× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pilkhana tragedy Release of murder accused hangs on blast
google_news print-icon

পিলখানা ট্র্যাজেডি: বিস্ফোরকে ঝুলে আছে হত্যার আসামিদের মুক্তি

পিলখানা-ট্র্যাজেডি-বিস্ফোরকে-ঝুলে-আছে-হত্যার-আসামিদের-মুক্তি
রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হত্যা মামলায় তিন শর মতো আসামির ১০ বছর বা তারও কম সাজা হয়েছে। তারা সাজা খেটে মুক্তির অপেক্ষায় আছে, কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এবং সেখানে তারা জামিন না পাওয়ার কারণে মুক্তি মিলছে না।’

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার বিচার দুই ধাপ এগিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকলেও ঝুলে আছে একই ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলাটি। এ কারণে হত্যা মামলায় সাজা খেটেও জামিন কিংবা মুক্তি মিলছে না আসামিদের।

কবে নাগাদ মামলা দুটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, তার দিনক্ষণ বলতে পারছেন না কেউই।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই আপিল বিভাগে থাকা আপিলগুলোর শুনানি শুরু হবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ভাষ্য, আপিল বিভাগে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে বিচারিক আদালতে থাকা বিস্ফোরক মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।

তার কারণ উল্লেখ করে তারা বলেন, হত্যা মামলায় অনেকেরই ১০ বছরের সাজা হয়েছে, কিন্তু তারা কারাবন্দি ১২ বছর ধরে। বিস্ফোরক মামলা শেষ না হওয়ায় তাদের জামিন বা মুক্তি কোনোটিই মিলছে না।

এ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। তার মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক কাজ দুই ধাপ পেরিয়ে এখন চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় সর্বোচ্চ আদালতে, তবে পেছনে পড়ে আছে এ ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলাটি। এটি এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

‘গত এক বছরে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এটা নজিরবিহীন। ১ হাজার ২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৫৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তাহলে কবে এ মামলা শেষ হবে, তা কে বলতে পারবে?’

তিনি বলেন, ‘একই ঘটনায় একটি মামলা সর্বোচ্চ আদালতে বিচারের অপেক্ষায়। অথচ আরেকটি মামলা ঝুলে আছে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে।’

আসামিপক্ষের এ আইনজীবীর ভাষ্য, ‘হত্যা মামলায় তিন শর মতো আসামির ১০ বছর বা তারও কম সাজা হয়েছে। তারা সাজা খেটে মুক্তির অপেক্ষায় আছে, কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এবং সেখানে তারা জামিন না পাওয়ার কারণে মুক্তি মিলছে না।’

তিনি বলেন, ‘১৩/১৪ বছর ধরে তারা অমানবিকভাবে জেল খাটছেন। বিস্ফোরক মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন না। বর্তমানে যেভাবে মামলাটি চলছে এভাবে চলতে থাকলে এ মামলা কবে শেষ হবে তার কোনো সীমা নাই।’

ইচ্ছা করেই রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি ধীরগতিতে চালাচ্ছে অভিযোগ করে এ আইনজীবী বলেন, ‘বিচারিক আদালতে আমরা বারবার দরখাস্ত দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেছি, জামিন চেয়েছি, কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। এতে বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে দিনের পর দিন মামলার বিচারকে দীর্ঘায়িত করার মধ্য দিয়ে অন্যায় বিচার হচ্ছে।’

হত্যা মামলার চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে আসামিপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ৮২ জনের পক্ষে আমি আপিল ফাইল করেছি। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০২ জনের পক্ষে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) ফাইল করেছি।

‘এ আপিলগুলো এখন শুনানির অপেক্ষায় আছে। এটি এখন মাননীয় প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। আপিল বিভাগে মামলাটি যখন শুনানির জন্য আসবে, আমরা তখন শুনানি করব। শুনানির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

বিচারিক আদালতে চলমান বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় ২৫৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর কিছু সাক্ষ্য নিয়েই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে। আশা করছি দ্রুতই মামলাটি শেষ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

মামলাটি শেষ করতে রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্ব করছে আসামিপক্ষের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হত্যা মামলাটি শেষ হওয়ার পর এ মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। তা ছাড়া করোনার কারণে বিচারকাজ স্থবির হয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। মাসে দুটি তারিখ পড়ছে। প্রতি তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে।

‘এখন তারা যদি সাক্ষীদের জেরা করে বিলম্ব করে তাহলে সেটা কার দোষ। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত মামলা শেষ করতে তাদের আবেদনের কারণেই এ মামলাটি শুরু করতে দেরি হয়। এখন আবার তারা পাল্টা অভিযোগ আমাদের ওপর দেয়।’

অন্যদিকে আপিল বিভাগে অপেক্ষমাণ থাকা হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পিলখানাতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, সেখানে যে নৃশংসভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। এ ঘটনায় যে মামলাগুলা হয়, সেই মামলায় অনেকের ফাঁসি হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও আপিল করে।

‘হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে অনেকের সাজা কমেছে, অনেকের বহাল আছে। এখন মামলাটি আপিলে বিচারের অপেক্ষায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষ মামলার আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেয়ায় মামলাটা আমরা শুনানি করতে পারছিলাম না। তাদের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য আমরা একটা ফাইল করেছি। তখন তাদেরকে একটা সময় দেয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি তারা না দেয় তাহলে তাদের আপিলটা ডিসমিস হবে।

‘আমরা আশা করছি এই বছরই এই মামলাটা শুনানি করতে পারব। গত বছর আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা জমা দেয়নি। সেই কারণে আমরা আবেদন করেছি। আদালতের কাছে চাইব তাদেরকে যেন একটা সময় দেন। ওই সময়ের মধ্যে তারা যদি না দেয়, তাহলে তাদের আবেদন ডিসমিস করে দেবেন।’

গত বছর শুনানি শুরু না হওয়ার পেছনে বিচারক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুরু না হওয়া অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আদালতের ওপর নির্ভর করে। আর গত বছর না হওয়ার পেছনে কারণ হলো গত বছর এই মামলাটা শুনানির জন্য পর্যাপ্ত বিচারক ছিলেন না।

‘এখন আপিল বিভাগে যেহেতু আটজন বিচারক আছেন, আশা করি এটার শুনানি হবে। নিয়মিত বেঞ্চেই শুনানি হবে। কমপক্ষে চারজনের বেঞ্চ হলেই হবে।’

বিস্ফোরক আইনের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কী কারণে হচ্ছে না, সেটা না দেখে বলতে পারব না।’

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ চলাকালে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানার কাছে স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা হয় ৮৫০।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

বিচার চলাকালে বিডিআরের ডিএডি আবদুর রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীকেও দণ্ড দেয়া হয়। সাজা ভোগকালীন বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যু হয় অসুস্থতাজনিত কারণে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।

চারজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তারা অব্যাহতি পান।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা তাদের সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এ জন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

রক্তাক্ত ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর তিন বিচারপতির সমন্বয়ে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২২৮ জনকে।

এরপর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে গত বছর হাইকোর্টে খালাস পাওয়া ৭৫ জন এবং সাজা কমে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৮ আসামিসহ ৮৩ জনের ক্ষেত্রে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আর আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮৪ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা এখনও শুনানির অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন:
ডিবির প্রতিবেদনে নারাজি দিতে সময় চেয়েছেন ফারদিনের বাবা
বরিশালে সাংবাদিকের নামে ছাত্রলীগ নেতার মামলা
নায়িকা শিমু হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি
প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ মার্চ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Hasinas six month imprisonment for contempt of court

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার অপসারণের পর এটাই প্রথম কোনো আদালতের রায়, যাতে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

একই মামলায় গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জন্য আইনজীবী নিয়োগের পূর্ব নজির না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

সেই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘২২৬ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—যা বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত। পরে এই ঘটনায় আইসিটিতে মামলা করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৩০ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন।

পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেদিনও তারা হাজির হননি। পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

১৯ জুন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২৫ জুন।

২৫ জুন মামলায় প্রস্তুতি নিতে অ্যামিকাস কিউরি মশিউজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২ জুলাই। আজ দুই আসামিকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padma bridge has found evidence of corruption initially in appointment of consultants
দুদক চেয়ারম্যান

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ একযুগ পর; গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।

জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Nurul Huda in court confesses responsibility
প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগ

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে দুই দফায় চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড শেষে নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। এরপর নূরুল হুদা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এই তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নূরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব এ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নূরুল হুদার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন পুলিশ। আমরা তার জামিনের দরখাস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হই। এরপর আদালতে এসে জানতে পারি তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছেন।

গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় গত ২৭ জুন আবারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

একই মামলায় গত ২৯ জুন তিন দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

সাবেক আমলা নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ACC investigation against three other NBR officers began

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পক্ষপাতিত্বের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে এই কর্মকর্তারা বড় পরিসরে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

এমন সব অভিযোগে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তারা হলেন— বড় করদাতা বিভাগের (ভ্যাট) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, সদস্য মো. লুৎফুর আজিম, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম এবং যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান।

এর আগে ২৯ জুন দুদক এনবিআরের আরও ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। যাদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও গত দুই দশক ধরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ছয় কর্মকর্তা হলেন— আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য একেএম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অডিট-গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর-ভ্যাটের ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস-আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর অতিরিক্ত কমিশনারসাধন কুমার কুন্ডু।

এই ছয় কর্মকর্তার মধ্যে হাসান তারেক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন পরিষদটি রাজস্ব বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে এর অভ্যন্তরে কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে।

দুদকের মুখপাত্র আক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা কর দায় কমানোর বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দায়ের করেছেন—যারা তাদের অবৈধ দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও রয়েছে যে, করদাতাদের কর ফেরত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করদাতাদের তাদের পাওনা পেতে ঘুষ দিতে বা উপহার দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কখনো কখনো এই ঘুষের পরিমাণ ছিল করদাতাদের পাওনার অর্ধেকের সম পরিমাণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Plot Allocation for fraud Sheikh Hasina ordered the publication of the Gazette to appear in the court

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার আজ ধার্য তারিখ ছিল। পাঁচ মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিরা পলাতক অবস্থায় রয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন এসেছে। অপর এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এদিন গেজেট প্রকাশ হয়ে আসেনি। আদালত ছয় মামলারই গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেন। ছয় মামলারই আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব মামলায় চার্জশিট আমলে নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আইনুযায়ী আসামিদেন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত। গেজেট প্রকাশ হয়ে আসলে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP Tuhin and Shah Alam Murad Remand

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর তুহিনের সাত দিন ও শাহে আলম মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এ সময় তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।

গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

তুহিনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারীরা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে।

পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।

এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The formal charges of Abu Saeed murder case filed in the tribunal

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর আজ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার জন্য উপস্থাপন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত সংস্থা আবু সাঈদ হত্যার যে তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামির মধ্যে পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আগামী ১৮ জুন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল-১।

২০২৪ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবু সাঈদ (২৫)। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন ছাত্র-জনতা। এতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

মন্তব্য

p
উপরে