× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Rabi students and locals clash in Rajshahi 2 injured
google_news print-icon

স্থানীয় ও রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজশাহী, বিজিবি মোতায়েন

স্থানীয়-ও-রাবি-শিক্ষার্থীদের-সংঘর্ষে-রণক্ষেত্র-রাজশাহী-বিজিবি-মোতায়েন-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারের বেশ কিছু দোকানপাটে ভাংচুর ও অগ্নিংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে বিনোদপুর গেট সংলগ্ন পুলিশ বক্সেও।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিনোদপুরের এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রোববার ও সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিনোদপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারের বেশ কিছু দোকানপাটে ভাংচুর ও অগ্নিংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে বিনোদপুর গেট সংলগ্ন পুলিশ বক্সেও।

রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এসময় তারা বিনোদপুর বাজারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পৌনে ১১টার দিকে বিনোদপুর এলাকায় ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় ও রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজশাহী, বিজিবি মোতায়েন
রাজশাহীর বিনোদপুরে শনিবার স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

স্থানীয় সূত্র সংঘর্ষের নেপথ্যে দুটি কারণের কথা জানিয়েছে। একটি সূত্র বলছে, শনিবার বিকেলে বিনোদপুর বাস কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত হলে স্থানীয়রা তার ওপর চড়াও হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে বাসের চালক শরিফুল ও সহকারী রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছলে রিপনের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর আবার বাগবিতণ্ডা হয়।

এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আগামীকাল ও পরশু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
EB campus busy with Iftar

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস ইবি ক্যাম্পাসে ইফতার করছে শিক্ষার্থীরা । ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর মাত্র ছয় মাসের মতো অবস্থান করব। হয়তো ছাত্র হিসেবে এটাই আমার ক্যাম্পাসে শেষ ইফতার। তাই যতোটুকু সম্ভব এই সময়টা উপভোগ করছি। রোজায় ক্যাম্পাসে আলাদা একটা আমেজ কাজ করে। একসঙ্গে ইফতার, রাতে সবাই সবাইকে ডাকাডাকি করছে সেহরি খাওয়ার জন্য। জিনিসগুলো খুবই আনন্দের। হয়তো ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলে এই রোজার দিনগুলো খুব মনে পড়বে।’

পবিত্র রোজা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৪০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এরই মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশ্যে হল ও মেস ত্যাগ করেছেন।

তবে কিছু বিভাগে পরীক্ষা ও অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি করানোর কারণে বাকিরা এখনও ক্যাম্পাসের হলে ও পার্শ্ববর্তী মেসে অবস্থান করছেন। রোজার এই সময়টাতে পরিবার থেকে দূরে থাকলেও বন্ধু, বড় ভাই ও জুনিয়রদের সঙ্গে ইফতার আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার প্রথম রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠে ইফতার আয়োজনে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার আয়োজনে ভ্রাতৃত্বের প্রতিফলন ঘটেছে বলেও জানায় ইফতারে অংশ নেয়া অনেক শিক্ষার্থী।

বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়ে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, ‘নিজের পরিবার, মা-বাবা, ভাইবোন থেকে দূরে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার আরেকটি পরিবার হয়েছে। ইফতারের এই সময়ে বাসার কথা বেশি মনে পড়লেও বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সেই প্রভাব পড়েনা। যদিও ক্লাশ বন্ধ, টিউশনির কারণে এখনও বাড়িতে যাইনি। যতদিন আছি আশা করি বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব।’

ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস
ইফতার আয়োজনে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস। ছবি: নিউজবাংলা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর মাত্র ছয় মাসের মতো অবস্থান করব। হয়তো ছাত্র হিসেবে এটাই আমার ক্যাম্পাসে শেষ ইফতার। তাই যতোটুকু সম্ভব এই সময়টা উপভোগ করছি। রোজায় ক্যাম্পাসে আলাদা একটা আমেজ কাজ করে। একসঙ্গে ইফতার, রাতে সবাই সবাইকে ডাকাডাকি করছে সেহরি খাওয়ার জন্য। জিনিসগুলো খুবই আনন্দের। হয়তো ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলে এই রোজার দিনগুলো খুব মনে পড়বে।’

শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীরাই নয় ইফতার আয়োজনে মিলিত হয়েছেন অন্যান্য ধর্মালম্বীর শিক্ষার্থীরাও। অন্য ধর্মের বন্ধুদের নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়ে অসাম্প্রদায়িকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থী।

ইফতারে অংশ নেয়া আদিবাসী শিক্ষার্থী মংক্যচিং মারমা বলেন, ‘বড়ভাইদের সঙ্গে ইফতার করেছি। আয়োজনেও সাহায্য করেছি। আমি বিষয়গুলি খুবই উপভোগ করছি।’

ইফতার কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং বা ক্যাফেটেরিয়ায় কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও ক্যাম্পাস মধ্যবর্তী দোকানগুলোতে নানা রকমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করছেন দোকানীরা। তবে হলগুলো যেহেতু খোলা রয়েছে তাই ডাইনিংয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে ইফতারের আয়োজন থাকলে আরও সুবিধা হতো বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
ইফতারি তৈরিতে পোড়া তেল ব্যবহার না করার আহ্বান
ইফতারের দোয়া
গুচ্ছে থাকতে চায় না ইবি, নিতে চায় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা
ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি
ইবিতে এবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অডিও ফাঁস!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the face of protests Chabi backed away from the decision to increase the price of food in the hall

প্রতিবাদের মুখে হলের খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরল চবি

প্রতিবাদের মুখে হলের খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরল চবি চবির হলের ডাইনিংয়ের খাবার। ছবি: নিউজবাংলা
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্য সার্বিকভাবে বিষয় বিবেচনা করে আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আপাতত হলের ডাইনিংয়ের মূল্যবৃদ্ধি করছি না। আগে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আগের মূল্যেই খাবার মিলবে।’

শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হলগুলোর ডাইনিংয়ের খাবারের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে প্রভোস্ট কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে হলের খাবারের দাম এক লাফে ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা এবং সেহরি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া শুক্রবার দুপুরে হলের খাবার বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা ।

এই অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় খাবারের মূল্য সমন্বয় করতে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্টবৃন্দ। সভায় হলের খাবারের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্য সার্বিকভাবে বিষয় বিবেচনা করে আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আপাতত হলের ডাইনিংয়ের মূল্যবৃদ্ধি করছি না। আগে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আগের মূল্যেই খাবার মিলবে।’

আরও পড়ুন:
চবি প্রশাসনে গণপদত্যাগের নেপথ্য কারণ কী?
চবিতে প্রক্টরের পদত্যাগের ঘণ্টাখানেক পর নতুন প্রক্টর
চবি প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্ষদের ১৬ জনের পদত্যাগ
চবির চারুকলা আরও একমাস বন্ধ
ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: মধ্যরাতে চবির হলে তল্লাশিতে মিলল দেশীয় অস্ত্র

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League posts suspended after expulsion of Jabi students head with a rod

জাবি ছাত্রকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ, ছাত্রলীগের ৫ কর্মী বহিষ্কার

জাবি ছাত্রকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ, ছাত্রলীগের ৫ কর্মী বহিষ্কার
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ১৭(খ) ধারা অনুযায়ী তাদের পদসমূহ স্থগিত করা হলো। ভবিষ্যতে তাদের যেকোনও অসামাজিক, অনৈতিক এবং সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ভার জাবি শাখা ছাত্রলীগ বহন করবে না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, সদস্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুর্শেদা বেগম এবং সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বাইরে বের হচ্ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।

এ সময় অডিটোরিয়ামের গেইটে তাকে রড দিয়ে পেটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এতে সাইফুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাইফুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পর আজ শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই বহিষ্কৃত পাঁচ নেতা-কর্মীর তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়।

পদ স্থগিতকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি, সহ-সম্পাদক আহমেদ গালিব এবং সদস্য আহসানুল হাবীব রেজা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ১৭(খ) ধারা অনুযায়ী তাদের পদসমূহ স্থগিত করা হলো। ভবিষ্যতে তাদের যেকোনও অসামাজিক, অনৈতিক এবং সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ভার জাবি শাখা ছাত্রলীগ বহন করবে না।’

আরও পড়ুন:
বাইকের ধাক্কায় ছাত্র আহত, গভীর রাতে জাবিতে বিক্ষোভ
জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ, সম্পাদক শামীম
ট্রাংকভর্তি মদ পাওয়ায় জাবির সাবেক ভিসির গাড়িচালক বরখাস্ত
চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন
ফুটবল নিয়ে জাবির দুই হলের সংঘর্ষ, আহত ২৫

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students are angry over the increase in the price of substandard food in dining halls in Chabi

চবিতে হলের ডাইনিংয়ে ‘মানহীন’ খাবারের দাম বাড়ানোয় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

চবিতে হলের ডাইনিংয়ে ‘মানহীন’ খাবারের দাম বাড়ানোয় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘হলের খাবারের দাম না বাড়ালে আগের মেনু দেয়া যাচ্ছিল না। মুরগি না দিয়ে শুধু ডিম-সবজি দেয়া হচ্ছিল। ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিল না। তাই আমরা রেগুলার খাবার ও সেহরিতে ১০টাকা বাড়িয়েছি। বাজারে সবকিছুর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। শিক্ষার্থীদের দুপুরের ও রাতের খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় ডাইনিংয়ের ওপর।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২১ সালে হলের খাবারের দাম ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও মান না বাড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল অসন্তোষ।

এরই মধ্যে রোজাতে হলগুলোর ডাইনিংয়ে খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে এক লাফে ৩৫ টাকা এবং সেহরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে প্রভোস্ট কমিটি। গত ২২ মার্চ প্রভোস্ট কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমনিতেই হলের খাবারের মান ঠিক নেই। ভর্তুকি না দিয়ে হঠাৎ দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়ে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষার্থীদের আয় বাড়েনি, উল্টো ব্যয় লাগামে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিল না। এতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের খাবারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো ধরনের ভর্তুকি দেয় না। হলের স্টাফদের বেতন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলকে ভর্তুকি হিসেবে ধরা হয়।

দান বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. স্বপন মিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘২০১৯ সালে ১ম বর্ষে থাকাকালে ২০ টাকার বিনিময়েও দুবেলা খাইতে পারিনি টাকা বাচানোর জন্য। একবেলা খেয়ে দিন পার করে দিসি। তাই খুব ভালো করে জানি ক্ষুধা কি জিনিস। ১ম বর্ষে যারা আছে তাদের জন্য ৩৫ টাকা আত্মহত্যার মত। অনেকের ২৫ টাকা দিয়ে দুবেলা খাওয়ার সামর্থ্য নেই, সেখানে ৩৫ টাকা অনেক বেশি। মাননীয় প্রভোস্ট, দয়া করে আমাকে ক্ষুধার্থ রাখবেন না। আমার খাবার নিশ্চিত করুন।’

আসাদ নেওয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘মাননীয় প্রশাসন, দয়া করে আমাদের একটা জোরে লাথি মেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। কারণ এই তল্লাটে থাকার মতো অবস্থা আর রইল না। এবার সত্যই সেই বাপ-দাদাদের বলে যাওয়া কথাটাই সত্যি হচ্ছে। পেটে গামছা বেধে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতি বছর যে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিচ্ছে, সেখান থেকে নূন্যতম একটা অংশ ভর্তুকি হিসেবে দিলেও তো আজ এই দিন দেখতে হতো না। এটা কোনোদিনও একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। একটা নোটিশ নেই, পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে দাম বাড়ালো। এটা কোনোদিনও আমরা মেনে নেবো না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এভাবে না খেয়ে মরে যেতে পারি না। সবাই এভাবে চুপ থাকলে এটাই ফিক্সড হয়ে যাবে।’

মিলন শেখ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বাড়ে, কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাড়ে কিন্তু কখনোই বাড়েনা শিক্ষার্থীদের ইনকাম। শিক্ষার্থীদের তো কোন ইনকামই নেই তাহলে বাড়বে কেমনে? শিক্ষার্থীদের বাড়ে শুধু খরচ। এই খরচ শিক্ষার্থীরা কেমনে মিটাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে ভাবা উচিৎ। অতিদ্রুত হল ডাইনিংয়ের খাবার মূল্য কমিয়ে মানসম্মত খাবার দেয়ার জন্য ম্যানেজারদেরকে নির্দেশ দেয়া হোক।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘আলোচনা ছাড়া হুট করে কোন কিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা আরোপ করা একধরনের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন। গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের এ ধরনের বিরুপ আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই খাবারের দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে এবং অন্য ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা যেন রমযানে খাবার গ্রহণে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি হল প্রভোস্টদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্রে সেহরি খাওয়ার অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘হলের খাবারের দাম না বাড়ালে আগের মেনু দেয়া যাচ্ছিল না। মুরগি না দিয়ে শুধু ডিম-সবজি দেয়া হচ্ছিল। ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিল না। তাই আমরা রেগুলার খাবার ও সেহরিতে ১০টাকা বাড়িয়েছি। বাজারে সবকিছুর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দিবে। খাবারে সরাসরি ভর্তুকি দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে ব্যবসা করারও সুযোগ নেই। ডাইনিং ম্যানেজার যদি এই টাকার মধ্যে কিছু করতে না পারে কীভাবে হবে। তাকে খরচটাও তুলতে হবে। তাদের আমরা কোনো ব্যবসাও করতে দিই না। উল্টো তাদের লস হয় বলে তারা কান্নাকাটি করে।’

মানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মানের বিষয়ে আমরা বলে দিছি আগের চাইতে মানটা যেন বাড়ানো। খাবারের আইটেম যাতে বাড়ানো হয়, ঝোল যাতে পাতলা না থাকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে দামটা বাড়িয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দিষ্ট বাজেটে চলে। বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দিবে। এর বাইরে সরকার হলের ছেলেদের খাবারের জন্য বাড়তি টাকা দেবে? আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাবে আলোচনা করেছি। কেউ কোনো আপত্তি করেনি, শুধু বলেছে খাবারের মানটা যেন ঠিক থাকে। এখন সারাদেশে অর্থনৈতিক সংকট, সেই চাপটা আমাদের ওপর এসেও পড়েছে।’

আরও পড়ুন:
সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা জানা দরকার
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর জাহাজকর্মীদের হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ
পদত্যাগের পর চবিতে দুই হলে নতুন প্রভোস্ট
মাঝসমুদ্রে চবি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ১০
চবিতে ১৬ জনের পর আরও তিনজনের পদত্যাগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Canadian University of Bangladesh Summer Semester admission process has started

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু
স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে সামার ২০২৩ সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম।

স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-ই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিপিং এবং মেরিটাইম সাইন্স নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। শিপিং এন্ড মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য সমুদ্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, ভূ-ভাগ ও সাগরের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্রসম্পদ আহরণের উপায় ও সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে জানা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর সৈয়দ আখতার হোসেন। বিভাগে রয়েছে একঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক, রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম। বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ইনোভেশন ইনকিউবেশন এনবং রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা।

স্কুল অফ বিজনেসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক এবং সিইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা ড. রিদওয়ানুল হক। ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ জহুরুল হক। এমবিএ ও ইএমবিএ’র কোর্স পরিচালনা করেন মার্কেটিংয়ের কিংবদন্তী শিক্ষক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিভাগে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিন আশরাফসহ আরও অনেকে।

তাছাড়াও মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে পড়ার মাধ্যমে।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপরে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি থাকছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ–৫ রয়েছে, তারা টিউশন ফিতে শতভাগ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি তিন বা ততোধিক ছাত্র/ছাত্রী একসাথে ভর্তি হলে আরো ৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে ৪০% ছাড়। মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস-এ ভর্তিতে রয়েছে ২৫% ছাড়। তাছাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে এমবিএ (রেগুলার) প্রোগ্রামে ও ৬০ শতাংশ ছাড়ে ইএমবিএ (এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রামে।

ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে। উক্ত নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির অ্যাডমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণী, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার মানসিকতা ছাড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন আজ, থাকছেন রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি
ইংলিশ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সিইউবিতে ছাড়
সিইউবিতে ৩ দিনব্যাপী রোবোফেস্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shabirs 16 students banned from hall for ragging

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাবির ১৬ শিক্ষার্থী হলে নিষিদ্ধ

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাবির ১৬ শিক্ষার্থী হলে নিষিদ্ধ
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আরেক ছাত্রকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানান।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে পুরো শিক্ষা জীবনে তারা আর হলে থাকতে পারবে না।’

বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি উপাচার্য।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।’

অন্য এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গাড়িচালককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি সিনিয়ররা জুনিয়রদের র‌্যাগিং করার অভিযোগ ওঠে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেদিন অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তারা হলেন- আপন মিয়া, আল আমিন, পাপন মিয়া, রিয়াজ হোসেন ও আশিক হোসেন। তারা সবাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ওই ঘটনায় অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:
শাবি ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার
শাবিতে পরিসংখ্যান দিবস পালন
র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে শাবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
স্বপদে শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের মামলাও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Clash between two groups of Chhatra League in Nobi Prabi injured 6

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬ নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। কোলাজ: নিউজবাংলা
নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন ছাত্র আহত হয়েছেন।

ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতন, টং ও আবদুস সালাম হল এলাকায় বুধবার দুপুর ও রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ট্যুরিজম বিভাগের তামিরুল হাফিজ ও ফয়সল, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন এবং মাইনুল আহত হয়েছেন।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নুহাশ গ্রুপ ও নাঈম গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ান। এসময় মাইনুল নামে এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুহাশ গ্রুপের অনুসারীরা সালাম হলের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে। পুনরায় সেখানেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গিয়ে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে কল করা হলে তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে বৈঠক চলমান রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।

ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার সঙ্গে তারা কোনো পক্ষ জড়িত নন।

নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান পাঠান জানান, কয়েকজন ছাত্র আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্থানীয়-রাবি শিক্ষার্থী সংঘর্ষ: পুলিশের মামলায় অজ্ঞাত আসামি ৩০০
রেললাইনে রাবি শিক্ষার্থীদের আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ
স্থানীয়দের বিরুদ্ধে রাবির মামলা, অনশনে ৮ শিক্ষার্থী
লণ্ডভণ্ড বিনোদপুর, থমথমে রাবি ক্যাম্পাস
নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ: আহত ১১

মন্তব্য

p
উপরে