× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Extremists behind the public murder of Milon
google_news print-icon

মিলনকে প্রকাশ্যে হত্যার নেপথ্যে চরমপন্থীরা!

মিলনকে-প্রকাশ্যে-হত্যার-নেপথ্যে-চরমপন্থীরা-
বাঁয়ে মিলনের উদ্দেশে ছোড়া গুলি ও নিহত মিলন। ছবি: কোলাজ নিউজবাংলা
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে ফুলতলায় মোট পাঁচটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওই পাঁচটির মধ্যে চারটি খুনেই চরমপন্থীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

খুলনার ফুলতলা উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে মিলন ফকির (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

জামিরা রোডসংলগ্ন আইডিয়াল স্কুলের সামনে সোমবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মিলন ওই উপজেলার আলকা গ্রামের আব্দুল ওহাব ফকিরের ছেলে।

উপজেলার সিকিরহাট ও রানাগাতি নদীর ঘাট ইজারার দ্বন্দ্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে ফুলতলায় মোট পাঁচটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওই পাঁচটির মধ্যে চারটি খুনেই চরমপন্থীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সোমবার সকালে আইডিয়াল স্কুল মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। মিলন দৌড়ে স্থানীয় একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। দুর্বৃত্তরা ওই দোকানে ঢুকে তার মাথায় ও বুকে আবারও গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলন।

যে দোকানে মিলন দৌড়ে প্রবেশ করেছিলেন সেটির স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল বলেন, ‘সকালে দোকানের মধ্যে এসে মাত্রই বসেছিলাম। এর মধ্যে শুনি যে মিলন গুলি খেয়েছে। তখন আমি গুলির শব্দ শুনে দোকানের মধ্যে শুয়ে পড়ি। পরে কে বা কারা মিলনকে গুলি করে পালিয়ে যায়।’

মিলনকে হত্যার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলতলা থানায় মামলা হয়নি। কেন ওই হত্যাকাণ্ড, সে ব্যাপারে কথাও বলতে রাজি হননি থানার (ওসি) ইলিয়াস তালুকদার। তিনি বলেন, ‘কারণ তদন্ত না করে বলা যাবে না।’

সকালে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও দুপুরের পর ময়নাতদন্তের জন্য তা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খুলনার ফুলতলা ও যশোরের অভয়নগরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব নদ। ওই দুই উপজেলার মানুষ পারাপারে জন্য ব্যবহার করেন ১০টি খেয়াঘাট।

রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলেছে, এই খেয়াঘাটগুলো সরকারি ইজারা নিলেও ইজারাদারদের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করতে হয় চরমপন্থী নেতাদের কাছে। তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে দরপত্র ক্রয় বা জমা দিলে তার পরিণতি খারাপ হয়।

ওই ১০টি খেয়াঘাটের মধ্যে সিকিরহাট ও রানাগাতি নদীর ঘাট ইজারা নিতে চেয়েছিলেন মিলন। দরপত্রও কিনেছিলেন। দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে ওই দরপত্র জমা দেয়ার কথা ছিল।

মিলনের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, সিকিরহাট ও রানাগাতির ঘাট নিয়ে স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন মিলন। রোববার দুপুরে ওই ইউপি সদস্য তাকে (মিলন) একটি বড় মোরগ কিনে দিয়ে ঘাট ইজারার দরপত্র জমা না দিতে অনুরোধ করেন। এরপর সকালেই দুর্বৃত্তরা মিলনকে গুলি করে হত্যা করেছে।

রাশেদার অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই সাবেক ইউপি সদস্যের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, তবে তিনি কল রিসিভ করেননি।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই সাবেক ইউপি সদস্যকে থানায় আটকে রেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ফুলতলার চরমপন্থিরা দুই দলে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি হলো নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও অন্যটি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি। এর মধ্যে নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির ৩৫ জন সদস্য ইতিপূর্বে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা এখনও পলাতক। তারাই খেয়াঘাটগুলোর ইজারা নিয়ন্ত্রণ করে।

নিহত মিলন ফকির আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী দল নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ফারুক হোসেন মোল্লার দুঃসম্পর্কের মামা। ওই দলের লোকদের সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল, তবে তিনি নিজে সরাসরি চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন না।

সূত্রটি জানায়, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন সময় খেয়াঘাটের ইজারা, নদীর বালু উত্তোলন ও ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির নির্বাচনে মিলনের হস্তক্ষেপ ছিল। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।

পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন কাটিয়ে পাঁচ-সাত বছর আগে দেশে ফেরেন মিলন। দেশে এসে ফুলতলা বাজারে ব্যবসা শুরু করেন ও পরে আলকা গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করতেন। ২০২১ সালে তিনি ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির সহসভাপতি পদেও নির্বাচন করেন।

আরও পড়ুন:
রংপুরের দারুণ জয়, টানা তিন হার খুলনার
জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ১১৪ রান
খুলনায় ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নিখোঁজ চিকিৎসক, কলেজছাত্রকে ফেরত চাইলেন স্বজনরা 
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের ৩২ বছর পূর্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Does rice really thick? Gennin is the benefit of eating in the right way
ভাত কি সত্যিই মোটা করে?

জেনেনিন সঠিক নিয়মে খাওয়ার উপকারিতা

জেনেনিন সঠিক নিয়মে খাওয়ার উপকারিতা

অনেকে মনে করেন ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যায়, বাড়ে ভুঁড়ি। তাই অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দেন বা একেবারেই ছেড়ে দেন। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতেরও রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ—যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুরভি আগরওয়াল জানান, ভাত ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এটি অন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী। কালো চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বাদামি চাল ফাইবারে ভরপুর এবং লাল চাল প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। নিয়ম মেনে খেলে ভাত এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।

অন্য পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী বলেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট ও স্টার্চ বেশি থাকায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) উঁচু হয়, ফলে ওজন ও রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তবে রান্নার পদ্ধতি ও খাবারের সঙ্গে মিশ্রণে এ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

রান্নার সঠিক নিয়ম

চাল আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে নতুন পানিতে ভাত রান্না করুন।

মাড় গালা ভাত খেলে স্টার্চ কমে যায়, ফলে কার্বোহাইড্রেটও কমবে।

কতটুকু খাবেন?

দিনে ৩০ গ্রাম চাল দিয়ে রান্না করা এক কাপ ভাত যথেষ্ট (১৫০–১৭০ ক্যালোরি)।

ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ, সালাদ খেলে ওজন বাড়ে না।

কখন খাবেন?

দিনে ভাত খাওয়া নিরাপদ, কারণ নড়াচড়া বেশি হয়।

রাতে ভাত না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।

ভাত খাওয়ার পর করণীয়

ভাত খাওয়ার পর ভাতঘুম নয়, বরং হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করুন।

চাইলে গ্রিন টি পান করতে পারেন, এতে হজমে সহায়তা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Durga Puja will be celebrated in a festive atmosphere in Keshabpur

কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন হবে দুর্গাপূজা

কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন হবে দুর্গাপূজা

যশোরের কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওই প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ, সেনাবাহি-নীর ওয়ারেন্ট অফিসার ফখরুল ইসলাম, কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা,উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক সম্রাট হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু। সভায় কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯৭টি মন্দিরে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আলোচনা করেন বক্তারা। এবার কেশবপুর উপজেলার যে সকল এলাকায় পূজা উদযাপন হবে। ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে একটি,২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩ টি, ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে ৬টি, ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৫ টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৫ টি, ৬ নং সদর ইউনিয়নে ৭ টি, ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৮ টি, ৮নং সুপলাকাটি ইউনিয়নে ১২ টি, ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১৩ টি, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২ টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে ০৮ টি, কেশবপুর পৌর সভায় ৭টি সহ সর্বমোট ৯৭ টি পূজা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুন্দর ভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান টি উদযাপনের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন বলেন কেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইনোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Joypurhat a human chain demanded a five point demand for the district Dalit and the deprived people

জয়পুরহাটে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে বিডিইআরএম ও নাগরিক উদ্যোগের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার ও হস্তান্তর, ভুক্তভোগী রবিদাস পরিবার উচ্ছেদ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি বসতবাড়ি পুনর্নির্মাণে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এসময় জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, আদিবাসী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এইচ আল মুরাদ (দোয়েল), জেলা রবিদাস ফোরামের সভাপতি মনিলাল রবিদাস, জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সুধীর তিরকি প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Farmer Dialogue held in Kurigram 

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত 

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত 

জলবায়ু পরিবর্তন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ক কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আফাদ এর মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নারী পক্ষ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত উপপরিচালক মো: আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা খান,জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মাইদুল ইসলাম, আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

ইউএনওমেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন,ফেইস প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

দিনব্যাপী কৃষক সংলাপ সদর উপজেলাসহ রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর, ফুলবাড়ি,নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৫০জন কৃষক- কৃষাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।

দিনব্যাপি কৃষক সংলাপে নারী নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংগঠনের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠন,সভা, পরামর্শ সভা এবং ডায়লোগ সেশন আয়োজন করা,স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজের কর্মীদের ও কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,কমিউনিটি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন এর মূলক উপকরণ তৈরি,জেন্ডার সংবেদনশ প্রণোদনা প্রয়োশে মাধ্যমে কমিউনিটিকে সহায়তা করাসহ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে মৎস্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

মন্তব্য

নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার

নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় নুরাল পাগলার দরাবার থেকে জেনারেটর চুরির দায়ে মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান রাজবাড়ীর লক্ষীকোল সোনাকান্দা এলাকার হারুনার রশিদ এর ছেলে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা গোয়েন্দা ডিবি ও গোয়ালন্দ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে জেনারেটর সহ গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।

তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মিজানুর রহমান নুরাল পাগলার দরবার থেকে একটি জেনারেটর নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাকে নুরাল পাগলার দরবারের ভক্ত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লার দায়ের করা মামলায় গুরুতর জখম, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, কবর থেকে লাশ উত্তোলন, পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Special buses for speech students to participate in BCS Preliminary 

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশ নিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস 

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশ নিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে পৌঁছে দিতে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জব্বারের মোড় থেকে দুটি বাস টাউন হলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একই স্থান থেকে বাসগুলো শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনবে।

পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ জানান, উপাচার্যের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থবির পরিস্থিতির কারণে প্রথমে বাস চালুর পরিকল্পনা না থাকলেও পরে উপাচার্যের নির্দেশে সার্ভিসটি চালু করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thakurgaon dances in the festival of Karam Puja

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম পূজার উৎসবে নাচে গানে মেতেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম পূজার উৎসবে নাচে গানে মেতেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়

হলদে রঙের শাড়ি, খোপায় সাদা কাঠগোলাপ, পায়ে আলতা, নুপুর সাজে সেজেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের নারীরা। পুরুষের ঢোল ও মন্দিরার তালে নেচে গেয়ে নিজেদের বড় ধর্মীয় আয়োজন কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ।

আয়োজকরা জানান, বাংলা খ্রিষ্টাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ রাত বুধবার থেকে তাদের পূজা আর্চনা শুরু হয়ে পরদিন পহেলা আশ্বিন বৃহস্পতিবার দুপর পর্যন্ত চলে আনন্দ উৎসব। এ সময় নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে কারাম গাছের ডাল এনে পূজা আর্চনা ও নাচগানে মাতোয়ারা থাকে এ সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষরা।

সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামে উৎসবের রাতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন আয়োজন।

ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম। বিভিন্ন ধর্মের রাজনীতিক নেতা, সমাজ ওসাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও আমন্ত্রিত ছিলেন।

এছাড়াও গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ এই কারাম উৎসব দেখতে আসেন। এদিন সম্প্রিতির বন্ধনে আরও একবার আবদ্ধ হন গ্রামের মানুষ।

শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের নাচ ও গানের তালে তালে বরণ করে নেন ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে ফুল দিয়ে সকল ধর্মের মানুষদের বরণ করেন তারা। এরপর নাচ ও গান পরিবেশন করেন অতিথিদের সামনে। পরে উৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য করেন আয়োজকরা এবয় নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, কারাম উৎসব দুই রকম ভাবে উদযাপন করা হয়। একটি নিজ কারাম ও অপরটি দশ কারাম। নিজ কারাম হলো যারা একটু স্বচ্ছল তারা নিজেদের বাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। আর দশ কারাম হলো যেখানে সবার সহযোগিতায় একখানে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে কারাম গাছের পূজা করা হয়। ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে কারাম গাছ প্রাকৃতিক নানা রকম দূর্যোগ মোকাবেলায় তাদের সহযোগিতা করেছে। এ গাছের ডালকে আঁকড়ে ধরে তারা যুগ যুগ ধরে বেঁচে ছিলো। তিনি বলেন, এটি ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বড় উৎসব হলেও এইখানে গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ আসেন। সম্প্রীতির মিলবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ সময় তিনি এখানকার আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সরকার সহ সকলের এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।

কারাম উৎসবে এসে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মো: জসিম উদ্দীন। বলেন, এ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন যাপন খুব সহজ সরল। তারা অনেক পরিশ্রমী। তাদের উৎসবের আমেজ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আমি দারুন উপভোগ করছি। তাদের সরল আতিথিয়েতা আমাকে খুব আপন করে নেয় তাদের।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম উৎসবমুখোর পরিবেশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ওড়াওঁ সম্প্রদায় একটি অনন্য জাতিসত্ত্বা। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৃষ্টি কালচার রয়েছে। তাদের ধর্মীয় উৎসব চমৎকার। তাদের নিজস্ব সত্ত্বা যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায়। যেন সহস্র বছর ধরে তারা টিকে থাকে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে এর জন্য প্রশামনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে