× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fourth Dhaka in polluted air
google_news print-icon

দূষিত বাতাসে চতুর্থ ঢাকা

দূষিত-বাতাসে-চতুর্থ-ঢাকা
ঢাকার রাস্তায় ধুলার মধ্যে নাক-মুখ চেপে চলাচলের দৃশ্য নতুন নয়। ছবি: আইকিউএয়ার
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।

বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা রয়েছে শীর্ষ পাঁচে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৩ গুণ বেশি।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে প্রথম ও দ্বিতীয় ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৮০। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

আরও পড়ুন:
দূষিত বাতাসে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় লাহোর
নারী হেনস্তা: ঢাবি থেকে দুই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
দূষিত বাতাসে সোমবারও শীর্ষে ঢাকা, মানের অবনতি
‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে ঢাকা
ঢাকায় বাতাসের মানের অবনতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The temperature will drop further in five days

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।’

দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। অন্যান্য অঞ্চলেও ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা। আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
শৈত্যপ্রবাহ: নওগাঁয় তাপমাত্রা নামল ৯.৯ ডিগ্রিতে
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Advice to wear mask due to air pollution in Dhaka

ঢাকার বায়ুমান ঝুঁকিপূর্ণ, মাস্ক পরার পরামর্শ

ঢাকার বায়ুমান ঝুঁকিপূর্ণ, মাস্ক পরার পরামর্শ ছবি: সংগৃহীত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুমানের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। জনগণকে এ তথ্য দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমান সময়ে মাঝে মাঝেই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সংবেদনশীল ব্যক্তিকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুমানের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। জনগণকে এ তথ্য দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

ইটভাটা, শিল্প-কারখানার মালিক ‌ও সাধারণ মানুষকে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দু’বার পানি ছিটানো, পুরনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।

আরও পড়ুন:
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
70 Magnitude Earthquake Tsunami Warning in California

ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ছবি: সংগৃহীত।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই এনডব্লিউএসের সুনামি সতর্কতার আওতায় পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ। এরপর ওই এলাকা ও সানফ্রান্সিসকো উপকূল থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ডেল নর্টে, হামবোল্ট ও মেন্ডোসিনো কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস)।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হামবোল্ট কাউন্টির ফার্নডেল শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে জানালেও পরে এটিকে ৭.০ মাত্রায় উন্নীত করে ইউএসজিএস। সমূদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ মিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল চিহ্নিত করা হয়।

ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মিনিট পর এনডব্লিউএসের সুনামি সতর্কতার আওতায় পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ। এরপর ওই এলাকা ও সানফ্রান্সিসকো উপকূল থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ডেল নর্টে, হামবোল্ট ও মেন্ডোসিনো কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।

উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্বল্প মাত্রার আফটারশক হয়েছে।

হামবোল্ট কাউন্টির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে
তাইওয়ানের ভূমিকম্পে হাজার ছাড়াল আহতের সংখ্যা
তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত চার, আহত অর্ধশতাধিক
ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপল চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature has dropped to 104 degrees in Tentulia cold current is coming

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীব্রতা। স্থবিরতা নামছে মানুষের জীবনযাত্রায়। ছবি: নিউজবাংলা
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। শনিবার সকাল ৬টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসছে ডিসেম্বর মাসে একাধিক মুদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।’

বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত হিমেল বাতাস, সন্ধ্যা থেকে সকাল জুড়ে ভারি শিশির কণা। দিনভর সূর্যের আলো থাকলেও তেমন তেজ নেই। আকাশে খণ্ড খণ্ড মেঘের মেলা।

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের প্রকৃতিতে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই নামছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আবহাওয়া অধিদপ্তর হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, ডিসেম্বরে তাপমাত্রা এক অংকের ঘরে নেমে যাবে। ডিসেম্বর মাসে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

উত্তরের পাহাড় ছুঁয়ে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর ভারি কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা পাঁচদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রিতে বিরাজ করলেও শনিবার তা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। দিনের তাপমাত্রাও থাকছে ২৮/২৯ ডিগ্রির ঘরে।

তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। গ্রামগজ্ঞের হাটবাজারগুলোতে সন্ধার পর লোকসমাগম কমে যাচ্ছে। শহরের মানুষজনও তাড়াতাড়ি ঘরমুখী হচ্ছে। অপরদিকে পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতের রকমারি পিঠা-পুলির দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে।

শনিবার ভোর সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে চারদিন ধরে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কোল ঘেঁষা জনপদ পঞ্চগড়ে বরাবরই দেশের অন্যান্য জেলার আগে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে নভেম্বর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে তেঁতুলিয়ায়। এ সময় আকাশ কিছুটা পরিষ্কারর থাকায় দেখা মেলে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার বর্ণালী লাবণ্য।

এদিকে শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। বিক্রি বেড়েছে মৌসুমি শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় তুলতে শুরু করেছেন।

জেলায় ভারি কোন শিল্প-কারখানা না থাকায় পাথর শ্রমিকসহ নদী-কেন্দ্রিক মানুষের কাজের ক্ষেত্র কমে গেছে। মহানন্দা নদীর হিম জলরাশি থেকে কষ্ট করে পাথর সংগ্রহ করছে শ্রমজীবী মানুষ।

তাপমাত্রার এই পরিবর্তনে জেলায় শীতজনিত রোগব্যাধি বাড়তে শুরু করেছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়েছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক রাজিউর রহমান জানান, শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়ছে। লোকবল, চিকিৎসক সংকট ও বেডের অভাবে শিশু রোগীদের মেঝে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। আজ (শনিবার) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে একাধিক মুদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী জানান, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলায় দু’হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত বরাদ্দসহ খাদ্য সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
যেভাবে ভারতে পাঠানো হলো বন্য দুই হাতিকে
ফের ১০ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Srimangal is the lowest temperature in the country since two days

দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এখানে কিছুটা বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালবেলা কুয়াশা পড়ছে। একইসঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। তবে শিগগিরই জেঁকে বসবে শীত।’

দু’দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। রোববার সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবারও এখানে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে শ্রীমঙ্গলে।’

তিনি বলেন, ‘নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এখানে কিছুটা বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় সূর্যের তাপে কিছুটা গরম অনুভব হলেও সন্ধ্যা নামলেই প্রচুর শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালবেলা কুয়াশা পড়ছে। একইসঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস।

‘তবে শিগগিরই জেঁকে বসবে শীত। আগামি তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।’

এদিকে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সর্দি-কাশি, অ্যাজমাসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, ‘খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া চলতি আবহাওয়ার সময় শিশু ও বয়স্করা ঘর থেকে বের না হওয়া উত্তম। বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে হলে অবশ্যই গরম কাপড় পরতে হবে।’

এছাড়া ধুলাবালি থেকে রেহাই পেতে মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি। সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Controversy over financing COP29 summit on 12th day

অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়াল কপ২৯ সম্মেলন

অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়াল কপ২৯ সম্মেলন
সম্মেলনে উপস্থাপিত নতুন খসড়া প্রস্তাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের বার্ষিক লক্ষ্য ২৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। তবে এই লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অর্থায়নের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় ক্ষুব্ধ উন্নয়নশীল দেশগুলো বলছে- এই প্রস্তাব বিপজ্জনক ও অসম্মানজনক।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ২৯ শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র মতবিরোধের কারণে তা ১২তম দিনে গড়িয়েছে। সূত্র: বাসস

সম্মেলনের মূল আলোচনা বর্তমানে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে তীব্র বিতর্কের মাঝে থমকে আছে। শনিবারের মধ্যে একটি নতুন খসড়া প্রস্তাবনা আসার কথা থাকলেও আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ও তা বণ্টন নিয়ে অবস্থান এখনও পরিষ্কার হয়নি। এটি সম্মেলনটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার কপ২৯ সম্মেলনে উপস্থাপিত নতুন খসড়া প্রস্তাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের বার্ষিক লক্ষ্য ২৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। তবে এই লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অর্থায়নের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো।

বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই প্রস্তাবনাকে ‘অপ্রতুল’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন, তাদের জন্য ঋণের বদলে অনুদান জরুরি। অন্যথায় তাদের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়বে।’

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধি টিনা স্টেগ এই খসড়াকে ‘লজ্জাজনক’ অভিহিত করে এই প্রস্তাবনাকে বৈশ্বিক জলবায়ু সুবিচারের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন।

জলবায়ু অর্থায়নে প্রস্তাবিত টেক্সটকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘এই খসড়া টেক্সট জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করা দেশগুলোর জন্য অসম্মানজনক। আমাদের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সহায়তা প্রয়োজন, যা আমাদের অভিযোজন এবং ক্ষয়-ক্ষতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতিতে ন্যায্য রূপান্তরে সহায়তা করবে।’

প্রস্তাবনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কথা বলা হলেও এর মধ্যে উন্নত দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি অর্থায়ন আসবে বেসরকারি বিনিয়োগ ও অন্যান্য উৎস থেকে। তবে আফ্রিকা, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এবং জি৭৭+চায়না গোষ্ঠীর মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো এই প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে আরও বেশি, নির্দিষ্ট ও প্রাপ্তিযোগ্য সহায়তার দাবি করেছে।

বেসরকারি সংস্থা ও পরিবেশ আন্দোলনকারীরা খসড়া প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করতে বলছেন। তারা দাবি করছেন, যে কোনো আর্থিক সহায়তা প্রক্রিয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

শুক্রবার রাতে কিছু পরিবেশ আন্দোলনকারী সম্মেলনস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখানে তারা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ও ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ (এসআইডিএস) দেশগুলোর জন্য আরও তহবিল দাবি করেন।

বেশ কিছু উন্নয়নশীল দেশ অভিযোজন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিলের জন্য আরও অর্থায়নের জোর দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তহবিলগুলোকে ‘অত্যন্ত জরুরি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই তহবিলগুলোকে যথাযথভাবে অনুদান হিসেবে দেয়া না হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আর্থিক চাপে পড়বে এবং তাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ব্যাহত হবে।’

সম্মেলনে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নিজেদের সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীন ঘোষণা করেছে, তারা বছরে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যা তাদের জলবায়ু পরিকল্পনাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হবে।

ইউএই আরও ১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার নতুন তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে, যা তাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে।

অতিরিক্ত দিনে গড়ানোর কারণে বাকুতে কপ২৯ সম্মেলন কেন্দ্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে, যা সম্মেলনের কার্যক্রম ব্যাহত করছে।

আয়োজক দেশ আজারবাইজান পরিবহন ও অন্যান্য সেবা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন অধিবেশন ও আলোচনায় যোগ দিতে পারছেন না। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি ও আন্দোলনকারীরা এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তা দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।

কপ২৯ সম্মেলনের চূড়ান্ত ফলাফল জলবায়ু অর্থনৈতিক সহায়তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বাঁচা-মরার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের ন্যায্য হিস্যার জন্য লড়াই করছে এবং প্রত্যাশা করছে এ সম্মেলন থেকে তাদের জন্য একটি কার্যকর সমাধান বের হবে। তাই সবার চোখ এখন আজারবাইজানের দিকে, কপ২৯ কী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন:
‘জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পাওয়ার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা জরুরি’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
India opens and closes sluice gates at will finance adviser

ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা

ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশ।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এদিকে স্লুইস গেটগুলো খুলে দেয়। আবার ওখানে যখন পানির স্বল্পতা থাকে তখন গেটগুলো বন্ধ করে দেয়।

‘তারা ইচ্ছেমতো এটা করছে। আর সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে হচ্ছে। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নেমে যাচ্ছে। আমরা আর কত সহ্য করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। শুধু ফারাক্কা নয়; অভিন্ন আরও যে ৫৪টি নদী আছে, সেগুলো থেকে যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করব।’

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে