চলতি মাসের শুরুতে হওয়া ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তুরস্ক। এরমধ্যেই সোমবার দেশটির মালত্য প্রদেশে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে আগে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা।
সংস্থাটি জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মালাতিয়া প্রদেশের যেসিলযুর্ট জেলায়। সিরিয়া সীমান্তবর্তী এই এলাকাটিতে গত ছয় ফেব্রুয়ারিও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সিরিয়া ও তুরস্ক মিলে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এফএডি টুইটারে জানিয়েছে, তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
স্থানীয় মেয়র মেহমেত সিনার জানিয়েছেন, ধ্বংস্তূপের ভেতর কেউ জীবিত আছেন কি না তা দেখতে উদ্ধারকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি হ্যাবারতুর্ক টেলিভিশনকে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পরিণতি কী হতে চলেছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি এ অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সামরিকভাবে এ যুদ্ধে জয় পাচ্ছে না রাশিয়া। এমনটা (জয়) হচ্ছে না।’
র্যামস্টেইন গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপের সদস্যভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের সমাপনীতে জেনারেল মিলি সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের সরকার উৎখাতসহ রাশিয়ার প্রকৃত কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো সামরিকভাবে অর্জন করা সম্ভব নয়।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া, যাকে বিশেষ সামরিক অভিযান আখ্যা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধের ইঙ্গিত দেয়নি কোনো পক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ভাষ্য, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে লাখো রুশ সেনা রয়েছে, যে কারণে নিকট ভবিষ্যতে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনর্দখল করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো যুদ্ধ অব্যাহত থাকছে, এটি রক্তক্ষয়ী হতে যাচ্ছে, এটি কঠিন হতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ইউক্রেন থেকে বেলগরদ অঞ্চলের সীমান্তে দিয়ে প্রবেশ করা ৭০ জনের বেশি হামলাকারীকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়া।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার ইউক্রেন থেকে আসা হামলাকারীদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার মতো লড়াই হয়। সে লড়াই শেষে পিছু হটেন হামলাকারীরা।
রাশিয়ার ভাষ্য, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সীমান্ত হামলায় জড়িত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সেনাদের নির্মূলে বিমান ও কামান হামলা চালানো হয়।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ের সময় কামান ও গোলার আঘাতে রাশিয়ার ১৩ নাগরিক আহত হন। উদ্ধারের সময় এক নারীর মৃত্যু হয়। এর বাইরে কোজিঙ্কা গ্রামে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, লড়াইয়ের সময় সীমান্তবর্তী ৯টি গ্রাম খালি করা হয়।
বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বা রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সর্বমোট ৭০ জনের বেশি জঙ্গি, চারটি সাঁজোয়া যান ও পাঁচটি পিকআপকে নাশ করা হয়েছে। আজ বেলগরদ অঞ্চলে (সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান) বাতিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের নাশকতা ও তথ্য নিতে আসা গ্রুপ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানান, স্থানীয় সেনা, বিমান হামলা ও কামানের মাধ্যমে শত্রুদের বিনাশ করা হয়েছে। বাদবাকি সেনাদের ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের ওপর গোলাবর্ষণ করা হবে।
রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে হামলার দায় স্বীকার করেছে পুতিনবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজন ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কোর (আরভিসি), তবে এ হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগসাজশ নেই বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধের বারুদ এবার ছড়াল রাশিয়ার অভ্যন্তরে। রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা বেলগোরদ কেঁপে উঠছে একের পর এক বিস্ফোরণে। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন থেকে একটি সশস্ত্র দল সোমবার সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ে। রাশিয়ার সেনারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এখনও অঞ্চলটিতে সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিজেদের ভূমিতে তারা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বেলগোরদে হামলাকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। রাশিয়ার দুটি আধাসামরিক বাহিনী সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে।
অঞ্চলটির গভর্নর ভিচেস্লাভ গ্লাদকোভ মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান, অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, তবে কেউ নিহত হননি। রাতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলোর মধ্যে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির একটি ভবন রয়েছে।
গভর্নর আরও জানান, হামলার পর সীমান্তের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরুর পাশাপাশি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আহ্বান করেন, যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তারা যেন এখনই বাড়িঘরে ফিরে না আসেন।
বর্তমানে বেলগোরদের পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর বলে জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে বেলগোরদে হামলাকারীদের নির্মূলে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেনাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন যা বলছে
ইউক্রেন দাবি করছে, দেশটি নিজেদের ভূখণ্ড শত্রুমুক্ত করতে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। বেলগোরদে হামলায় ইউক্রেনের সেনারা জড়িত নয়।
এ হামলায় রাশিয়ার নাগরিকদের সংগঠন লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন এবং দি রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস জড়িত।
লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন ইউক্রেনভিত্তিক মিলিশিয়া বাহিনী। এরা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎখাত করতে চায়।
সোমবার এক টুইট বার্তায় সংগঠনটি দাবি করেছে, সীমান্ত শহর কোজিঙ্কা তাদের নিয়ন্ত্রণে। অপরদিকে গ্রেভোরন শহরের কাছাকাছি তাদের অগ্রবর্তী দল পৌঁছে গেছে।
পুতিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকভ বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের সন্ত্রাসী। বাখমুত থেকে নজর ফেরাতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুত দখলে নেয়ার দাবি করে।
বাখমুতে ওয়াগনার গ্রুপের ধ্বংসযজ্ঞ স্বীকার করলেও অঞ্চলটি রক্ষায় এখনও যুদ্ধ চলছে বলে জানায় কিয়েভ।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত পূর্ণ দখলের দাবি করেছে রাশিয়া।
স্থানীয় সময় শনিবার রাশিয়া এমন দাবি করে, যা সত্যি হলে প্রতিবেশী দুই দেশের ১৫ মাসব্যাপী লড়াইয়ের অবসান হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোটা দাগে গুড়িয়ে দেয়া শহরে হামলায় নেতৃত্ব দেয় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপ।
গোষ্ঠীটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের দাবি, শহরের শেষ দালানওয়ালা এলাকা থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটিয়ে দিয়েছেন ওয়ানগার সেনারা।
বাখমুত দখল হবে গত ১০ মাসের বেশি সময়ে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিজয়। শহরটিকে সোভিয়েত আমলের ‘আর্তিওমোভস্ক’ নামে ডাকে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সাদার্ন গ্রুপ অফ ফোর্সেসের গোলা ও বিমানের সহায়তায় ওয়াগনারের অ্যাসল্ট ইউনিটের হামলায় আর্তিওমোভস্ক সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার প্রিগোজিনের করা দাবিটি নাকচ করে ইউক্রেন, তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কিয়েভ।
এদিকে বাখমুত দখলের জন্য সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি তাদের পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর জোট গ্রুপ অফ সেভেনের (জি-সেভেন) সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার জাপান পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
সম্মেলনস্থল পরমাণু হামলার শিকার প্রথম শহর জাপানের হিরোশিমায় গেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ হামলা এবং চীন নিয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হচ্ছে জিসেভেনভুক্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি ও কানাডাকে। সেমিকন্ডাকটর থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের বাজার ধরার ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকায় উদ্বিগ্ন দেশগুলো যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
জেলেনস্কিকে বহনকারী ফ্রান্স সরকারের বিমানটি হিরোশিমায় অবতরণের পরপরই বিবৃতিটি দেয়া হয়।
জাপানের টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, পরিচিত জলপাই রঙের পোশাকে বিমানের সিঁড়ি দিয়ে নেমে অপেক্ষমাণ গাড়িতে ওঠেন জেলেনস্কি। এর কিছুক্ষণ পর জেলেনস্কি টুইটে লিখেন, ‘জাপান। সিসেভেন। ইউক্রেনের সহযোগী ও মিত্রদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।’
জি-সেভেনভুক্ত ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লিগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সশরীরে জেলেনস্কির জিসেভেন সম্মেলনে আসাটা গুরুত্ববাহী।
জাপানে জি-সেভেন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। পাশাপাশি রাশিয়া ঘনিষ্ঠ দুই দেশ ভারত ও ব্রাজিলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার শতাধিক কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জবাবে ৫০০ আমেরিকানের ওপর একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাশিয়া যে ৫০০ জনের ওপর দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাইডেন প্রশাসনের নিয়মিত আরোপিত রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে…রুশ ফেডারেশনে ৫০০ আমেরিকানের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
ইউক্রেনে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দিতে শুক্রবার শতাধিক রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ‘ওয়াশিংটনের অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিল, প্রতিটি শত্রুতামূলক পদক্ষেপের জবাব দেয়া হবে।’
রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় পড়া ৫০০ জনের মধ্যে টিভি উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট, জিমি কিমেল ও সেট মায়ার্স রয়েছেন। এ ছাড়া সিএনএনের উপস্থাপক এরিন বার্নেট ও এমএসএনবিসির উপস্থাপক র্যাচেল ম্যাডো ও জো স্ক্যারবোরোও তালিকায় আছেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন আমেরিকার সিনেটর, কংগ্রেস সদস্যরাও।
আরও পড়ুন:তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে।
ওই দিন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভাগ্য লিখবেন ভোটাররা।
এরদোয়ানের ভাগ্যে কাটছাট হলেই প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলুর হাতে যাবে তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ। জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান এমন অবস্থায় ঠেকেছে, এরদোয়ান হোচট খেলেন কিনা সে দিকেই বিশ্বের নজর।
এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার ভোটে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে মরিয়া এরদোয়ান ও তার দল। সৃষ্টিকর্তা চাইলে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ‘মহাবিজয়’ এমন মন্তব্য করে সমর্থকদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন এরদোয়ান।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এরদোয়ান বলেন, ’এখনই সময় ১৪ মের বিজয় মহাবিজয়ের মধ্য দিয়ে গ্রহণ করা। আল্লাহর ইচ্ছায়, ২৮ মে-কে তুরস্কের শতাব্দীর অগ্রদূত হিসেবে পরিণত করব।’
প্রথম দফার ভোটে এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৫ এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলু ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পান। কেউ নির্ধারিত সমর্থনের সীমা স্পর্শ করতে না পারায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় দফার ভোটে এরদোয়ানের একতরফা জিতে যাওয়াই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কিলিচদারোগলুর লড়াই, সাম্প্রতিক ভূমিকম্প, অর্থনীতির মন্দাভাব, কুর্দি সম্প্রদায়, তুরস্ককে ইসলামিকরণের অভিযোগসহ বেশ কিছু ইস্যু সামনে আসায় টিকে থাকা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে এরদোয়ানকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য