× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Sitakunda blast Accused at large
google_news print-icon

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্তরা

সীতাকুণ্ডে-বিস্ফোরণ-ধরাছোঁয়ার-বাইরে-অভিযুক্তরা
বিস্ফোরণে উড়ে গেছে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের স্থাপনা। ফাইল ছবি
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি-তদন্ত আবু সাইদ বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত আবদুল কাদিরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে আসামিরা গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য। তাছাড়া মামলার তদন্ত কার্যক্রমও চলছে এখনো।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন। এখনো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন। অবশ্য প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে দাবি স্থানীয়দের। কারণ আহত অনেকেই চমেক হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ব্যক্তিগতভাবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কানে কম শুনছেন কদমরসুল এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক।

এই ঘটনায় মামলা হয় দুইদিন পর। মামলার পর আরও তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ১৬ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক বললেও প্রকাশ্যেই ঘুরছেন আসামিরা। এমনকি বুধবার জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির ডাকে হাজিরও হয়েছিলেন আসামিদের অনেকেই। ঘটনার পাঁচদিন পরও অভিযুক্তরা আইনের আওতায় না আসায় বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি-তদন্ত আবু সাইদ বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত আবদুল কাদিরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে আসামিরা গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য। তাছাড়া মামলার তদন্ত কার্যক্রমও চলছে এখনো।’

বিস্ফোরণের পরদিন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগীদের কেউ মামলা না করলে পুলিশ দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। এরপর ৬ মার্চ মধ্যরাতে বিস্ফোরণে নিহত আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগমের দেয়া এজহারে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ।

মামলায় কারখানা মালিক তিন ভাই মো. মামুন উদ্দিন, পারভেজ হোসেন সন্টু এবং মো. আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি ছাড়াও কারখানার ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এজহারনামীয় আসামি করা হয়। মালিকপক্ষের তিন ভাইয়ের মধ্যে মামুন উদ্দিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাকি দুজন পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ম্যানেজার আব্দুল আলীম, অপারেটর ইনচার্জ শামসুজ্জামান শিকদার, অপারেটর খুরশিদ আলম, অপারেটর সেলিম জাহান, নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, অফিসার সামিউল আোম এবং শান্তনু রায়, সুপারভাইজার ইদ্রীস আলী, সানাউল্লাহ, সিরাজ উদ-দৌলা, রাকিবুল এবং রাজিব। এ ছাড়াও দায়িত্বে অবহেলাকারী সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অজ্ঞাত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করা হয়েছে মামলায়।

আড়াই ঘণ্টা আগেই বেরিয়ে যান অপারেটর ইনচার্জ:

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে অপারেটরদের ইনচার্জ শামসুজ্জামান শিকদার। তবে ঘটনার দিন মেয়ের বিয়ের জন্য বিস্ফোরণের আড়াই ঘণ্টা আগেই কারখানা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে না থাকলেও আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলামই না, তাহলে আমার দায়িত্বে অবহেলা হয় কীভাবে? ওইদিন ২টার দিকে আমার মেয়ের বিয়ের জন্য ম্যানেজারকে বলে বেরিয়ে গিয়েছিলাম আমি। অপারেটিংয়ে ছিলেন প্রবেশ লাল শর্মা, (বিস্ফোরণে নিহত) এরপর কীভাবে কী হয়েছে জানিনা।’

তবে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের একাধিক কর্মকর্তার দাবি অক্সিজেন প্ল্যান্ট অপারেশনে ত্রিশ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা শামসুজ্জামানের। তিনিই কলম, কম্প্রেশার, সেপারেশন সবকিছু রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। তারই অধীনে অপারেটররা অপারেটিং করতেন। তিনি উপস্থিত থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি তাদের।

সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের অপারেটর খুরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা শামসুজ্জামান শিকদারের অধীনে কাজ করতাম। উনিই আমাদের ইনচার্জ। ঘটনার সময় উনি ছিলেন না, ওনি দুপুরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মেয়ের বিয়ের কথা বলে। উনি থাকলে এই ঘটনা নাও ঘটতে পারত।’

অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকেও আসামি করার অভিযোগ:

বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলার ৭ নম্বর আসামি সেলিম জাহান। মামলার এজহারে তাকে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অপারেটর হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তিনি মূলত সীমা গ্রুপের আরেকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘অক্সিকো লিমিটিড’ কারখানার অপারেটর।

তিনি বলেন, ‘আমি সীমায় কাজ করতাম না। আমি অক্সিকোর লোক। তবে একই গ্রুপের মালিকের হওয়ায় বিভিন্ন সময় সীমায় যেতাম, কিন্তু বিস্ফোরণের অন্তত তিনদিন আগ পর্যন্ত আমি সীমায় যাইনি।’

বর্তমানে অক্সিকো লিমিটেড বন্ধ থাকলেও তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান।

তবে মামলার বাদি রোকেয়া বেগমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সিকো কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে। অক্সিকোর কর্মীদের সীমায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই সেও অক্সিকোতে ছিল, এজন্য তাকে আসামি করা হয়েছে।’

কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ছিলেন নিহত কাদের:

অর্থাভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের কারখানা থেকে ছাঁটাই করায় আব্দুল কাদের আগেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছিলেন বলে এজহারে উল্লেখ করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এজহারে তিনি লিখেন, ‘১০ থেকে ১৫ দিন পূর্বে কথা বলার সময় বলেছিল যে কারখানা থেকে অর্থের অভাবে মালিকপক্ষ অনেক অভিজ্ঞ ও দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। বর্তমানে যারা কাজ করছে তারা প্রায়ই অনভিজ্ঞ এবং অদক্ষ। আল্লাহই জানেন কখন যে কি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। একথা শুনে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। এর কয়েকদিন না যেতেই ৪ মার্চ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’

প্ল্যান্টে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘ঘটনার পর তার স্বামীর কর্মস্থলের কেউ তাদের নূন্যতম খোঁজখবর নেননি, কোনো সহায়তাও করেননি।’

তার অভিযোগ, যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিপজ্জনকভাবে গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ, নিয়মিত পরীক্ষাপূর্বক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা না রাখা এবং তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার মতো প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে মালিকপক্ষ:

শুক্রবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল জানান, শুরুতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল মালিক পক্ষ। পরে মালিকপক্ষ ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আসেন।

সেখানে তাদের জানানো হয়েছে অন্তত বিএম কন্টেইনার ডিপুর মত নিহতদের যেন ১০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়। যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের ৫ লাখ ও যারা সাধারণ আহত হয়েছে তাদের ২ লাখ টাকা করে দিতে হবে। মালিকপক্ষ এতে সম্মত হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলেই নতুন নির্ধারিত অংকের চেক সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে মালিকপক্ষ।

তিনি বলেন, ‘এখানে একটা বিষয় হচ্ছে নিহতদের ১০ লাখ টাকাটা তারা দুই ভাগে দিচ্ছে। কারণ নিহত শ্রমিকদের শ্রম আউন অনুযায়ী ২ লাখ টাকা দিতে হবে। তাই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই দুই লাখ টাকা করে দিয়ে আমাদের ৮ লাখ টাকা করে চেক দিয়েছেন। তাছাড়া বাকীদের চেকও হস্তান্তর করা হয়েছে। চেকগুলো ইতোমধ্যে অনেকেই সংগ্রহ করেছেন, যারা করেননি সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন, ওনার কাছে জমা আছে।’

এর আগে বুধবার নিহতদের ২ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি পাঠায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ইফতেখার উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
গুলিস্তানের বিস্ফোরণে আহত ১৫ জন এখনও ঢামেকে
ক্যাফে কুইন টাওয়ারে আর মরদেহ নেই: ফায়ার সার্ভিস
নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ মার্চ
গুলিস্তানের ভবন থেকে নিখোঁজ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনে চলছে উদ্ধার অভিযান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladeshi tourist arrested for posting anti India posts visa canceled

ভারতবিরোধী পোস্ট দেয়ায় বাংলাদেশি পর্যটক আটক, ভিসা বাতিল

ভারতবিরোধী পোস্ট দেয়ায় বাংলাদেশি পর্যটক আটক, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবক আলমগীর শেখ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আগ্রায় তাজমহলে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবক আলমগীর শেখ ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’

ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ও লাইভে এসে ভারতবিরোধী কথা বলায় আলমগীর শেখ নামে এক যুবককে আটক করে ভিসা বাতিল করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: ইউএনবি

আলমগীর শেখ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান আলমগীর। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। বিষয়টি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নজরে এলে তারা আলমগীরকে চিহ্নিত করেন।

চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর ভিসা বাতিল করে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রায় তাজমহলে ঘুরতে গিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’

এছাড়াও লাইভে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্তসহ চারজন সীমান্তে আটক
ভারতে পালানোর সময় আটক সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী
নেত্রকোণার সাবেক পৌর মেয়র বিমানবন্দরে আটক
পালানোর সময় সিলেট সীমান্তে ভাইসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh is getting 200 acres of land back from India
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে সিদ্ধান্ত

ভারত থেকে ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারত থেকে ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ রোববার বাংলাদেশের দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘১০ ফেব্রুয়ারি সার্ভেতে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর জমি ও ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে। আগামী মাসে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতীয় সীমান্তে বিলীন হওয়া প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জমির মালিকরা।

রোববার অনুষ্ঠিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য বৈঠকে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনায় পুনরায় জরিপ করে মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে বিবাদমান জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বিবাদমান জমিগুলো ভারত সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশপাড়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সীমানা এলোমেলো হয়ে গেছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়।

বিএসএফের আহ্বানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রোববার দুপুরে। এতে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও মাদক পাচার রোধে বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি সার্ভেতে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর জমি ও ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে। এটা আগামী অক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূলত সীমান্তের বিবাদমান অংশটি নদী এলাকায়। পদ্মার ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই দেশের সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা ছিল। দুই দেশের প্রচেষ্টায় তা সমাধানে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে জমি বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না।’

সীমান্তে বিএসএফকে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান মাহবুব মুর্শেদ।

তিনি বলেন, ‘নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে আটক না করা, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশে পাচার হতে না পারে এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ যাতে অবৈধভাবে দুই দেশের সীমান্তের পূজামণ্ডপে যাওয়া-আসা করতে না পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
সীমান্তে অপরাধ দমনে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The collapse of the Yamuna embankment caused 70 meters of the river to sink

যমুনার তীররক্ষা বাঁধে ধস, নদীগর্ভে বিলীন ৭০ মিটার

যমুনার তীররক্ষা বাঁধে ধস, নদীগর্ভে বিলীন ৭০ মিটার সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকার পরও প্রবল স্রোত তৈরি হয়ে বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‌ইতোমধ্যে বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে ধসে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। ইতোমধ্যে ভাঙন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার মেঘাই পুরাতন তীররক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন।

এর আগে, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে উপজেলার মেঘাই পুরাতন বাঁধ এলাকায় ভাঙন শুরু দেখা দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

মেঘাই ঘাট এলাকার শামীমুর রহমান বলেন, নদীর প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধের বোল্ডারগুলো খসে পড়তে শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ এমন ভাঙন দেখা দেয়ায় অনেক মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। তারা দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক কুরমান আলী বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে ফসলি জমিও ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনের সময় শুধু জিও ব্যাগ ফেলে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এটা অব্যাহত থাকলে এলাকার অনেকেই বাড়ি-ঘরসহ ভিটেহারা হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকার পরও প্রবল স্রোত তৈরি হয়ে বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‌ইতোমধ্যে বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে ধসে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। ইতোমধ্যে ভাঙন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ভাঙন মেরামতের কাজে অংশ নেন। একই সঙ্গে কাজটি সেনা সদস্যরা তদারকি করছেন। আশা করছি সেখানে আর ভাঙার আশঙ্কা নেই। তবে শুষ্ক মৌসুমে ধসে যাওয়া অংশ পুরোপুরি মেরামত করা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Minister Abdus Shahids unoccupied forest land of Lauachhara

সাবেক মন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলমুক্ত লাউয়াছড়ার বনভূমি

সাবেক মন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলমুক্ত লাউয়াছড়ার বনভূমি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলে থাকা বনভূমি মুক্ত করে সেখানে গাছ রোপণ করে বনবিভাগ। ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়ার পাঁচ একরের বেশি জায়গা দখল করে রেখেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। ২০১৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও জবরদখল থেকে বনের ওই জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয় বন বিভাগ।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের দখলে থাকা পাঁচ একরের বেশি জায়গা উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩১ জন শ্রমিক নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের স্টুডেন্ট ডরমিটরির সামনে লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বনবিভাগ জানায়, জায়গাটি দখল করে রেখেছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। ২০১৮ সাল থেকে বন বিভাগ বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও আব্দুস শহীদের দখল থেকে বনের ওই জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‌ ‘আমরা জায়গাটি উদ্ধার করেছি। এখানে পাঁচ একরের বেশি জায়গা বেদখল হয়ে ছিল। সেখানে কিছু জায়গায় লেবু গাছ আর কিছু জায়গা ফাঁকা পড়ে ছিলো। আমরা সেই জায়গাগুলোতে বন্যপ্রাণীর উপযোগী গাছের চারা লাগিয়েছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arsa RSO shelling in Ukhiya camp killed two Rohingya

উখিয়ায় ক্যাম্পে আরসা-আরএসও গোলাগুলি, দুই রোহিঙ্গা নিহত

উখিয়ায় ক্যাম্পে আরসা-আরএসও গোলাগুলি, দুই রোহিঙ্গা নিহত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন জানান, সোমবার ভোরে উখিয়ার জামতলী লাল পাহাড় ক্যাম্পে আরসা ও আরএসওর দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়৷ পাল্টা-পাল্টি গোলাগুলি চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থল তল্লাশির সময় দুই রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া যায়।

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

সোমবার ভোরে উখিয়ার জামতলী ও কুতুপালং লাল পাহাড়ে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।

নিহতদের একজন হলেন উখিয়ার ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল বশর। অপরজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ওসি শামীম হোসেন জানান, সোমবার ভোরে উখিয়ার জামতলী লাল পাহাড় ক্যাম্পে আরসা ও আরএসওর দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়৷ পাল্টা-পাল্টি গোলাগুলি চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থল তল্লাশির সময় দুই রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
‘পথে পথে ফাঁকা স্থানে রক্তের দাগ দেখেছি’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে আরসার ২ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
আরও ৮ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রোহিঙ্গারা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Millions of people take part in processions to celebrate the holy Eid in Miladunnabi in Chittagong

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ সোমবার চট্টগ্রাম নগরীতে বের হওয়া জননে জুলুসে ভক্ত-অনুরাগীর ঢল। ছবি: নিউজবাংলা
জশনে জুলুসের আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুস চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুসে এত বিশাল জমায়েত আর কোথাও হয় না।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।

সোমবার সকাল ১০টায় ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে জুলুস শুরু হয়।

এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ।

জুলুস বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, লর্ডস ইন হোটেল থেকে ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর বামে মোড় নিয়ে বিবির হাট থেকে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ফিরে আসবে। এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এছাড়া নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, হামজারবাগ, শুলকবহর, মির্জারপুল রোডের মুখ, বায়েজিদ বোস্তামী রোডের মুখ (শেরশাহ মোড়), বেবি সুপার মার্কেট, প্রবর্তক মোড়ের মুখ, জাকির হোসেন রোডের মুখ, গোলপাহাড় রোডের মুখ ও পুনাক মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন করা হয়েছে।

এর আগে ফজরের নামাজের পর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, জিপে করে আলমগীর খানকাহতে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। অনেকেই দীর্ঘপথ হেঁটে জুলুসে অংশ নিতে ছুটে এসেছেন। সমস্বরে ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধরাও। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেই সুন্নিয়া মাদরাসা, বিবিরহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট এলাকা হয়ে পড়ে লোকে লোকারণ্য।

এদিকে জুলুস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম। নগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তোরণ। সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। সড়কের দুপাশে বিশেষ পতাকাও রয়েছে। বসেছে খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রীর অস্থায়ী দোকান।

বিভিন্ন মোড়ে স্বেচ্ছাসেবীরা বিতরণ করছেন শরবত। জুলুসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

জশনে জুলুস মিডিয়া কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) তিনশ’ প্রশিক্ষিত সদস্য এবার জুলুসের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে গাউসিয়া কমিটির কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।

জশনে জুলুসের আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুস চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুসে এত বিশাল জমায়েত আর কোথাও হয় না।

আরও পড়ুন:
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League people are provoking Hindus Jamaat Secretary

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি সোমবার মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: নিউজবাংলা
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি। একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুডিশিয়াল ক্যু করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরানোর ষড়যন্ত্র থেকে ছাত্র-জনতা রক্ষা করেছে। ফ্যাসিবাদের বিদেশি বন্ধুরা প্রতি-বিপ্লবের ইন্ধন দিচ্ছে।’

সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নানা দাবি তোলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, ১৫ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন? দেশের মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। হিন্দু ভাইদের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা।’

নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার করে অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তা না খুব শর্ট না খুব লং। ফ্যাসিবাদের পেতাত্মারা অনেক ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে। তাই একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে। রাতের ভোট দিনে আর হতে দেবে না বাংলাদেশের মানুষ।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তাদের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। স্বৈরশাসক থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। কিন্তু শহীদদের পরিবারগুলো ঘরের কোণায় কান্নায় জর্জরিত ছিলো।

‘অনেকে আহত হয়েছে। কে হাত-কেউ কেউ চোখ হারিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের ঘোষণা যেন মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ না থাকে। শহীদের কাছে আমরা ঋণী। সেই ঋণ আমাদেরকে শোধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে জামায়াতের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আ. জ. ম রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল আলম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল জব্বার ও ইসলামী ছাত্রশিবির মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে ঘৃণা-বিভাজনের রাজনীতি কবর দিন: জামায়াত আমির
জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
দাবি-দাওয়া নিয়ে এতদিন কেন কথা বলেননি: জামায়াতের আমির
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
জনগণ আর কোনো জালিম সরকার দেখতে চায় না: শফিকুর রহমান

মন্তব্য

p
উপরে