দিনাজপুর শহরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার বিকেলে দিনাজপুর শহরের উপশহর ৮ নম্বর ব্লকে অভিযান চালিয়ে অপহৃতাকে উদ্ধার ও ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ২৬ বছর বয়সী হারুন-অর-রশিদ, ৩২ বছর বয়সী মোফাজ্জল হোসেন শিমুল ও ২৭ বছর বয়সী সাকিরা আক্তার পুতুল। আর উদ্ধারকৃত ব্যক্তির নাম মোবারক হোসেন। তিনি জেলার কাহারোল উপজেলার গড়নুরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘মোবারক হোসেন ১৯ ফেব্রুয়ারি উপশহরের ৮ নম্বর ব্লকে যান। এ সময় অপহরণকারীরা তাকে ধরে নিয়ে স্থানীয় মৌসুমী বেগমের বাসায় আটকে রাখে। তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।
‘মোবারক হোসেন তার স্ত্রীর মাধ্যমে বিকাশে প্রথমে ২০ হাজার টাকা ও পরে আরও ২ লাখ টাকা দেন। পরদিন সোমবার বিকেলে মোবারক হোসেনের স্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।’
ওসি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে মোবারককে উদ্ধার এবং উদ্ধার ও ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জড়িত তরিকুল ইসলামে নামে একজন পলাতক।
এরা সংঘবদ্ধ একটি দল। বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা চাঁদা হিসেবে হাতিয়ে নেয়।’
অভিযানকালে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মোবারক কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরের নাফ নদী মোহনা থেকে আবারও দুটি ট্রলারসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাএয়া হয়। এর আগে সম্প্রতি সময়ে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুর রশিদ বুধবার বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার টেকনাফ থেকে দুটি ট্রলার রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে আরাকান আর্মির সদস্যরা সাগর মোহনা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারের ছয়জন স্টাফ ছিল, যারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা। ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে আমার একটি রয়েছে। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলাোবাহিনীদকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মালামাল ভর্তি দুটি ট্রলারসহ ছয়জনকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
তবে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে কেউ অবহিত করেননি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহিদুল হকসহ তিন আসামির প্রথম দফার রিমান্ড শেষে বুধবার বিকেলে আদালতে আনা হয়।
কুমিল্লা সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা তিন আসামির ফের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে রিমান্ড কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অপর দুই আসামি হলেন সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব কিবরিয়া মজুমদার এবং কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সেলিম। এর আগে গত ১১ নভেম্বর একই আদালতে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পিপি ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু।
এদিকে প্রথম দফার রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে আনা হয় সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, যুগ্ম সচিব কিবরিয়া মজুমদার ও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সেলিমকে। এমন খবরে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে যায়।
আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে দেরি হওয়া এবং আদালত প্রাঙ্গণে কঠোর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় তিন আসামিকে। এ সময় উত্তেজিত জনতা সাবেক আইজিপিসহ তিনজনকে ভর্ৎসনাসর্না করেন। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়।
আদালতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট ধরে শুনানি চলে। শুনানিতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিরাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এজলাসের বাইরে ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। এ সময় তিনটি গাড়িতে করে সেনা সদস্যরা আদালতে উপস্থিত হন। রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের বিশেষ নিরাপত্তায় আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুনানি শেষে কুমিল্লা বারের পিপি ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা মেরে ৮ যাত্রীকে হত্যার সঙ্গে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জড়িত। তারা সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এমন ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে একই ঘটনায় পাল্টা মামলা করেন নাশকতাকবলিত বাসটির তত্ত্বাবধায়ক পরিচয়দানকারী আবুল খায়ের।
বর্তমান মামলাটিতে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অন্তত ১৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশতিয়াক আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আইনজীবীরা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আদালতকে বলেছি, একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে তাদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি বাদী।’
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর কথিত ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া এবং জাতির জনককে অবমাননার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন এই অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
বুধবার দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৬ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা দরকার।
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে আইভী ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো নাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর টানা তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার বকুল মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।
কারাগার থেকে আজ আতিকুলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
ওই সময় আসামিপক্ষ তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী বকুল মিয়া। ওই সময় এলোপাতাড়ি গুলি তার মাথায় লাগে। পরে ১৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছাম্মৎ মনিকা আক্তার বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বুধবার রিটটি করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
রিটে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থি উল্লেখ করে চুক্তির শর্তসমূহ সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। আদানি গ্রুপ তাতে রাজি না হলে চুক্তিটি বাতিল করার জন্য রিটে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
সে নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
আদানি গোষ্ঠী ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় এক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে সরবরাহ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই চুক্তি হয়। শুরু থেকেই এ বিদ্যুতের দাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
আরও পড়ুন:বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল ও পোশাককারখানা শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রমিকরা বুধবার প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর গাজীপুর এলাকার তারাটেক্স লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানা থেকে বের হয়ে মহাসড়কে এসে অবরোধ সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও জানান, ওই কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কর্মরত।
মন্তব্য