× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Sylhet and Khulna counter rally fear of conflict
google_news print-icon

সিলেট ও খুলনায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, সংঘাতের শঙ্কা

সিলেট-ও-খুলনায়-পাল্টাপাল্টি-সমাবেশ-সংঘাতের-শঙ্কা
সিলেট ও খুলনায় একই দিনে একই নগরীতে বিভাগীয় সমাবেশ ও শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদ; বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব বিভাগীয় সদরে শনিবার সমাবেশ করছে বিএনপি।

এদিকে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে সিলেট ও খুলনায় একই দিনে একই নগরীতে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সিলেটে রেজিস্ট্রি মাঠে বিএনপি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। আর খুলনায় আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে। কেসিসি মার্কেটের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি।

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সিলেট

সিলেটের রাজপথে নিজেদের শক্তি দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই দল শনিবার দুপুরে নগরের পৃথক স্থানে কর্মসূচি দিয়েছে। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল দুটি এর মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিতে চাইছে।

জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পর একই দিনে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে সিলেটের রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে মুখোমুখি হয় তারা। ওইদিন খালেদা জিয়ার সাজার রায়কে কেন্দ্র করে ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অনেকে। এরপর উভয় দল নানা ইস্যূতে রাজপথে সরব থাকলেও কখনও মুখোমুখি হয়নি।

তবে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি না থাকলেও গত বছরের ৬ নভেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নগরের রিকাবীবাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

শনিবার ‘বিভাগীয় সমাবেশ’ ও ‘শান্তি সমাবেশ’-এর মাধ্যমে আবার রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। দীর্ঘদিন পর একই দিনে দুই দলের কর্মসূচির কারণে সংঘাতের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। তবে দুই দলের নেতাদের প্রত্যাশা, শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে সমাবেশ।

‘আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, বিরোধী দলের গ্রেপ্ততারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা’ দাবিতে গত জানুয়ারিতেই সিলেটসহ সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। শনিবার বেলা ২টায় সিলেট রেজিস্ট্রি মাঠে এই সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান।

সমাবেশ সফলে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটজুড়ে কর্মিসভা, পথসভা, জনসংযোগের মাধ্যমে সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের চেষ্টা করছেন তারা। সমাবেশের বিষয়টি অবহিত করে দলটির পক্ষ থেকে মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

এই সমাবেশ সফলে নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার প্রস্তুতি সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

তিনি বলেন, ‘৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিএনপি আহূত বিভাগীয় সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুধু জাতীয়তাবাদী শক্তি নয়, গণতন্ত্রকামী সিলেটবাসীর মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সূচনা হয়েছে। সিলেটবাসী সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সমাবেশ সফলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

অপরদিকে একই দিনে সিলেটে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রথমে এই সমাবেশ বিএনপির সমাবেশস্থল রেজিস্ট্রি মাঠে করার ঘোষণা দেয় দলটি। পরে স্থান পরিবর্তন করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিকেল ৩টায় এই সমাবেশ শুরু হবে। শান্তি সমাবেশ সফলেও প্রচার চালাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথে নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি।

শান্তি সমাবেশ সফল করতে বৃহস্পতিকার সন্ধ্যায় প্রস্তুতি সভা করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে স্ব স্ব ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশে অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নি-সন্ত্রাস রুখে দিতে আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে। কোনোভাবেই তাদেরকে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।’

দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আর ব্যাপক শো-ডাউনের প্রস্তুতির কারণে হঠাৎ করেই সিলেটের রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে উত্তাপ। উঁকি দিচ্ছে সংঘাতের শঙ্কাও।

তবে বিএনপি শান্তিুপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চায় জানিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘সিলেটের রাজনীতিতে সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা আশাবাদী এটা কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। যার যার কর্মসূচি যার যার মতো করে পালন করবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা এলে তা জয় করে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের সমাবেশ সফল করবে। আমরা সেরকম প্রস্তুতি নিয়েছি।’

বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করলে সংঘাত হবে না জানিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পক্ষে। রাজনৈতিক সহাবস্থানের পক্ষে। তাই আমরা উদারতা দেখিয়ে নিজেদের কর্মসূচির স্থানও পরিবর্তন করেছি। এখন বিএনপি যদি বিশৃঙ্খলা না করে তবে আমাদের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে।’

দুই দলের পৃথক কর্মসূচির কারণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশও। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল থেকেই নগরে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। নগরের সব মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরের প্রবেশপথগুলোতে পেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’

খুলনা

খুলনা নগরীর কেসিসি মার্কেটের সামনে ‘বিভাগীয় সমাবেশ’ আয়োজনে প্রস্তুতি সেরেছে বিএনপি। একই দিনে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। দুই দলের নেতাদের কাছ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, একই দিনে ও সময়ে নগরীতে দুই দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কথা মাথায় নিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, শনিবার বিকেল ৩টায় শিববাড়ি মোড়ে তাদের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানার পরিচালনায় ওই বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

মেয়র খালেক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশকে জনসতায় পরিণত করে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। খুলনায় শান্তি সমাবেশের কথা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে।

বিএনপির এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবেলা করতে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ জানান, শান্তি সমাবেশে সফল করার জন্য তাদের নানমুখী প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন ও আওয়ামী সন্ত্রাস-নির্যাতনের প্রতিবাদ; বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব বিভাগীয় সদরে এই সমাবেশ পালন করবে।

খুলনা মহানগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন কেসিসি মার্কেটের সামনে তারা সমাবেশ করবে। এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য সোনালী ব্যাংক চত্বর বা শহীদ হাদিস পার্ক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) থেকে বিএনপিকে কেসিসি মার্কেটের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

অনুম‌তি পাওয়ার পর সমাবেশস্থলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে মাইক টানানো শুরু করে বিএনপি।

দলীয় সূত্র জানায়, কেসিসি মার্কেট ও জেলা পরিষদের সামনের সড়কে থানার মোড় অভিমুখী মঞ্চ হচ্ছে। খুলনা মহানগর ও জেলাসহ বিভাগের অন্য সব জেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ ঘিরে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হয়রানি করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করেছে। ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাই খুলনায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হয়েছে।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বে) মিজানুর রহমান মিল্টন জানান, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিভাগীয় সাংগঠনিক (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ অন্যরা।

খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল-মামুন বলেন, ‘শনিবার যেহেতু দুই দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের একাধিক ইউনিটের পাশাপাশি সিভিল পোশাকে গোয়েন্দারা শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে বস্থান করবেন। তেমন কোনো ঝামেলা হবে না আশা করছি।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি
খুলনায় সমাবেশ নিয়ে অনুমতির অপেক্ষায় বিএনপি
বিশেষ অভিযানের নামে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ধরা হচ্ছে: মোশাররফ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
They eat iftar party at Awami League iftar bill Prime Minister

আওয়ামী লীগ ইফতার বিলায়, তারা ইফতার পার্টি খায়: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ইফতার বিলায়, তারা ইফতার পার্টি খায়: প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়/ফোকাস বাংলা
বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’

রমজানে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ না করে পার্টি করে নিজেরাই খাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা রমজানে ইফতার পার্টি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকে আমরা যেমন ইফতার পার্টি বন্ধ করেছি, না ইফতার পার্টি করব না, আমরা এই খাবার সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলাব। আজকে অনেক জায়গায় বিলাচ্ছেন সবাই।

‘সারা বাংলাদেশের যে চিত্র, অনেক জায়গায় আমি দেখতে পাচ্ছি যে, একমাত্র আওয়ামী লীগ অথবা আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই এবং আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আজকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন।’

ওই সময় বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর আমরা যখন ইফতার বিলি করি, তখন দেখি কী? আওয়ামী লীগ দেয়; দিতে জানে। আর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আর যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না, মানুষ খুন করবে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে, গাড়িতে, রেলে আগুন দেয়; মানুষকে পুড়িয়ে মারে। সেই মা, সন্তানসহ পুড়িয়ে মারে।

‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’

মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের অপরাধ কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা খেয়েদেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ?

‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কী অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “একসময় দেশের মানুষ ‘ভাতের ভ্যান’ ভাতের মাড় খেত। লবণ দিয়ে ভাতের মাড় খেতেও মানুষকে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে ভাতের কষ্ট মানুষের নাই।”

আরও পড়ুন:
পাট রপ্তানির নতুন নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
রমজানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান 
গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে, চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
আমাদের দৃষ্টি দেশের সমুদ্র অঞ্চলে: প্রধানমন্ত্রী
৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Jubo League leader was greeted with an angry protest

সালাম দিয়েই যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কোপ, প্রতিবাদ বিক্ষোভ

সালাম দিয়েই যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কোপ, প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আহত চকরিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি হাছানগীরের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোছাইন। ছবি: নিউজবাংলা
সন্ত্রাসী হামলায় আহত চকরিয়া পৌর যুবলীগ সভাপতি হাছানগীরের বড় ভাই আলমগীর হোছাইন বলেন, ‘আমার ভাই তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী সালাম দিয়ে পথরোধ করে আচমকা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর ও যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দীন কামরানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে রোববার চকরিয়ায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মডেল প্রাইমারি স্কুল মাঠে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোছাইন ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোছাইন।

সালাম দিয়েই যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কোপ, প্রতিবাদ বিক্ষোভ
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর যুবলীগ সভাপতি হাসানগীর। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে হাছানগীরের বড় ভাই আলমগীর হোছাইন বলেন, ‘আমার ভাই তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী সালাম দিয়ে পথরোধ করে আচমকা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাবেক এমপি জাফর আলমের লালিত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চকরিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি হাছানগীর হোছাইনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের কর্মীরা। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে চকরিয়া থানায়।

এ ঘটনায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘চকরিয়া পৌর যুবলীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা
নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ৫
বনের জমি উদ্ধারে গিয়ে হামলায় কর্মকর্তা হাসপাতালে
শাসন করায় ছাত্র-অভিভাবকদের হামলা, প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৫
পুলিশের ওপর মৌলভীবাজার যুবলীগ ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rogue gang making deep fake videos of leaders BNP

দুর্বৃত্ত চক্র নেতাদের ডিপ ফেক ভিডিও বানাচ্ছে: বিএনপি

দুর্বৃত্ত চক্র নেতাদের ডিপ ফেক ভিডিও বানাচ্ছে: বিএনপি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে নাহিদ রেইন নামে এক প্রতারক। আর এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে প্রধান অপরাধীকে অনলাইন ও অফলাইনে সহায়তা করছে প্রভাবশালী এক বিদেশি।’

‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জুম অ্যাপের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ডিপ ফেক প্রযুক্তি দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে। একইভাবে দলের অন্য নেতাদেরও ডিপ ফেক ভিডিও বানানো হচ্ছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার এসব কথা বলেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডিপ ফেক ভিডিওটি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

‘শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নযন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যদেরও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির আইটি বিভাগের তদন্তে দেখা গেছে, বিরোধী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে নাহিদ রেইন নামে এক প্রতারক। বিএনপি নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে নাহিদ রেইনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

‘আর এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে প্রধান অপরাধীকে অনলাইন ও অফলাইনে সহায়তা করছে প্রভাবশালী এক বিদেশি।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অ্যাঙ্কর ও লোগো ব্যবহার করে তাদের মিথ্যা উন্নয়নের অসংখ্য ডিপ ফেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।

এছাড়া তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস সম্পর্কেও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিপ ফেক ভিডিওটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সংবাদদাতা বেঞ্জামিন পার্কিন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের একটি দুর্বৃত্ত চক্র ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করছে।’

আরও পড়ুন:
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত: রিজভী
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
এমন কোনো সংকট নেই, যার জন্য সংলাপ প্রয়োজন: কাদের
আইনের শাসন না থাকলে বিপর্যয় ঘটতেই থাকে: ফখরুল
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার প্রত্যেক আসামির সুবিচার চাই: মঈন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zias application seeking extension of suspension of sentence and permission for treatment abroad

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। একইসঙ্গে তার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ আবারও বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে এই আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার।

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়া হাসপাতালে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকেলে হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
গ্যাটকো মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৫ ফেব্রুয়ারি
পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NDI report on elections does not matter Foreign Minister

নির্বাচন নিয়ে এনডিআই’র রিপোর্টে কিছু যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে এনডিআই’র রিপোর্টে কিছু যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে এসব বিষয় বা যারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে বক্তব্য দেন তাদের এ বিষয়টাও অ্যাড্রেস করতে হবে।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই নির্বাচন নিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) দেয়া রিপোর্টে কিছু যায় আসে না।

রোববার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে অন্যান্য সময়ে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসবের তুলনায় এবার কম সহিংসতা হয়েছে।

‘আর নির্বাচনের মানের বিষয়ে তারা বলছে, বাংলাদেশে যেসব নির্বাচন ইতোপূর্বে হয়েছে বা আমাদের উপমহাদেশে যে নির্বাচন হয় সে তুলনায় এ নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। একটি সুন্দর ও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই কী বলল না বলল এতে কিছু আসে যায় না। তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা সেটা দেখছি। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে এসব বিষয় বা যারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে বক্তব্য দেন তাদের এ বিষয়টাও অ্যাড্রেস করতে হবে।’

সরকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করার বিষয় নয়। তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যেসব পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’

আরও পড়ুন:
নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুত মুক্ত করতে চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh elections could not pass the quality test
যুক্তরাষ্ট্রের দুই সংস্থার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

বাংলাদেশের নির্বাচন গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি

বাংলাদেশের নির্বাচন গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি
সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত ছিল না।

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন সব মিলিয়ে গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মত ব্যক্ত করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)।

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা দুটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, ভোট চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এনডিআই ও আইআরআই টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় আড়াই মাস পর রোববার ১৭ মার্চ সংস্থা দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনের সুপারিশ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রচার ও নির্বাচনের দিনসহ অন্য সময়ে শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংস্থা দুটি আগের নির্বাচনগুলোর পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে। সহিংসতা কম হওয়ার কারণ হিসেবে তারা নির্বাচনি প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনি সহিংসতা মূলত দুটি প্রাথমিক রূপে দেখা দেয়। প্রথমটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বিরোধী দলের বয়কট প্রচেষ্টার মাধ্যমে।

প্রান্তিক গোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী এবং হিন্দুরাও নির্বাচনি সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

মিশনটি প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বাংলাদেশের আইনি কাঠামো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।

‘নারী প্রার্থীরা মিশনকে জানিয়েছে, জনসমাগমে ও অনলাইনে তাদের অপমান ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষ প্রতিপক্ষ ও তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা তাদের অভিযোগের ব্যাপারে কোনও সাড়া দেননি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর কারণ হিসেবে শাসক দল ও বিরোধীদের সহিংসতা, প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন এবং বাক-স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচনি সহিংসতা মোকাবেলায় সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে ২৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য আচরণবিধি প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনি সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত ও স্বাধীন বিচার এবং পর্যালোচনার জন্য আইনি কাঠামো, রাজনৈতিক নেতাদের দলে অহিংসতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, সংখ্যালঘু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ার ঘটনাবলীও পর্যবেক্ষণ করেছেন মিশনের সদস্যরা।

তাদের মতে, নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য অব্যাহত ছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, উভয় দলের দিক থেকেই সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য দেয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বেশি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।

নির্বাচনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অংশীজনরা মিশনকে জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিশোধের ভয়ে সংবাদমাধ্যম সেল্ফ সেন্সরশিপে ছিল। সাংবাদিকরা নির্বাচনি প্রচার ও বিক্ষোভের সময় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

নির্বাচনি নিরাপত্তার জন্য বাজেট বাড়ানোসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে সরকারের সমন্বিত ইউনিট গঠনের বিষয়ও প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে।

একইসঙ্গে সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে।

আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত ছিল না।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে মিশনের সদস্যরা বিশ্লেষক, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন চলাকালীন ও আগে-পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন বেসরকারি সংস্থা আইআরআই ও এনডিআইর প্রতিনিধিরা। তারা সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে দুই শতাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।

আরও পড়ুন:
ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে অন্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Others could not interfere in the election as India was on side Who

ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে অন্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: কাদের

ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে অন্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: কাদের আওয়ামী লীগৈর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিগত নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।’

দেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের পাশে ভারত থাকায় বড় অন্য রাষ্ট্রগুলো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শনিবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিগত নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল, তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই ৬৮ বছরের সমস্যা ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে।

কাদের বলেন, ধৈর্যধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

‘যারা নির্বাচনে আসেনি, এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারতবিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনও তারা সেটি করছে।’

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক, এর সূত্র খুঁজতে হবে।

‘প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল। ভেঙ্গে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে? কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সকল ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাকিলা করতে হবে।

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও সনাতন ধর্মের নেতারা।

আরও পড়ুন:
বিএনপি জনগণকে স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না: কাদের
মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার
সংযম না করে কর্মসূচি পালন করলে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিএনপি: কাদের
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দুই-এক দিনের মধ্যে

মন্তব্য

p
উপরে