বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের পাশের একটি চায়ের দোকানে লোকজনের মধ্যে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছিল। এর মাঝে কথা উঠল দুই আসনেরই প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল খানের মতে, মন্দের ভালো হিরো আলম। তিনি ভালোও নন, খারাপ বলা যাবে না।
ডিশ ব্যবসায়ী থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়া হিরো আলম একতারা প্রতীক নিয়ে বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই যুবককে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা দুটোই আছে। একই সঙ্গে হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণাকে তার বাণিজ্যিক কৌশল হিসেবে দেখছেন অনেক ভোটার।
হিরো আলমের ঘনিষ্ঠজন বাবুল খান বলেন, ‘সংসদে ৩০০ সদস্য থাকেন। এর মধ্যে অনেকে আছেন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক মতো বলতে পারেন না। সেই ক্ষেত্রে হিরো আলম তৃণমূল থেকে উঠে আসছে, তিনি গরীব মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইয়াং জেনারেশনের কাছে হিরো আলম নট ব্যাড। ভালোও বলা যাবে না। খারাপও বলা যাবে না।’
চায়ের দোকানের পাশেই রেজাউল করিমের পানের দোকান। তিনি বলেন, ‘হিরো আলম আমাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি গরীব-দুখী মানুষদের ভালোবেসে উন্নয়ন করবেন।’
রবিউল ইসলাম নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘আমরা হিরো আলমকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। কারণ হিরো আলম এমন একটা মানুষ, তিনি আমাদের উন্নয়ন করবেই। যেটা এর আগে অন্য কেউ এমপি করেননি।’
কিন্তু হিরো আলম যদি এমপি হওয়ার পর উন্নয়ন না করে তখন কি করবেন? এ প্রশ্নে রবিউল বলেন, ‘আমরা তিন মাস তাকে দেখব। যদি উন্নয়ন না করেন, তাহলে বাতিল করে দেব। কয়েকদিন পরেই তো আরেকটা নির্বাচন আছে।’
হিরো আলমের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কাহালু বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল বারী বলেন, ‘নির্বাচন করতেছে, কিন্তু সে নিজেই তো যোগ্য না। সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কি কি কাজ সেটি তো সে বুঝে না। ইয়াং জেনারেশনদের মধ্যে কিছু হিরো আলমকে নিয়ে আমোদ করছে। এর বেশি কিছু না।’
কাহালু উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন কবিরাজও মনে করেন যে, নির্বাচনের চেয়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের দিকে আগ্রহ বেশি হিরো আলমের।
কামাল উদ্দিন কবিরাজ বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোয়ালিটি নিম্নগামী হচ্ছে। এটা শুভ সংকেত নয়। যদিও পার্লামেন্টে সবাই নির্বাচন করতে পারে।’
এদিকে হিরো আলমকে নিয়ে ভিন্ন ধারণা পোষণ করছেন বগুড়া-৬ আসনের অনেকে। তারা মনে করছেন যে, হিরো আলম নির্বাচনের পাশাপাশি ভিডিও কনটেন্ট দিয়ে বাণিজ্যিক সুবিধা নিচ্ছেন। অবশ্য তাদের এমন ধারণা অমূলক নয়। কারণ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলমের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ইউটিউবার যুক্ত হয়েছেন। যে কোনো প্রচারণায় তারা সঙ্গে থাকেন। এসব নির্বাচনী প্রচারণার ভিডিও ইউটিউবে, ফেসবুকে প্রচার করে প্রচুর ভিউ আসে। এতে অর্থ উপার্জন হয়।
হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল বলেন,‘ তিনি একজন নাগরিক। রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশ নিতেই পারেন। এখানে রাজনৈতিক ব্যর্থতা আমি বলবো না, তবে রাজনৈতিক চর্চার একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই শূন্যতা থেকে হিরো আলমরা গুরুত্বপূর্ণ এই পদগুলোয় আসছেন। যেমনটি এসেছেন মমতাজ। অথবা এমন আরও কয়েকজন।’
বগুড়া জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ বলেন, ‘হিরো আলমমের রাজনৈতিক দর্শন নেই, অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো নির্দেশনা নেই। হিরো আলম তার অদম্য ইচ্ছা দিয়ে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু তার গণমানুষের জন্য কোনো কর্মসূচি না থাকে তাহলে সংসদে গিয়ে কি ভূমিকা রাখবেন?’
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি ও ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিস লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন।
ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে দুপুরের আগে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ভোট বর্জন করেন তিনি।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনে উপনির্বাচন হবে। এতে একতারা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হিরো আলম।
দুই আসনে নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের হলফনামায় দেখা গেছে চার বছরের ব্যবধানে হিরো আলম কোটিপতি হয়েছেন। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেখিয়েছেন ৫৫ লাখ টাকা। যেখানে ২০১৮ সালে তার কোনো সঞ্চয়পত্র ছিল না। এছাড়া এসময়ের মধ্যে তার কৃষি জমি ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। স্বর্ণলঙ্কারও বেড়েছে ১০ গুণ, তবে হলফনামায় দেয়া তথ্যে কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন হিরো আলম। তার দাবি, আইনজীবী তার ভুল হলফনামা তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর সেতুর পূর্বপ্রান্তে লাইনচ্যুত হয়েছে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে ট্রেনটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৯টার দিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’
অপরদিকে, ট্রেনের এক বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চাকায় ত্রুটির কারণেই মূলত ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।’
রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করার পর এই লাইনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ ও লেগুনা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সিলেট এমএজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত পাঁচজন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে তামাবিল সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন প্রাণ হারান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দু’জন।
নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের চিকনাগুল এলাকার যাত্রগোল (ঠাকুরের মাটি) গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলি পাত্র, একই গ্রামের নন্ত পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রি পাত্র, কুষ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র ও তার ৬ মাস বয়সি মেয়ে সন্তান বিজলী, সুভেন্দ্র পাত্রের ৮ বছর বয়সী মেয়ে ঋতু পাত্র ও নিপেন্ত্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- সুভেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী প্রণতি পাত্র, কুষ পাত্র ও তার দুই ছেলে এবং লেগুনাচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুরে তামাবিল সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সামনে সিলেটগামী গরু বোঝাই পিকআপের (সিলেট-মেট্রো-ন ১১-২২৬৪) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লেগুনার (সিলেট-ছ ১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মঙ্গলি পাত্র, সুচিতা পাত্র, শিশু ঋতু পাত্র ও বিজলী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে ও থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। ওসমানীতে নেয়ার পর সাবিত্রি পাত্র ও শ্যামলা পাত্র মারা যান।
জানা গেছে, হতাহতরা লেগুনায় চড়ে একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট-তামাবিল সড়ক দিয়ে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
দুর্ঘটনায় ৬ জনের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহতদের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহগুলো মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে নিহতের কোনো স্বজন এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজে আসেননি।
নিহতরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউকান্দী নিতাইটেক গ্রামের ৪৮ বছর বয়সী আব্দুল রহিম, একই উপজেলার জালাকান্দি গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী নবী হোসেন ও সোনারগাঁ উপজেলার মুছারচর গ্রামের ৪০ বছর বয়সী জাকির হোসেন।
আরও এক জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এছাড়া আহত অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্ত্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে আড়াইহাজার উপজেলা জাঙ্গালিয়া গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলীকে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাত একটার দিকে বাঘারী গ্রামের বিলের পাড়ে ৭/৮ জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় স্থানীয়দের কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেন। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে পিটুনি দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। অন্যরা বিলে ঝাঁপ দেন। পরে বিল থেকে উঠিয়ে আরও দুজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজন মারা যান।
সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত চারজন ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে, আরও একজনের পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করছে। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের সবার নামেই মামলা আছে।’
মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজন পাওয়া গেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আর জাকিরের মরদেহ ঢামেকের মর্গে আছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া নিহতের ঘটনায় থানায় মামলার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে, বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিহতদের কোনো স্বজন যোগাযোগ করেছে বলে জানা যায়নি। নিহত তিনজনের কোনো আত্মীয়-স্বজন তাদের খোঁজে বা মরদেহ বুঝে নিতে আসেননি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।
ঈদের পর কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আর এখানকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার এসব কথা বলেন।
গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।
‘এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ দেয়ার পরও যারা আসবেন না তাদের দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। আর বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’
মতবিনিময় সভার শুরুতে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ৎ মার্কেটের প্রথম তলার ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি দোকান এবং দ্বিতীয় তলার ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান অর্থাৎ মোট ১৭৬টি দোকান স্থানান্তর করা হবে।
‘এছাড়াও কারওয়ানবাজারে সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না। ঈদের পর কারওয়ান বাজারের কাচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। আপনাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারওয়ান বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৫শ’ বছর আগে। এটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সদরঘাট। পর্যায়ক্রমে ঢাকা গুলিস্তান, মতিঝিল হয়ে অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে। তাই কারওয়ান বাজার ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্মার্ট শহর নিশ্চিত করতে হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নেবে।’
মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন:তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়েন। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে- আমরা এরকম একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।’
ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন- এগুলো চিন্তা করেননি এবং এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।’
নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও, বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
তবে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস ও অন্য তিনজনের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিলগুলো বিচারাধীন রয়েছে।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশ সংশোধন করে চারটি নির্দেশনা দিয়ে সোমবার রায় ঘোষণা করেছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ।
এর ফলে ইউনূসসহ চার আসামির ৬ মাসের দণ্ড বহাল থাকবে। তবে সাজাভোগ, জরিমানা ও কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা স্থগিত থাকবে।
ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রম আদালতের দেয়া দণ্ডের রায় ও আদেশ স্থগিত করেছিল শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু রায়ে সাজা ও দণ্ড দুটি বিষয়। সাজা স্থগিত করা যায়, দণ্ড স্থগিত করা যায় না।
‘রায়ে চারটি বিষয় আছে- দণ্ড স্থগিত হবে না, বহাল থাকবে এবং সাজাভোগ, জরিমানা ও কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা। হাইকোর্ট দণ্ড স্থগিতের অংশ বাতিল করে বাকি তিনটি বিষয় স্থগিত করেছে।’
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) করা ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
হাইকোর্ট বলে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূস ও এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহান জামিনে থাকায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা স্থগিত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় অভিযুক্ত ড. ইউনূসসহ তিনজন বিদেশে গেলে তাদের অবশ্যই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানাতে হবে।
একইসঙ্গে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে আদালত।
রুলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:নানা অব্যবস্থাপনা ও সনদের মেয়াদ নবায়ন না করায় মেহেরপুরের গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের আদালত এ দণ্ড প্রদান করে। পরে দণ্ডিতকে পুলিশি প্রহরায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় দেবীপুর গ্রামের সেলিম রেজার স্ত্রী পান্না খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।
স্বাভাবিক প্রক্রীয়ায় সন্তান প্রসব না হওয়ায় অপারেশনের সিন্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। সেখানে ডাক্তার আবু সালেহ মো. ইমরান তার অপারেশন করেন। তবে অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রসুতির মৃত্যু হয়।
প্রসুতির মৃত্যুর পর ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানায় তার পরিবার।
এরপর সোমবার দুপুরে গাংনী ইউএনও প্রীতম সাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, মেহেরপুর সিভিল সার্জন মহিউদ্দীন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ ওই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিদর্শনে যান।
সেখানে নানা অনিয়ম ও লাইসেন্স নবায়ন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৫২ ধারায় হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করা হয়।
পরবর্তীতের দণ্ডিত হাফিজুর রহমানকে পুলিশের সহায়তায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য