× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Special train to Rajshahi around Prime Ministers rally
google_news print-icon

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিশেষ ট্রেন

প্রধানমন্ত্রীর-জনসভা-ঘিরে-রাজশাহীতে-বিশেষ-ট্রেন--
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সামনে রেখে নতুন সাজে সেজেছে রাজশাহী নগরী। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী জনসভা উপলক্ষে পশ্চিম অঞ্চলে রেলওয়েতে চালু করা হয়েছে সাত বিশেষ ট্রেন। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আসবে।

পাঁচ বছর পর রোববার রাজশাহী সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানকার ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের জনসভা। এ জনসভাকে সামনে রেখে নতুন সাজে সেজেছে রাজশাহী নগরী, থাকছে বিশেষ ট্রেনও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে রাজশাহীতে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। তাকে স্বাগত জানাতে নগর ও জেলাজুড়ে ৪৪টি তোরণ তৈরি করা হয়েছে। জনসভাস্থলের আশেপাশের সড়কগুলোকে সংস্কার করে চকচকে করা হয়েছে। নগরীর সড়কদ্বীপগুলো ঝেড়ে-মুছে রঙিন করা হয়েছে। নগরজুড়ে প্রজাপতি ও রাজকীয় সব সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। এসব ব্যানারে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

জনসভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবেন। বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। এখানে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন , ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে ২২০টি মাইক ও ১২ টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। এছাড়াও সমাবেশের জন্য ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও পায়খানার ব্যবস্থা থাকবে। ’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও নগরীর চারটি প্রবেশদ্বারসহ প্রতিটি কোণে ছয় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় তিন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য থাকছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।’

থাকছে বিশেষ ট্রেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী জনসভা উপলক্ষে পশ্চিম অঞ্চলে রেলওয়েতে চালু করা হয়েছে সাত বিশেষ ট্রেন। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আসবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে সাতটি বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হল-, নাটোর স্পেশাল, সিরাজগঞ্জ স্পেশাল, জয়পুরহাট স্পেশাল, সান্তাহার স্পেশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল, রহনপুর স্পেশাল ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্পেশাল ট্রেন।’

অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেনগুলো বেলা ১২টা থেকে একটার মধ্যেই রাজশাহীতে পৌঁছাবে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীর নেতারা রাজশাহীতে

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে এরইমধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছে গেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীর নেতারা। শনিবার বিকেলে রাজশাহী পৌঁছেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিশেষ ট্রেন

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, প্রায় ১৫-২০ জন কেন্দ্রীয় নেতা এরই মধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমরা জনসভা শুরু করব। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পর সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠবেন।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে পরিদর্শন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৪ বছরে পুরো দেশের মতো রাজশাহীও বদলে গেছে। দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। উন্নয়ন-অর্জনের বদলে যাওয়া দৃশ্যপটের ওপর গুরুত্ব দিয়েই প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আর এক বছর বাকি। তাই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। নৌকায় আবারও মানুষের সমর্থন ও ভোট চাইবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, বড়-বড় দেশগুলো পৃথিবীতে যুদ্ধ বাধিয়ে আমাদের মত ছোট-ছোট দেশগুলোকে সমস্যায় ফেলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে দেশের হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বাংলাদেশের মানুষ সংকটের মধ্যেও ভালো আছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
টুঙ্গিপাড়ায় জার্মানি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
সরকার অগ্রাধিকার খাতে টাকা ব্যয় করছে: প্রধানমন্ত্রী
ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ২৫ নির্দেশনা
‘বঙ্গবন্ধু সরকার: দেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
To delay the goal of the movement with PR Mirza Fakhrul

পিআর নিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্য নির্বাচন বিলম্বিত করা: মির্জা ফখরুল

পিআর নিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্য নির্বাচন বিলম্বিত করা: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পিআর পদ্ধতির আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা, এটা জনগণ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে এবং আপনারা দেখেছেন এটার জন্য তারা আন্দোলনও করছে। এর একটাই লক্ষ্য তা হচ্ছে, নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এখনো বলছি, জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না, চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির উদ্যোগে ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কমিটমেন্ট হলো ২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই নির্বাচন হবে। আমরা সেটাই দেখতে চাই। জনগণ নির্বাচন দেখতে চায় এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করতে চায়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জানি যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেকোন দল জয়ী হতে পারে জনগণের ইচ্ছার উপর দিয়ে। কিন্তু সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে, যে দল পরীক্ষিত অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে।’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই এই দেশে প্রথম সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেছিলেন, তিনিই প্রথম এই দেশের সংবিধানে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস কথাটি রেখেছিলেন।
এখন কিছু দল সেগুলোকে বিকৃত করে বিভিন্নভাবে এই বিএনপিকে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বয়স কম তারা জানে না, যাদের বয়স একটু বেশি তারা দেখেছেন ১৯৭৫ সাল নভেম্বর কী অবস্থার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশের মানুষ সেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য নতুন করে তখন স্বনির্ভর বাংলাদেশ তৈরি করার কাজে ঝাপিয়ে পড়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক একইভাবে আজকে আবার আমরা সবাই এক হয়েছি আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আমরা অবশ্যই বাংলাদেশকে আবার একটা স্বনির্ভর, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাব, এমন বাংলাদেশই নির্মাণ করতে চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র আছে, চক্রান্ত আছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র চক্রান্তকে পরাজিত করবার শক্তি বাংলাদেশের মানুষের আছে।’
সামনে কঠিন পরীক্ষা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। প্রতিদিন আপনাদের এই ইউটিউব, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া এগুলোতে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ আমার বিশ্বাস আপনারা এখান থেকে সঠিক তথ্যটি বেছে নিতে পারবেন। এই দেশের মানুষ কখনো ভুল করে না, সবসময় সঠিক পথে এগিয়ে যায়। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে চাই।
যেখানে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার আস্থা প্রকাশ করবে এবং তাদের একটা পার্লামেন্ট ও তাদের সরকার বেছে নেবে। আপনাদের আবার অনুরোধ করব যে, সুযোগ আমরা পেয়েছি বাংলাদেশকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবার সেই সুযোগ যেন আমরা না হারাই।’
একাত্তর মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু সংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে। এটাও সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই আজকে আমরা নতুন রাষ্ট্রের নতুন চিন্তা করতে পারছি, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু আমরা আজকে এই বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করবার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে অংশ নিতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমরা যুবক ছিলাম, লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি। আমাদের মধ্যে এখানে অনেকে আছেন যারা সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছেন, এই চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, আমরা সবাই এই যুদ্ধগুলোতে অংশ নিয়েছি। শুধু একটা লক্ষ্য আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই কথাটি মাথায় রেখে সকলে যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স এক বছর পার হয়েছে, এই ১৪ মাসে রাতারাতি আলাদিনের চেরাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটা খুব সুন্দর বানিয়ে ফেলবে এই আশা জনগণ করে না এই সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু প্রক্রিয়ার শুরুটা চায়... চায় যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হোক যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাব।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, যে তারেক রহমান একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছে বিবিসিতে।
সেখানে তিনি এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছেন এবং কিভাবে তিনি দেশের সমস্যার সমাধান করতে চান সেই সমস্যাগুলো তিনি তুলে ধরেছেন। ফিন্যাশনাল টাইমসেও তিনি একইভাবে কথাগুলো বলেছেন।’
বেকার সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বিএনপি ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছে এবং ‘অনেক কাজ সম্পন্ন’ করে রাখা হয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাগপার খন্দকার লুফুর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদিকী বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PR method will not accept the people of this country Mirza Fakhrul

পিআর পদ্ধতি এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না: মির্জা ফখরুল

পিআর পদ্ধতি এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর পদ্ধতি এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। চাপিয়ে দেয়া কোনকিছু এদেশের মানুষ গ্রহণ করে না।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ডিআরইউ মিলনায়তনে এক 'স্মরণসভা'য় তিনি এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

তিনি বলেন, বিএনপি বিরুদ্ধে অপ্রচার চলছে, বিএনপি নাকি সংস্কার চায় না। বিএনপি সংস্কারের পক্ষে। আপনারা অপ্রচারে কান দিবেন না।

মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতির বিষয়ে জনগণ বোঝে না, সেই পদ্ধতি নিয়ে কয়েকটি দল আন্দোলন করছে। এর কারণ হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All must unite for the victory of Islamic power Shahjahan Chowdhury

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতির নামে বিভাজন সৃষ্টি করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা আজও চলছে। তিনি আরো বলেন, যারা রাজনীতির নামে বিভাজন তৈরি করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু, সর্বোপরি তারা ইসলামের শত্রু। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যই ইসলামের শক্তি—এই সত্যকে হৃদয়ে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রে কর্ণপাত না করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শনিবার দুপুরে পুটিবিলা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আইয়ুব সাবেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেন্টার দায়িত্বশীলদের সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, বটতলী শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জালাল আহমদ, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইদ্রিস, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আফসার, সাবেক ছাত্রনেতা বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল মোজাফফর আহমদ, মাওলানা রফিক আহমদ ও মো. শাহজাহান মুন্সী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি একটি নিয়মতান্ত্রিক ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠনের কর্মীরা শৃঙ্খলা, ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের কর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The only way to bring democracy is the only way to bring back Mirza Fakhrul

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরানোর একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবো না।
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষই গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।

হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে একটু সম্মান দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মনস্টার হাসিনা দেশের সব কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা সব জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।

ফখরুল বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সমগ্র সময় ধরে লড়াই করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ৯০–এর গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, জিয়া পরিবার তখনও জনগণের পাশে ছিল, এখনো আছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারেক রহমান সোচ্চার ছিলেন, আছেন। যারা ‘পিআর’ পদ্ধতির কথা বলে, তারা আসলে নির্বাচন চায় না, গণতন্ত্রও চায় না। তিনি বলেন, আমাদের আগে বাংলাদেশ, না দিল্লি, না পিন্ডি; সবার আগে বাংলাদেশ।

সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The role of advisors is questioned in front of the nation Ghulam Parwar

উপদেষ্টা অনেকের ভূমিকা জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার

উপদেষ্টা অনেকের ভূমিকা জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার

জাতীয় নির্বাচনের আগে এখন পর্যন্ত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ)’ নিশ্চিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদেরও দায়ি করেছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে গণমিছিলের আগে এক সমাবেশে বক্তব্যে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গোলাম পরওয়ার। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনো বিশেষ দলের প্রতি দুর্বল হয়ে, কারও চাপে মাথা নত করে প্রশাসনে কোনো দলের পছন্দের লোককে বেছে বেছে পদায়ন করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। ওসি, ডিসি, ইউএনও, আমলা, এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকের ভূমিকা এখনো জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ।
উপদেষ্টাদের মধ্যে কাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, সে নাম প্রকাশ করেননি মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগে ছোট-বড় সব দল যেন সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এখন জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এই পদ্ধতি সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার আছে। কিন্তু দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচি সম্পর্কে, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার অধিকার কারও নেই।’
১৫ অক্টোবর জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আগে পিআর পদ্ধতির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান পরওয়ার।
যেসব সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি গণভোটের মধ্যে পিআর প্রস্তাবও যুক্ত রাখার দাবি জানান তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণ যদি পিআর পদ্ধতির পক্ষে মতামত দেয়, সব দলকে সেটা মানতে হবে। জনগণ বিপক্ষে মত দিলে জামায়াত পিআরের দাবি থেকে সরে আসবে।
জাতীয় ঐক্য তৈরির স্বার্থে জামায়াত ‘বেশ কিছু’ সংস্কার প্রস্তাবে ছাড় দিয়েছে দাবি করে পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্বপ্ন পূরণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থে যেন ঐক্যের প্রচেষ্টায় বিঘ্ন না ঘটে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is watching the certificate positively Ruhul Kabir Rizvi

জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি: রুহুল কবির রিজভী

জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি: রুহুল কবির রিজভী

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি।’
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া জুলাই সনদকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে দেখছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সনদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। আমরা আশাবাদী, জুলাই সনদ নিয়ে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক সমঝোতা হবে।’
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন। তার কথার মধ্যে কোনো দলীয় পক্ষপাত ছিল না। তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ধ্বংস চাননি, বরং ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। যেসব ব্যক্তি অপরাধ করেছেন বা নির্যাতন চালিয়েছেন; আইনসঙ্গত উপায়ে তাদের বিচারের কথা বলেছেন তিনি।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, সেখানে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানই মুখ্য। দেশের সিভিল সোসাইটি, অভিজাত সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তার এই বক্তব্য ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
কৃষি খাতের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যে কৃষি কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের কৃষকরা আজ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এ বিষয়ে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (এ্যাব) কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি জানান, অ্যাব এমন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে, যাতে কৃষকদের স্বার্থরক্ষা হয় এবং দেশের জনগণ উপকৃত হয়। ‘এই দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা আমাদের দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকেই এসেছে’, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত এ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ কামরুজ্জামান এবং সদস্য সচিব কৃষিবিদ শাহাদাৎ হোসেন বিপ্লব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Manna Sakis announced the names of 120 candidates with democracy

মান্না, সাকিসহ ১২০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল গণতন্ত্র মঞ্চ

মান্না, সাকিসহ ১২০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল গণতন্ত্র মঞ্চ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ূম, সাইফুল হকসহ ১২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। পর্যায়ক্রমে ৩০০ আসনের বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা-৮ আসনে, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী-৩ আসনে এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুকে জামালপুর-৫ আসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের এ পর্যন্ত চার শতাধিক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। আরও অনেকে আগ্রহ জানিয়েছেন। প্রার্থিতা বাছাই ও সমন্বয় কমিটি আবেদনগুলো পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের কাজ করছে। একই আসনে একাধিক প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয়কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ এর আগে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল। এর পাশাপাশি মঞ্চ সম্প্রসারণের আলাপ চলমান রয়েছে। এমনকি অন্য কোনো জোটের সঙ্গে ঐক্য বা নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনাও রয়েছে। দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করে জনগণের মালিকানা ও জনগণের কাছে জবাবদিহির রাষ্ট্রকাঠামো গড়তে যাঁরা সর্বোচ্চ সচেতন হবেন, তাদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের ঐক্য হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, তানিয়া রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদ মিলে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে জোট গঠন করে। পরে গণঅধিকার পরিষদ এই জোট থেকে বেরিয়ে যায়।

মন্তব্য

p
উপরে