একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী সাত অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আলবদর নেতা মো. আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
নেত্রকোণা থেকে ঢাকা হয়ে পালিয়ে মাদারীপুরে গিয়ে একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন তিনি; বুধবার মাদারীপুর সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
২০১৫ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার শুরুর পর পরই আত্মগোপনে যান আলবদর নেতা ৮২ বছর বয়সী মজিদ। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়।
র্যাব বলছে, ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি নেত্রকোণা থেকে পালিয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মাদারীপুরে একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে পলাতক জীবন শুরু করেন।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭০ সালে গঠিত জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী এই মজিদ নেত্রকোণার পূর্বধলা থানা জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজাকারদের প্রধান বাহিনী আলবদর পূর্বধলা রামপুর থানা কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি।
তিনি জানান, পূর্বধলা রামপুর মৌদাম গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকসহ তারা আপন দুই ভাই এবং পাঁচজন চাচাতো ভাই মিলে একই বাড়িতে সাতজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুরে আব্দুল মজিদ দলবল নিয়ে আব্দুল খালেকের বাড়িতে আক্রমণ করে। সে সময় বাড়িতে থাকা আব্দুল খালেকসহ মুক্তিবাহিনীর সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের লাশটি পার্শ্ববর্তী কংস নদীতে ফেলে দেয় তারা। এই হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আব্দুল খালেকের বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার সময় আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল কাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আব্দুল মজিদসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন আব্দুল কাদের। পরে মামলার তদন্তে আরও তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
র্যাব অধিনায়ক জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সাতটি অভিযোগই প্রমাণ হলে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সাতজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। বিচার চলাকালে মামলার দুই আসামি আহম্মদ আলী ও আব্দুর রহমান মারা যায় এবং রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় মারা যায় আরও দুই আসামি। মজিদ গ্রেপ্তার হলেও মামলার আরও দুই আসামি আব্দুল খালেক তালুকদার ও কবির খাঁ বর্তমানে পলাতক।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় ২০১৫ সালে আব্দুল মজিদ তার নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে এবং ফকিরাপুল এলাকায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকে। এরপর আত্মীয়ের সহযোগিতায় মাদারীপুরে গিয়ে আত্মগোপন করে একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে পলাতক জীবন শুরু করে এই ব্যক্তি। ২০১৫ সাল থেকে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন সে কখনই আদালতে হাজিরা দেয়নি।
র্যাব জানিয়েছে, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মজিদ সাধারণত জনসমাগম স্থান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলতো। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় এক বিচারকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডতা হয়।
“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।
‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’
এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বেশ কিছু তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করা পুলিশ হত্যা মামলার আসামি বাংলাদেশি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানকে আটকের কোনো তথ্য নেই দুবাই পুলিশের কাছে।
মঙ্গলবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুবাই পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এর তথ্যকেন্দ্র । তাদের দাবি, আরাব খানকে আটক করা নিয়ে তারা কিছু জানে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ই-মেইল পাঠিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টধারী আরাব খান সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। একই তথ্য জানতে চাওয়া হয় তাদের অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমেও।
উত্তরে দুবাই পুলিশের তথ্যকেন্দ্র বলেছে, ‘আরাব খান নামের কাউকে আটকের তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ আরাবকে নিয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘না, কোনো তথ্যই নেই।’
এর আগে এদিনই দুপুরে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আরাবকে আটকের তথ্য জানায় বাংলাদেশি একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা হচ্ছিল না।
কয়েক দিন ধরেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন আরাব খান, আসছিলেন লাইভেও। তার আটকের খবরের মধ্যেই বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকেও ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি।
এ ছাড়া দুবাইয়ে আরাব খান আটক হননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আমি এটুকুই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আসামি কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে পালিয়ে থাকতে পারবে না। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি স্বর্ণ দিয়ে।
আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বেশ কয়েকজন।
এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিও বার্তার পর বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) নজরে আসে।
ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার। সাকিবসহ অন্যরা এই আয়োজনে অংশ নেন।
ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আমরা আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’
আরাবকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ।
সবশেষ সোমবার দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আরাব খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি। এটা বোধ হয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এ রকম একটা খবর আমি পেয়েছি।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভয়াশ্রম থেকে অবৈধভাবে আহরণ করা ৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার ভোরে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পরে জব্দ করা এসব ইলিশ গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান, জাটকা নিধন রোধে দুই মাসব্যাপী অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালাকালে মৎস্য আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ রয়েছে।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকা থেকে আহরণ করা বিপুল ইলিশ ঢাকায় আসবে। পরে কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস্ সাদেকীন নির্ণয়ের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তল্লাশি করে ৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। তবে এসব ইলিশের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন। অভিযান শেষে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাই প্রবাসী আলোচিত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর আলম খানকে জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্য দিয়ে মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ জুন দিন ঠিক করেন বিচারক।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মো. মিজান শেখ, আতিক হাছান ওরফে দিলু শেখ, সুরাইয়া ওরফে কেয়া, মো. সারোয়ার হোসেন ও মো. রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান। এদের মধ্যে আরাব ও কেয়া পলাতক। বাকি ৬ আসামি কারাগারে রয়েছেন।
এই মামলার দুই আসামি মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা ওরফে আফরিন ও মোছা. ফারিয়া বিনতে মিম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে।
২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলুখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশে বাঁশ ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। রহমতউল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন।
রহমতউল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
হত্যার পর মামুনের মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ওই বছরের ১০ জুলাই রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ।
মঙ্গলবার দেশের একাধিক গণমাধ্যমে দুবাইয়ে আরাভ খানের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আমি এটুকুই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আসামি কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে পালিয়ে থাকতে পারবে না। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে
পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি সোনা দিয়ে।
আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।
সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’
রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’
ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার।
সর্বশেষ সোমবার দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন:কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে পেটানোর মামলায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ফরিদপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের ভাষ্য, সোমবার রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রায়মোহনকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনের সঙ্গে একটি মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১০ মার্চ দুই পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস করেন। সেই শালিসে উভয়ের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত ১০ মার্চ সালথায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ফরিদপুরের একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের ইভটিজিংয়ের শিকার ওই তরুণী।
গত ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনকে দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী সেই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। একই দিনে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন:পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ে পলাতক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানকে সেখানকার পুলিশ আটক করেছে বলে তথ্য এসেছে, তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য মেলেনি।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পরই দুবাই পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে দুবাইয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আরাবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের একটি যৌথ দল দুবাই যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই তারা দুবাই যেতে পারেন।
দুবাইতে আরাবকে আটকের খবরের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার এআইজি শরীফ মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে এআইজি মিডিয়া মনজুর হোসেন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’
আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে
পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি সোনা দিয়ে।
আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।
সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’
রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’
ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার।
সর্বশেষ সোমবার দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য