× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
6 MPs took oath
google_news print-icon

শপথ নিলেন ৬ এমপি

শপথ-নিলেন-৬-এমপি
বিএনপির দলীয় এমপিদের পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়ায় ৬টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১ ফেব্রুয়ারি। তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ীরা শপথ নিয়েছেন। বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

বিএনপির দলীয় এমপিদের পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়ায় ৬টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি।

শপথ নেয়া ছয় সংসদ সদস্যরা হলেন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ এর এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ এর রাগেবুল আহসান রিপু (আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর মু. জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর মো. আব্দুল ওদুদ (আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র)।

সংসদ ভবন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, মো. মুজিবুল হক চুন্নু, শিরীন আখতার, ফখরুল ইমাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Prothom Alo editor wanted to make the country empty of politics Salim Mahmud

সেই সম্পাদকই দেশকে রাজনীতি-শূন্য করতে চেয়েছিলেন: সেলিম মাহমুদ

সেই সম্পাদকই দেশকে রাজনীতি-শূন্য করতে চেয়েছিলেন: সেলিম মাহমুদ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। ফাইল ছবি
সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্য প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, বরং দেশের সংবিধান, আইন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সাংবাদিকতার নীতিমালা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই মামলা হয়েছে।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বিবৃতিতে যে মন্তব্য করেছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান তিনি।

সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্য প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, বরং দেশের সংবিধান, আইন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সাংবাদিকতার নীতিমালা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই মামলা হয়েছে।

আরএসএফ-এর বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সেই বিদেশি সাংবাদিকরা হয়তো বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস জানেন না। বাংলাদেশের যে সম্পাদককে ভয় দেখানোর কথা বলা হচ্ছে, সেই সম্পাদক এক সময় রাষ্ট্রকেই ভয় দেখাতে তৎপর ছিলেন। বাংলাদেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা রাজনীতি শূন্য করতে চেয়েছিলেন। নিজের নামে তার পত্রিকায় ফলাও করে লিখেছিলেন, ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কোনো পত্রিকার সম্পাদক এ ধরনের ভূমিকা পালন করেছে বলে আমাদের জানা নেই। তিনি শুধু রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কিংবা রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেননি, দেশের সর্বোচ্চ আইন ও জনগণের পবিত্র ইচ্ছার প্রতিফলন সংবিধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি সাংবিধানিক শাসনের পথ রুদ্ধ করে অসাংবিধনিক শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

তিনি বলেন, তাদের সেই ষড়যন্ত্র যদি সফল হতো, তাহলে আজ বাংলাদেশের ভাগ্যে কি ঘটতো সেটা আমরা খুব সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারি না। তবে এতটুকু ধারণা করা যায়, সংবিধানবহির্ভূত শক্তির হাতে রাষ্ট্রকে তুলে দিতে মতিউর রহমানদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত হতো।

সেলিম মাহমুদ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের কাছে প্রশ্ন রাখেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় অসংবিধানিক শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে একজন সম্পাদকের এই ধরনের কার্যক্রম কি স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতির মধ্যে পড়ে?

তিনি বলেন, একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে তার নামে একটা সংবাদ পরিবেশন করা, তাও আবার স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা ও কটাক্ষ করে! এটি কি অপরাধ নয়? সাংবাদিক হলেই কি সবাই আইনের ঊর্ধ্বে ?

সেলিম মাহমুদ বলেন, যেসব বিদেশি সাংবাদিক বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, তাদের নিজেদের দেশে কোন একটা শিশুকে যদি এভাবে এক্সপ্লয়েট করা হতো, তারা কি করতো?

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমি তাদের বলব, আইনের চোখে সবার সম অধিকার ও সব ক্ষেত্রে আইনের সমভাবে প্রযোজ্যতার বিধান অনুসরণ করেই প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সেলিম মাহমুদ বলেন, ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোতে একটা শিশুকে বরাত দিয়ে লেখা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করমু।’ ৩০ লাখ শহীদের রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে এরকম অবজ্ঞা ও কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য সমগ্র জাতিকে ব্যথিত করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on journalists at BNPs iftar party in the capital

রাজধানীতে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

রাজধানীতে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা। ছবি: নিউজবাংলা
দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই রূপনগর ও পল্লবী থানার কর্মীরা আপনারা কি সত্যিকারে দলকে ভালোবাসেন? মনে হয় না। তাহলে আজকের এই ঘটনা ঘটতো না। আপনারা অতিথিদেরকে (সাংবাদিক) সম্মান করতে জানেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও শোকাহত।

রাজধানীর পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই রূপনগর ও পল্লবী থানার কর্মীরা আপনারা কি সত্যিকারে দলকে ভালোবাসেন? মনে হয় না। তাহলে আজকের এই ঘটনা ঘটতো না। আপনারা অতিথিদেরকে (সাংবাদিক) সম্মান করতে জানেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও শোকাহত।

তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করবো দয়া করে শৃঙ্খলার সঙ্গে এখানে থাকেন। আমি নিজে দেখেছি, কারা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ফখরুলের বক্তব্যের সময় নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, থামেন আপনারা থামেন। এখানে আওয়ামী লীগের দালালেরা ঢুকে। এখানে সরকারের দালালেরা এসেছে। আমি আবারও সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে ও দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।

এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। আমার কাছে কোন অভিযোগ এখনো আসে নাই।

আরও পড়ুন:
যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই গণতন্ত্র নির্বাসনে: বিএনপি
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
ইসির চিঠি অতীতের মতো ভোট করার নতুন কৌশল: ফখরুল
বিএনপিকে ইসির আমন্ত্রণ হঠাৎ নয়: কমিশনার
বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সিইসির চিঠি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League joint meeting on Saturday

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শনিবার

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শনিবার
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় এ সভা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী, সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের যৌথসভা হবে শনিবার।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় এ সভা হবে।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে সব নেতাকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hawkers complain of extortion against Jobi Chhatra League

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন বলেছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকার হকারদের কাছ থেকে চার মাস ধরে প্রতিদিন দু’বার করে চাঁদা আদায় করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। চাঁদা না দিলে মারধরের শিকার হতে হয় হকারদের।

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমনটা উল্লেখ করে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে কিংবা খালি জায়গায় হকারি করে শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দু’বার দল বেঁধে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়েছে, কোনো হকার দাবিকৃত অংকের টাকা দিতে অপারগ হলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। চার মাস ধরে চলে আসা এই চাঁদাবাজি ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি বহু জায়গায় জানানোর পরও প্রতিকার মেলেনি।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে সদরঘাট এলাকায় আমরা একটি প্রোগ্রাম করতে যাই। সেখানে ওই এলাকার ভুক্তভোগী হকাররা আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে জানিয়েছি।’

হকার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ বলেন, ‘আমরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা ডিএমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠাব। এরপর তিন চারদিন অপেক্ষা করে দেখবো কী পদক্ষেপ নেয়া হয়। সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘কেউ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুললে তার দায়ভার তো আমরা নেব না। ক্যাম্পাসের আশপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘একটা অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়ে দিলেই তো কোনো কিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। চাঁদাবাজির কোনো ভিডিও, রেকর্ডিং তো নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছে। আর তারা আমাদের কারও চাঁদাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League blockade in Shahbagh demanding arrest of Prothom Alo editor

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ ছাত্রলীগের

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ ছাত্রলীগের দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রলীগ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালালরা বাসন্তি-কাণ্ডসহ নানা উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রথম আলোর নিউজে আমরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখলাম। ১০ টাকায় শিশুকে দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী।’

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে জাকির-কাণ্ডের হুতা এবং গুজববাজ আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি চলে।

এ সম্পূর্ণ সময় শাহবাগ মোড়ের আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেককে হেঁটে মোড় পার হয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রায় সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে তাদের অবরোধ থেকে সরিয়ে নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক অমি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের বাসন্তী-কাণ্ডের মতো জাকির-কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। প্রথম আলোর মতো যারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তাদেরকে আমরা বয়কট করতে চাই। আমরা রাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই, কেন তারা বার বার এটি করার পরও পার পেয়ে যাচ্ছে? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।’

অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে এক ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য এই প্রোগ্রামটা করছি। তাদের যেন পরবর্তীতে ভুয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই আমাদের আজকের এই প্রোগ্রাম।

‘আমরা চাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি গণমাধ্যম আমাদের সামনে প্রকাশ করুক। কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি কোনো গুজব ছড়ানো হয় তাহলে আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত।’

অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালাল যারা তারা বাসন্তি-কাণ্ডসহ নানা উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। সবশেষ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম আলোর নিউজের মাধ্যমে আমরা একই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি দেখলাম।

‘দশ টাকায় শিশুকে দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী। যারা এটি করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ছাত্রদের এই দাবির সঙ্গে আমরা একমত।’

আরও পড়ুন:
শজিমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮
‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল
কোমরে পিস্তল নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতা
জাবিতে ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Announcement of fresh elections to remove the stigma of the Supreme Court Bar

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
তলবি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে অ্যাডহক কমিটি।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কলঙ্কজনক উল্লেখ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এ তলবি সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বলা হয়, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী অফশন ফরম বিতরণ করে ১৫ মে’র মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি বারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এ অবস্থাটা কী করে হল। অতএব, সেজন্য সুপ্রিমকোর্ট বারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে যারা কলঙ্ক লেপন করেছেন, তাদের সম্পর্কে নোটিশ দেয়া দরকার। আর এই কলঙ্ক মোছার কাজটা অতি সত্বর করা প্রয়োজন বলে কি আপনারা সবাই মনে করেন না?

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমাদের ডিগনিটি অফ দ্য ল’ইয়ার (আইনজীবীদের মর্যাদা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্যই আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আশা করি সেই সঙ্কট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন করতে পারব।’

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর হলরুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ বহু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দেন তলবী সভা আহ্বানকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।

সভায় সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বারের রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

এছাড়া কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে- সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।

সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

রেজুলেশনে বলা হয়েছে- তলবি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধু সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে।

প্রসঙ্গ, ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন।

এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দাবি, তারা এই ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। দুই দিনব্যাপি ভোট গ্রহণ শেষে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা জয়ী হন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবি সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।

আরও পড়ুন:
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট শুরু বুধবার
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভোট বর্জন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Journalist arrests and cases reveal characteristics of anarchic state JSD

সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলায় অরাজক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে: জেএসডি

সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলায় অরাজক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে: জেএসডি আ স ম আবদুর রব ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। ফাইল ছবি
‘সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করা সংবিধানের সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার ক্ষমতার দম্ভে সংবিধান মেনে চলাকে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রেপ্তারের মাত্রা ও ব্যাপ্তি আরও দৃশ্যমান হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনীতিতে সরকার বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারকে অরাজকতাপূর্ণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ বলে উল্লেখ করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সংবিধান বা আইন অমান্য করে রাষ্ট্র পরিচালনা করায় অরাজকতাপূর্ণ রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছে। জনগণকে সহিংসতা থেকে বা বেআইনি আচরণ থেকে রক্ষা করতে না পারাটাই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আরও একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা হলো- সরকার কর্তৃক সংবিধান, আইন-কানুন, বিধি-বিধান অহরহ লঙ্ঘন করা এবং ভিন্নমতের ওপর অব্যাহতভাবে আইনের অপপ্রয়োগ করা। এসবই গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের ওপর আক্রমণের শামিল।’

তারা বলেন, ‘সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করা সংবিধানের সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার ক্ষমতার দম্ভে সংবিধান মেনে চলাকে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রেপ্তারের মাত্রা ও ব্যাপ্তি আরও দৃশ্যমান হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনীতিতে সরকার বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রথম আলো সম্পাদকসহ অন্যদের নামে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানান।

আরও পড়ুন:
সরকারের দোসরদের দেশ ছাড়তে দেয়া হবে না: রব
ইসির সংলাপে যাবে না রবের জেএসডি
দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: আ স ম আব্দুর রব

মন্তব্য

p
উপরে