× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Let BNP stay on the streets Tofail
google_news print-icon

বিএনপি রাস্তায় রাস্তায় থাকুক: তোফায়েল

বিএনপি-রাস্তায়-রাস্তায়-থাকুক-তোফায়েল
ভোলায় পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপির ১০ দফা দাবি কোনোদিনই বাস্তবায়ন হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তাদের দাবি বাস্তব সম্মত নয়। যদি দলটি ঘরে ফিরতে না চায় তাহলে রাস্তায় রাস্তায়ই থাকুক।

ভোলায় রোববার বিকেলে একাধিক পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ বিএনপি দাবি আদায় না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। আমার মনে হয়, তাদের ঘরে না ফেরাই উচিত। তারা রাস্তায় রাস্তায় থাকুক সেটাই ভালো। কারণ বিএনপির দাবি কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না। ’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন,‘আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। আশা করি আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব ইনশা আল্লাহ।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আইসিইউ থেকে কেবিনে তোফায়েল আহমেদ
তোফায়েল আহমেদের ফিজিওথেরাপি শুরু
তোফায়েল আহমেদের সুস্থতা কামনায় দোয়া
ভালো আছেন তোফায়েল
তোফায়েলের স্ট্রোক, নেয়া হলো দিল্লিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League joint meeting on Saturday

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শনিবার

আওয়ামী লীগের যৌথসভা শনিবার
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় এ সভা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী, সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের যৌথসভা হবে শনিবার।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় এ সভা হবে।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে সব নেতাকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hawkers complain of extortion against Jobi Chhatra League

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন বলেছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকার হকারদের কাছ থেকে চার মাস ধরে প্রতিদিন দু’বার করে চাঁদা আদায় করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। চাঁদা না দিলে মারধরের শিকার হতে হয় হকারদের।

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমনটা উল্লেখ করে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে কিংবা খালি জায়গায় হকারি করে শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দু’বার দল বেঁধে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়েছে, কোনো হকার দাবিকৃত অংকের টাকা দিতে অপারগ হলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। চার মাস ধরে চলে আসা এই চাঁদাবাজি ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি বহু জায়গায় জানানোর পরও প্রতিকার মেলেনি।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে সদরঘাট এলাকায় আমরা একটি প্রোগ্রাম করতে যাই। সেখানে ওই এলাকার ভুক্তভোগী হকাররা আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে জানিয়েছি।’

হকার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ বলেন, ‘আমরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা ডিএমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠাব। এরপর তিন চারদিন অপেক্ষা করে দেখবো কী পদক্ষেপ নেয়া হয়। সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘কেউ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুললে তার দায়ভার তো আমরা নেব না। ক্যাম্পাসের আশপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘একটা অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়ে দিলেই তো কোনো কিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। চাঁদাবাজির কোনো ভিডিও, রেকর্ডিং তো নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছে। আর তারা আমাদের কারও চাঁদাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League blockade in Shahbagh demanding arrest of Prothom Alo editor

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ ছাত্রলীগের

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ ছাত্রলীগের দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রলীগ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালালরা বাসন্তি-কাণ্ডসহ নানা উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রথম আলোর নিউজে আমরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখলাম। ১০ টাকায় শিশুকে দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী।’

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে জাকির-কাণ্ডের হুতা এবং গুজববাজ আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি চলে।

এ সম্পূর্ণ সময় শাহবাগ মোড়ের আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেককে হেঁটে মোড় পার হয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রায় সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে তাদের অবরোধ থেকে সরিয়ে নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক অমি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের বাসন্তী-কাণ্ডের মতো জাকির-কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। প্রথম আলোর মতো যারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তাদেরকে আমরা বয়কট করতে চাই। আমরা রাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই, কেন তারা বার বার এটি করার পরও পার পেয়ে যাচ্ছে? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।’

অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে এক ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য এই প্রোগ্রামটা করছি। তাদের যেন পরবর্তীতে ভুয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই আমাদের আজকের এই প্রোগ্রাম।

‘আমরা চাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি গণমাধ্যম আমাদের সামনে প্রকাশ করুক। কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি কোনো গুজব ছড়ানো হয় তাহলে আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত।’

অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালাল যারা তারা বাসন্তি-কাণ্ডসহ নানা উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। সবশেষ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম আলোর নিউজের মাধ্যমে আমরা একই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি দেখলাম।

‘দশ টাকায় শিশুকে দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী। যারা এটি করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ছাত্রদের এই দাবির সঙ্গে আমরা একমত।’

আরও পড়ুন:
শজিমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮
‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল
কোমরে পিস্তল নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতা
জাবিতে ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Announcement of fresh elections to remove the stigma of the Supreme Court Bar

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা

বারের কলঙ্ক মুছতে নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
তলবি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে অ্যাডহক কমিটি।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কলঙ্কজনক উল্লেখ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এ তলবি সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বলা হয়, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী অফশন ফরম বিতরণ করে ১৫ মে’র মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি বারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এ অবস্থাটা কী করে হল। অতএব, সেজন্য সুপ্রিমকোর্ট বারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে যারা কলঙ্ক লেপন করেছেন, তাদের সম্পর্কে নোটিশ দেয়া দরকার। আর এই কলঙ্ক মোছার কাজটা অতি সত্বর করা প্রয়োজন বলে কি আপনারা সবাই মনে করেন না?

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমাদের ডিগনিটি অফ দ্য ল’ইয়ার (আইনজীবীদের মর্যাদা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্যই আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আশা করি সেই সঙ্কট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন করতে পারব।’

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর হলরুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ বহু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দেন তলবী সভা আহ্বানকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।

সভায় সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বারের রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

এছাড়া কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে- সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।

সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

রেজুলেশনে বলা হয়েছে- তলবি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধু সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে।

প্রসঙ্গ, ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন।

এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দাবি, তারা এই ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। দুই দিনব্যাপি ভোট গ্রহণ শেষে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা জয়ী হন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবি সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।

আরও পড়ুন:
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট শুরু বুধবার
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভোট বর্জন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Journalist arrests and cases reveal characteristics of anarchic state JSD

সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলায় অরাজক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে: জেএসডি

সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলায় অরাজক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে: জেএসডি আ স ম আবদুর রব ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। ফাইল ছবি
‘সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করা সংবিধানের সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার ক্ষমতার দম্ভে সংবিধান মেনে চলাকে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রেপ্তারের মাত্রা ও ব্যাপ্তি আরও দৃশ্যমান হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনীতিতে সরকার বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারকে অরাজকতাপূর্ণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ বলে উল্লেখ করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সংবিধান বা আইন অমান্য করে রাষ্ট্র পরিচালনা করায় অরাজকতাপূর্ণ রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছে। জনগণকে সহিংসতা থেকে বা বেআইনি আচরণ থেকে রক্ষা করতে না পারাটাই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আরও একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা হলো- সরকার কর্তৃক সংবিধান, আইন-কানুন, বিধি-বিধান অহরহ লঙ্ঘন করা এবং ভিন্নমতের ওপর অব্যাহতভাবে আইনের অপপ্রয়োগ করা। এসবই গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের ওপর আক্রমণের শামিল।’

তারা বলেন, ‘সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করা সংবিধানের সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার ক্ষমতার দম্ভে সংবিধান মেনে চলাকে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রেপ্তারের মাত্রা ও ব্যাপ্তি আরও দৃশ্যমান হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও ভূ-রাজনীতিতে সরকার বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রথম আলো সম্পাদকসহ অন্যদের নামে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানান।

আরও পড়ুন:
সরকারের দোসরদের দেশ ছাড়তে দেয়া হবে না: রব
ইসির সংলাপে যাবে না রবের জেএসডি
দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: আ স ম আব্দুর রব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Childrens names are falsely written like Basantis net Information Minister

বাসন্তীর জালের মতোই শিশুর নামে অসত্য লেখা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

বাসন্তীর জালের মতোই শিশুর নামে অসত্য লেখা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ও ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’

‘বাসন্তীকে জাল পরিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মতো একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে তার নাম ব্যবহার করে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয়’- এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে অবশ্যই রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ও ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এমন প্রশ্ন রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন- স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে সংবাদ প্রচার করাটা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়? সে জন্যই এটার প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছে। এটি ঠিক নয় বলেই অনলাইনে আপলোড হওয়ার পর সেটি তারা সরিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু সেটির স্ক্রিনশট তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো। অনেকে শেয়ার করেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে।

‘এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছেন। আর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো। এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল।

‘অনেকে বলছে, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’

অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কি কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে, আইনের ঊর্ধ্বে? তা তো নয়।’

এ বিষয়ে বিএনপি’র বিবৃতি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু পেলেই বিএনপি বিবৃতি দেয়। এটি সেই অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছেন। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

বিশ্বের দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ অ্যান্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ অ্যান্ড পানিশমেন্টসহ বিশ্বের বহু দেশে এ ধরনের আইন রয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি ২০ বছর কারাদণ্ড। সেখানে ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কার‌ো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ- যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, স্বাধীনতা দিবসে সেখানে একটি ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুঁসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যা বলেনি তা প্রচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অবশ্যই রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আশা করি এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরও অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে এই কথাগুলো হারিয়ে যেত। স্বাধীনতার আগেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।’

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নেতারাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Letter to Rajshahi Nagar leaders center asking for expulsion of W from A League

ডাবলুকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার চেয়ে রাজশাহী নগর নেতাদের কেন্দ্রে চিঠি

ডাবলুকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার চেয়ে রাজশাহী নগর নেতাদের কেন্দ্রে চিঠি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। ছবি: নিউজবাংলা
নৈতিক স্খলনের দায়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালসহ ৪৮জন নেতা এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ব্যক্তিগত অশালীন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে আসছিলেন স্থানীয় নেতারা। এবার নৈতিক স্খলনের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাপতির দপ্তরে বুধবার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালসহ ৪৮জন নেতা এই আবেদনে স্বাক্ষর করেন।

চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের একটি যৌন আবেদনময়ী নগ্ন ভিডিও ১৭ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহীসহ আশপাশের জেলা এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

ডাবলু সরকারের এহেন নৈতিক স্খলনজনিত কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন তাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সব কর্মকান্ড থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ডাবলু সরকারের এহেন কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোস ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় প্রধানের কাছে করা এই আবেদনে ডাবলু সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজাকার আব্দুস সাত্তার টিপুর প্রধান সহযোগী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান চিঠিটি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করে স্বাক্ষর করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবরে লেখা এই আবেদনের অনুলিপি দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালকে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘কতজন নেতা আবেদন করেছেন সেটি আমার জানা নেই। তবে আমি স্বাক্ষর করেছি। তাকে অব্যাহতি চেয়ে দলীয় প্রধান বরাবর আবেদন করেছি।

‘ডাবলু সরকারের নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ হতে থাকে। এসব কিছুতে একটি প্রভাব পড়ছে। তাই আমরা তাকে অব্যাহতির জন্য দলীয় প্রধান বরাবর অবেদন করেছি।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন এসেছে। এটি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’

দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে চিঠি দেয়ার বিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমি এটি শুনিনি। আমাকে কেউ জানায়নি।’

প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি অশ্লীল ভিডিও নেট দুনিয়ার জড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিকে এডিট করা দাবি করে ওই সময় ডাবলু সরকার বলেন, ভিডিওতে যেটা দেখা যাচ্ছে ওই চেহারাটা তার। তবে নিচের অংশ অন্য কারও। এ নিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন:
ডাবলুকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নেতার অশালীন ভিডিও ভাইরাল, মামলা

মন্তব্য

p
উপরে