ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের রসুলপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় তার পায়ুপথে অস্বাভাবিকতার চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। এই শিশু শিক্ষার্থী কারও দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সোমবার রাতে তাকে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে মধ্যরাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত ১৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতেন কামরাঙ্গীর চরে নুরিয়া মাদ্রাসায়। এই মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়ে গত শুক্রবার ওয়াজ মাহফিলে পাগড়ি পান। পাগড়ি গ্রহণ শেষে সে বাসায় ফেরে। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী বাসাতেই ছিল।
কামরাঙ্গীর চর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, গতকাল ওর মাদ্রাসার যাওয়ার কথা। কিন্তু যেতে চাইনি। রাতে একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ ভেতরে থাকলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। ভেতরে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশু শিক্ষার্থীর পায়ুপথে অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আত্মহত্যা করলে পায়ুপথে বীর্য ও মল আসে। এই ভিকটিমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর বাইরে তার পায়ুপথ স্ফিত ছিল। যেটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছি। ডাক্তার কোনো কিছু জানাননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
এ ঘটনায় এরইমধ্যে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে, তবে তদন্তে যৌন নির্যাতন বা অন্য কিছু পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর।
দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্তি জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।
‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’
এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মধ্যবাড্ডার একটি বাসার টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মৃত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক।
ইমতিয়াজ আহমেদ আদরকে (২২) বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আদর রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি আইইউবিএটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেম করে বিয়ে করি। আমার স্বামী উত্তরার আইইউবিএটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে না নেয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিল সে।
‘আজ ভোরে বাথরুমে গ্রিলের সঙ্গে কাপড় দিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দেয় আদর।’
তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীরা আদরকে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের স্ত্রী জানান, আদরের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেআইনি অগ্রাধিকার দেয়াসহ পাসপোর্ট অফিসে অনিয়ম ও ভোগান্তি বন্ধ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালকের কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব।
চিঠিতে সপরিবারে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নিজ ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন তিনি।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গত বুধবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পাসপোর্টের জন্য আসা যেকোনো মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেআইনি অগ্রাধিকার দেয়া তথা যেকোনো অনিয়ম বন্ধ করার পাশাপাশি সেবাপ্রার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথা বাতিল করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টোকেন সিস্টেম চালু করা, ডিজিটাল বোর্ডে সিরিয়াল প্রদর্শনের সুযোগ, মানুষের বসার ব্যবস্থা ও বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ছাড়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য ও সমান নিয়ম চালু করতে হবে, যাতে কোনো ব্যক্তিবিশেষ অবৈধ সুবিধা গ্রহণের সুযোগ না পান।
এসব কার্যক্রম হাতে নিয়ে গৃহীত ব্যবস্থা লিখিতভাবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।
অন্যথায় মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করেন নোটিশকারী আইনজীবী।
আইনজীবীর অভিজ্ঞতা
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, ‘গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরিবারের সদস্যদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার জন্য বেলা একটায় উপস্থিত হই। লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে ৩টার দিকে সিরিয়াল পাই। সিরিয়াল পেয়ে পুনরায় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সকল কাগজপত্র অফিসার দ্বারা ভেরিফিকেশন করিয়ে নিই। এরপর পুনরায় একটি কক্ষে সিরিয়াল দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করি।’
পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের উদ্দেশে এই আইনজীবী বলেন, ‘আপনার অফিসের সার্বিক অব্যবস্থাপনা আমাকে দারুণভাবে কষ্ট দিয়েছে। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে যেকোনো সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ও স্মার্টলি প্রদান করা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অনেক অফিস ও বেসরকারি ব্যাংক ও বিমা অফিসে কেউ সেবা নিতে আসলে তাদেরকে টোকেন প্রদান ও ডিজিটাল বোর্ডে/স্ক্রিনে সিরিয়াল দেখানোর মাধ্যমে সেবার অগ্রগতি নিশ্চিত করা হয়। প্রচলিত আইন, বিধি ও সিটিজেন চার্টারে অনুসারে সহজলভ্য ও ভোগান্তিহীন পাসপোর্ট পাওয়া আমার ও আমার মতো সাধারণ নাগরিকদের জন্য অনেক দুর্লভ ও ভোগান্তিকর বিষয়।’
ওই আইনজীবী বলেন, “আনসার সদস্যগরা হ্যান্ড মাইকে প্রচার করে আসছিল যে, ‘আপনারা সকলে লাইনে দাঁড়ান ও কোনো দালালকে টাকা দিবেন না।’ এ ঘোষণা হতেই স্পষ্ট, মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সিরিয়াল নিতে হয় এবং সেখানে দালালের দৌরাত্ম্য রয়েছে। আমরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল নেয়া, কাগজপত্র দেখানো, ফিঙ্গার দেওয়া ও ছবি তোলার কাজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে করেছি তখন অনেক মানুষকে কোনো লাইন না ধরে কিংবা অন্য নিয়ম না মেনে সরাসরি ফিঙ্গার দেয়া ও ছবি তোলার রুমে গিয়ে দ্রুত কাজ সেরে চলে গিয়েছেন। যেকোনো নাগরিক উপরোক্ত যেকোনো কাজের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গেলে সাথে সাথেই যাতে একটি সিরিয়াল টোকেন নিজে পাঞ্চ করে হাতে নিতে পারেন কিংবা স্টাফের মাধ্যমে পেতে পারেন এবং ডিজিটাল বোর্ডে যাতে সুনির্দিষ্ট বুথ নং প্রদর্শন করে সিরিয়াল ও সময় পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা দুরূহ কোনো কাজ নয়। তাতে মানুষের শারীরিক উপস্থিতি কমে।”
আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, ‘এত বড় অফিস ভবন, অথচ সুনির্দিষ্ট রুমসমূহের সামনে বসার স্থান না দিতে পারাটা সত্যিই দুঃখজনক বিষয়। সেখানে অবস্থানকাল পাঁচ ঘণ্টা সময়ে দেখিনি যে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবা সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ছবি তোলা কিংবা আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:ধর্ষণসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা প্রযোজক রহমত উল্লাহর নামে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালতে এই মামলা করেন তিনি।
শাকিবের মামলায় রহমতের নামে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে আনা হয়েছ।
আদালত মামলার পর শাকিবের জবানবন্দি রেকর্ড করে রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেছে।
এই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে এর আগে শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার শাকিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মানহানির অভিযোগ এনে সময় বেধে দিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, শুটিংয়ের সময় শাকিবের বিরুদ্ধে এক সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে ১৬ মার্চ বৈঠক করেন শাকিব খান। এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে ওই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহার অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ধর্ষণসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা প্রযোজক রহমত উল্লাহর নামে মামলা করতে ঢাকার আদালতে উপস্থিত হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৌঁছান তিনি।
ওই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে এর আগে শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার শাকিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মানহানির অভিযোগ এনে সময় বেধে দিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, শুটিংয়ের সময় শাকিবের বিরুদ্ধে এক সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে ১৬ মার্চ বৈঠক করেন শাকিব খান। এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে ওই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহার অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:সারা দেশের মহাসড়কে রয়েছে ৮৮৩টি বিপজ্জনক বাঁক। তাতে এসব পয়েন্টে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। এসব বাঁকে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ও পথচারী।
মহাসড়কে বিগত ১০ বছরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এসব বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে মহাসড়কের ওই অংশ সোজা করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে।
তথ্যমতে, ৮৮৩টি বাঁকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৪টি বাঁক রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের মাদারীপুর রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতায় রয়েছে মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বরিশাল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা, যশোর ও নড়াইল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে বগুড়া রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতাধীন বগুড়া, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে ২৪৮টি।
এর বাইরে কুমিল্লা রিজিওনে ১৮১টি ও সিলেট রিজিওনে ১২৬টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। এই মরণফাঁদ সবচেয়ে কম রয়েছে গাজীপুর রিজিওনে। এখানকার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকের সংখ্যা ৬৪টি।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দীন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় মহাসড়কের বাঁকগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। সে অনুযায়ী কাজও হচ্ছে। এসব বাঁকে যে রেগুলার দুর্ঘটনা ঘটছে এমনটা নয়। তবে এই স্পটগুলোতে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কোনোটাতে কম ঝুঁকি, কোনোটাতে বেশি।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কিছু সড়কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ হয়েছে। আরিচা মহাসড়কে কাজ হয়েছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রোড প্রশস্ত করা এবং সার্ভিস লেন করার মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এভাবে ঝুঁকি কমানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সচেতনতার পাশাপাশি মহাসড়ককে বাঁকমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে অভিমত গবেষকদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘মহাসড়কের এসব বাঁক বছরের পর বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাঁক সোজা করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বাঁকই আগের মতোই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়ে গেছে। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনার হার বাড়ছে।
‘পাশাপাশি অনেক যানবাহনের ফিটনেস না থাকার পরও তারা মহাসড়কে বেপরোয়া। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তদন্তে ফিটনেস ফেইলের তথ্য বেরিয়ে আসে।’
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, বরিশাল থেকে মহাসড়ক ধরে গৌরনদী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে একজন চালককে অতিক্রম করতে হয় চারটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এসব বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের অবস্থান চিহ্নিত করা যায় না। চালক যখন বুঝতে পারেন ততক্ষণে ঘটে যায় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সারাদেশে এ ধরনের ৮৮৩টি বাঁক রয়েছে।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুর্ঘটনাপ্রবণ বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করার কাজটিও করে থাকে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, বরিশাল থেকে ভুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে অন্তত দুই ডজন। এর মধ্যে কাশিপুরের বন বিভাগ ও সমবায় ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা, গড়িয়ারপাড়ের জননী পেট্রোল পাম্প ও কলাডেমা, ক্যাডেট কলেজ, রহমতপুর সেতুর ঢাল, বিমানবন্দর মোড়, দোয়ারিকা ব্রিজের ঢাল, জয়শ্রী, গৌরনদীর প্রবেশপথ, বামরাইল স্কুল সংলগ্ন, বাটাজোড়, আশুকাঠি, টরকি বাজার, কটকস্থল, বার্থি ও ভুরঘাটা সেতুর আগে বিপজ্জনক এসব বাঁক রয়েছে।
বিপজ্জনক বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলেও মনে করে হাইওয়ে পুলিশ। গত এক বছরে সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে মাদারীপুর রিজিওনে। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে কুমিল্লা, গাজীপুর, সিলেট ও বগুড়া রিজিওন।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এইচ আর অ্যান্ড মিডিয়া) মো. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। বাঁকগুলো সম্পর্কে আশপাশ এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহনের চালকদের নিয়েও সভা করা হয়েছে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি এখনও পালন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত ও দু’জন আহত হয়েছে। নিহত থমচু বম রামথার পাড়ার কারবারি। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গম রামথার কারবারি পাড়ায় জুমে যাচ্ছিলেন থমচু বম ও তার ছেলে। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘রামথারপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মন্তব্য