× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Prime Minister condoles earthquake casualties in Turkey and Syria
google_news print-icon

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক

তুরস্ক-ও-সিরিয়ায়-ভূমিকম্পে-হতাহতের-ঘটনায়-প্রধানমন্ত্রীর-শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এই শোক বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ পাশে আছে। তার সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

আরও পড়ুন:
তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃত্যু ঠেকতে পারে ১০ হাজারে
তুরস্কে জরুরি সহায়তা পাঠাতে চায় ইসরায়েল
৮০ বছর আগেও এভাবে কেঁপেছিল তুরস্ক, প্রাণ যায় ৩০ হাজার
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক সিরিয়ায় ৫ শতাধিক মৃত্যু
ভূমিকম্প: তুরস্ককে যেকোনো সহায়তায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The reason for the load shedding was given by the Minister of State for Power

লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
সরকার খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে ফেসবুক পোস্টে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

চলমান লোডশেডিং কেন হচ্ছে তার কারণ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।

পোস্টে তিনি বলেছেন, তীব্র গরম এবং সেইসাথে লোডশেডিংয়ের কারণে সবার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কারোরই কাম্য নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশকিছু কারণ আছে, যা সবার জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অজানা নয়, করোনা মহামারির ধাক্কা, পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, সেইসাথে প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যে সংকট এখনও চলমান।

‘অন্যদিকে, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি যথা গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল আমদানিতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানের এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং।’

‘তবে আমরা খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি’ বলে পোস্টে জানান তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ২০০৮ সালেও দেশের মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেতেন, সেখানে আজ শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে যা, বিশেষ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনা।

‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতি ও সকল ধরনের উৎপাদনে অভাবনীয় গতি এসেছে। এতে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগত এক যুগে আমরা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি ৫ গুণেরও বেশি।

‘বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭,৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)। ফলে উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের নজিরবিহীন উর্ধ্বগতির কারণেই আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছি।’

পোস্টে তিনি সর্বোপরি জনগণের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। সে সঙ্গে তিনি এ পরিস্থিতি সাময়িক, খুব দ্রুতই আমরা ভালো অবস্থায় ফিরে আসবো বলে আশ্বস্ত করেন।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের আগে সারা দেশে দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।’

‘আশা করি আপনাদের সেই আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সবাই মিলে আমরা দ্রুততম সময়ে এই ভোগান্তি পাড়ি দিতে সমর্থ হবো’, জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
সময় এখন হাতপাখার
লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ
ধানের বাজারে লোডশেডিংয়ের প্রভাব
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Finally the OC of Belkuchi police station was withdrawn

অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি প্রত্যাহার

অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি প্রত্যাহার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সদ্য সাবেক ওসি আসলাম হোসেন। ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে নতুন ওসি হিসেবে খায়রুল বাশারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

একের পর এক জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলায় ঘটনায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে তাকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহারের পর বেলকুচি থানার নতুন ওসি হিসেবে খায়রুল বাশারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেলকুচির পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় রোববার মানববন্ধন করেন জনপ্রতিনিধিরা।

এ সময় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ বলেন, ‘প্রায় ৬ মাস আগে বেলকুচি থানার ওসির দায়িত্বে আসেন আসলাম হোসেন। এর পর থেকে বেলকুচি উপজেলায় ৬ জন জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। উপরন্তু আমাদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের এই সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার না করা হলে জনপ্রতিনিধিরা কলম বিরতিতে যাবেন।’

আরও পড়ুন:
দলে ফিরেই এমপির রোষানলে মেয়র!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
School student raped by batasa in Kabiraj Jail

বাতাসা খাইয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ, কবিরাজ কারাগারে

বাতাসা খাইয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ, কবিরাজ কারাগারে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কাইয়ুম শেখের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। কবিরাজ আঁচিল তোলার চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাতাসা খেতে দেন।

বাতাসা খাইয়ে অচেতন করে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে কাইয়ুম শেখ নামে এক কবিরাজ গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার ভোরে ফকিরহাট থানা পুলিশের একটি দল জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

৪৫ বছর বয়সী কাইয়ুম শেখ ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মতলেব শেখের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কাইয়ুম শেখের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। কবিরাজ আঁচিল তোলার চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাতাসা খেতে দেন। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে অভিযুক্ত কাইয়ুম শেখের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীমুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামী কাইয়ুম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবকের নামে মামলা
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুর মৃত্যু, অভিযুক্ত আটক
মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
ধর্ষণ মামলায় আ.লীগ নেতা বড় মনির কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Next election will be a challenge Sheikh Hasina

আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জের হবে: শেখ হাসিনা

আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জের হবে: শেখ হাসিনা সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয় তখনই কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা।’

আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জের হবে মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ, কারণ নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়।

সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনই এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।

‘যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে- তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে; তারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’

নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট চুরি করা তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্র হরণ করা তাদের রেকর্ড। ওদের মুখেই এখন আবার আমরা গণতন্ত্র শুনি!

যারা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। চুরি করা যাদের অভ্যস, সেই চোরদের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনে ১ কোটি ২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করতে গেছে। তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।’

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন কারাবরণ, অত্যাচার-নির্যাতন, তারপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধাহত হয়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ- এখানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা, জয় বাংলা মুছে ফেলা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা- অনেক অপকর্মই করা হয়েছে। আসলে সত্য এক সময় না এক সময় উদ্ভাসিত হবেই। সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আজকে সেটাই হয়ে গেছে।

‘৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে।’

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি এই ১৪ বছরে। ২০০৮ এ সরকারে আসার পর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই বাংলাদেশের এই উন্নতিটা সম্ভব হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে আমাদের স্থায়ী করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে। সংগঠনের শক্তিশালী নীতিমালা আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, একটা পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে, জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ রক্ষায় গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
অভাব বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
রেল দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চিলাহাটি এক্সপ্রেস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lose weight in load shedding

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন হারিকেনের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বাগেরহাটের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাট শহরের ব্যবসায়ী দিপক সাহা বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিংয়ে আমরাও কষ্টে আছি। তবে হাতপাখা ও হারিকেনের চাহিদা অভাবনীয় হারে বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে এক থেকে দুটি হাতপাখা, হারিকেন ও চেরাগ (কুপি) বিক্রি হয়েছে, সেখানে দিনে ১০ থেকে ১৫টি হারিকেন ও চেরাগ বিক্রি হচ্ছে।’

সারা দেশের ন্যায় তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত বাগেরহাট জেলাবাসীর প্রাণ। মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। একদিকে গরমে ফ্যান বন্ধ, অন্যদিকে রাতে অন্ধকার। সব মিলিয়ে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে জেলার মানুষ।

সোমবার বিকেল ৩টায় বাগেরহাটে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে মোংলা আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী সাতদিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি হলে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ।

এদিকে, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের।

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাগেরহাটের মানুষের। ছবি: নিউজবাংলা

রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত ও সঙ্গে লোডশেডিং থাকায় ভোগান্তির মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র গরম ও রোদের তাপে কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না।

এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে বেচাকেনা বেড়েছে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে। জেলার হারিকেন, কুপি ও হাতপাখার দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করার মতো।

মাত্রই যাত্রী নামিয়ে গরমে দরদর করে ঘামছিলেন রিকশাচলক করিম শেখ। তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। রিকশার হ্যান্ডেলের সাথে ছাতা বেঁধে কোনোমতে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি। কিন্তু গরম কি আটকানো যায়!

‘পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি। কারণ একদিন ইনকাম না হলে পরেরদিন আমাকে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
লোডশেডিংয়ে অভাবনীয় হারে বিক্রি বেড়েছে হারিকেন ও কুপির দোকানগুলোতে। ছবি: নিউজবাংলা

শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার বাসিন্দা আলম শেখ বলেন, ‘এত গরম আমার জীবনে দেখিনি। সে সঙ্গে কষ্ট আরও বাড়িয়েছে লোডশেডিং। ঘরে ও রাস্তায় কোথায়ও দাঁড়াতে পারছি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারবার গোসল করেছি। তাতেও শান্তি পাচ্ছি না।’

বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিপক সাহা বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিংয়ে আমরাও কষ্টে আছি। তবে হাতপাখা ও হারিকেনের চাহিদা অভাবনীয় হারে বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে এক থেকে দুটি হাতপাখা, হারিকেন ও চেরাগ (কুপি) বিক্রি হয়েছে, সেখানে দিনে ১০ থেকে ১৫টি হারিকেন ও চেরাগ বিক্রি হচ্ছে।’

লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
গরম বাড়ায় রমরমিয়ে ব্যবসা করছেন হাতপাখা দোকানী লক্ষ্মী রানী সাহা। ছবি: নিউজবাংলা

নাগেরবাজার এলাকার হাতপাখা দোকানী লক্ষ্মী রানী সাহা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে হাতপাখার এমন চাহিদা দেখিনি। আমার দোকানে যত হাতপাখা ছিল সব বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন করে হাতপাখার অর্ডার দিয়েছি। বেচাকেনা অনেক ভালো।’

আরও পড়ুন:
সময় এখন হাতপাখার
লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ
ধানের বাজারে লোডশেডিংয়ের প্রভাব
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will talk to the congressmen who wrote to Biden

বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার

বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘৬ মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন। আবারও একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এমন কিছু এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।’

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার। আর কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন। আবারও একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এমন কিছু এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি দেয়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এখানে তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্যতা আছে। আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলব। শুধু তাই নয়, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের সবাইকে নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাব।’

যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ আরও কিছু দেশ ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে- এমন গুজবের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সবই প্রপাগান্ডা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরও বাড়বে। সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে সচেতন থাকতে হবে।’

শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ২৫ মে জো বাইডেনকে চিঠি দেন ৬ জন কংগ্রেস সদস্য। চিঠিতে কিছু বাড়তি কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও। কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে যে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।

‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’

বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন- বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিদেশে কারও কাছে ধরনা দিয়ে বা কারও চাপে পড়ে বা কারও সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে– এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’

সম্প্রতি ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশকে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রীষ্টের জন্মের তিন শ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ণ করা হয়েছে মানুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি।’

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ কেন, প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৪ ক্ষেত্রে জড়িতদের পরিবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায়: ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আ.লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বৈঠক
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি: পিটার হাস
নির্বাচনে অনিয়ম হলে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি দেয়ার কে: পরিকল্পনামন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Raw and cooked fish and meat together are fine in restaurant fridges

কাঁচা ও রান্না করা মাছ-মাংস একসঙ্গে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে, জরিমানা

কাঁচা ও রান্না করা মাছ-মাংস একসঙ্গে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে, জরিমানা সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরেরে স্বপ্নচূড়া রেস্টুরেন্টে যৌথ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর। ছবি: নিউজবাংলা
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়,রেস্টুরেন্টের মালিক ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারের (টিআইএন) অনুমতি না নিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল।

রেস্টুরেন্টে কাঁচা ও রান্না করা মাংস রাখা ছিল একসঙ্গে। হাতেনাতে ধরে মাদারীপুরের এক রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের শকুনি লেকপাড় এলাকার স্বপ্নচূড়া রেস্টুরেন্টে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, শহরে অভিজাত রেস্টুরেন্ট হিসেবে পরিচিত স্বপ্নচূড়ায় খাবারের মূল্য, অব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ জানায় এক ভোক্তা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে যৌথ দল রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়।

এ সময় ওই রেস্টুরেন্টে ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা মাংস একসঙ্গে রাখা ছিল। এ ছাড়া রেস্টুরেন্টের মালিক ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারের (টিআইএন) অনুমতি না নিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রেস্টুরেন্টের মালিক গোলাম রাব্বানীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘রেস্টুরেন্টটিতে বেশ কয়েকদিন আগের রূপচাঁদা মাছসহ কাঁচা ও রান্না করা মাংস একসঙ্গে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল।

‘তাদের প্রতিষ্ঠানটি জেলা প্রশাসন থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এ ছাড়াও রেস্টুরেন্টের কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ ছিল না। তাই তাদের সতর্ক করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। পরবর্তীতে তারা এ কাজ করলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
অস্বাস্থ্যকরভাবে সেমাই বানানোয় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টান্ন উৎপাদন-বিক্রিতে ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ওজনে কম দেয়ায় চার মুরগি দোকানিকে জরিমানা
চিংড়িতে জেলি: ৭ আড়তকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা
১৫১ মণ ভেজাল গুড় ধ্বংস, পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

মন্তব্য

p
উপরে