সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়।
এতে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে। শুক্রবার সর্বনিম্ন ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়েন। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে- আমরা এরকম একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।’
ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন- এগুলো চিন্তা করেননি এবং এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।’
নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও, বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এক সপ্তাহ ধরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ-তে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা থাকায় বিশেষজ্ঞরা এমন আশঙ্কা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা দাহ্য জাতীয় খনিজ পদার্থ। এগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে ২৩ জন নাবিক-ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করার এক সপ্তাহ হতে চললেও জলদস্যুদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। এ অবস্থায় জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের আলোচনায়ও কোনো অগ্রগতি নেই। এর মধ্যে সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করে রাখা এমভি আব্দুল্লাহ’র অবস্থান বার বার পরিবর্তন করছে জলদস্যুরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জাহাজের খোলের ভেতরে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড ও অক্সিজেনের পরিমাপ নিতে হয়। নির্ধারিত মাত্রার বেশি গ্যাস জমে থাকলে তা বের করে দিতে হয়।
তারা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে।
এ বিষয়ে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিথেন খুবই দাহ্য একটি গ্যাস। যেকোনো সময় এতে আগুন ধরতে পারে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে ডেকে সিগারেটও খেতে দেই না। কারণ সামান্য সিগারেটের আগুন থেকে সেখানে বড় বিস্ফোরণ হতে পারে।
‘প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। এটি বিস্ফোরণের মাত্রার উপরে উঠে গেলে ফোর্স মেইনটেইন করতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে হয়। এটা ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া।’
মেরিটাইম খাতে কয়লাবাহী জাহাজ ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের জাহাজ তদারকির জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘জাহাজে যেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পারসন আছে, সুতরাং জলদস্যুরা সবসময় এই করণীয়টুকু করবে। আমরা মনে করছি স্বার্থরক্ষা, জাহাজ ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার স্বার্থে নাবিকদের সহযোগিতা করবে জলদস্যুরা।’
এর আগে সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিল একই মালিকের এমভি জাহানমণি নামের একটি জাহাজ। মো. ইদ্রিস নামে ওই জাহাজের এক নাবিক জানিয়েছেন, তাদের যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন কোনো কাজ করতে দেয়া হয়নি। এর ফলে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে, সার্বক্ষণিক তদারকির অভাবে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কয়লায় বিম্ফোরণ ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
আরও পড়ুন:রমজানে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ না করে পার্টি করে নিজেরাই খাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা রমজানে ইফতার পার্টি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকে আমরা যেমন ইফতার পার্টি বন্ধ করেছি, না ইফতার পার্টি করব না, আমরা এই খাবার সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলাব। আজকে অনেক জায়গায় বিলাচ্ছেন সবাই।
‘সারা বাংলাদেশের যে চিত্র, অনেক জায়গায় আমি দেখতে পাচ্ছি যে, একমাত্র আওয়ামী লীগ অথবা আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই এবং আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আজকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন।’
ওই সময় বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর আমরা যখন ইফতার বিলি করি, তখন দেখি কী? আওয়ামী লীগ দেয়; দিতে জানে। আর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আর যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না, মানুষ খুন করবে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে, গাড়িতে, রেলে আগুন দেয়; মানুষকে পুড়িয়ে মারে। সেই মা, সন্তানসহ পুড়িয়ে মারে।
‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’
মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের অপরাধ কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা খেয়েদেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ?
‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কী অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “একসময় দেশের মানুষ ‘ভাতের ভ্যান’ ভাতের মাড় খেত। লবণ দিয়ে ভাতের মাড় খেতেও মানুষকে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে ভাতের কষ্ট মানুষের নাই।”
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় তার এক সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আদালতে পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের কক্ষে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়। সেখানে সংবাদকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
আদালতে দুজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক ছিল।
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ হোসেন রিমান্ডের আদেশের তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, দুজনকে গ্রেপ্তারের পর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ডিএমপির কাছ থেকে দুজনকে রোববার রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। সোমবার তাদের আদালতে নেয় হয়।
আদালত সহকারী প্রক্টরকে এক দিনের এবং আম্মানকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।
গত শুক্রবার রাতে জবি ছাত্রী অবন্তিকাকে মৃত বলে জানান কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জোবায়ের।
মৃত্যুর আগে জবির এ ছাত্রী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যাতে তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন বলে জানান। আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান ও জাবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন এ শিক্ষার্থী।
অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে পুলিশ আটক করার কথা শনিবার রাতে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
জবির এ ছাত্রী কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকার প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
কুমিল্লায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বেলা তিনটার দিকে অবন্তিকার প্রথম জানাজা ও বেলা পৌনে চারটার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ মার্চ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।
প্রাণ হারানো ওই চারজনের মধ্যে ৩২ বছর বয়সী জহিরুল ইসলামের দেহের ৫৮ শতাংশ, ৪৮ বছরের মোতালেবের ৯৫ শতাংশ, ছয় বছরের শিশু মোহাম্মদ সোলায়মানের ৮০ শতাংশ এবং ১৩ বছরের রাব্বির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
চারজনের মধ্যে জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামের আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার ঈদুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মোহাম্মদ সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভালকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তারতারিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, সোলায়মান, ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১০ জন মারা গেলেন।
‘চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২২ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।
তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।
ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন:দেশের দুটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাজশাহী, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু্ই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অঞ্চল ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ঢাকায় সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ৯ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকায় মঙ্গলবার সূর্যোদয় হবে ভোর ছয়টা চার মিনিটে।
আরও পড়ুন:ঈদের আগে রেলের ভাড়া বাড়বে না। এমনকি নিকট ভবিষ্যতেও রেলের ভাড়া বাড়ানো কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম রোববার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন।
ঈদের আগে ১ এপ্রিল থেকে রেলওয়ের ভাড়া বাড়ছে- সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হলেও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘ট্রেনে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়ার হার সমন্বয় করা হবে। দীর্ঘদিন রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। জ্বালানিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির ফলে রেলের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন যে ছাড় দেয়া হচ্ছে, তা আর না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মহাপরিচালকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘তিনি (সরদার শাহাদাত আলী) কি সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক? আমি বলছি, এখন ভাড়া বাড়বে না।
‘কখনও বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে জানান দিয়ে তারপর আমরা চিন্তা করব। এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য