কৃচ্ছ্র সাধনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খাতে খরচ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। জ্বালানি তেলে খরচ কমানো হয়েছে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ। পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও ব্যয় কমানো হয়েছে।
ব্যয় সংকোচনে এসব পদক্ষেপের সুবাদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয়ের হিসাব থেকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল কমেছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার কমানো হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমানো হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিছু খাতে ব্যয় সংকোচন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দের কিছু টাকা বাঁচিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া যায় কি না। ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই ব্যয় কমানো শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হলো এবং ঢেউটা বাংলাদেশ পর্যন্ত আসল। তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় আরও কমানোর কাজ শুরু করলাম।
‘প্রথমত আমরা বিদ্যুতে হাত দিলাম। তারপরে পেট্রল এবং লুব্রিকেন্টের খাতে খুবই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাড়িগুলোকে একটু রেশনিং করে আমরা সেটাও কমিয়ে এনেছি। একইভাবে আপ্যায়ন খাতেও আমরা ব্যয় কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যে আপ্যায়নের মেন্যুটি করেছি, সেটি খুবই সাদামাটা।’
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে আহসান কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংসদীয় বাজেট থেকে অর্থ বিভাগের কাছে সমর্পণ করেছি। এ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুনে বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ২৩ লাখ ৮ হাজার ৮৩৮ টাকা। জুন থেকে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিয়ে জুলাইয়ে খরচ হয় ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ টাকা। জুন থেকে খরচ ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের ব্যয় হয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৩ টাকা। জুন থেকে খরচ ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (প্রায় অর্ধেক) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় দাঁড়ায় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ টাকা।
২০২২ সালের জুনে পরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪১ হাজার ৪০২ লিটার। জুন থেকে ৪ হাজার ৪০০ লিটার (১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ) কমিয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৭ হাজার ২ লিটার। জুন থেকে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমিয়ে আগস্টে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটার। আর জুন থেকে ৯ হাজার ৬৬৬ লিটার তেল (২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে তেলের ব্যবহার ৩১ হাজার ৭৩৬ লিটারে নামিয়ে আনা হয়।
জুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৬৫ টাকা। ওই মাস থেকে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ কমিয়ে জুলাইয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
জুন থেকে ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ওই মাস থেকে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ খরচ কমিয়ে সেপ্টেম্বর আপ্যায়ন ব্যয় হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২০ টাকা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ দিয়েছে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। বঙ্গবন্ধুর লিখিত তিনটি বইয়ের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে এফওএসডব্লিউএএল প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার।
বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।
ভারতের পাঞ্জাবের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশী লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। সূত্র: বাসস
নয়াদিল্লিতে রোববার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল-এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।
‘বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’
মিসেস কাউর লিখেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ, যা শুধু তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!’
বার্তায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩ এর সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ ও হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া ওই ঘটনায় হ্যাকাররা কোনো ধরনের টাকাপয়সাও দাবি করেনি। এমন দাবি সম্পর্কিত কোনো তথ্য বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী রোববার এমনটা দাবি করেছেন।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বলেন, ‘ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হলেও এ নিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
রাষ্ট্রীয় শতভাগ মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হয় ১৭ মার্চ। সেদিন বেলা সোয়া ২টার দিকে সার্ভার হাতিয়ে নিয়ে হ্যাকাররা বিমানকে প্রথম নিজেদের দাবির কথা জানায়।
বিমান সূত্রে জানা যায়, ২১ মার্চ হ্যাকাররা জানায় যে তাদের কাছে বিমানের ১০০ গিগাবাইটের বেশি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া বিমানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে অনেক ডেটা তারা ডাউনলোড করে রেখেছে। বিমান তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা নিজেদের ব্লগে এগুলো প্রকাশ করে দেবে।
২২ মার্চ বিকেলে হ্যাকাররা বিমানকে আরেকটি বার্তা পাঠায়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে আপনারা বলছেন যে কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি। কিন্তু আপনারা ভুল।’
ফ্লাইট, বিমানের যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাসপোর্টের তথ্যসহ আরও বেশকিছু তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে হ্যাকাররা বিমানকে জানায়।
জানা যায়, ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে হ্যাকাররা বিমানের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে। অন্যথায় সব তথ্য ফাঁস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
এ ঘটনার ছয় দিন পর ২৩ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান তাদের ই-মেইল সার্ভার র্যানসমওয়্যার দ্বারা আক্রান্তের কথা জানায়।
হ্যাকাররা বিমানের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমান প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাকাররা টাকা দাবি করেছে বলে যে কথাটা উঠেছে সেটি সঠিক নয়। এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ বিষয়ে বিমান আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। টাকা দাবি করার এ খবর ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাকাররা ফায়ারওয়ালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ কারণে তারা বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। তারা তেমন কোনো তথ্য নিতে পারেনি। সাইবার অ্যাটাক হলে যা কিছু করতে হয় তা বিমানের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। জিডি করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
৯ দিনেও কেন ই-মেইল সার্ভার হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা যায়নি- এমন প্রশ্নে এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানের পরিচালনায় বা অপারেশনাল কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, যথারীতি কাজ করছে। কোনো বিষয়ে অসুবিধা হয়নি। আজও কাজ চলছে। আমরা আশা করি আগামীকাল সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এ ঘটনার একটি পরিপূর্ণ চিত্র দিতে পারব।’
বিমান সাইবার হামলার শিকার হতে পারে- এমন আগাম সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি। যৌথভাবে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। এই দলের কাজ শেষ হলে জানা যাবে। তবে বিমানের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির কারণে হ্যাকাররা এ ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিমানের এমডি বলেন, ‘আমাদের কোনো ঘাটতি থেকে থাকলে সেগুলো আমরা সামনে তুলে নিয়ে আসব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়েও বিমান কাজ করবে।’
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। অনু্ষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রিয়াদে বিভিন্ন সংগঠন ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক মিনিটের কম সময়ের ওই ভিডিওবার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমি দেশের ভেতরে এবং বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি এবং আমরা পাই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
‘আমি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই সালাম। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ি। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে রোববার সকাল ৮টার দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
ওই সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অফ অনার দেয়; বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
প্রথমে পুলিশ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, এসবির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পরে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্য নেতা, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নেতারা আলাদাভাবে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দেশের সাতটি বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বাকি অঞ্চলগুলোর আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।
এতে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ঢাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। রোববার দেশের সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন:মহান স্বাধীনতা দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে রোববার সকালে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
স্বাধীনতা দিবসে আগের বছরগুলোতেও স্মারক ডাকটিকিট, খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন সরকারপ্রধান।
ডাকটিকিট অবমুক্ত করার আগে ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য