× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bobbys tribute to Bangabandhus portrait not for political purposes PM
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ববির শ্রদ্ধা রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর-প্রতিকৃতিতে-ববির-শ্রদ্ধা-রাজনৈতিক-উদ্দেশে-নয়-প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চ ফুল দিতে রেদওয়ান সিদ্দিকী ববি গিয়েছে। হ্যাঁ, আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সে গেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা এমবিশন নিয়ে যায়নি। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, আমি আমার ছোট বোন রেহানা, আমাদের ৫ ছেলে মেয়ে। তারা কিন্তু আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, বরং পরিবারের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার খালা শেখ হাসিনা।

কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চ ফুল দিতে রেদওয়ান সিদ্দিকী ববি গিয়েছে। হ্যাঁ, আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সে গেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা এমবিশন নিয়ে যায়নি। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, আমি আমার ছোট বোন রেহানা, আমাদের ৫ ছেলে মেয়ে। তারা কিন্তু আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

‘ আজকে ইয়াং বাংলা বলেন, স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বলেন, যা যা বলেন, সিআরআই থেকে যত রকমের গবেষণা… তারা কিন্তু কাজ করে যাচ্চে দেশের স্বার্থে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। আজকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার যে কাজ সেখানে কিন্তু সকলের কিছু অবদান আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ তারা অটিজম নিয়ে কাজ করছে, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে। তারা কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকোনো এমবিশন নিয়ে করে নাই। এ পর্যন্ত দলের কোনো মেম্বার করিনি তাদের। কোনো কিছুর মধ্যে তারা আসে না। রাজনৈতিক অভিলাষ নিয়ে কাজ করে না। তারা জনগণের স্বার্থে কাজ করে।’

আরও পড়ুন:
সাহাবুদ্দিন কেন রাষ্ট্রপতি, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা রাজনৈতিক কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
One Eleven Kushilab and BNP are in conspiracy Information Minister

এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি এক হয়ে ষড়যন্ত্রে: তথ্যমন্ত্রী


এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি এক হয়ে ষড়যন্ত্রে: তথ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

এক-এগারোর কুশীলবরা এবং বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এই সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

‘কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে আবার নির্বাচিত করবে এবং বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির কারণে মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই এক জোট হয়ে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে, কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না।

‘আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে প্রয়াত জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। দেশের ইতিহাসে, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ভালো মানুষ এবং অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।’

জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দীন পাঠানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, এ বি এম বায়েজিদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ সভায় বক্তব্য দেন।

নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে শোক

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীনবাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং ঢাকসুর সাবেক ভিপি নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ তার শোকবার্তায় বলেন, ‘দেশ ও মানুষের প্রতি নূরে আলম সিদ্দিকীর ছিলো গভীর অনুরাগ। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার বীরোচিত অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daydreaming of BNPs claim on caretaker issue Kader

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপির দাবি দিবাস্বপ্ন: কাদের

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপির দাবি দিবাস্বপ্ন: কাদের সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন লাঞ্চের দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে বলেছি সংবিধান অনুযায়ী আমরা কেয়ারটেকার সরকারে ফেরত যেতে পারব না। তারা চায় বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হোক। তা তারা বলতেই পারে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রও বলতে পারে। কেননা তারা আমাদের বন্ধু। ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন বাস্তবায়ন করবে ইলেকশন কমিশন। তখনকার সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।’

সংবিধানের বাইরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরা সম্ভব নয় মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখুক, তা কখনও পূরণ হবে না।

সচিবালয়ে বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন লাঞ্চের দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে বলেছি সংবিধান অনুযায়ী আমরা কেয়ারটেকার সরকারে ফেরত যেতে পারব না। তারা চায় বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হোক। তা তারা বলতেই পারে।

‘এটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রও বলতে পারে। কেননা তারা আমাদের বন্ধু। ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন বাস্তবায়ন করবে ইলেকশন কমিশন। তখনকার সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।’

সাভারে সম্প্রতি স্কুলছাত্রকে দিনমজুর বানিয়ে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও পক্ষপাতমূলক সংবাদ করা হচ্ছে। এগুলো হলুদ সাংবাদিকতা।’

এগুলো পরিহারের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাভারে একটা বাচ্চার হাতে ১০ টাকা দিয়ে ছবি ছেপে ভাইরাল করা হলো। এটা হলুদ সাংবাদিকতা, এখন হলুদ সাংবাদিকতা বেশি হচ্ছে।’

মন্ত্রিসভায় গণপ্রতিনিধিত্ব সংশোধিত আইন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় এটার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে; চূড়ান্ত হয়নি। আইন মন্ত্রণালয়ে এখন এটি ভেটিং হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে ফলাও করে বলার সুযোগ নেই।’

সড়ক দুঘটনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে কত মানুষ মারা যায়? ২০ জন মারা গেছে সৌদিতে। এর মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি। সড়কের দুর্ঘটনার কারণে কোনো মন্ত্রণালয় ব্যর্থ এমন বলা ঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে। ধীরে ধীরে আরও কমবে। শুধু দেশে না, সারা দুনিয়াতে পণ্যের দাম বাড়ছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের ভাষায় যে জনগণ কষ্টে আছে, সেই জনগণই বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। কেননা তাহলে গণআন্দোলন গড়ে উঠত।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের থেকে ভালো আছি, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কিন্তু চেয়ে দেখেন পাকিস্তানের দিকে, তাদের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। দেশের উন্নয়ন থেমে থাকলে বিশ্বনেতারা কি বাংলাদেশের প্রশংসা করত?’

মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ অন্য অনেক দেশ থেকে ভালো আছি। চেষ্টার কোনো কমতি নেই। সংকটটা আমাদের একার নয়। এটা বিশ্বময়।’

আরও পড়ুন:
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ: কাদের
জিয়া গলা টিপে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন: ওবায়দুল কাদের
গণহত্যা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে পাকিস্তানের ভাষ্য দেখছেন কাদের
মির্জা ফখরুল অপশক্তির দালাল: কাদের
মির্জা ফখরুলের মর্মবেদনা আমরা বুঝি: ওবায়দুল কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Noor Alam Siddiqui one of the 4 Caliphs passed away

চলে গেলেন ‘৪ খলিফার একজন’ নূরে আলম সিদ্দিকী

চলে গেলেন ‘৪ খলিফার একজন’ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত
নূরে আলম সিদ্দিকীকে মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ছিলেন।

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রেস সচিব অনিকেত রাজেশ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০টায় তার মরদেহ নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজার পর আছরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

নূরে আলম সিদ্দিকীকে মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ছিলেন।

নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhruls speech is indecent and impudent Kader

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ: কাদের

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ: কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মির্জা ফখরুলের এ ধরনের বক্তব্য চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। তার এই মন্তব্য শতাব্দীর সেরা কৌতুক। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের বিবেক-বুদ্ধিই শুধু লোপ পায়নি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা প্রলাপ বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা’ বক্তব্য অশালীন এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ।”

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মির্জা ফখরুলের এ ধরনের বক্তব্য চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। তার এই মন্তব্য শতাব্দীর সেরা কৌতুক। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের বিবেক-বুদ্ধিই শুধু লোপ পায়নি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তার এ কথা শুধু আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যকে অসম্মানিত করেনি, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকেও অপমানিত করেছে।

‘ফখরুল পুরো জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এটি জাতির অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি শুরু থেকেই আদর্শগতভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। মির্জা ফখরুল কিছুদিন পূর্বে মন্তব্য করেছিলেন- ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।’ তাদের পাকিস্তানপ্রীতি নতুন কোনো বিষয় নয়।”

আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করেছিলেন। এই সামরিক স্বৈরশাসক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারাকে পরিপুষ্ট করেছিলেন। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া একইভাবে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনও মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। মানুষ যখন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে তখনও বিএনপি স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

‘আমরা বিশ্বাাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী পুরো দেশবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং তারা আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
জিয়া গলা টিপে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন: ওবায়দুল কাদের
গণহত্যা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে পাকিস্তানের ভাষ্য দেখছেন কাদের
মির্জা ফখরুল অপশক্তির দালাল: কাদের
মির্জা ফখরুলের মর্মবেদনা আমরা বুঝি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ নেই: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Proloy Gang Affiliated terrorist organization of Chhatra League Chhatra Dal

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে বলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বেদম পিটুনির ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে ‘প্রলয় গ্যাং’। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধরসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থী এই গ্যাং তৈরি করেছেন। আর এই গ্যাং-এর কিছু সদস্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রলয় গ্যাংস্টারের উদ্ভব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের ‘সিরিজ অপকর্ম’-এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় সংগঠনটির নেতারা প্রলয় গ্যাংকে ছাত্রলীগের নতুন সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে কার্জন হলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়।

এ সময় খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানায় এবং সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলসহ সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি।’

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নব্য সন্ত্রাসী সংগঠন হচ্ছে প্রলয় গ্যাং, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন সেল।

‘ছাত্রলীগ তাদের অতীত ঐতিহ্যগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত রেখেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, হলে সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, মাদকের কারবার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঘৃণ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ছাত্রলীগের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।’

ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম তারিক, নাছির উদ্দিন শাওন, সাদ্দাম হোসেন, রাজু আহমেদ, হান্নান তালুকদারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
কোমরে পিস্তল নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতা
জাবিতে ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ এপ্রিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Foreigners interested in investment due to political stability Information Minister

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী: তথ্যমন্ত্রী

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যে কোনো বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার যেভাবে বিস্তৃত হচ্ছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ও বাড়ছে, এ সব কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।’

বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

সোমবার রাজধানীর কাওরানবাজারে একটি হোটেলে ‘ইনোভেটিভ বিজনেস অপরচুনিটিজ ফ্রম বেলজিয়াম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বেলজিয়ামের রপ্তানি উন্নয়ন সংগঠন ওলোনিয়া এক্সপোর্ট-ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সি এবং ফ্ল্যান্ডার্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যে কোনো বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার যেভাবে বিস্তৃত হচ্ছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ও বাড়ছে, এ সব কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিনিয়োগে বিদেশিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সাধারণত আমরাই বিদেশে গিয়ে সভা-সেমিনার করি, আর আজ বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে এখানে সেমিনার করছে। কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যদি বিনষ্ট হয়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না এবং কোনো দেশ এভাবে এসে সেমিনার করবে না, সতর্কবার্তা দেন তিনি।’

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একশত ইকনোমিক জোন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইকনোমিক জোন উৎপাদনে গেছে। দেশি, বিদেশি বিনিয়োগ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা ভাবনায় রেখেই এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো তৈরি হচ্ছে।

বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়ন পিএইচডি অর্জনকারী হাছান মাহমুদ বলেন, বেলজিয়াম একটি উন্নত দেশ। বেলজিয়াম ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সেখানে বসে। সেই দেশ থেকে যদি আমাদের দেশে বিনিয়োগ আসে, বিশেষ করে হাইটেক শিল্প, যে খাতে আমরা এখনো সেভাবে পৌঁছায়নি, সে সব খাতে বিনিয়োগ আমাদেরকেও সে সব ক্ষেত্রে পারদর্শী করে তুলতে পারবে। বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

এর আগে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী দেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।

ঢাকায় নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভ্যান্ডারহ্যাসেল্ট, ঢাকা চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সামির সাত্তার, বাংলাদেশে বেলজিয়ামের কনসাল আরিফ দৌলা প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

বেলজিয়ান সংস্থা ফ্ল্যান্ডার্সের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার বাবেটে ডেসফোসেজ এবং বেলজিয়ামের কৃষি, চিকিৎসা, নিত্যপণ্য, যানবাহন এবং নির্মাণ প্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা সেমিনারে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ গেছে হাসের আমন্ত্রণে, বিএনপির মতো পদলেহনে না: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zia killed democracy by strangulation Obaidul Quader

জিয়া গলা টিপে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন: ওবায়দুল কাদের

জিয়া গলা টিপে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র বিকাশের প্রধান অন্তরায়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন সামরিক স্বৈরশাসক। তিনি দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র বিকাশের প্রধান অন্তরায়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন সামরিক স্বৈরশাসক। তিনি দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়।

‘যে দলের প্রতিষ্ঠাতা অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরশাসক, যে দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে সেই দল দেশের জনগণকে কী গণতন্ত্র দেবে? তাই বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা ও আন্দোলন জাতির সঙ্গে পরিহাসের শামিল।’

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা নির্বাচনে না গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে নাকি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। জনগণ কী তা বিশ্বাস করে?

‘জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপ-নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল বিএনপি। বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে।’

আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার গণতন্ত্রকে ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভোটাধিকার সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে।’

আরও পড়ুন:
গণহত্যা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে পাকিস্তানের ভাষ্য দেখছেন কাদের
মির্জা ফখরুল অপশক্তির দালাল: কাদের
মির্জা ফখরুলের মর্মবেদনা আমরা বুঝি: ওবায়দুল কাদের

মন্তব্য

p
উপরে