আগামী কয়েক দিন দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই বিদায় নিতে পারে শীত।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক রোববার বেলা সাড়ে ১১টার পর নিউজবাংলাকে জানান, দেশে সাধারণত ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের বিদায় ধরে নেয়া হয়। এর পরও কয়েক দিন শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, ২ মার্চ পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকতে পারে। ৩ কিংবা ৪ মার্চ থেকে তাপমাত্রা টানা কয়েক দিন বাড়তে পারে।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও যশোরে। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
আরও পড়ুন:কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার ঈঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক না কেন, ওই চাপের কাছে বাঙালি মাথা নত করে না। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষিত করব। আমরাই আন্দোলন-সংগ্রাম করে গণতন্ত্র এনেছি। এই গণতন্ত্রিক অধিকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজকে বাংলাদেশে উন্নত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। মানুষ ভোটাধিকার পেয়েছে। আওয়ামী লীগই জনগণের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেবে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনও পরাজিত হয় না। কেউ ভোটাধিকার কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, খালেদা জিয়া তার প্রমাণ।’
বিএনপি শুধু ভোট চোর নয়, ভোট ডাকাত বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা দিতে পারে একমাত্র এদেশের জনগণ। জনগণের এই অধিকার, সচেতনতা আমরা দিতে পেরেছি, এটা এ দেশের মানুষ জানে।’
বিএনপিকে কেউ নাগরদোলায় বসিয়ে ক্ষমতা দিয়ে যাবে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতায় তারা বিশ্বাস রাখে না। তারা মনে করে অন্য কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় চাপিয়ে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কেউ দেবে না; দেয় না। ব্যবহার করে; ব্যবহার করবে; কিন্তু, দেবে না ক্ষমতা।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেয় তখন আমি একটা কথা বলেছিলাম, আল্লাহতালা জন বুঝে ধন দেয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে গ্যাস একটুও পাবে না, দিতেও পারবে না। সত্যিই কিন্তু দিতে পারে নাই। যে ক’টা কূপ খনন করছে, সবগুলো শুকনা। কোনো গ্যাস পায়নি, যারা কিনতে চেয়েছিল তারাও নিতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করতে চাইলে করুক। আমরা কিছু বলব না। তবে আমাদের নজর রাখতে হবে, তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে কিনা, মানুষকে পুড়িয়ে, হাত পা কেটেছে কিনা। সেটা যেন করতে না পারে। নিজের চোখ-ক্যামেরা সবসময় ঠিক রাখতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও করে অগ্নি সন্ত্রাস করলে বিএনপি মার্কিন ভিসা পাবে না।’
বাজেট বাস্তবায়ন
বাজেট প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী আছেন, যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বুদ্ধিজীবী। আমি বিদ্যুৎ দিয়েছি, তারা এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে বক্তৃতা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নেন।
‘প্রাইভেট টেলিভিশনও আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। সেই টেলিভিশনের টক শোতে এসে আলোচনা করে- এই বাজেট আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কার্যকর করতে পারবে না। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, করতে পারব সেটা বুঝে-শুনেই আমরা বাজেট দিয়েছি। আমরা যা দিয়েছি আমরা তা করতে পারব।’
দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুতের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে সরকার। দুই দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ১০-১৫ দিনের মধ্যে (বিদ্যুৎ) পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি আমরা। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের। এক গেল করোনাভাইরাসের তিনটা বছর। সবকিছু চলাচল বন্ধ। অর্থনীতি একেবারে স্থবির। উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি। এরপরও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন। সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেছে যে, পণ্য ক্রয় ও পরিবহন দুদিকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
এসময় খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করে থাকব না। আমরা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এই ডিজিটাল ডিভাইস, আমরা এগুলো তৈরি করব। ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ আসছে। একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ আসছে। আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস- এগুলো উত্পাদন করে আমরা রপ্তানি করব।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন চাপে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়েছে পরিষেবা খাতে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশে মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নীতি অনিশ্চয়তার সঙ্গে বাড়তি উদ্বেগ হিসেবে যোগ হয়েছে বাংলাদেশি পণ্যের বৈদেশিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া।
এতে প্রত্যাশিতভাবেই ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক, যা আগের বছর ৭ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। তবে আগামী অর্থবছরে আবারও জিডিপি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ওই তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন সময় দেশের প্রবৃদ্ধি হোঁচট খেতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধার মুখে পড়তে পারে বলে জানানো হয়।
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছর জিডিপি কমলেও আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে ৬ দশমিক ২ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ এ পৌঁছাবে।
২০২০-২১ অর্থবছরে তা ছিল ৬ দশমিক ৯। আর করোনা মহামারীর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি কমে ৩ দশমিক ৪ গিয়ে ঠেকে।
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’- এ বলা হয়, উচ্চ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ, রিজার্ভ সংকট, আর্থ-সামাজিক উত্তেজনাসহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আর্থিক খাত ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত দুই দশক ধরে একাধিক জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়ে এখানকার আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সরকারের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মশা কমলে ডেঙ্গু কমবে। কিন্তু রোগীর চিকিৎসায় আমরা প্রস্তুত।’
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের জন্য দেশের সব পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকা শহরে বলেন, অন্যান্য ডিভিশনাল শহরে বলেন, কিংবা জেলা শহরে বলেন, সব জায়গায় ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে; কর্নার আছে, ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং রোগীদের যে ওষুধ দরকার হবে, সে ব্যবস্থাও করা আছে।’
ডেঙ্গু চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
তবে নিজেদেরও সচেতন হতে হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ির ভেতরে-বাইরে যেন পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে না থাকে, ফুলের টবে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আর মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
২০২০ সালে শুরু হয় মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। করোনায় কমে আসে ডেঙ্গুর প্রকোপ। রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে মারা যান সাতজন।
এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। সবশেষ ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট ৬২ হাজার। মারা যান ২৮১ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশার প্রজনন মৌসুমের আগেই এবারে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। আর দিন যত যাচ্ছে, ততই প্রকোপ বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪৭ জন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ ভর্তি রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের প্রথম সাতদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৯৮ জন। এ সাতদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৬ জুন সকাল ৮টা থেকে ৭ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪৭ জন; যা চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যায় সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৩ জুন একদিনে ১৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবার তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪৭ জনের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২৭ জন আর অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৮০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৪১১ জন ও অন্যান্য বিভাগে ৬৯ জন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭২০ জন আর তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৯৯৭ জন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ১৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ৬ জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় তিনজনের।
মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হন ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ১৪৩ জন আর মৃত্যু হয় দুজনের।
চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মারা যান দুজন। গত মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন আর চলতি মাসের প্রথম দুইদিনে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হন ২৫৭ জন।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে অবশ্য তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুকতাদির আজিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘সকালে স্যারের (তৌফিক-ই-ইলাহী) কার্যালয়ে এসেছিলেন পিটার হাস। সে সময় তার সঙ্গে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। বৈঠকে তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন তা জানি না।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন পিটার হাস। সালমান এফ রহমানের সরকারি কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়।
একই দিন দুপুরে বারিধারায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে পরে দূতাবাসের এক টুইটার বার্তায় জানানো হয়।
তীব্র দাবদাহে প্রাথমিকের পর এবার মাধ্যমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ বাস্তবায়িত হবে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সতর্কতার কারণে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কার্যক্রম আগামী ৮ জুন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে আগামী শুক্র ও শনিবার মিলে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তিন দিন ছুটি পাচ্ছে।
গত ৪ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এ ৪ দিন শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে না।
এ বিষয়ে দেওয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন:খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরযানের ওপর প্রায় ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ থেকে ইসিতে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ অনুযায়ী গত ১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এই জরিমানা আদায় করা হয়।
১১২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৪০টি মামলা হয় আর আটক করা হয় ১ হাজার ৯২৮টি যানবাহন। এতে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৮৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮০ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া ভোটের মাঠে ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য