রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে আরাফাত আবাসিক হোটেলের ৬০১ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৪ বছর বয়সী পিপিসা ত্রিপুরার বাড়ি খাগড়াছড়ির গোমতী গ্রামে। তার বিস্তারিত পরিচয় মেলেনি।
মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কমলাপুরের আরাফাত আবাসিক হোটেলের ৬০১ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে পিপিসার গলায় গামছা প্যাঁচানো ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোববার সকালে ওই যুবক হোটেলটিতে উঠেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।
রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খাল দখলমুক্তকরণ ও খনন কার্যক্রম সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওপেন স্পেস ও জলাধারগুলো প্লটে রুপান্তর করে নির্মাণ হচ্ছে নতুন নতুন ভবন।
‘এই শহরকে বাঁচাতে হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের জলাধারগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস আমাদেরকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোতে দেখেছি দৃষ্টিনন্দন খাল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেদারল্যান্ডসের উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’
এ সময় ডিএনসিসি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার আহ্বান করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
জবাবে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ম্যানেজমেন্ট ও খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোলকার্ট ডি জ্যাগার ও ইকোনমি অ্যান্ড কমার্শিয়াল বিষয়ক উপদেষ্টা মন্নুজান খানম এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মধ্যবাড্ডার একটি বাসার টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মৃত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক।
ইমতিয়াজ আহমেদ আদরকে (২২) বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আদর রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি আইইউবিএটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেম করে বিয়ে করি। আমার স্বামী উত্তরার আইইউবিএটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে না নেয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিল সে।
‘আজ ভোরে বাথরুমে গ্রিলের সঙ্গে কাপড় দিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দেয় আদর।’
তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীরা আদরকে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের স্ত্রী জানান, আদরের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক একজন ফাঁসির আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি মো. আবদুল খালেক তালুকদারের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলার খারচাইল গ্রামে।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, খালেক তালুকদার মামলা হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় এবং দীর্ঘ ৭ বছর পলাতক থাকার পর তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইবুন্যাল ২৮ মার্চ ২০১৯ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক অপরাধ (ট্রাইবুন্যাল) আইন ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার ৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রায়ে অন্যান্য আরও চার পলাতক আসামির সঙ্গে পলাতক খালেক তালুকদারকেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউয়ের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে খালেককে গ্রেপ্তার করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ বিমানের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আলাদা (আইসোলেটেড) করে রাখা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
বিমান জানায়, সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে বিমানের ই-মেইল সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তফসিলভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিমান জানিয়েছে, বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে বিমান তার ই-মেইল কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে গণমাধ্যমে কী বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, বিমানের ই-মেইল সার্ভার কবে উদ্ধার হবে, তদন্ত কমিটিতে কারা আছেন, কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি কতদূর-এসব বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানায়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হয় র্যানসামওয়্যার দ্বারা। ১০ দিনের সময় বেধে দিয়ে হ্যাকাররা বিমানের কাছে অনেক টাকা দাবি করেছে। অন্যথায়, সব তথ্য ফাঁস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা।
বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরপর থেকেই বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইমেইলে যোগাযোগ বন্ধ আছে। পাশাপাশি বন্ধ আছে বিমানের নিজেদের মেইল থেকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক যোগাযোগগুলো।
আরও পড়ুন:২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো এবারও ভোটকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিনা পরোয়ানায় সেটি না করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ করে বিএনপির পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধি দল।
ডিএমপি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। আপনার দেখেছেন, বিনা ওয়ারেন্টে যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে। বনানীর একটি ক্লাবে সামাজিক অনুষ্ঠানে থেকে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনিভাবে অনেক নেতা-কর্মী তারা গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি রমজানে বিনা ওয়ারেন্টে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে।’
আমানউল্লাহ বলেন, ‘যেখানে কথা বলছি, সবাই বলছে ওপরের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। যদি ওয়ারেন্ট থাকে দেখিয়ে গ্রেপ্তার করবেন।
‘যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই, বাসায় ঘুমাচ্ছে তাদেরকে রাত ৩টায় তুলে নিয়ে আসবেন, এটা হবে না।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে যায় বিএনপির পাঁচ সদস্যের দল। সেখানে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
ওই সময় আমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
আরও পড়ুন:দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেআইনি অগ্রাধিকার দেয়াসহ পাসপোর্ট অফিসে অনিয়ম ও ভোগান্তি বন্ধ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালকের কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব।
চিঠিতে সপরিবারে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নিজ ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন তিনি।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গত বুধবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পাসপোর্টের জন্য আসা যেকোনো মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেআইনি অগ্রাধিকার দেয়া তথা যেকোনো অনিয়ম বন্ধ করার পাশাপাশি সেবাপ্রার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথা বাতিল করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টোকেন সিস্টেম চালু করা, ডিজিটাল বোর্ডে সিরিয়াল প্রদর্শনের সুযোগ, মানুষের বসার ব্যবস্থা ও বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ছাড়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য ও সমান নিয়ম চালু করতে হবে, যাতে কোনো ব্যক্তিবিশেষ অবৈধ সুবিধা গ্রহণের সুযোগ না পান।
এসব কার্যক্রম হাতে নিয়ে গৃহীত ব্যবস্থা লিখিতভাবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।
অন্যথায় মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করেন নোটিশকারী আইনজীবী।
আইনজীবীর অভিজ্ঞতা
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, ‘গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরিবারের সদস্যদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার জন্য বেলা একটায় উপস্থিত হই। লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে ৩টার দিকে সিরিয়াল পাই। সিরিয়াল পেয়ে পুনরায় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সকল কাগজপত্র অফিসার দ্বারা ভেরিফিকেশন করিয়ে নিই। এরপর পুনরায় একটি কক্ষে সিরিয়াল দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করি।’
পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের উদ্দেশে এই আইনজীবী বলেন, ‘আপনার অফিসের সার্বিক অব্যবস্থাপনা আমাকে দারুণভাবে কষ্ট দিয়েছে। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে যেকোনো সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ও স্মার্টলি প্রদান করা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অনেক অফিস ও বেসরকারি ব্যাংক ও বিমা অফিসে কেউ সেবা নিতে আসলে তাদেরকে টোকেন প্রদান ও ডিজিটাল বোর্ডে/স্ক্রিনে সিরিয়াল দেখানোর মাধ্যমে সেবার অগ্রগতি নিশ্চিত করা হয়। প্রচলিত আইন, বিধি ও সিটিজেন চার্টারে অনুসারে সহজলভ্য ও ভোগান্তিহীন পাসপোর্ট পাওয়া আমার ও আমার মতো সাধারণ নাগরিকদের জন্য অনেক দুর্লভ ও ভোগান্তিকর বিষয়।’
ওই আইনজীবী বলেন, “আনসার সদস্যগরা হ্যান্ড মাইকে প্রচার করে আসছিল যে, ‘আপনারা সকলে লাইনে দাঁড়ান ও কোনো দালালকে টাকা দিবেন না।’ এ ঘোষণা হতেই স্পষ্ট, মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সিরিয়াল নিতে হয় এবং সেখানে দালালের দৌরাত্ম্য রয়েছে। আমরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল নেয়া, কাগজপত্র দেখানো, ফিঙ্গার দেওয়া ও ছবি তোলার কাজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে করেছি তখন অনেক মানুষকে কোনো লাইন না ধরে কিংবা অন্য নিয়ম না মেনে সরাসরি ফিঙ্গার দেয়া ও ছবি তোলার রুমে গিয়ে দ্রুত কাজ সেরে চলে গিয়েছেন। যেকোনো নাগরিক উপরোক্ত যেকোনো কাজের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গেলে সাথে সাথেই যাতে একটি সিরিয়াল টোকেন নিজে পাঞ্চ করে হাতে নিতে পারেন কিংবা স্টাফের মাধ্যমে পেতে পারেন এবং ডিজিটাল বোর্ডে যাতে সুনির্দিষ্ট বুথ নং প্রদর্শন করে সিরিয়াল ও সময় পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা দুরূহ কোনো কাজ নয়। তাতে মানুষের শারীরিক উপস্থিতি কমে।”
আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, ‘এত বড় অফিস ভবন, অথচ সুনির্দিষ্ট রুমসমূহের সামনে বসার স্থান না দিতে পারাটা সত্যিই দুঃখজনক বিষয়। সেখানে অবস্থানকাল পাঁচ ঘণ্টা সময়ে দেখিনি যে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবা সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ছবি তোলা কিংবা আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য