আশুগঞ্জে ঘরের সিঁধ কেটে মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মনির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা বেগম, ৭ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে মোহাম্মত ও ৫ বছর বয়সী মেয়ে মারিয়া। মনির হোসেন খোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
আকলিমার ভাসুর ইউসুফ মিয়া ঘটনার বরাতে জানান, তার ছোট ভাই মনির হোসেন ৫/৬ মাস আগে ঘর তৈরি করে ওই গ্রামের এক ফসলি জমির মাঝে। তারা পাঁচ ভাই হওয়াতে আসল বাড়িতে জায়গার স্বল্পতার কারণে মনির সেখানে জায়গা কিনে ঘর বাঁধে। দীর্ঘ ৫/৬ মাস যাবৎ মনির হোসেন ও তার পরিবার সেখানে বাসবাস করছিলেন। মনির ইট কারখানায় কাজ করেন নবীনগরে। তাই বেশিরভাগ সময় আকলিমা ও তার সন্তানরা একাই থাকেন সেই বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার সকালে মনির হোসেনের মেয়ে মারিয়াকে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে বাড়িতে আসেন তার এক বান্ধবী। তবে সেখানে গিয়ে দেখে ঘরের দরজার পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন নিয়ে মনির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলে আকলিমা, তার ছেলে আব্দুল্লাহ ও তার মেয়ে মারিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনো মালামাল লুট করা হয় নি।
মনির হোসেনের চাচাতো ভাই মিন্নাত আলী জানান, মনির হোসেন একজন সরল-সিধা মানুষ। তার সঙ্গে কারোই শত্রুতা থাকার কথা নয়। আকলিমার হাতে, ঘাড়ে ও মাথাসহ শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম রয়েছে। মাথার আঘাতগুলো অত্যন্ত গভীর। তাছাড়া আকলিমার ছেলে আব্দুল্লাহ ও মেয়ে মারিয়ার মাথায় ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানো হয়েছে। তবে কে করেছে, কারা করেছে বিষয়টি ধারণার বাইরে। আকলিমা গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। তাকে জিজ্ঞেস করলে হয়ত কিছু একটা জানা যেতে পারে।
মনির হোসেন বলেন, ‘আমি সহজে কারো সঙ্গে শত্রুতা করি না। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় আমি আমার ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আর কথা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে আমার পরিবার বিষয়টি জানায়। কে বা করা এমন করেছে এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার আশপাশে কোনো বাড়ি নেই। যেহেতু বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র লুট করা হয়নি, এটি ডাকাতি হিসেবে ধরা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফয়সাল আল আহসান বলেন, ‘আহত তিনজনের মধ্যে ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে মোহাম্মদের মাথার আঘাতটি ব্রেইন পর্যন্ত গেছে। তার অস্ত্রোপাচার করানো হয়েছে। তাছাড়া আব্দুল্লাহর মা আকলিমা ও তার বোন মারিয়ার সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। উভয়ই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।’
আরও পড়ুন:গাজীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শিশুকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান।
গ্রেপ্তার তাহারুল মিয়া (৩৫) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার জামালপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, গত ১৫ মার্চ বিকেলে মহানগরীর ইসলামপুর এলাকায় সদ্য ভরাট করা মাটিতে স্থানীয় লোকজন মৃত একটি শিশুর পা দেখতে পেয়ে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেন। ফোন পেয়ে বাসন থানা পুলিশ মাটি চাপা অবস্থায় ৬ বছরের শিশু সাখাওয়াতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে শিশুর বাবা জাফর আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ শনাক্ত করেন ও এ ঘটনায় বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে হত্যায় অভিযুক্ত তাহারুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, গত ১৩ মার্চ বিকেলে শিশুটি অপহরণ হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ভুক্তভোগী শিশুর চাচাতো বোন শারমিনের সঙ্গে দুই বছর আগে তাহারুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ভোগড়া পেয়ারা বাগান এলাকায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের পরিবারের সঙ্গে একই বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে তাহারুল গত ১৩ মার্চ বিকেলে শিশুটিকে অপহরণ করে ইসলামপুর এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে চলে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহারুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্তি জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।
‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’
এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন:হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কাজীশাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামী, স্ত্রী ও এক সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ ছিল ঘরে এবং স্বামীর মরদেহ গাছে ঝুলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০২ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ দল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ ওভার ৪ বলে ২৩ রান তুলেছে। উদ্বোধনী জুটি হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।
বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।
হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।
২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।
এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।
দ্বিতীয় ওয়ানডে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটার ইয়াসির আলির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের। আয়ারল্যান্ড একাদশ অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নেমেছে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড এ পর্যন্ত ১২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আটটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে দু’টিতে জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মডেল মসজিদের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র্যাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল।
বুধবার রাতে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের উপপরিচালক মেজর মশিউরের নেতৃত্বে একটি দল অত্যাধুনিক স্ক্যানার যন্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবদুল হালিম খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা উপজেলার বাসিন্দা। তার ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, ওই কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমের রাখা ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হালিম দাবি, তার ব্যাগের ভেতর বডি স্প্রের একটি বোতল ছিল। এছাড়া অন্য কিছু ছিল না। বডি স্প্রের বোতল থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য ফিল্ড সুপারভাইজারকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা অত্যাধুনিক স্ক্যানার যন্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত নিয়ে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি প্রতিবেদন দিবেন।
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণস্থলে কোনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে র্যাবের ওই দল।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভয়াবহ আগুনে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
উপজেলার শ্যামগঞ্জ মধ্যবাজারে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ারসার্ভিস ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে নেত্রকোণার পূর্বধলা ও ময়মনসিংহ ফায়ারসার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে রাত ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণের আগেই ৫০টির বেশি দোকান পুড়ে যায়। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এখনো ধোয়া বের হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’
উপপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘মুহূর্তের মধ্যে আগুন এক দোকান থেকে অন্য দোকানগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। বাজারে রেস্তোরাঁর পাশাপাশি, হার্ডওয়্যারের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। তবে ঠিক কোন দোকানটি থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুবাই ফেরত এক যাত্রীর পেট ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব স্বর্ণের ওজন প্রায় পৌনে চার কেজি।
বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে আসা যাত্রীর শরীর স্ক্যানিংসহ তল্লাশী চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এ সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
আটক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হাটহাজারীর এনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুবাইফেরত ওই যাত্রীর শরীর তল্লাশী করে শুরুতে ২৩টি সোনার বার পাওয়া যায়। পরে তার মলদ্বারে আরও স্বর্ণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এতে তার শরীর স্ক্যানিং করে পেটে আরও কিছু সোনার বারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মলদ্বার দিয়ে বের হওয়া আরও ৯টি সোনার বার পাওয়া যায়।’
উদ্ধার করা মোট ৩২টি সোনার বারের ওজন ৩ কেজি ৭৩২ দশমিক ৫ গ্রাম। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য