× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pilkhana tragedy Release of murder accused hangs on blast
google_news print-icon

পিলখানা ট্র্যাজেডি: বিস্ফোরকে ঝুলে আছে হত্যার আসামিদের মুক্তি

পিলখানা-ট্র্যাজেডি-বিস্ফোরকে-ঝুলে-আছে-হত্যার-আসামিদের-মুক্তি
রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হত্যা মামলায় তিন শর মতো আসামির ১০ বছর বা তারও কম সাজা হয়েছে। তারা সাজা খেটে মুক্তির অপেক্ষায় আছে, কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এবং সেখানে তারা জামিন না পাওয়ার কারণে মুক্তি মিলছে না।’

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার বিচার দুই ধাপ এগিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকলেও ঝুলে আছে একই ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলাটি। এ কারণে হত্যা মামলায় সাজা খেটেও জামিন কিংবা মুক্তি মিলছে না আসামিদের।

কবে নাগাদ মামলা দুটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, তার দিনক্ষণ বলতে পারছেন না কেউই।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই আপিল বিভাগে থাকা আপিলগুলোর শুনানি শুরু হবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ভাষ্য, আপিল বিভাগে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে বিচারিক আদালতে থাকা বিস্ফোরক মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।

তার কারণ উল্লেখ করে তারা বলেন, হত্যা মামলায় অনেকেরই ১০ বছরের সাজা হয়েছে, কিন্তু তারা কারাবন্দি ১২ বছর ধরে। বিস্ফোরক মামলা শেষ না হওয়ায় তাদের জামিন বা মুক্তি কোনোটিই মিলছে না।

এ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। তার মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক কাজ দুই ধাপ পেরিয়ে এখন চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় সর্বোচ্চ আদালতে, তবে পেছনে পড়ে আছে এ ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলাটি। এটি এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

‘গত এক বছরে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এটা নজিরবিহীন। ১ হাজার ২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৫৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তাহলে কবে এ মামলা শেষ হবে, তা কে বলতে পারবে?’

তিনি বলেন, ‘একই ঘটনায় একটি মামলা সর্বোচ্চ আদালতে বিচারের অপেক্ষায়। অথচ আরেকটি মামলা ঝুলে আছে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে।’

আসামিপক্ষের এ আইনজীবীর ভাষ্য, ‘হত্যা মামলায় তিন শর মতো আসামির ১০ বছর বা তারও কম সাজা হয়েছে। তারা সাজা খেটে মুক্তির অপেক্ষায় আছে, কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এবং সেখানে তারা জামিন না পাওয়ার কারণে মুক্তি মিলছে না।’

তিনি বলেন, ‘১৩/১৪ বছর ধরে তারা অমানবিকভাবে জেল খাটছেন। বিস্ফোরক মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন না। বর্তমানে যেভাবে মামলাটি চলছে এভাবে চলতে থাকলে এ মামলা কবে শেষ হবে তার কোনো সীমা নাই।’

ইচ্ছা করেই রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি ধীরগতিতে চালাচ্ছে অভিযোগ করে এ আইনজীবী বলেন, ‘বিচারিক আদালতে আমরা বারবার দরখাস্ত দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেছি, জামিন চেয়েছি, কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। এতে বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে দিনের পর দিন মামলার বিচারকে দীর্ঘায়িত করার মধ্য দিয়ে অন্যায় বিচার হচ্ছে।’

হত্যা মামলার চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে আসামিপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ৮২ জনের পক্ষে আমি আপিল ফাইল করেছি। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০২ জনের পক্ষে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) ফাইল করেছি।

‘এ আপিলগুলো এখন শুনানির অপেক্ষায় আছে। এটি এখন মাননীয় প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। আপিল বিভাগে মামলাটি যখন শুনানির জন্য আসবে, আমরা তখন শুনানি করব। শুনানির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

বিচারিক আদালতে চলমান বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় ২৫৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর কিছু সাক্ষ্য নিয়েই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে। আশা করছি দ্রুতই মামলাটি শেষ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

মামলাটি শেষ করতে রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্ব করছে আসামিপক্ষের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হত্যা মামলাটি শেষ হওয়ার পর এ মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। তা ছাড়া করোনার কারণে বিচারকাজ স্থবির হয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। মাসে দুটি তারিখ পড়ছে। প্রতি তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে।

‘এখন তারা যদি সাক্ষীদের জেরা করে বিলম্ব করে তাহলে সেটা কার দোষ। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত মামলা শেষ করতে তাদের আবেদনের কারণেই এ মামলাটি শুরু করতে দেরি হয়। এখন আবার তারা পাল্টা অভিযোগ আমাদের ওপর দেয়।’

অন্যদিকে আপিল বিভাগে অপেক্ষমাণ থাকা হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পিলখানাতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, সেখানে যে নৃশংসভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। এ ঘটনায় যে মামলাগুলা হয়, সেই মামলায় অনেকের ফাঁসি হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও আপিল করে।

‘হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে অনেকের সাজা কমেছে, অনেকের বহাল আছে। এখন মামলাটি আপিলে বিচারের অপেক্ষায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষ মামলার আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেয়ায় মামলাটা আমরা শুনানি করতে পারছিলাম না। তাদের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য আমরা একটা ফাইল করেছি। তখন তাদেরকে একটা সময় দেয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি তারা না দেয় তাহলে তাদের আপিলটা ডিসমিস হবে।

‘আমরা আশা করছি এই বছরই এই মামলাটা শুনানি করতে পারব। গত বছর আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা জমা দেয়নি। সেই কারণে আমরা আবেদন করেছি। আদালতের কাছে চাইব তাদেরকে যেন একটা সময় দেন। ওই সময়ের মধ্যে তারা যদি না দেয়, তাহলে তাদের আবেদন ডিসমিস করে দেবেন।’

গত বছর শুনানি শুরু না হওয়ার পেছনে বিচারক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুরু না হওয়া অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আদালতের ওপর নির্ভর করে। আর গত বছর না হওয়ার পেছনে কারণ হলো গত বছর এই মামলাটা শুনানির জন্য পর্যাপ্ত বিচারক ছিলেন না।

‘এখন আপিল বিভাগে যেহেতু আটজন বিচারক আছেন, আশা করি এটার শুনানি হবে। নিয়মিত বেঞ্চেই শুনানি হবে। কমপক্ষে চারজনের বেঞ্চ হলেই হবে।’

বিস্ফোরক আইনের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কী কারণে হচ্ছে না, সেটা না দেখে বলতে পারব না।’

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ চলাকালে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানার কাছে স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা হয় ৮৫০।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

বিচার চলাকালে বিডিআরের ডিএডি আবদুর রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীকেও দণ্ড দেয়া হয়। সাজা ভোগকালীন বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যু হয় অসুস্থতাজনিত কারণে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।

চারজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তারা অব্যাহতি পান।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা তাদের সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এ জন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

রক্তাক্ত ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর তিন বিচারপতির সমন্বয়ে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২২৮ জনকে।

এরপর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে গত বছর হাইকোর্টে খালাস পাওয়া ৭৫ জন এবং সাজা কমে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৮ আসামিসহ ৮৩ জনের ক্ষেত্রে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আর আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮৪ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা এখনও শুনানির অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন:
ডিবির প্রতিবেদনে নারাজি দিতে সময় চেয়েছেন ফারদিনের বাবা
বরিশালে সাংবাদিকের নামে ছাত্রলীগ নেতার মামলা
নায়িকা শিমু হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি
প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ মার্চ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former Chief Secretary and MP Abul Kalam Azad arrested

সাবেক মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার

সাবেক মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ। ফাইল ছবি
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কলাবাগানে একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আবুল কালাম আজাদকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মো. আবুল কালাম আজাদ ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ে সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারও আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন।

সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জামালপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন সাবেক আমলা আবুল কালাম আজদ। গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি এই পদ হারান।

আরও পড়ুন:
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরাম কারাগারে
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী গ্রেপ্তার
সাভার থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক এমপি জ্যাকব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DB chief vows to end mirror room and rice hotel culture

‘আয়না ঘর’ ও ‘ভাতের হোটেল’ সংস্কৃতির অবসানে ডিবি প্রধানের অঙ্গীকার

‘আয়না ঘর’ ও ‘ভাতের হোটেল’ সংস্কৃতির অবসানে ডিবি প্রধানের অঙ্গীকার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: নিউজবাংলা
ডিবি অফিস এক সময় তারকাদের আড্ডাস্থল হয়ে ওঠার সমালোচনা করে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘ডিবি অফিস নায়ক-নায়িকাদের আড্ডাখানা নয়। এটা ক্ষতিগ্রস্তদের আস্থার জায়গা হবে, ন্যায়বিচার পাওয়ার জায়গা হবে।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়কে ক্ষতিগ্রস্তদের আস্থার জায়গা হিসেবে পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। এখানে কোনো ‘আয়না ঘর’ ও ‘ভাতের হোটেল’ সংস্কৃতি থাকবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক ডিবি অফিস এক সময় তারকাদের আড্ডাস্থল হয়ে ওঠার বিষয়টিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ডিবি অফিস নায়ক-নায়িকাদের আড্ডাখানা নয়। এটা ক্ষতিগ্রস্তদের আস্থার জায়গা হবে, ন্যায়বিচার পাওয়ার জায়গা হবে।’

জবাবদিহি ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ডিবি একটি জনবান্ধব সংগঠনে পরিণত হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘আমরা ডিবি অফিসকে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অসহায় ও ভুক্তভোগীদের সমস্যার কথা শোনা হবে, তারা আইনি সহায়তা পাবেন।’

রেজাউল করিম আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমার নজরদারিতে কেউ নির্যাতনের শিকার হবেন না। ডিবি অফিসের কথা শুনলে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু অপরাধীরাই আমাদের ভয় পাবে। আমি যতদিন এই পদে আছি ততদিন সততা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাব।’

অতীতের পুলিশি ব্যর্থতা তুলে ধরতে গিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক আগের ঘটনার কথা তুলে ধরেন যেখানে ‘উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার’ কর্মকর্তারা পুরো পুলিশ বাহিনীর অবস্থানের সঙ্গে আপস করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়া এবং পূর্ববর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ছিল নজিরবিহীন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা আগে কখনও হইনি।

‘আমার নেতৃত্বে এ ধরনের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হবে না। ডিবি অফিসে অন্যায় সহ্য করা হবে না।’

বাহিনীর কলঙ্কিত ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে মল্লিক বলেন, ‘ডিবিতে দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যারা সংগঠন পুনর্গঠনে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।

‘ডিবির হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং সাধারণ মানুষ যাতে অন্যায় নিপীড়ন থেকে মুক্ত হতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে কাজ করছি।’

স্বচ্ছতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। ডিবির কোনো সদস্য অনৈতিক বা অপেশাদার কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের জবাবদিহি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে না।’

আরও পড়ুন:
ডিএমপি ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার দেবে আইএসডিবি
গণমাধ্যমে মিথ্যা বিবৃতি দেয়ানো হয়: ৬ সমন্বয়ক
ডিবি থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যা বললেন চার সমন্বয়ক
ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেলেন ৬ সমন্বয়ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A fire on a ship can be sabotage BSC

জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি

জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি চট্টগ্রামে আগুন ধরে যাওযা ট্যাংকার। ছবি: সংগৃহীত
মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা নাশকতা।’

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুইটি অয়েল ট্যাংকারে আগুন জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মাহমুদুল মালেক।

বিএসসির সম্মেলনকক্ষে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা নাশকতা।

‘কেননা কয়েক দিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লেগেছিল। এবার আগুন লাগল বাংলার সৌরভে। তাই আমরা ধারণা করছি, এ ঘটনা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপচেষ্টা। এই ঘটনায় কারা জড়িত, তা শনাক্ত করা উচিত।’

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘এটি লাস্ট সার্ভিস হওয়ার কথা ছিল বাংলার সৌরভের। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দরের সাতটি টাগ একযোগে কাজ করে। আগুন নেভানোর দেড় ঘণ্টা পর আবার আগুন ধরে যায়।’

বিএসসির এমডি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নাশকতার বিষয় নিশ্চিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলার সৌরভে ১১ হাজার ৫৫ টন অপরিশোধিত তেল ছিল। ৪৮ জন ক্রু ও ওয়াচম্যান ছিল। তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে বিএসসির স্টুয়ার্ট সাদেক মিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

তিনি জানান, বিএসসির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে প্রধান করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ হাজার টনের একটি বিদেশি জাহাজ চার্টারিং করা হয়েছে। এসপিএম চালু হলে লাইটারিং বন্ধ হবে।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের জাহাজে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দরের সাতটি টাগবোট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, কিন্তু আগুন নেভানোর দেড় ঘণ্টা পর আবার আগুন ধরে যায়।

পরে প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। একইভাবে গত সোমবার বিএসসির আরেক জাহাজ বাংলার জ্যোতিতেও বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। তখন তিনজনের প্রাণহানি হয়।

বছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ১২ থেকে ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিবহন করে বিএসসি। বড় জাহাজে বিদেশ থেকে এসব তেল আমদানি করে বহির্নোঙরে আনা হয়। এরপর সাগরে বিএসসির বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভে লাইরারিং করে কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ইস্টার্ন রিফাইনারিকে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
ধানমণ্ডিতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, আহত তিনজনকে উদ্ধার
গোপালগঞ্জে আ.লীগের বিক্ষোভ, সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
কুমিল্লায় সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে ছয়জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে রিয়াজউদ্দিন বাজারে আগুন, দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু
৫ ঘণ্টায় নির্বাপণ গাজীপুরের ঝুট গুদামের আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
I want to run Badda Ekkana

‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই’

‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই’ চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার সাইফুল। ছবি: নিউজবাংলা
মোটর সাইকেলটি বিক্রি হবে ৬৫ হাজার টাকায়। দরদাম ঠিক হওয়ার পর ক্রেতা একটু চালিয়ে দেখতে চায়। পরে চাবি নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চোখের সামনে দিয়েই শাঁ করে চালিয়ে পালিয়ে যায় ক্রেতারূপী চোর।

মোটর সাইকেলটি বিক্রি হবে ৬৫ হাজার টাকায়। দরদাম ঠিক হওয়ার পর ক্রেতার আবদার- ‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই (একটু চালিয়ে দেখতে চাই)। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চোখের সামনে দিয়েই শাঁ করে চালিয়ে পালিয়ে যায় ক্রেতারূপী চোর।

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জার টেক এলাকায়। শুক্রবার সেই প্রতারককে বন্দর নগরীর লালখান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী পোশাক কারখানার নিরাপত্তা রক্ষী পটিয়ার কোলাগাঁও এলাকার রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘২৬ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলা থেকে একজন ক্রেতা আসেন আমার ১০০ সিসি চট্ট-মেট্রো হ-১৮-০১৭৮ মোটর বাইকটি কেনার জন্য। দরদামের পর ৬৫ হাজার টাকায় মোটরসাইকেলটি বিক্রি করতে রাজি হই।

‘এরপর দুই-এক চক্কর চালিয়ে দেখতে চাইলে আমি তাকে চাবি দেই। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে বাইক নিয়ে উধাও! চারদিকে খোঁজ করে পরে থানায় মামলা করি। আজ পুলিশ সেই প্রতারককে গ্রেপ্তার ও আমার বাইক উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।’

প্রতারক যেভাবে পুলিশের জালে

মোবাইল ফোন থেকে কল করাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোটর সাইকেল নিয়ে হাওয়া হয়ে যাওয়া প্রতারকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বন্ধুর মাধ্যমে ক্রেতা সেজে ওই প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক হয়। শুক্রবার পুলিশের সাহায্য নিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় প্রতারক সাইফুল ইসলামকে।

জানা যায়, প্রতারক সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মানিক নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়াপাড়া মাজার গলির আবু জাফরের বাড়িতে থেকে এভাবে প্রতারণা করে বেড়ায়। তবে তার বাড়ি ফেনী জেলায় বলে জানায়। নিজেকে কখনও পটিয়া শান্তির হাট এলাকার ব্যবসায়ী পরিচিয় দেয়, কখনও নগরীতে চাকরি করে বলে জানায়।

পুলিশ জানায়, ৩ অক্টোবর দায়ের হওয়া মামলার সূত্র ধরে বাদীর সহযোগিতায় প্রতারককে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়। পরে প্রতারককে গ্রেপ্তার ও গাড়িটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hizb ut Tahrir media coordinator Imtiaz Saleem arrested

হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম গ্রেপ্তার

হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম গ্রেপ্তার হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম। ছবি: ডিএমপি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের  মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ভোরে (৪ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।’

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ভোরে (৪ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

‘তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া পল্লবী ও খিলগাঁও থানার আরও দুটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি সে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।’

আরও পড়ুন:
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরাম কারাগারে
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী গ্রেপ্তার
সাভার থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক এমপি জ্যাকব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Food Minister Sadhan Chandra arrested from the capital

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ছবি
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান জানান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

ডিবির ওই কর্মকর্তা জানান, সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা পরে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে। সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ সংসদীয় আসন।

আরও পড়ুন:
পতিত সরকারের চার মন্ত্রী আরও দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মোজাম্মেল বাবুকে
সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ গ্রেপ্তার
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pir killed in his own house on the roof

ছাতকে নিজ ঘরে পীর খুন

ছাতকে নিজ ঘরে পীর খুন আব্দুল হান্নান পীরকে হত্যার খবরের পর ছাতকের সৈদেরগাঁওয়ে তার বাড়ির সামনে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা ভিড় জমান। ছবি: নিউজবাংলা
আব্দুল হান্নান পীর ছাতকের সৈদেরগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ফজরের নামাজের পর বাইরের একটি ঘরে এসে বসে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সুনামগঞ্জের ছাতকে আশি বছরের বেশি বয়সী এক পীর খুন হয়েছেন। সকালে নিজ গ্রাম সৈদেরগাঁওয়ের (ধারণ) বাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ওই পীরের নাম সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওরফে আব্দুল হান্নান পীর।

গ্রামের লোকজন জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ এই পীর বাড়ির সামনের দিকের একটি ঘরে প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে এসে বসতেন। অনেকে তার কাছ থেকে এসে পানিপড়াও নিতেন।

আব্দুল হান্নান পীর প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ফজরের নামাজের পর ওই ঘরে এসে বসেছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

আব্দুল হান্নান পীরের মৃত্যুর খবর শুনে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়ির সামনে ভিড় জমান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন জানান, ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আব্দুল হান্নান পীর। কারা, কেন তাকে হত্যা করলো এ বিষয়ে জানার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

আরও পড়ুন:
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে ডেকে নিয়ে হত্যা, কথিত প্রেমিক আটক 
গুলশানে মুদি দোকানে বৃদ্ধসহ দুজনের গলাকাটা মরদেহ

মন্তব্য

p
উপরে