রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ‘সুলতান’স ডাইন’ নামের রেস্তোরাঁর কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সুলতান’স ডাইনকে নিয়ে অভিযোগের তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে এ কথা জানায় অধিদপ্তর, যেটি প্রকাশ হয় সোমবার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোক জানানো যাচ্ছে যে, ৯ মার্চ ২০২৩ বিকাল আনুমানিক ৩.৪৫ থেকে ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান ডাইন’স, গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয় এবং অদ্য ১৩ মার্চ ২০২৩ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং উক্ত শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনান্তে নিম্নরূপ তথ্য পাওয়া যায়।
‘অভিযুক্ত মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান, কাপ্তান বাজার নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোশত সংগ্রহ করে থাকেন। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান, কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় এ সকল খাসির হাড় চিকন হয়।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, তা বন্ধ পাওয়া যায়। খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার নিঃসন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’
আলোচনার শুরু যেখান থেকে
গত ৮ মার্চ, বুধবার বিকেলের পর থেকেই সুলতান’স ডাইনের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন অনেকে। কনক রহমান খান নামের একজনের বরাতে একটি পেজে দেয়া হয় এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
ওই পোস্টে প্লেট ও প্যাকেটে বিরিয়ানি রাখা দুটি ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি আনা হয়েছিল ৭টা। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হলো যে, এটা তো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না। তখন সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দেই; জিগ্যেস করি এটা কী মাংস ছিল?
‘উনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠায়। সাথে উনাদের এজিএম আশরাফসহ আসে। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সাথে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বলি। এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না। তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।’
ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘৯৯৯-এ কল দেই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে। ৯৯৯ থেকে গুলশানের ডিএমডি পুলিশের নম্বর দেয়া হয়, অভিযোগ জানাতে। এটাও করি। কাল এক সাংবাদিক ফোন করে আমায় থ্রেট করে। আসলে দেশে কি টাকা দিয়ে কুকুর বিড়াল খাওয়ালেই তারাই জিতে? মানবাধিকার কোথায়, খাদ্য নিরাপত্তা কোথায়?’
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর নিরব হোটেলে গরুর মাংসের নামে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ফেসবুকে তার পোস্ট ভাইরাল হলে তখন ৪৮ বছরের নাজিম উদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোটেলটির খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিরব হোটেলের পক্ষে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয় তখন।
সাভারের আশুলিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ ওঠে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ নামের এক খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকানটির একজনকে আটকও করে পুলিশ।
পরে অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেন, ওই দোকানের বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।
নিউজবাংলাকে কী বলেছিল সুলতান’স ডাইন
কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংসের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলে নিউজবাংলার কাছে দাবি করেছিল রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ক্রেতার অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর ৮ মার্চ রাতে নিউজবাংলার কাছে এমন দাবি করেন রেস্তোরাঁটির গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন অফিসার ববি রানি দাস।
তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা অনেক বড় ব্র্যান্ড। এক ক্রেতা বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির যে অভিযোগ করেছেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
ববি রানি বলেন, ‘ওই ক্রেতা ফোনে অর্ডার দিয়ে চার-পাঁচ দিন আগে দুপুরে খাবার নিয়ে গেছেন। তারপর অভিযোগ করেছেন। আমাদের ম্যানেজার আশরাফ স্যার সেখানে অভিযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘যে অভিযাগ উঠেছে, তা করা হয়েছে আমাদের দুর্নামের জন্য। অভিযোগ পেয়ে যাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এই অভিযোগের কোনো মানে হয় না।’
যে ক্রেতার পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে তাকে নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ববি রানি।
তিনি বলেন, ‘‘ওই ক্রেতার পরিচয় আমরা জানি না। উনি খাবার নেয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এগুলো কিসের মাংস দিয়েছেন, বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি।’ আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরির মজাদার স্মুদি। শেফ স্নেহা শিন্ডের স্ট্রবেরি স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ৮টি স্ট্রবেরি
২. ১/২ কাপ দুধ
৩. ১/২ কাপ দই
৪. ৩ টেবিল চামচ চিনি
৫. ২ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
৬. পরিমাণমতো বরফ কুচি
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা স্ট্রবেরি, দুধ, দই, চিনি, ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট ও পরিমাণমতো বরফ কুচি একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন দই শসার মজাদার সালাদ। এনডিটিভি ফুডের দই শসার মজাদার সালাদ রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ কাপ স্লাইস করা শসা
২. ১/২ কাপ দই
৩. ১/২ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
৪. ১/২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
৫. স্বাদমতো গোলাপী লবণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন । তারপর একটি বাটিতে ফেটিয়ে রাখা দই, স্লাইস করা শসা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি ও স্বাদমতো গোলাপী লবণ দিয়ে ভালোমতো মিক্সড করুন। তারপর মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। এ সময়ে পানি ছাড়া প্রায় পুরো দিন কাটানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। তাই সেহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমাদের শরীরে পানির সুষ্ঠু পরিমাণ বজায় থাকে।
এ রমজানে চাঙা থাকতে নিচের ৫টি পানীয় আপনার সেহরি এবং ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে।
ডাবের পানি
রমজান মাসে হাইড্রেটেড থাকার একটি সতেজ এবং প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ডাবের পানি। এটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আপনাকে আপনার শরীরের তরলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
রুহ আফজা শরবত
রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় রুহ আফজা শরবত। এটি একটি রিফ্রেশিং এবং সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ খাবার এবং পানি ছাড়াই তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করবে। এটি পানি বা দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করতে পারেন। এ ছাড়া আরও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক করতে তরমুজের ছোট টুকরা এবং তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন রুহ আফজার শরবত।
ভেষজ উপাদানের পানীয়
পানিতে একটি সাধারণ টুইস্ট দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাদু করে তুলতে স্পিয়ারমিন্ট, পেপারমিন্ট এবং লেমনগ্রাসের মতো ভেষজগুলির তুলনা হয়না। এতে রয়েছে শীতল উপাদান যা পানিতে মিশ্রিত করলে স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হবে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি পাত্রে পানি নিয়ে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস যোগ করা। এর সঙ্গে আপনার পছন্দের ফলের টুকরাও যোগ করতে পারেন। ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ, হালকা লবণ ও বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ইফতারে এটি দিবে দারুণ সতেজতা।
দুধ ও খেজুরের স্মুদি
দুধ এবং খেজুর স্মুদি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। খেজুর চটজলদি এবং সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙেন। ঘরে বসেই খেজুর থেকে পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করতে পারেন।
শুধু খেজুর গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। খেজুর দুধের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে গেলেই আপনার শক্তি বৃদ্ধিকারী পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ফলের জুস
এ রমজানে ফলের রস তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটি অসাধারণ পানীয় হতে পারে। তাজা ফলের রস প্রাকৃতিক উপাদানের পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলো সুস্বাদু এবং প্রস্তুত করা সহজ।
আপনার পছন্দমতো যেকোনো ফলের জুস তৈরি করতে পারেন। তরমুজ, কমলা, পেঁপে, আঙ্গুর, লেবু, আনারসের মতো পানিযুক্ত উপাদানের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সুস্বাদু মিশ্র ফলের জুসও তৈরি করতে পারেন একসঙ্গে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন ওট মিল্কের মজাদার স্মুদি। শেফ কুনাল মুথারের ওট মিল্ক স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ গ্লাস চিনি ছাড়া ওট মিল্ক
২. ১ টেবিল চামচ চিনাবাদামের মাখন
৩. ১টি কলা
৪. সামান্য বরফ
প্রস্তুত প্রণালি
ওট মিল্ক, কলা, চিনাবাদামের মাখন এবং বরফ একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদি। শেফ বৈশালী লুথরা জলির আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১টি আপেল
২. ১ কাপ দই
৩. ১ চা চামচ পিনাট বাটার (অপশনাল)
৪. ১ চা চামচ চিয়া সিড
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা আপেলের টুকরা, দই, পিনাট বাটার ও চিয়া সিড একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে খিচুড়ি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। তবে রোজায় এ খিচুড়ি হতে পারে খানিকটা ভিন্ন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।
কীভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে বৃষ্টির এ মৌসুমে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি উপভোগ করবেন তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
পোলাও চালের সঙ্গে দুই কাপ মুগ ডাল, এক কাপ আলু কিউব, হাফ কাপ গাজর কিউব, হাফ কাপ ফুলকপি কিউব, হাফ কাপ হলুদ গুড়া, এক চা চামচ লবণ। এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ আস্ত জিরা, এক চা চামচ দারচিনি, দুটি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ৩/৪টা গোটা শুকনো মরিচ, ৩টি তেজপাতা, তেল পরিমাণ মতো, হাফ কাপ ঘি, ৩ টেবিল চামচ ভাজা জিরা গুড়া, এক চা চামচ কাঁচা মরিচ, সামান্য চিনি, গরম পানি।
প্রস্তুত প্রণালি
হাঁড়িতে তেল ও দুই টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মসলা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা সবজি দিয়ে নেড়ে আদা বাটা, হলুদ গুড়া, লবণ, সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে একটু ভেজে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝড়ানো চাল-ডাল দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হালকা পানি থাকতে বাকি ঘি ছড়িয়ে তারপর ভাজা জিরা গুড়া, আস্ত কাঁচা মরিচ কয়েকটা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে দারুণ মজার নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। কেউ চাইলে মটরশুঁটি দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন:ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।
মন্তব্য