প্রোপিং বা ঠেকনা দেয়ার কাজ করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে এমন চিত্র দেখা যায়।
গত মঙ্গলবার সিদ্দিক বাজারের ওই ভবনে বিস্ফোরণে ২৩ জনের মৃত্যু হয়।
সিদ্দিক বাজার এলাকায় দেখা যায়, ভবনটিতে রাজউকের প্রোপিংয়ের কাজ সকাল থেকেই চলছে। এ কাজ নির্বিঘ্নে করতে ভবনটির সামনের রাস্তা দুই দিক দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রাজউকের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, র্যাবের টিমও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ভবনটির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে রাজউক গঠিত কারিগরি কমিটির সদস্য রঙ্গন মন্ডল বলেন, ‘আমরা মূলত এখন ভবনটিতে প্রোপিং, অর্থাৎ ভবনটিকে সাময়িক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছি। প্রোপিংয়ের পর আমরা সার্ভে করব ভবনটি রেট্রোফিটিং করা যায় কি না, তবে এই সার্ভে করতে আমাদের দেড় মাস সময় লাগবে।’
ভবনের সামনের রাস্তা ছাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রোপিংয়ের পর দেখব ভবনটি কতটুকু স্ট্যাবল হয়েছে। এ ছাড়া আরও দেখব ভবনটি কতটুকু কম্পন সহ্য করতে পারছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম নিয়ে বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, ‘আমাদের কোনো উদ্ধারকাজ এখন ঘটনাস্থলে চলছে না, তবে আমরা ঘটনাস্থলে আছি।
‘যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে রেসপন্স করব। এ ছাড়া নিখোঁজ কেউ আছেন বলেও আমাদের কাছে কেউ এসে দাবি করেনি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য