কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নুরুন্নবী নামের এক প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে পেটানোর ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রৌমারী প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই নেতাকে অব্যাহতি দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীকে মারপিট করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
‘এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে রোকনুজ্জামান রোকনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আল মাহমুদ পলাশ, সহ-দপ্তর সম্পাদক সুমন মিয়া,সাবেক দপ্তর সম্পাদক রমেশ চন্দ্র সাহা চন্দন, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হারুনর রশিদ, যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল করিম, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা দাবীদার মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে হলে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিফাত বাদী হয়ে ৭ জনের নামে এবং আরও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বুধবার দুপুরে এ মামলা করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আলীম সালেহী, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, শামীম সিকদার ও শেখ রেফাত মাহমুদকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশ। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি মূল ঘটনা দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।’
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের ই বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বার রুমে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে জিএম ফাহাদ ও একে জিহাদ নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা সবাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের ই বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আর হামলাকারী হিসেবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সংগঠক। হামলার শিকার ও হামলায় অভিযুক্ত সকলেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও বোমা বিশেষজ্ঞকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলাটি করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টানটু সাহা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রণবীরকে ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার ওরফে মৃধাসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি জানান, সোমবার অস্ত্র-গোলাবারুদসহ দুই জঙ্গীকে গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার র্যাবের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এর আগে, সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ওই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন:অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে বদলি করা হয়েছে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমানকে। তাকে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হয়েছে।
হাফিজুর রহমানের পদে পদায়ন করা হয়েছে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক মো. শাহাদাৎ হোসেনকে।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে বিদায় নেন হাফিজুর রহমান। এর আগে ১০ জানুয়ারি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান গত বছরের ১৪ অক্টোবর ময়মসিংহে যোগ দেন। এরপর কার্যালয়ের সামনে বড় করে প্যানা টানিয়ে দেন তিনি। তাতে লেখা হয়, ‘আপনার পাশে আমরা। পাসপোর্ট করতে এসে কোনো ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি হলে ২০৬ নম্বর কক্ষে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
ঘুষ আর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি নয়া উপ-পরিচালকের নির্দেশে স্বচ্ছ হয়েছে বলে প্রচার করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, এখানে দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে আর পাসপোর্ট করতে হয় না। দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমন প্রচারের সত্যতা খুঁজতে গত বছরের মার্চ মাসে টানা ১৫ দিন অনুসন্ধান করে নিউজবাংলা। ওই বছরের ২ এপ্রিল ‘কৃতিত্ব নিলেন পাসপোর্ট কর্মকর্তা, বন্ধ হয়নি ঘুষ-দালালি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় ময়মনসিংহ পাসপোর্ট অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির আদ্যোপান্ত।
এর কয়েক মাস পরই প্রধান কার্যালয়ে বদলি হয়ে চলে যান অফিস সহকারী শফি। কিন্তু তাতে উপ-পরিচালকের টনক নড়েনি। চেয়ারে শক্তপোক্তভাবে বসে থেকে তিনি কতিপয় সাংবাদিক দিয়ে তার পক্ষে একের পর এক স্তূতিমূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
এরপর দৈনিক শেয়ারবিজ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি রবিউল আওয়াল রবিকে লাঞ্ছিত করে আবারও আলোচনায় আসেন হাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ‘অনিয়ম নয়, সাংবাদিক ঠেকাতে মরিয়া কর্মকর্তা’ শিরোনামে আবারও সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা। সে সময়ও অনুসন্ধানে তুলে ধরা হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা হাফিছুর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতির নানা গোপন তথ্য। তবে এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বরাবরই অস্বীকার করে পাশ কাটিয়ে গেছেন এই উপ-পরিচালক।
জেলার হালুয়াঘাটের বিলডোরা গ্রামের মাজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট জরুরিভাবে পেতে ৮ হাজার ৫০ টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। নিজে আবেদন জমা দিতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে ইশারায় একজন দালাল ডাক দিলে তার সঙ্গে আলোচনা করে তাকে আরও নগদ আড়াই হাজার টাকা দিয়েছি। এরপর ৬ ডিসেম্বর পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি।’
লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক রবিউল আওয়াল রবি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওইদিনের ঘটনা আমি আজও ভুলতে পারিনি। অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হবে বুঝতে পেরে উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান আমাকে অপদস্ত করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। একইসঙ্গে তিনি বলে দেন, আমাকে আর পাসপোর্ট অফিসে ঢুকতে দেয়া হবে না। এমন উপ-পরিচালক এর আগে কখনোই দেখিনি। উনি হচ্ছেন উপরে ঠিকঠাক, ভেতরে সদরঘাট।’
নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে জানতে উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সরকারি চাকরি করলে বদলি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্যার অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা আমার জানা নেই। অনেক সেবাগ্রহীতা সরাসরি স্যারের কক্ষে যাওয়ার সুযোগ পেতেন। তার সময়ে দালালের সংখ্যা কমেছে।’
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে গত রোববার বাবা-ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনাটি গ্রেনেড বিস্ফোরণেই ঘটেছে।
সোমবার কাপ্তাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
এদিকে গ্রেনেড থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি স্বীকার না করলেও ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪৫ বছর বয়সী ইসমাইল মিয়া ও ৭ বছর বয়সী তার ছেলে মো. রিফাত নিহত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগমকে। তারা কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়নে নতুন বাজার এলাকার বাদশা মিয়ার টিলার বাসিন্দা। রোববার সন্ধ্যায় সেখানেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটির কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে সেনাবাহিনী তদন্ত করছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণটি কারা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমি শুনেছি, জঙ্গলে কাজ করতেন ইসমাইল মিয়া। সেখান থেকে খেলনার বল মনে করে গ্রেনেডটি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে এটি নিয়ে খেলতে গেলে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাবা-ছেলে নিহত হন এবং ইসমাইলের স্ত্রী গুরুতর আহত হন।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থল গিয়ে দেখেন- বাবা-ছেলেসহ তিনজন মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইসমাইল ও রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
চট্টগ্রামের হালিশহরে ইস্টার্ন ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দুই ঘণ্টার চেষ্টায় চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হালিশহর বড়পোলের মুখে ইস্টার্ন ব্যাংকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক সোয়া ১২টার দিকে খবর পেয়েছি। শুরুতে আমাদের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আরেকটি ইউনিট যোগ দেয়। মোট আটটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।’
মুন্সীগঞ্জ সদরে ত্রিভুজ প্রেমের দ্বন্দ্বে জেসি মাহমুদ নামে এক স্কুলছাত্রীকে খুনের অভিযোগে আদিবা আক্তার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৭ বছর বয়সী নিহত জেসি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাঁও এলাকার সৌদিপ্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে। তিনি আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্যদিকে ১৯ বছর বয়সী গ্রেপ্তার আদিবা সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহিদ হাসানের মেয়ে।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিহত জেসির বড় ভাই শাহরিয়ার জিদান একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় রহমান ও আদিবা আক্তারকে আসামি করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, আদিবা ও জেসি উভয়ের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল ২২ বছর বয়সী বিজয়ের।
সম্প্রতি আদিবাকে বিয়ের পরিকল্পনা করেন বিজয়। এতে জেসি রাগান্বিত হয়ে তার সঙ্গে বিজয়ের একান্ত আলাপচারিতা ও মেসেঞ্জার কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট আদিবাকে পাঠান।
বিষয়টি নিয়ে পরে বিজয়ের কাছে জবাবদিহি চান আদিবা।
এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিজয়ের বাসায় বিষয়টি ফয়সালার সিদ্ধান্ত নেন তিনজন। পরে তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়ের বাসার পঞ্চম তলার ছাদে মিলিত হন। সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জেসিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষি মারেন আদিবা ও বিজয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিজয় জেসির গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।
পরে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় জেসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিজয় এবং দাবি করেন ছাদ থেকে পড়ে গেছেন জেসি।
অচেতন জেসির অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
এ অবস্থায় জেসির পরিবারকে খবর দেন বিজয়। পরিবারের সদস্যরা এসে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে জেসি মারা যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য