× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
A former additional secretary in medical admission fraud
google_news print-icon

মেডিক্যালে ভর্তি প্রতারণায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব

মেডিক্যালে-ভর্তি-প্রতারণায়-সাবেক-অতিরিক্ত-সচিব
নিতিশ চন্দ্র সরকার। ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এক শিক্ষার্থীকে বেসরকারি একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নাম করে ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন এই অতিরিক্ত সচিব। তবে এ পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে পেরেছেন সে তথ্য এখনও জানা যায়নি। মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেয়া ও টাকা লেনদেনের বিষয়ে এই অতিরিক্ত সচিব ও আনিসের কথোপকথনের একাধিক রেকর্ড পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির নামে প্রতারণায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সদ্য সাবেক এক অতিরিক্ত সচিবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম নিতিশ চন্দ্র সরকার। এস এম আনিস নামে এক দালালের মাধ্যমে তিনি মেডিক্যালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে উঠে এসেছে গোয়েন্দা তথ্যে।

সর্বশেষ এক শিক্ষার্থীকে বেসরকারি একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নাম করে ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন এই অতিরিক্ত সচিব। তবে এ পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে পেরেছেন সে তথ্য এখনও জানা যায়নি। মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেয়া ও টাকা লেনদেনের বিষয়ে এই অতিরিক্ত সচিব ও আনিসের কথোপকথনের একাধিক রেকর্ড পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

আনিসের সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা স্বীকার করলেও প্রতারণায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নিতিশ চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘টাকা নেয়ার তথ্যটি মিথ্যা।’ আনিসের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ও আমার কাছে আসতো।’ কী কাজে আসতে জিজ্ঞেস করা হলে কোনো উত্তর দেননি নিতিশ চন্দ্র।

মেডিক্যালে ভর্তি প্রতারণায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব
গ্রেপ্তার এস এম আনিস। ছবি: নিউজবাংলা

বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যালের অধ্যক্ষকে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সিট সংরক্ষণ করার আবেদন করতেন আনিস। আর এসব মেডিক্যাল কলেজের সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে বলে দিতেন নিতিশ। এই কাজটি করার জন্য আনিসের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন তিনি।

টাকা লেনদেন বিষয়ে জানতে চাইলে নিতিশ চন্দ্র বলেন, ‘ভর্তি কি হইছে? হয় নাই, তাইলে… এসব মিথ্যে কথা।’

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ জানিয়েছে, আনিস ও অতিরিক্ত সচিব ছাড়া আরও একজন এই চক্রে কাজ করেন। তার নাম জাহিদ; যিনি দীর্ঘদিন ধরে মেডিক্যালে ভর্তির নামে প্রতারণা করে আসছে। তিনি বর্তমানে লন্ডনে আছেন।

শুক্রবার রাজধানীর মণিপুরিপাড়া থেকে আনিসকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। তার হেফাজত থেকে ২০২৩ সালের চলমান এমবিবিএস পরীক্ষার অনেকগুলো অ্যাডমিট কার্ড, পূর্ববর্তী এমবিবিএস পরীক্ষার এডমিট কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের শতাধিক চেক, পুলিশ কনস্টেবল প্রার্থীর এডমিট কার্ড, বিভিন্ন লিখিত ও অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, একাধিক প্যাড, পাঁচটি ডিজিটাল এবং সনাতন স্ট্যাম্প, সিল এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আনিসের বরাত দিয়ে ডিবি কর্মকর্তারা জানান, এএসসি পাস করা আনিস এক সময় জুট মিলে কাজ করতেন। একসময় ফার্মগেট ও গ্রিনরোড এলাকায় ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জড়িয়ে যান মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্রতারণায়।

মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নামে প্রতারণার উদ্দেশে সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে একটি কনসালটেন্সি ফার্মও খুলে বসেন আনিস। আগে থেকে এই প্রতারণার কাজটি করে আসছিলেন জাহিদ। এই জাহিদের মাধ্যমে আনিসের সঙ্গে সদ্য সাবেক অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

আনিসের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থী সংগ্রহের কাজটি করতেন আনিস। আর বেসরকারি মেডিক্যালগুলোতে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মেডিক্যালে ফোন করে বলে দিতেন এসব মেডিক্যালের তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব।

অতিরিক্ত সচিব থাকা অবস্থায় অন্তত ৩০ বার বিভিন্ন কাজে আনিস মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন আনিস। আর মন্ত্রণালয়ে প্রবেশের জন্য আনিসকে পাসের ব্যবস্থাও করে দিতেন এই অতিরিক্ত সচিব।

মেডিক্যালে ভর্তি প্রতারণায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব
ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র ও কাগজপত্র

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আসলে আনিসের নেতৃত্বাধীন এই চক্রে একজন সদ্য অবসরে যাওয়া সরকারের একজন কর্মকর্তার নাম এসেছে। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় দালালি ও প্রতারণা বাণিজ্য করে আনিস ইতোমধ্যে দুইটি হোটেল এবং মনিপুরিপাড়ায় একটি বিলাসবহুল ফ্লাটের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।

তারা বলছেন, চলমান এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সক্ষমতা তার ছিল না কিন্তু এই পরীক্ষার নামে বিস্তর প্রতারণার জাল তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে বিস্তার করেছেন।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘এই প্রতারণার সঙ্গে আরো কারা জড়িত আছে, তা আমরা তদন্ত করছি। সম্পৃক্ততা পাওয়া সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
এবারও ছাত্রী বেশি মেডিক্যাল পরীক্ষায়
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী
মেডিক্যাল কলেজ আছে, ভবন নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Prothom Alo editor sought anticipatory bail in the High Court

হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক

হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ফাইল ছবি
জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার রোববার বলেন, ‘আগাম জামিন চেয়ে আবেদন ফাইল হয়েছে।’

রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার আবেদনটি করা হয়।

জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিউর রহমানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, ‘আগাম জামিন চেয়ে আবেদন ফাইল হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রতিবেদক ছাড়াও সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

ওই থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনসারকে এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ ধারায় আনা অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্নের পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।

প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।

প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের।

ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।

দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১ এপ্রিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

‘অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; একটি ফৌজদারি অপরাধ।’

এর আগে ৩০ মার্চ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদন রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jasmins death in custody Judicial inquiry demanded

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লেখক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘সরেজমিন অনুসন্ধানের জন্য রাজশাহীর বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি দল শুক্রবার নওগাঁয় যাই। এ সময় আমরা জানতে পারি, জেসমিনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার না করে সরাসরি তুলে নিয়ে যাওয়া অপহরণের শামিল। পরে সরকারি বাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত রহস্যময়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই এর পেছনের মূল কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে শনিবার দুপুরে ‘রাজশাহীর সচেতন নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেখক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘সরেজমিন অনুসন্ধানের জন্য রাজশাহীর বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি দল শুক্রবার নওগাঁয় যাই। এ সময় আমরা জানতে পারি, জেসমিনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার না করে সরাসরি তুলে নিয়ে যাওয়া অপহরণের শামিল। পরে সরকারি বাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত রহস্যময়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই এর পেছনের মূল কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

‘যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন ব্যক্তির এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার যে বর্ণনা ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। কেননা নিহত জেসমিনও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী ছিলেন। সুতরাং জেসমিন অপরাধ করে থাকলে খুব সহজেই বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া যেত। তা না করে র‌্যাবকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য রাজশাহীর বিশিষ্টজনরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেসমিনের নিহত হবার ঘটনার যথাযথ কারণ অনুসন্ধান এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, জেসমিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অনুসন্ধানকারী দলের ধারণা জন্মেছে যে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রেক্ষাপট

গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয় বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রাজশাহী মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিন মারা যান বলে র‌্যাব দাবি করে, তবে স্বজনদের অভিযোগ, র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ যাবতীয় তথ্য হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। প্রথমে রিপোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আসে, পরে তা হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জেসমিনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
ছেলেকে দেখতে এসে গ্রেপ্তার ফাঁসির আসামি
নদীপথে আসছে হেরোইন, বাহক নারীরা
পাহাড় থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন দুই জঙ্গির: র‍্যাব
কক্সবাজারে অভিযানে ‘জামাতুল আনসারের সামরিকপ্রধান’ গ্রেপ্তার
২০২২ সাল: বন্দুকযুদ্ধে ৪, হেফাজতে ১৫ মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hero Alam in the intelligence office

গোয়েন্দা কার্যালয়ে হিরো আলম

গোয়েন্দা কার্যালয়ে হিরো আলম শনিবার ডিবি কার্যালয়ে গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম। ছবি: নিউজবাংলা
হিরো আলম বলেন, ‘ডিবিতে আামাকে ডাকা হয়নি। চলচ্চিত্রের কিছু লোক আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় নানা কথা বলছেন। কিছু পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা ছড়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাব খানকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশকে চাইলে তথ্য দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ব্যক্তিগত সমস্যার অভিযোগ নিয়ে গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

দুবাইতে পলাতক পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাব খান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। আরাব ইস্যুতে কোনো তথ্য বা সহযোগিতা লাগলে আমি করব। আরাবের বিষয়টি যেহেতু তারা তদন্ত করছে। যেকোনো প্রয়োজনে তথ্য লাগলে আমি তাদের দেব। আজও এ বিষয়ে অল্প কিছু কথাবার্তা হয়েছে।’

আরাব পুলিশ হত্যা মামলার আসামি- এ বিষয়টি তিনি জানতেন না উল্লেখ করে উল্লেখ করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে ডিবি থেকে আগে কিছু জানানো হয়নি। আমি আরাবের দাওয়াতেই দুবাই গিয়েছিলাম। তদন্তের স্বার্থে আরাবের বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে আমি সহযোগিতা করব। আরাব যদি আসামি হয়ে থাকে তাহলে তাকে ধরতে সহযোগিতা করা নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব। তাই তদন্তের প্রয়োজনে ডাকলে আমি আসব।’

যে কারণে ডিবিতে হিরো আলম

ডিবি পুলিশ হিরো আলমকে ডাকেনি। একটি অভিযোগ নিয়ে ডিবি প্রধানের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

হিরো আলম বলেন, ‘ডিবিতে আামাকে ডাকা হয়নি। আপনারা দেখছেন চলচ্চিত্রের কিছু লোকজন আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় নানা ধরনের কথা বলছেন। আগে আমাকে কেউ বকা দিলেও প্রতিবাদ করতাম না। কিন্তু চলচ্চিত্রের কিছু পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা ছড়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছি।

‘এছাড়া আমার ফেসবুক ও ইউটিউবের কিছু কন্টেন্ট কিছু ব্যক্তি নিজের কন্টেন্ট বলে লাইসেন্স করে নিয়েছে। তারা এখন আমার চ্যানেলে স্ট্রাইক ও রিপোর্ট করছে। সব মিলিয়ে আমি নিজেই এসেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছি। এতে যারা আমাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেছেন তাদের নাম রয়েছে। এছাড়া আমার কন্টেন্ট নিয়ে যারা রিপোর্ট করেছেন তাদের নামও আছে।’

তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কারও নাম উল্লেখ করতে চাননি।

গোয়েন্দা প্রধানের প্রশংসা করে হিরো আলম বলেন, ‘হারুন স্যার অনেক ভালো মানুষ। আমার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তিনি আমাকে সমস্যা সামাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে তিনি আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’

আরও পড়ুন:
চান্দু স্টেডিয়ামে এখন হাট-জুয়া-মেলা বসবে: হিরো আলম
ভোটের অভিযোগ নিয়ে হিরো আলম এবার সুজন-এ
হিরো আলমের উপহারের গাড়ির ফিটনেস-ট্যাক্সে বাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা
উপহারের গাড়ি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য দান করলেন হিরো আলম
উপহারের গাড়ি নিতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন হিরো আলম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BSP editors forum and Dhaka bar protest against the report that criticizes independence

স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সম্পাদক প্রকাশক আইনজীবীদের

স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সম্পাদক প্রকাশক আইনজীবীদের

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোয় যেভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি), বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম ও ঢাকা বার এসোসিয়েশন।

সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে শনিবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

তিন শতাধিক পত্রিকার প্রকাশকদের সংগঠন বিএসপি’র সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ‘২৬ মার্চ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত ও প্রচারিত দেশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ভুয়া, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ।

‘এই প্রতিবেদন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং নৈতিকতার পরিপন্থী। আশা করি এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’

সম্পাদক ফোরামের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোয় যেভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

একইসঙ্গে রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট মামলায় দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান (মামুন) ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা বিরোধী সংবাদ প্রকাশ করায় সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The famous Bajlu of Chanpara has died

চনপাড়ার সেই আলোচিত বজলু মেম্বারের মৃত্যু

চনপাড়ার সেই আলোচিত বজলু মেম্বারের মৃত্যু র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে তিনি কারাগারে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

র‍্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বজলুরের বাড়ি বরিশালে। তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, বজুলর মরহেদ মর্গে রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে কারাগারে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বজুলকে পাঠানো হলে তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি মারা গেছেন।

র‍্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় র‍্যাব-১ অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন জানান, চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট ছিলেন বজলু। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং যৌন ব্যবসা পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আদালত বজলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে বজলু নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বজলুর রহমানের মেঝ মেয়ে রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা বজলুর রহমান কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শেখ নাসের নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘আমাদের নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে। আমার দাদার নাম নাদের বক্স সরদার।’

আরও পড়ুন:
জেসমিনের মাথায় আঘাতের তথ্য নেই, মৃত্যুতে কারও দায় থাকলে ব্যবস্থা: র‌্যাব
জেসমিনের মৃত্যু রক্তক্ষরণে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাইকোর্টে
বাড়ি ফিরেছেন সৈকত
র‌্যাব হেফাজতে মায়ের মৃত্যুর পর এবার ছেলে নিখোঁজ
পিস্তলসহ কুখ্যাত ফেন্সি মাসুদ আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrest of accused under arrest warrant in 21 cases

২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার মনির ডাকাত ২১ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে। শুক্রবার ডাকাত মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

কুমিল্লা বরুড়া উপজেলায় ২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে বন্দুক ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের ভঙ্গুয়া ব্রিজের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩৮ বছর বয়সী গ্রেপ্তার মো: মনির হোসেন ওরফে মনির ডাকাত উপজেলার ঝলম মোল্লাবাড়ীর বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের সময় মনিরের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান ও ২টি গুলি জব্দ করা হয়।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার মনির ডাকাত ২১ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে। শুক্রবার ডাকাত মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

ডাকাত মনিরকে গ্রেপ্তারের পর পুরো বরুড়া উপজেলায় স্বস্তি নেমে আসে।

ঝলম এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, ‘এমন কোনো অপরাধ নেই যা মনির করতো না। সকালে ডাকাত মনির গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষ যেন ঈদের আগে ঈদের আনন্দ পেয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সাবেক সেনা সদস্যকে হত্যায় আরেক সাবেক সেনা সদস্য গ্রেপ্তার
অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শ্যালকসহ ভুয়া আইনজীবী গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
ইউটিউব থেকে শিখে মোটরসাইকেল চুরির পেশায় ঢাবি শিক্ষার্থী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Journalist Shamsuzzaman was taken from Keraniganj to Kashimpur

কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে নেয়া হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে

কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে নেয়া হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আদালতে সাংবাদিক শামসুজ্জামান। ফাইল ছবি
রমনা থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর এক দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুরে নেয়া হয়।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দি প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে।

রমনা থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর এক দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুরে নেয়া হলো।

মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

রমনা থানায় মামলা

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নামে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের এক আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বাইরে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানায় মামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে (শামসুজ্জামান) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’

মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’

যুবলীগের এ নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’

মন্তব্য

p
উপরে