অভাবের সংসারে গিয়াস শেখের যে জীবন কেটেছে, তাতে দু মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাটাই হয়তো ছিল বড় পাওয়া। নিজের কোনো ঘর-বাড়ি না থাকায় দাদি আর চাচাদের ঘরে বাস করছিলেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প তার জীবনটা পাল্টে দিয়েছে।
চার বছর বয়সে মা আর ৬ বছর বয়সে বাবা হারা গিয়াসের এখন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে নিজের একটা সংসারের। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ভালোই কাটছে তার দিন।
এই যুবকের জীবন সংগ্রাম আর কীভাবে তার স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়ার পথে এগিয়েছে তা নিয়ে একটি গল্প লিখেছেন ফরিদপুরের শালথা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার হোসেন শাহিন (শাহিন সপ্তম)।
নাট্যকার শাহিনের সেই গল্পে সেলিম রেজা সেন্টু নির্মাণ করছেন নাটক ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। সালথার কুমারপট্টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলছে নাটকটির শুটিং। শাহিন সপ্তম নিজেও এতে অভিনয় করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন তারিক স্বপন, সিলভিয়া, জুয়েল, মোমিন, জয়সহ বেশ কয়েকজন।
শাহিন সপ্তম বলেন, গল্পে আমরা আসলে বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরছি। একটা মানুষ কীভাবে সব হারানোর পরও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারে তা দেখানো হয়েছে এতে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ পরিবারের এমন ভিন্ন ভিন্ন সফলতা রয়েছে। আমরা এই সফলতার গল্প লিখতে গিয়ে গিয়াস শেখের গল্পে মুগ্ধ হই।
শাহিন সপ্তম গল্পের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ৪ বছর বয়সে মা হারা গিয়াস ২ বোন নিয়ে বড় হচ্ছিল বাবার কাছে। কিন্তু তার ভাগ্য তাকে বারবার প্রবঞ্চিত করেছে। ৬ বছর বয়সে বাবা মারা যায়। তারপর আশ্রয় মেলে দাদি আর চাচাদের ঘরে। শিশু অবস্থায় গিয়াস নামে জীবন সংগ্রামে, দিনমজুরি করে দুই বোনকে বিয়ে দিতে পারলেও ঘরের অভাবে তার সংসার পাতা আর হয় না।
তিনি বলেন, টিভিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়ার ঘোষণার পর তিনি যোগাযোগ শুরু করেন। পেয়ে যান একটি ঘর, তারপর তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটে। তিনি ময়নার সঙ্গে গড়ে তোলেন তার সংসার। সরকার রাস্তা বানায়, ব্রিজ বানায় কিন্তু সংসারও গড়ে দেয়; তা নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার বিশ্বাস হয়। এই ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক স্বপ্নের ঠিকানা।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ দুই জেলে।
উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে শুক্রবার ভোররাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালির চলের প্রয়াত আবদুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. জুয়েল (২৭)। সম্পর্কে তারা মামা ও ভাগ্নে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে স্থানীয় রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসাতে যায়। শুক্রবার ভোরে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। ওই সময় ২০ জন জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও চারজন তা পারেননি।
পরে স্থানীয় জেলেরা নৌকার ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন। দেলোয়ার ও ইরান নামে দুই জেলে এখনও নিখোঁজ।
এ ঘটনায় প্রাণ হারানো জেলেদের গ্রামের বাড়িতে মাতম চলছে।
নলচিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। প্রাণ হারানো জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দুই চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের চকৈ মোড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল গফুর।
ওসি জানান, নিহত চারজনের মধ্যে বাস ও ট্রাকের চালক এবং দুই বাসযাত্রী রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
তিনি জানান, আহত যাত্রীদের প্রথমে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি গফুর আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একটি বাসের সঙ্গে ধানবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
বাংলাদেশ নিয়ে ভারত কোনো ষড়যন্ত্র করলে বিষদাঁত ভেঙে দিতে প্রস্তুত আছেন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের লেকপাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করে থাকেন, তাহলে এ দেশের মানুষ সেই বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করছে। শত শত মায়ের বুক খালি করা খুনি হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে।
‘ভারত বন্ধু রাষ্ট্র বললেও এখনও তারা বন্ধুর কোনো পরিচয়ই দিতে পারে নাই।’
দেশবাসীর উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান বলেন, ‘সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। আমাদের দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ যারা করেছে তাদের দলের বড় নেতারা কর্মীদের ফেলে টুন টুনা টুন টুন হয়ে গেছে।
‘এমন নেতাদের পেছনে নেমে বারবার জীবনকে ধ্বংস করবেন না। এদের মাধ্যমে আমাদের দেশে বারবার অশান্তি তৈরি করবে আর আমরা একটা গোলাম রাষ্ট্র হিসেবে বসবাস করব, এটা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার জন্য এ দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। গত ৫ আগস্টও আপনারা দেখেছেন। এ দেশ আমার ও আমাদের।
‘এ দেশ রক্ষার জন্য যদি প্রয়োজন হয়, রক্ত দেব, জান দেব। দেশ রক্ষার জন্য রাজপথে নামব, এতে কোনো সন্দেহ নাই।’
আরও পড়ুন:পঞ্চগড় সদর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮/৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় শুক্রবার ভোরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
প্রাণ হারানো আনোয়ারের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে যান। ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে গুলি চালায় বিএসএফ। ওই সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। তার মরদেহও নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত আনা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।
‘ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরু জব্দ করে বিজিবি।’
আরও পড়ুন:বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা বালুবাহী বলগেট ও যাত্রীবাহী স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন স্পিডবোটের তিন যাত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার বিশ্বাসের হাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর মোহনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশাল নৌ-বন্দরের দিকে আসছিল। স্পিডবোটটি দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় পৌঁছলে নদীতে নোঙর করে থাকা বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটে থাকা চার যাত্রী নিখোঁজ হন। বাকি চারজন সাঁতরে তীরে উঠে আসেন।
‘এলাকাবাসী নিখোঁজদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করে বরিশাল সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ওই যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি জানান, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও রাত ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এই মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৮ মে আমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেয় হাইকোর্ট।
জনগণের সেবক হয়ে রাজনীতি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, নিজেদের সংস্কার করাই রাজনীতির মূল চ্যালেঞ্জ।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রয়াত নেতা আতিকুর রহমান সালুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে যত সংস্কারই করুক না কেন, নিজেরা নিজেদের সংস্কার না করা পর্যন্ত কোনো লাভ হবে না। আজকের রাজনীতির মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের প্রত্যেককে নিজেকে নিজের সংস্কার করা। একইসঙ্গে রাজনীতি মানেই হতে হবে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করা।’
তিনি বলেন, ‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার ঐক্য অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমি আরও একটু সতর্ক করে দিতে চাই, ঐক্য করতে গিয়ে আবার নতুন করে যদি বাকশাল করে ফেলি তাহলে সেই ঐক্যে কাজ হবে না।
‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে হটানো হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরে এসেছে। এই সত্যকে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রে রূপান্তরের মাত্র একটি ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি, তা হচ্ছে স্বৈরাচারের বিদায়। আরও কঠিন দুটি ধাপ রয়েছে।
‘দ্বিতীয় ধাপ হলো- অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার সম্পাদন করে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
‘তৃতীয় ধাপ হলো- জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘দেশে জনগণের সরকার আসতে হবে। যারা একটি স্বাধীন সংসদ গঠন করবে, যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে, ডামি বা ভুয়া সংসদ নয়। এ গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। সে কারণেই আমরা এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছি।
‘আমরা কোনো অবস্থাতেই চাই না তারা ব্যর্থ হোক। কেননা, এই সরকার ব্যর্থ হলে তা শুধু তাদের ব্যর্থতা হবে না, সেটা হবে পুরো জাতির ব্যর্থতা।’
আতিকুর রহমান সালুর স্মৃতিচারণ করে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘একটি নাম আতিকুর রহমান সালু, একটি প্রতিবাদ আতিকুর রহমান সালু। আজ তার মৃত্যুর এক বছর পর আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এই মানুষটিকে কেন এতদিন আমরা স্মরণ করিনি?
‘দ্য ডেমোক্রেটিক গভর্নমেন্ট অফ ইস্ট বেঙ্গলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন সালু। ইতিহাস সবসময় মানুষের ওপর সুবিচার করে না। পরবর্তী জীবনে তিনি নতুন করে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২০০৫ সালের ৫ মে দ্বিতীয় ফারাক্কা লংমার্চ করেছিলেন তিনি। তার সমগ্র জীবন আবর্তিত হয়েছে এই দেশের কল্যাণে।’
আইএফসি’র সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আইএফসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ড. নাজমা আহমেদ, সাবেক এমপি জহিরুদ্দিন স্বপন, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য