রাজধানীর ধানমন্ডি কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠিপেটার দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে দুই সংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। করেছে ডিএমপি। সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের দায়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হককে ধানমন্ডি থানা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার এই ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন—চ্যানেল আই অনলাইনের ফটো সাংবাদিক হাবিব তালুকদার ও একটি অনলাইন গণমাধ্যমের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান।
সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি কলেজের ছাত্রদের মাঝে গণ্ডগোল থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এ সময় ঘটনার ছবি তুলতে গেলে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মী লতিফ রানা জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হন গণমাধ্যম কর্মীরা। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন ছাত্রকে ধরে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল।
খলিলুর রহমান ঘটনার ভিডিও ও ছবি ধারণের চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তার গলায় ঝুলানো আইডি কার্ড ও মোবাইল সেট কেড়ে নেন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার প্রতিবাদ করেন চ্যানেল আই অনলাইনের ফটো সাংবাদিক হাবিব তালুকদার। এ সময় তার সঙ্গেও আপত্তিকর আচরণ করেন পুলিশ সদস্যরা।
এই ঘটনার পর সাংবাদিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের আটক করতে গিয়ে সাংবাদিককের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উপ-পরিদর্শক আজিজুল হককে ধানমন্ডি থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে স্বজনরা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত ছাত্রের নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম। মাহিম স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, ‘মাহিম শুক্রবার বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই৷’
নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। দেহে কাদা মাখানো ছিল। অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লা দেবিদ্বারে এক ভণ্ড পীরের আস্তানায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও মামলায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর ইকবালকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা না করে নিজেরাই মীমাংসা করতে চাপ দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ মামলার বাদী শিশুটির মায়ের।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ইকবাল শাহ স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে লিচু দেয়ার কথা বলে তার আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, এ বিষয়ে সেদিন রাতেই মামলা করতে চাইলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের চাপের কারণে তা করতে বিলম্ব হয়। মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে নানাভাবে তারা চাপ দিয়ে আসছিল।
পরে ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা।
স্থানীয়রা জানায়, হঠাৎ একদিন নিজেকে পীর দাবি করে বিশ বছর ধরে নিজের বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নামে আস্তানা তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন ইকবাল শাহ।
বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার আসর বসাতেন তিনি। এ ছাড়া ওরসের নামে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতেন। তার এসব কাজে সহায়তা করত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। তাদের কারণেই ভণ্ড পীর ইকবালের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করত না।
এ ঘটনায় পর থেকে নিজের আস্তানা, এমনকি এলাকা থেকেও হাওয়া হয়ে গিয়েছেন ইকবাল শাহ। তার মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ রয়েছে বলে যোগাযোগ করা যায়নি।
শনিবার বিকেলে দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় ওই পীরকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।’
তবে এ বিষয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বাড্ডা থানার সাতারকুল এলাকায় শুক্রবার রাতে অপু ইসলাম নামের শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
অপু সাতারকুল এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
অপু এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস শাকুর জানান, অপু ইসলামকে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে পরে লিফটের ফাঁকা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়া হয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
অপুর খালাতো ভাই দীপু হাসান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। বৃষ্টির কারণে রাস্তার ডান পাশে পানি জমে থাকায় কে কোন পাশ দিয়ে যাবে, সেটা নিয়ে তাদের তর্কাতর্কি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে তাদের ভাড়া বাসার সাত তলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারপিট করে লিফটের ফাঁক দিয়ে নিচে ফেলে দেন তারা।
দীপু জানান, অপুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জনকে আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন:‘মানহানিকর’ সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিএসইসি ভবনে এক সংবাদ সম্মলনে এ কথা জানান তার আইনজীবীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘গত ১৩ মে ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি লেখা প্রকাশ করে। ওই লেখায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে হেয় করা হয়। এ কারণে গত ৫ জুন ডেইলি স্টারকে আমরা একটি আইনি নোটিশ পাঠাই। নোটিশে অনলাইনে থাকা লিংক সরিয়ে ফেলতে, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে এবং মানহানিকর ওই রিপোর্টের জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাই।
‘এরপর ৮ জুন ডেইলি স্টার আমাদের আইনি নোটিশের প্রেক্ষিতে তাদের জবাব পত্রিকায় প্রকাশ করে। জবাবে তারা তাদের লেখার স্বপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের নোটিশ মতে তারা লিংক সরিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু এখনও তারা ক্ষমা চেয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেননি এবং ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও প্রদান করেননি। এই কারণে নোটিশে থাকা অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে রিপোর্ট প্রকাশ এবং ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান না করলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে মামলা করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার তাপসের আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব, ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাব্বী ও ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ জুন মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নোটিশে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। অন্য দুইজন হলেন, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও সংশ্লিষ্ট লেখক নাজিবা বাশার।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঘর থেকে মো. শাজাহান নামে একজনের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে নিহতের স্ত্রী বিবস্ত্র হয়ে অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন।
উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ঘাটুরি বটতলা গ্রামে শনিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ জানান, ৫৫ বছর বয়সী শাজাহান শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল নিহতের ১০ বছর বয়সী মেয়ে।
ভোরে মেয়ে মা-বাবার ঘরে গিয়ে বাবাকে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে।
পরে প্রতিবেশীরা এসে ধানক্ষেতে স্ত্রীকে বিবস্ত্র অবস্থায় খুঁজে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এবং নিহতের স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ভাইকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ হাজার ৮০০ গ্রাম কোকেনসহ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
শনিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম।
তার ভাষ্য, জব্দকৃত কোকেনের বাজারমূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ারফ্রেইট সার্কেলে (আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমা জেবিন বলেন, ‘মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা থেকে কাতারের দোহা হয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত সোয়া ১টায় অবতরণ করে। গোপন তথ্য থাকায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ওই প্লেনে সার্চ শুরু করে। এরপর বিমানের ১৮-এ সিটে ভারতের মিজোরামের বাসিন্দা সালমি লালরামধারী নামের যাত্রীকে শনাক্ত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী কোনো প্রকার মাদক বহনের কথা অস্বীকার করেন, কিন্তু যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তার বহনকৃত লাগেজ (নেভি ব্লু রঙের ট্রলি ব্যাগ) স্ক্যানিং ও যাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হলে স্ক্যানিংয়ে মাদকের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। পরে যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম সাদা রঙের কোকেনসদৃশ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়।
‘আটক মাদকজাতীয় পণ্য ড্রাগ কিট টেস্টের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে কোকেন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। যাত্রী অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহৃত ট্রলির মধ্যে লুকিয়ে মাদক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে এনেছেন। আটক নারীকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি মিলেছে বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তবে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জামায়াতের এই দাবি নাকচ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও অনুমতি দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন জানান, শনিবার বেলা ২টায় তাদেরকে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জামায়াত ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে ডিএমপি কমিশনার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সকালে জানাবো।’
সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে- জামায়াতের এমন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আন্দাজ করে নিয়েছে আর কি।’
তাহলে আপনারা কি তাদের সমাবেশের অনুমতি দেননি- প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা তাদেরকে সকালে জানাব। অনুমতি দেব কিনা সেটা সকালে জানানো হবে।’
ডিএমপি কমিশনার এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি পাবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ (শুক্রবার) রাতে অথবা শনিবার সকালে জানানো হবে।’
রাজধানীর ধানমণ্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে পুলিশের জনসচেতনতামূলক পথনাটক ‘মুখোশ’ প্রদর্শনীতে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জামায়াতের অতীত ইতিহাস রয়েছে। তারা পুলিশকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। বিভিন্ন বোমা হামলার ঘটনায় তাদের নাম এসেছে। দীর্ঘদিন তারা প্রকাশ্যে আসেনি। এখন তারা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে চায়।
‘জামায়াত সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করেছে। তারা আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চায়। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য চেয়েছি জামায়াত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে কিনা। আমরা তথ্য পেয়েছি।’
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) রাতে আমার সহকর্মীদের নিয়ে বসব। যদি তাদের সমাবেশের অনুমতি দেই তাহলে সেটা কিভাবে দিতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটুকু ঠিক থাকবে- এসব বিষয় পর্যালোচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তা না হলে আগামীকাল (শনিবার) সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান, শনিবারের প্রোগ্রামের ব্যাপারে ডিএমপি থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে তারা বিষয়টি পজিটিভলি দেখছে। কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য