স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এবার রেললাইনের ওপর টায়ার ও টিউবে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এ কারণে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ গেছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। আমাদের শতাধিক ভাই আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। গত শনিবারের ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাইনি। প্রক্টরের পদ কেন রাখা হয়েছে? পুলিশকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করার হুকুম কে দিয়েছে?
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগেরও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
পশ্চিম রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেললাইনে টায়ার ও টিউবে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান নেয়ার কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে ট্রেন যোগাযোগ আবারও চালু করা হবে।
যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন জানিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের জিএম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে। কিছু ট্রেন ছেড়ে যেতে পারছে না।
গত শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বিনোদপুরের স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এই সংঘর্ষের জেরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে নাটোরের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরে প্রবেশ করতে বিকল্প পথ হিসেবে বুধপাড়া ফ্লাইওভার হয়ে ঢোকে। আর নগরীর সাহেব বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহনগুলো ফুলতলা বালুরঘাট হয়ে চলাচল করে। এছাড়া বাসগুলো সিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ভদ্রা মোড় দিয়ে নতুন বাইপাস হয়ে নাটোরের দিকে যায়।
সংঘর্ষের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর ও কাজলা ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা তদন্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল অফিস সময়ে কমিটিকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, সাবেক প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুধবার এই নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ ও উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম। উপসচিব বলেন, ‘অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতারকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে পাঁচ শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
শর্তগুলো হলো- উপাচার্য পদে এই নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার ১৯৮২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিএ অনার্স এবং এমএ, কানাডায় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু থেকে একই বিষয়ে দ্বিতীয় এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন:জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তাকে নিয়োগ দিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগতমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া। তবে এটির কর্মপদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিরাগতমুক্ত করার লক্ষ্যে অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে। সে লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। আর যেসব শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদেরকে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নতুন দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এবং ট্রেজারার পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুর রব।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়, এই নিয়োগ চার বছরের জন্য হলেও রাষ্ট্রপতি বা আচার্য যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। তাদের বেতন হবে বর্তমান বেতনের সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-বিধি ছাড়াও ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করবেন তারা। এছাড়াও ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে তাদের।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ওই সরকারের আমলে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা একে একে পদত্যাগ করা শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় ৭ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ১৩ আগস্ট প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ১৯ আগস্ট প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ট্রেজারার পদত্যাগ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সপ্তম উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
জবি অধ্যাপকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হলেন রেজাউল।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মো. রেজাউল করিম, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে চার বছর হবে, তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ অথবা অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
‘তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর চলতি বছরের ১১ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পদত্যাগ করেন। এর এক মাসের বেশি সময় পর নতুন উপাচার্য পেল প্রতিষ্ঠানটি।
অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ১৯৮৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি ২০০৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিধি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে মানববন্ধন ও শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেল ৪টায় আবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিশ্বিবদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আজকের (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি নিয়ে নয়-ছয় আর নয় আর নয়, ‘ঢাবি রাবি ভিসি পেল, চবি কেন পিছিয়ে গেল’, ‘আর নয় বিজ্ঞাপন, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘ঢাবি রাবি স্বর্গে, চবি কেন মর্গে’, ‘শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য, ভিসি হবে দক্ষ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ভিসি নিয়োগের একটি গুঞ্জন শোনা যায়। রোববার ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত আসেনি। আমাদের সাথে এই প্রজ্ঞাপন-প্রজ্ঞাপন খেলা বন্ধ করুন। ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ’আমরা ক্লাসে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি কিন্তু এখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। আমরা কি আন্দোলনই করে যাব শুধু?
‘বাংলাদেশের অন্য সব স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া হলেও আমরা এখনো ভিসি পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ অতিসত্বর ভিসি নিয়োগ দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার। আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের জায়গা হচ্ছে পড়ার টেবিলে। আমাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে নিন।’
আরও পড়ুন:তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজীবকে সভাপতি এবং ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল মাসুম হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।
বর্তমানে দেশের সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংগঠনের কার্যক্রম চলমান।
মন্তব্য