× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Kidnapping ransom hotspot tourist town
google_news print-icon

অপহরণ-মুক্তিপণের ‘হটস্পট’ পর্যটন নগরী

অপহরণ-মুক্তিপণের-হটস্পট-পর্যটন-নগরী
কক্সবাজার সাগর সৈকত। ফাইল ছবি
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নতুন বছরের গত ২০ দিনে কমপক্ষে সাতটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের শিকার ১২ জনের অধিকাংশই ছাড়া পেয়েছেন মুক্তিপণ দিয়ে। এর আগে ২০২২ সালে এখানে অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের ঘটনা ঘটে ১৬টি।

চলতি বছরের শুরুতেই অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে দেশের দক্ষিণের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারে। নতুন বছরের গত ২০ দিনে অন্তত সাতটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অপহৃতের সংখ্যা ১২ জন। এদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছেন। এসব ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালেই অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের ঘটনা ছিল ১৬টি। অপহৃত হয়েছিলেন রোহিঙ্গা, স্থানীয় মিলে অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের কয়েকটি চক্র। তাদের নেতৃত্বে নাম এসেছে জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের।

৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ভুট্টাখেত পাহারারত চার কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফেরেন।

১৫ জানুয়ারি টেকনাফে অপহরণের শিকার ছয় রোহিঙ্গা নাগরিক ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। ওই দিন সন্ধ্যায় টেকনাফের চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ছয় রোহিঙ্গাকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালাই। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। ফেরত আসা অপহৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ছয়জনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে।’

অপহৃত আব্দুস সালামের ছোট ভাই মুন্সী রফিক বলেন, ‘অপহরণের ঘটনা পুলিশকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা পাইনি আমরা। পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয়ার পর ভাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। একটি স্বাধীন দেশে এভাবে ডাকাত বা প্রভাবশালী চক্র সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুই করতে পারছে না। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।’

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘অপহরণের খবর প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। অপহরণের বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করছি। কিন্তু সবার মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।’

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘অপহরণের খবর পেলে পাহাড়ে অভিযান শুরু করি। কিন্তু অতি দুর্গম পাহাড় হওয়ায় আমাদের আভিযানিক কার্যক্রমে সমস্যা হয়। এ ছাড়া কেউ লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়াও সম্ভব হয় না।’

গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ির ঢালা থেকে গরু ব্যবসায়ীসহ দুজনকে তুলে নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা হলেন আলীকদমের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান ও তার মোটরসাইকেলচালক। পরে তারাও মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে উদ্ধার অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর কোনো হদিস পাননি। এমনকি কে বা কারা এ অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত, তাও জানতে পারেননি তারা।

কিন্তু স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঈদগড় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিশযাঘোনা এলাকার আবু শামার ছেলে ডাকাত অস্ত্র বাবুল, আকবর আহাম্মদ হারুন, আব্দুস সালামের ছেলে মুজিব, আলী হোসেন, নুরুল হকের ছেলে কলিম উল্লাহ এই অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত। আর তাদের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান।

তবে এসব ডাকাতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন ইউপি সদস্য মিজান। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেলে যা শাস্তি দেয় তা মেনে নেব।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি অপহরণের ঘটনায় ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালিয়েছি। চক্রগুলোর সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ, খুনসহ নানা অপরাধ দমনে আমরা কাজ করছি। যেকোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। সীমান্তে চোরাচালান বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি যেভাবে আমরা মোকাবিলা করেছি, একইভাবে সব সংকট মোকাবিলা করব।’

আরও পড়ুন:
মহাখালী ফ্লাইওভারে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
সক্ষমতা বাড়ছে কক্সবাজার হাসপাতালের: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে অপহৃত শিক্ষক ঢাকা থেকে উদ্ধার
ফোনে ডেকে নিয়ে রাবি ছাত্রকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৫
চার বছরের শিশুকে অপহরণ করায় যুবকের যাবজ্জীবন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNPs torch procession in Fatulla fire vandalism cocktail explosion arrested

ফতুল্লায় বিএনপির মশাল মিছিল, আগুন,ভাঙচুর,ককটেল বিস্ফোরণ: আটক

ফতুল্লায় বিএনপির মশাল মিছিল, আগুন,ভাঙচুর,ককটেল বিস্ফোরণ: আটক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতাল সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মশাল মিছিল। ছবি: নিউজবাংলা
ফতু্ল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘মশাল মিছিলসহ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকে ভাংচুর করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ধাওয়া করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে আটক করেছে। যারা হরতালের নামে সড়কে নাশকতা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতাল সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মশাল মিছিল থেকে গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ সময় ফতুল্লা থানা স্বেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিবকে আটক করে পুলিশ।

ফতুল্লার পঞ্চবটী মুক্তারপুর সড়কের ভুলাইল এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ফতু্ল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, রাত আটটার দিকে বিসিক সড়কের ভুলাইল এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করে থানা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতা-কর্মী। মশাল মিছিল থেকে হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীরা একটি তেলবাহী ট্রাকসহ তিনটি যানবাহন ভাংচুর করে।

মিছিল থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নেতা-কর্মীরা। এ সময় রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়।

খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ধাওয়া করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে আটক করে।

ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘মশাল মিছিলসহ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকে ভাংচুর করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ধাওয়া করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবকে আটক করেছে। যারা হরতালের নামে সড়কে নাশকতা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MP Mostafiz attacked journalists for asking questions
আচরণবিধি লঙ্ঘন

প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও এমপি মোস্তাফিজ

প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও এমপি মোস্তাফিজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে খবরের শিরোনাম হন এই রাজনীতিক (ইনসেটে)। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সুযোগ নেই। এমপি মোস্তাফিজ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করতে তিনি সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে ঘুষি মারেন।

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ও তা নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর রোষের শিকার হয়েছেন সংবাদকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ক্ষেপে যান তিনি। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সাংবাদিকদের।

বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না- এমন প্রশ্ন করতেই তিনি প্রশ্নকারী ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে ঘুষি দেন। এসময় তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মারধর শুরু করেন সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তারা মাছরাঙা টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ও ট্রাইপড আছড়ে ভেঙে ফেলেন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন সাংবাদিকের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

মারধরের শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি অনেক নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় আমার ওপর হামলা করেন এবং মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন। তিনি আমাকে পরবর্তীতে দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে সাংবাদিকরা মৌখিক অভিযোগ দিলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগসাপেক্ষে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভুক্তভোগী সাংবাদিককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান, দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর আবারও ‘নৌকা ভাগিয়ে নিয়ে’ আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছেন বিতর্কত এই নেতা।

আরও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার সম্ভাবনা নেই: টিআইবি
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা ২৭৪১
অধিকাংশ প্রার্থীকে চেনেন না ভোটাররা
‘নৌকায় উঠে’ বিএনপি থেকে বহিষ্কার শাহজাহান ওমর
শেষ পর্যন্ত বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Violation of code of conduct before the start of campaign in Sylhet
নির্বাচন

সিলেটে প্রচার শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

সিলেটে প্রচার শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক সিলেটে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আচরণবিধি ভেঙে শোডাউন করেন প্রার্থীরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পাশপাশি জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিল করে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।

সিলেটে নির্বাচনি প্রচার শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আচরণবিধি ভেঙে শোডাউন করেন প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পাশপাশি জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিল করে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়পত্র জমার সময় কোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহসানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ভিড় করেন প্রার্থীরা। সকালেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ।

বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। ওই সময় শফিকুর রহমানের সমর্থকদের নৌকা মার্কার সমর্থনে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে দেখা যায়। শফিকুর রহমান ও মাসুক উদ্দিনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনন্ত ২০ নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

দুপুরে মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব। শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শোডাউন করেন তিনি।

শোডাউন দেয়ার কথা অস্বীকার করে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগেই এখানে জড়ো হয়েছিলেন। আমি মাত্র চার-পাঁচজন নেতা নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বাকি যারা এসেছেন, তাদের আমি নিয়ে আসিনি।’

শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদও। তিনি সিলেট-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। দুপুরে রিটার্নি কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদানকালে তার সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পদধারী অর্ধশতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সিলেট-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া মনোনয়পত্র জমা দেন দুপুরে। তিনিও শতাধিক নেতা-কর্মীসহ মিছিল নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ ব্যাপারে ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো শোডাউন নিয়ে আসিনি। আমাকে দেখে কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়ো হয়ে কিছু স্লোগান দিয়েছেন, তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে কয়েকজন নেতা নিয়েই আমি প্রবেশ করি।’

সিলেট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। দুপুরে তিনি শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন।

জানতে চাইলে শোডাউন করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনি আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আচরণবিধি মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।’

বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দেন সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি চার থেকে পাঁচজন নেতা-কর্মী নিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহসান বলেন, ‘আমি সকাল থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে ব্যস্ত। এখানে কেউ শোডাউন করেননি, তবে বাইরে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা খেয়াল করিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

আরও পড়ুন:
পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
গেজেট অনুসারে নোয়াখালীর দুই আসনে নির্বাচনে বাধা নেই
গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইইউ
ইইউ দূতসহ ইউরোপের কূটনীতিকদের সঙ্গে সিইসির বৈঠক
মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Sirajganj the former municipal mayor was cut and injured

সিরাজগঞ্জে সাবেক পৌর মেয়রকে কুপিয়ে জখম

সিরাজগঞ্জে সাবেক পৌর মেয়রকে কুপিয়ে জখম প্রতীকী ছবি
এ ঘটনার আগে নিজাম উদ্দিনের লোকজন শফিকুল ইসলাম কুড়ান আলীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ আনেন তার সমর্থকরা। আহত কুড়ানকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিনকে কোপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান প্যানেল মেয়র শফিকুল ইসলাম কুড়ানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে এ হামলার শিকার হন নিজাম উদ্দিন। ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে, নিজাম উদ্দিনের লোকজন শফিকুল ইসলাম কুড়ান আলীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ আনেন তার (কুড়ান) সমর্থকরা। আহত কুড়ানকেও বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল দত্ত জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কাজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিনের ভগ্নীপতি হবি শেখ পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র কুড়ান আলীকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। মারধরের খবর পেয়ে কুড়ানের লোকজন উত্তেজিত হয়ে হবিকে মারতে যান। কিন্তু তাকে না পেয়ে সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

এদিকে কাজীপুর উপজেলার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দীনকে কুপিয়ে আহত করায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lecturer turned impostor then arrested

প্রভাষক থেকে প্রতারক, তারপর গ্রেপ্তার

প্রভাষক থেকে প্রতারক, তারপর গ্রেপ্তার প্রতারণার অভিযোগে সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
মিরপুর মডেল থানার ওসি মহসীন বলেন, সাইদুল এক সময় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০০৫ সালে মেহেরুন্নেছা মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর তিনি যোগ দেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি ব্যবসায় নামেন। কয়েকটি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই পথ বেছে নেন।

জাপানে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে মো. সাইদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সাইদুল মেহেরুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজেও।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জাপানে পাঠানোর নামে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাইদুল।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাইদুল বর্তমানে ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসডাব্লিউ এবং টিআইটিপি ক্যাটাগরিতে ওয়ার্কিং ভিসায় জাপানে লোক পাঠানো হয় বলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। অথচ তার প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র জাপানি ভাষা শিক্ষা দেয়ার জন্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত। জাপানে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিক্যাল ফি সহ অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এভাবে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে ভূক্তভোগীদের দাবি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা পাওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাদের জাপান পাঠানোর কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে তারা নানারকম তালবাহানা শুরু করে। অবশেষে বুধবার ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে গ্রেপ্তার করা হয় সাইদুলকে।’

ওসি মহসীন বলেন, সাইদুল এক সময় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০০৫ সালে মেহেরুন্নেছা মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর তিনি যোগ দেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি ব্যবসায় নামেন। কয়েকটি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই পথ বেছে নেন।

সাইদুলের বিরুদ্ধে এর আগেও ৩টি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
মৈত্রী পাইপলাইন ফুটো করে তেল চুরি করতে গিয়ে ধরা
ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে শেরপুরে যুবক গ্রেপ্তার
গাজীপুরে নাশকতার মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
মনোনয়ন পাইয়ে দিতে ২০ কোটি টাকা চেয়ে গ্রেপ্তার বাবা-মেয়ে
সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সন্ধ্যায় ইজিবাইকচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
8 car fires in 24 hours Fire Service

২৪ ঘণ্টায় ৮ গাড়িতে আগুন: ফায়ার সার্ভিস

২৪ ঘণ্টায় ৮ গাড়িতে আগুন: ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসে ধরা আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের এক বার্তায় বলা হয়, ‘গত ২৯ নভেম্বর সকাল ছয়টা থেকে অদ্য ৩০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক আটটি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, রাজশাহীতে একটি, বগুড়ায় একটি, কুমিল্লায় তিনটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।’

বিএনপির ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচির মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আটটি গাড়িতে আগুন ধরার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর মিডিয়া সেলের এক বার্তায় বলা হয়, ‘গত ২৯ নভেম্বর সকাল ছয়টা থেকে অদ্য ৩০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক আটটি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, রাজশাহীতে একটি, বগুড়ায় একটি, কুমিল্লায় তিনটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

‘এ ঘটনায় একটি কন্টেইনার, পাঁচটি বাস ও দুটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট ও ৬৮ জন জনবল কাজ করে।’

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক মোট ২৩৬টি অগ্নিসংযোগের (কয়েকটি স্থাপনাসহ যানবাহনে) সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।’

আরও পড়ুন:
রোববার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির
কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো ৩ বাসে আগুন
গাজীপুরে দুটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
যাত্রাবাড়ীতে রাইদার বাসে আগুন
রাজশাহীতে অটোরিকশায় ককটেল নিক্ষেপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A young man was shot and killed after entering a house in a Rohingya camp

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র। ফাইল ছবি
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসাইন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৈয়দ আলম নামের এক যুবককে বৃহস্পতিবার ভোরে তার বসত ঘরে ডুকে ১০/১৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ক্যাম্প-৩ এ অবস্থিত আইএমও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসত ঘরে ঢুকে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবক উখিয়ার ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. মুচির ছেলে সৈয়দ আলম (২৪)।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উখিয়া ক্যাম্প-০৪ এর ই/৪ ব্লকে ভিকটিমের নিজ বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৈয়দ আলম নামের এক যুবককে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে তার বসত ঘরে ডুকে ১০/১৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ক্যাম্প-৩ এ অবস্থিত আইএমও হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি টিম সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।

আরও পড়ুন:
আরসা ও আরএসও-এর সংঘর্ষে এক রোহিঙ্গা নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসার শীর্ষ তিন কমান্ডার গ্রেপ্তার
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ১

মন্তব্য

p
উপরে