× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
7 injured in two way clash between three groups of BCL in Chabi
google_news print-icon

চবিতে ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭ 

চবিতে-ছাত্রলীগের-তিন-গ্রুপের-সংঘর্ষে-আহত-৭ 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন উপগ্রুপের মধ্যে দ্বিমুখী সংঘর্ষ । ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন উপগ্রুপের মধ্যে দ্বিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন গ্রুপের ৭ কর্মী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের সঙ্গে সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীদের যৌথভাবে সংঘর্ষ শুরু হয়।

বিবাদমান গ্রুপগুলো হলো শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন, সিএফসি ও বিজয়। সিক্সটি নাইন গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি। সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সংঘর্ষের সময় সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহ জালাল হলের সামনে ও ভিতরে, সিএফসি কর্মীরা শাহ আমনের ভেতরে এবং বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী মোড়ে অবস্থান নেয়। সিক্সটি নাইন ও বাকি দুই গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় গ্রুপগুলোর নেতা-কর্মীদের।

পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম রাত পৌনে ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে রাত সাড়ে চারটার দিকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় তিন পক্ষ। সোয়া পাঁচটায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের একটি চায়ের দোকানে বসে ধূমপান করছিলেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক কর্মী ৷ তখন সেখানে পাশের একটি টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিজয় ও সিএফসির তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন কর্মী ৷

একপর্যায়ে ধূমপানের ধোঁয়া ছড়ালে সিএফসির এক কর্মী প্রতিবাদ করেন ৷ তিনি ধূমপানকারীর শিক্ষাবর্ষ জানতে চান। পরে সিক্সটি নাইনের ওই কর্মী নিজেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে সিএফসির কর্মী তার ওপর চড়াও হন ৷ জুনিয়র হয়ে কেন এভাবে প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন এসব নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়ান ৷

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তৈয়ব জানান, সংঘর্ষে সাতজন মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খান বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে স্টেশন তলায় (চায়ের দোকান) আমাদের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা মারধর করে ৷ পরবর্তীতে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের বিজয় গ্রুপের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়। আমরা আমাদের ছেলেদের হলে ঢুকিয়ে দিই। কিন্তু ভোররাতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।’

বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘সেক্রেটারির ছেলেরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলা করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সিঁধ কেটে মা ও দুই সন্তানকে কোপাল দুর্বৃত্তরা
ফের আন্দোলনে চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা
ছাত্রলীগ কর্মীর চাকরি না হওয়ায় চবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর
চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষ
শর্ত সাপেক্ষে ক্লাসে ফিরছেন চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা 

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dont create new Vaishyam in the name of reforms Gayeshwar
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর নগরীর শিববাড়ী মোড়ে মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গয়েশ্বর রায়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যেসব সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যতটুকু সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শোভাযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন।

সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হওয়ার সমালোচনা করেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেন এতোদিনেও প্রত্যাহার করে নিলেন না।

‘গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করবেন না।’

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬ দিনের হিসাবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু জনগণ এখনও গণতন্ত্র ফেরত পায়নি।

‘ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এতোদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত।’

আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। এর ফল ভালো হবে না।

‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধূলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গেল ১৬ বছরে খুলনার খালিশপুরে বন্ধ সব পাটকল চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা দেশে আবারও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও গণহত্যা চালাতে না পারে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘সংগ্রাম কিন্তু শেষ হয়নি। সব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করি। এই সরকারের ব্যর্থতা মানে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের দিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

নগরীর শিববাড়ী মোড়ে জিয়া হলের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর (খান এ সবুর) রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরিঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

দুপুর গড়াতেই বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ নেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The former woman councilor complained of being accused in the case for the purpose of harassment

হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় আসামি করার অভিযোগ সাবেক নারী কাউন্সিলরের

হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় আসামি করার অভিযোগ সাবেক নারী কাউন্সিলরের ঝালকাঠি সদরের নেছারাবাদে নিজ বাসায় মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মোসাম্মৎ সীমা। ছবি: নিউজবাংলা
উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক কাউন্সিলর বলেন, ‘ওই মিছিলে হামলার ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত ছিলাম না। আমি ২০২১ সালে কাউন্সিলর পদে পরাজিত হওয়ার পর সকল ধরনের দলীয় কর্সসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা সদর থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটিতে আমাকে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানির করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’

হয়রানি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝালকাঠি সদর থানায় হওয়া মামলার আসামির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মোসাম্মৎ সীমা।

সকালে পৌর এলাকার নেছারাবাদে নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সীমা বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ শান্তিপ্রিয় গৃহিণী। আমার স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। ২০১৬ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার সংরক্ষিত (৪, ৬ এবং ৭ নং ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই।

‘২০২১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী কেন্দ্র দখল করে আমাকে নির্বাচিত হতে দেয়নি। সেই থেকে আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন করতে থাকি। আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পাই বিগত ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালনকালে ঝালকাঠিতে বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯৩ জন নেতা-কর্মীর নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হযেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, ঝালকাঠি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাম্মৎ মুক্তা বেগম এ মামলাটির বাদী হয়েছেন, কিন্তু এই মামলায় আসামির তালিকায় আমার নাম দেয়া হয়েছে, যা শতভাগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক এবং মিথ্যা অপবাদ। মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারী। ওই সময় আমি আমার কন্যার বিবাহ নিয়ে বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ১৫ জানুয়ারি আমার কন্যাকে তুলে দিই। একই সাথে আমি আমার নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করি।’

উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক কাউন্সিলর বলেন, ‘ওই মিছিলে হামলার ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত ছিলাম না। আমি ২০২১ সালে কাউন্সিলর পদে পরাজিত হওয়ার পর সকল ধরনের দলীয় কর্সসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা সদর থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটিতে আমাকে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানির করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী আমাকে চেনেন না এবং আমিও তাকে চিনি না। তার সাথে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় বা শত্রুতা নাই। আমি এ ধরনের মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

‘সত্য সমাগত ও মিথ্যা অপসারিত; আজ বা কাল প্রতীয়মান হবেই হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সাময়িক ভোগান্তিতে ফেললেও প্রশাসনের সঠিক তদন্তে সত্য একদিন উম্মোচিত হবে বলে আমি আশা রাখি।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠির ৯ ইউপিতে দায়িত্ব পেলেন যারা
পেয়ারা বাগান ঘুরতে এসে উচ্চ শব্দে গান, জরিমানা গুনল শিক্ষার্থীরা
ঝালকাঠিতে ‘জমির বিরোধে’ কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
মধ্যরাতে কাউন্সিলরের বাসায় ‘প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীদের’ হামলা, চারজন আহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kabir Young Columnist Forum led by Rajeev Masum

রাজীব-মাসুমের নেতৃত্বে কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

রাজীব-মাসুমের নেতৃত্বে কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরাম মোহাম্মদ রাজিব ও মাসুম আল হোসাইন। কোলাজ: নিউজবাংলা
তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়েছে। নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজীবকে সভাপতি এবং ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল মাসুম হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।

বর্তমানে দেশের সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংগঠনের কার্যক্রম চলমান।

আরও পড়ুন:
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কুবির দায়িত্বে অধ্যাপক জাকির ছায়াদউল্লাহ
কুবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
কুবিতে গায়েবানা জানাজায় ইমামের ‘না’
কুবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
কুবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Manik is not getting bail in the case of trying to enter India

ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা মামলায় জামিন, কারামুক্তি মিলছে না মানিকের

ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা মামলায় জামিন, কারামুক্তি মিলছে না মানিকের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: ইউএনবি
গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় একটি জঙ্গল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, তবে অন্য মামলা থাকায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।

মানিককে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদালতে তুলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে মানিকের আইনজীবী আদালতে এ মামলায় জামিন আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করে আদালত, তবে তার নামে অন্য মামলা থাকায় সিলেট কারাগারেই রাখা হচ্ছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।

সিলেট সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জমশেদ আলী জানান, সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে আনা হয়।

গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় একটি জঙ্গল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের নামে কানাইঘাট থানায় মামলা করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের মামলায় মানিকের আদালতে হাজিরার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।

গত ২৪ আগস্ট আদালতে নেয়ার সময় বিচারক মানিককে মারধর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন শামসুদ্দিন মানিক। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর মানিককে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
নড়াইলে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা
ফাইয়াজ হত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কর্তন
নোয়াখালীতে সাবেক এমপি একরামসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jatrabari police station former OC Abul Hasan arrested in Teknaf

টেকনাফে গ্রেপ্তার যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান

টেকনাফে গ্রেপ্তার যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহত করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের একটি দল কক্সবাজারে আসছে। তারাই আবুল হাসানকে ঢাকা নিয়ে যাবে।

নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের নামে এ মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। সে সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।

বিক্ষোভের সময় ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়েন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের শাটার টেনে দেন, কিন্তু শাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করেন।

গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেন। জাকির গুলি করেন। বিনা চিকিৎসায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাইমের।

আরও পড়ুন:
ডিএমপির ২৫ থানায় নতুন ওসি
ডিএমপির আরও ১৫ থানায় নতুন ওসি
ডিএমপির ১৩ থানায় নতুন ওসি নিয়োগ
সব থানার কার্যক্রম শুরু, লুট হওয়া ৫৩৪ অস্ত্র উদ্ধার
দেশের প্রায় সব থানায় কার্যক্রম শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Women garment worker killed in clash in Ashulia

আশুলিয়ায় সংঘর্ষে নারী পোশাকশ্রমিক নিহত

আশুলিয়ায় সংঘর্ষে নারী পোশাকশ্রমিক নিহত সংঘর্ষে প্রাণ হারানো রোকেয়া বেগমের পরিচয়পত্র, যিনি মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সকালে মাসকট কারখানার শ্রমিকরা তাদের সামনের সম্ভবত রেডিয়্যান্ট নামের একটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে এক নারী শ্রমিক নিহত হন।

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মঙ্গলবার সকালে দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়েছে।

এ ঘটনায় এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার সামনে ওই ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো রোকেয়া বেগম মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, আজ সকালে মাসকট গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানার বাইরে চলে আসেন। ওই সময় তাদের কারখানার সামনে রেডিয়্যান্ট গার্মেন্টসের কাজ বন্ধ করতে মাসকট কারখানার শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই গার্মেন্টসের শ্রমিকরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। ইটপাটকেলের আঘাতে মাসকট কারখানার রোকেয়া বেগমের মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হন। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সকালে মাসকট কারখানার শ্রমিকরা তাদের সামনের সম্ভবত রেডিয়্যান্ট নামের একটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ওই সময় ইটপাটকেলের আঘাতে এক নারী শ্রমিক নিহত হন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশসহ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

আরও পড়ুন:
পোশাক শ্রমিকদের উসকানির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আশুলিয়ায় তিন কারখানায় লুটপাট, ৫০টিতে ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় আবারও ৩০ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা
বহিরাগত আন্দোলনকারীদের বাধায় ৪৫ পোশাক কারখানা বন্ধ
নিরাপত্তার আশ্বাসে সব পোশাক কারখানা খুলছে বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi tourist arrested for posting anti India posts visa canceled

ভারতবিরোধী পোস্ট দেয়ায় বাংলাদেশি পর্যটক আটক, ভিসা বাতিল

ভারতবিরোধী পোস্ট দেয়ায় বাংলাদেশি পর্যটক আটক, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবক আলমগীর শেখ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আগ্রায় তাজমহলে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবক আলমগীর শেখ ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’

ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ও লাইভে এসে ভারতবিরোধী কথা বলায় আলমগীর শেখ নামে এক যুবককে আটক করে ভিসা বাতিল করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: ইউএনবি

আলমগীর শেখ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান আলমগীর। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। বিষয়টি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নজরে এলে তারা আলমগীরকে চিহ্নিত করেন।

চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর ভিসা বাতিল করে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রায় তাজমহলে ঘুরতে গিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই।’

এছাড়াও লাইভে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্তসহ চারজন সীমান্তে আটক
ভারতে পালানোর সময় আটক সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী
নেত্রকোণার সাবেক পৌর মেয়র বিমানবন্দরে আটক
পালানোর সময় সিলেট সীমান্তে ভাইসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক

মন্তব্য

p
উপরে