× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Allegation of harassing journalist against Chhatra League worker in Jabi
google_news print-icon

জবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ

জবিতে-ছাত্রলীগ-কর্মীর-বিরুদ্ধে-সাংবাদিক-হেনস্তার-অভিযোগ
অভিযুক্ত গাজী মো. শামসুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। দুজন সহকারী প্রক্টরকে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছিলাম। এ ধরনের কাজ কখনও সমীচীন নয়। লিখিত অভিযোগ দিলে, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই কর্মী ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ ও রফিক ভবনের সামনে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা নাগাদ দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত গাজী মো. শামসুল হুদা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একাউন্টিং অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে এক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও একাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সবাইকে সরিয়ে দিতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মী গাজী এক শিক্ষকের গায়ের ওপর এসে পড়েন। তখন কর্তব্যরত এক সাংবাদিক তাকে পরিচয় জানতে চেয়ে সরিয়ে দিতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হয়। পরবর্তীতে কামরুল হাসান রিপন ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সবাইকে সরিয়ে দেয়।

পরে বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য অভিযুক্ত গাজী ও তার নেতা-কর্মীদের পাঠান। কিন্তু সমঝোতা করতে এসে গাজী এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ তম আবর্তনের ফজলে রাব্বিসহ আরও একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের পরিচয় জানতে চান। প্রেসক্লাবের পরিচয় দিলে গাজী আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, ‘তোর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের পু… মধ্যে ঢুকায় দিব।’ এ সময় রাব্বি প্রেসক্লাবের অন্য সাংবাদিকরা তার জুনিয়র হওয়ায় তাদের ওপরে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি শুরু করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী গাজী মো. শামসুল হুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটু ঝামেলা হয়েছিল সেটা মিউচুয়াল হয়ে গেছে।’ এ সময় গালাগালির কোনো ভিডিও থাকলে সেটা দিয়ে কি করতে পারবা করে দেখাও বলে বারবার প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির নির্দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সুবর্ণ আসসাইফ বলেন, ‘প্রথমে ঘটনা ঘটার পর আমি শুনলাম আমার সহকর্মীকে মারার জন্য গাজী দাঁড়িয়ে আছে, এটা শোনার পর আমি আমার জায়গা থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজিকে ফোন দিয়ে জানাই। তিনি জানান বিষয়টি দেখছেন।

‘এর ৫ থেকে ১০ মিনিট পর গাজী এসে আবারও ওই সহকর্মীসহ অন্য সহকর্মীদের গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দেয়া শুরু করেন।

আমার কথা হলো একজন সভাপতি নির্দেশ দেয়ার পরও তারা এমন ব্যবহার কিভাবে করে। আমাদের মনে প্রশ্ন তৈরিই হয় তিনি এমন ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে কি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘আমি বিষয়টা শুনেছি। একাউন্টিং বিভাগের প্রোগ্রামে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিল। পরে ঘটনাটি মিটমাট করতে গেছিল। কিন্তু এইরকম বাজে মন্তব্য সে করে থাকে তাহলে আমি নিজে এর বিচার করব এবং ব্যবস্থা নিব।’

জবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসান বলেন, ‘এরকম ঘটনা একবার নয়, ইব্রাহীম-আকতার কমিটি আসার পরে বার বার ঘটছে। আজকের ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। সবচেয়ে বড় বিষয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে জানানোর পরও তিনি তার কর্মীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। আমরা আশা করব সাংগঠনিকভাবে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান বলেন, ‘এমন কিছু ঘটে থাকলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। দুজন সহকারী প্রক্টরকে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছিলাম। এ ধরনের কাজ কখনও সমীচীন নয়। লিখিত অভিযোগ দিলে, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকী ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসান যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিক হেনস্তা ও মারধরের ঘটনা ঘটে চলেছে। বারবার ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে। সেই সঙ্গে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনুক।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে। ইব্রাহিম-আকতার কমিটির সময়ে গত বছরের ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নেয়ার নজির রয়েছে। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চার সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলাও চালায় তারা‌। এছাড়া সাংবাদিক হেনস্তা নিয়ে কোতোয়ালি থানায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে একাধিক জিডি করা আছে।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছ পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে জবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
নতুন ৩ বিভাগ নিয়ে জবিতে চালু হচ্ছে চারুকলা অনুষদ
জবির হল ক্যান্টিনে খাবারে তেলাপোকা, ক্ষোভ
জবিতে ফাঁকা ১৫৪ আসন, চলছে ‘স্পট অ্যাডমিশন’
চিঠির বাক্সে এলো অধ্যাপক মিল্টনকে হত্যার হুমকি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Habibur in the admission war of EB by writing on foot

পায়ে লিখেই ইবি’র ভর্তিযুদ্ধে হাবিবুর

পায়ে লিখেই ইবি’র ভর্তিযুদ্ধে হাবিবুর বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ে বড় আলেম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন হাবিবুর। ছবি: নিউজবাংলা
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না।’

হাবিবুর রহমান। জন্মগতভাবেই নেই দুই হাত। তবুও দমে যাননি তিনি। ছোট বেলা থেকে পা দিয়ে লিখেই চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এবার অংশ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভর্তিযুদ্ধে। এ বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়েই বড় আলেম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

সোমবার ইবি’র ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

হাবিবুরের বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় কৃষক ও মা হেলেনা খাতুন গৃহিনী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট হাবিবুর।

২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ ও ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ সেবায় নিয়োজিত হতে চান হাবিবুর। সেই স্বপ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তিনি।

এর আগে হাবিবুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আলিম পরীক্ষার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন জাগে। পরিবারের অনুপ্রেরণা পেয়েই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। তবে কখনো প্রতিবন্ধকতার কারণে হেয় শিকার হতে হয়নি। সবাই ভালোভাবে নিয়েছে। আমি জীবনে ভালো মানুষ হতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না।

‘সবাইকে চেষ্টা করা উচিত। কষ্ট হবে, বিপদ আসবে। এর মাধ্যমে জয় করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।’

হাবিবুরের প্রতিবেশী আজমল হোসেন বলেন, ‘সে সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। শারীরিক গঠনে অন্য দশজনের মতো না হলেও কোন দিক দিয়ে সে পিছিয়ে নেই। হাবিবুর ছোট থেকেই অনেক মেধাবী।’

আরও পড়ুন:
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে পাস ৯.৪৩ শতাংশ
রাবিতে ‘সি’ ইউনিটে আসনপ্রতি পরীক্ষা দিলেন ৪৯ ভর্তিচ্ছু
গুচ্ছে ‘বি’ ইউনিটে প্রথম কুড়িগ্রামের সিসরাত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DU white party demands election under caretaker government

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ঢাবি সাদা দলের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ঢাবি সাদা দলের মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ছবি: নিউজবাংলা
এ ছাড়া মানববন্ধনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, হামলা এবং মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক মতানুসারীদের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদও জানান সাদা দলের নেতারা।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনস্থ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া মানববন্ধনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, হামলা এবং মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক মতানুসারীদের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদও জানান সাদা দলের নেতারা।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা দাবি করেন, আমেরিকা ভিসানীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে অপমানের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। তারা মনে করেন, এই নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উগান্ডা-নাইজেরিয়ার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারা দায়ী, সরকার কেন তাদের ধরছে না। কারণ তারা সরকারের চেয়ে আরও শক্তিশালী। তারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশের মানুষ আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা জানাই।

যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা নজীরবিহীন। লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের জনজীবন এখন বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। এই মুহুর্তেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে বিদ্যুৎ নেই, অথচ সব বিভাগে ক্লাস চলছে। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে লুটপাটের একটা নজির আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবন একেবারে যখন নাবিশ্বাস উঠেছে, তখন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর প্রতিবাদও করতে পারবো না। আমাদের উপর নানাভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় চাই, এদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভোটারবিহীন নির্বাচন যেন আর না হয়। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, রাতের আঁধারে ভোটের মাধ্যমে আপনারা যেভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, আর নয়।

মানববন্ধনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন খান, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক এম এ কাউসার প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
212 people passed the admission test in DU Arts

ঢাবির চারুকলায় ভর্তি পরীক্ষায় পাস ২১২ জন

ঢাবির চারুকলায় ভর্তি পরীক্ষায় পাস ২১২ জন ফাইল ছবি
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৌম্যদিপ্ত মন্ডল। তার ভর্তি পরীক্ষার রুল নম্বর ৪১০৭০২৪। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮২ আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১০২ নম্বর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চারুকলা’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১৩০টি আসনের বিপরীতে এই ইউনিটের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চার হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১২ জন পাস করেছেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

‘চারুকলা’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অন্য বছর চারুকলা ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন পরীক্ষা আলাদা দিনে হলেও এবার দুই পরীক্ষায় এক সঙ্গে নেয়া হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৌম্যদিপ্ত মন্ডল। তার ভর্তি পরীক্ষার রুল নম্বর ৪১০৭০২৪। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮২ আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১০২ নম্বর।

দ্বিতীয় হয়েছেন আদমজী ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাফাত হোসাইন রিশতা। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮১.৫ নম্বর। আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১০১.৫ নম্বর।

তৃতীয় হয়েছেন আদমজী ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী হৃদিতা নৌশিন। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৭৯.৭৫ নম্বর। আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯৯.৭৫ নম্বর।

এই ইউনিটের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://admissions.eis.du.ac.bd) থেকে ফলাফল জানতে পারছেন৷ এ ছাড়া ফোনের মেসেজ অপশনে রবি, বাংলালিংক বা টেলিটক নম্বর থেকে DU টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফলাফল জানা যাবে৷

‘চারুকলা’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে ১৮ জুন বেলা ৩টা থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে৷

কোটায় আবেদনকারীদের ৬ জুন থেকে ১২জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম চারুকলা অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে৷ তা যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

কারো ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে তা নিরীক্ষার জন্য ফি দেয়া সাপেক্ষে ৬ জুন থেকে ১২জুন পর্যন্ত চারুকলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে আবেদন করা যাবে৷

আরও পড়ুন:
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে পাস ৯.৪৩ শতাংশ
ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নীল দলের নেতৃত্বে হাসান-সাহাদাত
ঢাবির পরীক্ষায় ছাত্রীদের মুখ খোলা রাখতে হবে: আপিল বিভাগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appearing in the examination center to meet the lover is exempted

প্রেমিকার দেখা পেতে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির, মুচলেকায় ছাড়

প্রেমিকার দেখা পেতে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির, মুচলেকায় ছাড় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাতে আটক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা সাইফুল্লাহ্ জাহান প্রিন্স (বাঁয়ে)। ছবি: নিউজবাংলা
প্রেমিকার সঙ্গে তার মামা আসায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে দেখা করতে পারছিলেন না ওই তরুণ। তাই প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আটক হয়েছেন এক তরুণ। পরীক্ষা দিতে আসা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেই মূলত তিনি ওই কাজ করেন। ছাড়া পেতে পরে মুচলেকা দিতে হয়েছে তাকে।

গুচ্ছের বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে।

আটক তরুণ সাইফুল্লাহ্ জাহান প্রিন্স ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।

এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। কিন্তু দেখা করে বের হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটক করে।

সাইফুল্লাহ্ জানান, প্রেমিকার সঙ্গে মামা আসায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তিনি দেখা করতে পারছিলেন না। তাই তিনি ওই কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আবেগের বশে ছেলেটি এ ধরনের কাজ করেছে। তবে অপরাধের জন্য তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।’

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লিখিত প্রতিশ্রুতি (মুচলেকা) নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।

আরও পড়ুন:
জবি প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে সুবর্ণ-সৌদিপ
শাওনের মৃত্যুতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জবি শিক্ষক সমিতির
অসুস্থ হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যা
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য জবি শিক্ষার্থীর ই-কমার্স সাইট
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Last Admission Test of Bunch Traffic suffer

গুচ্ছের শেষ ভর্তি পরীক্ষা: যানজটে ভোগান্তি  

গুচ্ছের শেষ ভর্তি পরীক্ষা: যানজটে ভোগান্তি   গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবারের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেখে প্রবেশ করানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে।

দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান শাখার এই ইউনিটের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা।

২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে।

‘এ’ ইউনিটে অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ পরীক্ষার্থী। মোট আসন ৯ হাজার ৮৭৫টি। ফলে আসন প্রতি লড়বেন ১৭ পরীক্ষার্থী। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মোট ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রতি প্রশ্নের সঠিক উত্তরে নম্বর থাকবে এক। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে দশমিক ২৫ নম্বর। ১০০ নম্বরের এ ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩০।

বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও গভ. কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এই আটটি উপকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ বছর গুচ্ছের শেষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে নির্ধারিত রুম খোলা হয়। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্র প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কোনো ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

এদিকে বাস-ট্রাক-লেগুনা, রিক্সার কারণে সৃষ্ট এই যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী সবগুলো রাস্তায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের ভিড়ের কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা।

এ ছাড়াও প্রচণ্ড দাবদাহে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তার মোড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চলমান থাকায় এক লেনেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, ফলে যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে যে সকল শিক্ষার্থী জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছে, তারা দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকা পড়েছেন।

ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের গুণতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। তাদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু রিকশাচালক অধিক ভাড়া আদায় করছেন।

ফারুক মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘১০-২০ টাকাই তো বেশি চাই। রাস্তা ঘাটে বহুত জ্যাম। একবার ভার্সিটির ওইদিক গেলে সারাদিন লাইগা যায়।’

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা জ্যামের কারণে পরীক্ষার হলে পর্যন্ত ঢুকতে পারছে না। বাস রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন একেবারেই গেটের কাছে যার কারণে জ্যামে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচণ্ড এই গরমে এমনিতেই মানুষের এতো ভিড় তার ভিতর এই জ্যাম সত্যিই হতাশাজনক।’

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী হৃদয় মিত্র বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৪ ঘণ্টা আগে মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছি, পরীক্ষা শুরু হতে আর ৩০ মিনিট বাকি। এই গরমে এভাবে জ্যাম ঠেলে এসে পরীক্ষা দিতে আর মনোবল থাকে না।’

গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।

আরও পড়ুন:
রাজীব মীরের পরিবারকে পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জবি নীলদলের
উপাচার্যের সই জাল করে আটক জবি ছাত্র
জবিতে শিক্ষিকার সামনেই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের নির্যাতন, ভিডিও ধারণ
জবি অধ্যাপককে ফের উড়ো চিঠিতে হত্যার হুমকি
জবি প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে সুবর্ণ-সৌদিপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The EB teacher got his job back on the order of the High Court

হাইকোর্টের আদেশে চাকরি ফেরত পেলেন ইবির শিক্ষক

হাইকোর্টের আদেশে চাকরি ফেরত পেলেন ইবির শিক্ষক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘তিনি মামলা করলে হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। এ জন্য তাকে পুনর্বহাল করা হয়।’

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চাকরিচ্যুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে প্রায় ছয় বছর পর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়।

গত সোমবার অনুষ্ঠেয় সিন্ডিকেটের ২৫৯তম সভার ৫৫ নম্বর প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিক্ষক আসাদুজ্জামান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগটির সাবেক সভাপতি।

তার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬তম সিন্ডিকেটে আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।

রেজিস্ট্রার সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ১৬ এপ্রিল ২০১৭ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘তিনি মামলা করলে হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। এ জন্য তাকে পুনর্বহাল করা হয়।’

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর এ অভিযোগ করেন।

সেই আবেদনপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, তার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ ২০১৪ সালের শুরুর দিকে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং নিয়মিত ফোন দিতেন।

পরে শিক্ষকের জোরাজুরিতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শিক্ষক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।

কিন্তু পরে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন না।

ওই ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।

বিষয়টি নিয়ে সে সময় জরুরি বৈঠক হয়। এতে আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা মিললে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি সম্মানের সঙ্গে পদটি ফিরে পেয়েছি। তখন আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছিল, উচ্চ আদালতে সুবিচার পেয়েছি এবং আমি যোগদান করেছি।’

আরও পড়ুন:
ইবিতে স্নাতক শেষ না করেই স্নাতকোত্তর পাস এক ছাত্রের
‘অজানা’ দাবিতে ইবি’র প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিবর্তনমূলক, বাতিল করুন: টিআইবি
তৃতীয়বার পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ
সংশোধন ছাড়া পাস হলে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় যাবে উপাত্ত সুরক্ষা আইন: টিআইবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students hunger strike to demand solution to seat crisis in Jabir Hall

গণরুম বিলুপ্তি ও অছাত্রদের হল থেকে বের করার দাবিতে অনশন জাবি ছাত্রের

গণরুম বিলুপ্তি ও অছাত্রদের হল থেকে বের করার দাবিতে অনশন জাবি ছাত্রের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশন করছেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। ছবি: নিউজবাংলা
সামিউল ইসলাম প্রত্যয় বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে প্রশাসনকে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। কোনো ফল না পাওয়ায় অনশন করতে বাধ্য হয়েছি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন সংকট সমাধানের দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন এক ছাত্র।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি অনশন শুরু করেন।

ওই ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তার দাবিগুলো হলো গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের হল ত্যাগ এবং গণরুম-মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন বরাদ্দ দেয়া।

এর আগেও নিজের সিটের দাবিতে হলের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন ওই ছাত্র। তখন ৪৪৭ নম্বর কক্ষে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়।

এদিকে প্রত্যয়ের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

সামিউল ইসলাম প্রত্যয় বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে প্রশাসনকে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। কোনো ফল না পাওয়ায় অনশন করতে বাধ্য হয়েছি।’

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা তার দাবিগুলো শুনেছি। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘আমি তার দাবিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সমস্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্টসহ হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম থাকুক।’

আরও পড়ুন:
চলন্ত বাস থেকে জাবি শিক্ষার্থীকে ধাক্কা, ৮ বাস আটক
বিএনপিপন্থী ইউপি সদস্যকে মারধরকারী জাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা বহিষ্কার
জাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জাবি ছাত্রকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ, ছাত্রলীগের ৫ কর্মী বহিষ্কার
জাবিতে শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা

মন্তব্য

p
উপরে