ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবাহনী মাঠের বিপরীতে ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে মঙ্গলবার প্রায় কয়েকশত মানুষ গাছ কাটা বন্ধের প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সড়কদ্বীপ উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। এটি এমনভাবে তৈরি হচ্ছে যেখানে পরবর্তী সময়ে গাছ রোপণ করা হলেও টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বক্তারা বলেন, গাছ কেটে কোনো উন্নয়ন হয় না। প্রতিবাদী ফেস্টুন ও বক্তৃতার ভেতর দিয়ে তারা গাছ বাঁচানোর এই আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেয়ারও আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, এলাকাবাসীর মধ্য থেকে শারমিন মুর্শিদ, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, আমিরুল রাজিব, মান্নান মুনির, ইমতিয়াজ আলম বেগ, মোস্তফা জামান, সৈয়দ মুহাম্মদ জাকির এবং আমিনুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে মো. মামুন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে এই ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মামুন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
নিহতের পরিবারের দাবি, চোর ভেবে শিশু হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্য এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক ও হেলপারেরা মিলে মামুনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহতের বড় ভাই মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামুন সকালে মা ও তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসে। অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর পর পরিবারের সদস্যদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
‘দুপুরের দিকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় যে আমার ভাই খুন হয়েছে। হাসপাতালে এসে জানলাম আনসার সদস্য ও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেসের চালক ও হেলপাররা চোর বলে ধাওয়া দিয়ে ধরে পিটিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই কোনো অপরাধ করে থাকলে তার বিচারের জন্য দেশে আইন আছে। একজন মানুষকে এভাবে কেন ওরা পিটিয়ে মারবে। এখন ওর বউ-বাচ্চার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
হাসপাতালের সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানের জুতা বিক্রেতা আল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরে দেখি একজন দৌড় দিছে। তার পিছে কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে হাসপালের ভেতরে চলে যায়। পরে ভেতরে গিয়ে দেখি সে মারা গেছে।’
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘শুনেছি জনতা গণধোলাই দিয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
নির্দিষ্ট করে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নিহতের মরদেহ উদ্ধারকারী শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
বিকেল ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মামুন পেশায় একজন চা বিক্রেতা। শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরার সময় তাকে চোর সন্দেহে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছেন।’
শেরে বাংলা নগর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শাহজাহান মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করেছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তার নাম-ঠিকানা এখনও জানতে পারিনি। তাকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।’
মারধর করে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্য সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ঢাকা মহানগর আনসারের জোন কমান্ডার মো. আম্বার হোসেনের কাছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ইতোমধ্যে একজনকে ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করছে পুলিশ।
‘আনসার সদস্য মারেনি। ফুটেজে আনসার সদস্যদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এটা ভুল তথ্য। মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে।’
রাজধানীর উত্তরায় ট্রেনে কাটা পড়ে আহমেদ সানি ওরফে হানিফ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আজমপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানু মং মারমা জানান, আহমেদ সানির বাসা মোল্লারটেক এলাকায়। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়েন। খবর পেয়ে কনস্টেবল আজিম হোসেনের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ব্যাংকের পক্ষে রোববার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী।
এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, মো. নাইয়ার আজম, মো. সিদ্দিকুর রহমান ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু শুধু নেতৃত্বই দেননি, এই নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তিনি বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বিশ্বের অনেক প্রান্তে বাংলাদেশের পরিচয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নামে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রোববার দুপুরে এক স্মারকগ্রন্থের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ পদদলিত করা হয়েছে। ওই সময়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে যাকে দাবি করা হয়েছিল, তিনি নিজেও জীবিত থাকা অবস্থায় নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু শুধু নেতৃত্বই দেননি, এই নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তিনি বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বিশ্বের অনেক প্রান্তে বাংলাদেশের পরিচয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নামে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে পেয়ে আমরা গর্বিত। সারা বিশ্বে তিনি অনন্য। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সবাই মিলে যার যার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।’
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি আরেকটি থেকে আলাদা করা যায় না। পাকিস্তানের ২৪ বছরে তিনি ৩ হাজার ৫৩ দিন কারাবরণ করেছিলেন। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৪ হাজার ৮০০ পাতার গোয়েন্দা প্রতিবেদন হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেখানেই যেতেন গোয়েন্দারা ছায়ার মতো লেগে থাকত। তিনি সারা বিশ্বে বাঙালি জাতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন। এত মহান ব্যক্তিকে এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার সপরিবারে হত্যা করেছেন।’
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষ যখন একটা জাতির প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং তখন তার পরিচয়েই দেশ পরিচিতি পায়। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতির প্রতীক হয়ে ওঠেছিলেন।’
কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষ, নদী, গাছ, মাটি, পাখিকে ভালোবাসতেন। তার নেতৃত্বে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা হয়েছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, ‘বইটি অত্যন্ত চমৎকার। অনেক বিদগ্ধজনের লেখা ও দুর্লভ ছবি এই বইতে আছে। বঙ্গবন্ধু সব সময় শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখতেন।’
স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য উল্লেখ করে বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘কিছু সংখ্যক জ্ঞানপাপী স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করেন। যা আমাদের ভাবতেও লজ্জা হয়।’
অনুষ্ঠানে মুজিবের বাংলাদেশ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আগামী প্রজন্মের শিশুরা বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং কী চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে সম্পর্কে তাদের জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
রাজধানীর রমনায় পুলিশ অফিসার্স মেসে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনকে স্বাগত জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের পুলিশ অফিসার্স মেসে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং নবীন অফিসার ও তাদের পরিবার যারা এখানে আসবেন তারা বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করার মাধ্যমে জাতির ইতিহাস জানতে পারবেন।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতা কীভাবে হয়েছিল একটা প্রজন্ম সেটা ভুলতে বসেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তারপর থেকে আবারও দেশের চাকা যেন স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে গত ৭ মার্চ ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হলো।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মৃত্যু হয় দগ্ধ মোহাম্মদ হাসানের (৩২), যিনি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
হাসানের ভাই রাহাতুল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। তার ভাই
হাসান ফেরি করে স্কুল ব্যাগ ও ভ্যানিটি ব্যাগ বিক্রি করতেন। ঘটনার দিন ফুটপাত দিয়ে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসান নামে একজনের মৃত্যু হয় আইসিইউতে। তার শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন:মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে রোববার সকাল ৮টার দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
ওই সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অফ অনার দেয়; বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
প্রথমে পুলিশ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, এসবির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পরে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্য নেতা, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নেতারা আলাদাভাবে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মন্তব্য