নওগাঁ শহরের চক এনায়েত মহল্লায় এক বিধবার বাড়ি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন ধরে পথটি বন্ধ থাকায় ওই নারীকে অন্যের বাড়ির ভেতর দিয়ে এবং ঘুরে তার নিজ বাড়িতে যেতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় প্রয়াত মোকলেছুর রহমানের স্ত্রী নাছিমা পারভীন প্রতিবেশী আলিম মল্লিকের নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে শহরের চক এনায়েত (মাস্টার পাড়া) মহল্লায় পৌর বিধান অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করেন বিধবা নাছিমা। তার বাড়িটি প্রতিবেশী আলিম মল্লিক ও শাহিনের বাড়ির পেছনে। তাদের দুই বাড়ির মধ্যখানে সরু পথ। ওই পথ দিয়ে নাছিমাকে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু আলিম মল্লিক ইটের প্রাচীর দিয়ে ওই সরুপথটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেখানে বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পথ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবেশীর বাড়ির ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে ওই নারীকে। এভাবে তাকে ১৫ বছর ধরে চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রতিবেশীর একজন ওই ইটের প্রাচীর ভেঙে রাস্তা দিতে চাইলেও আলিম তা ভাঙতে নারাজ। আলিম বাধা দিচ্ছেন এবং নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন নাছিমা। ইটের প্রাচীরটি সরিয়ে দ্রুত পথটি চালু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
আলিম মল্লিক বলেন, ‘১৯৯১ সালে বাড়িসহ জমি কিনেছি। আর পশ্চিম পাশে রয়েছে শাহিন নামে অপর একজনের বাড়ি। পাশাপাশি দুই বাড়ি থাকায় সেখানে গলি (সরুপথ) হয়েছে। আর ১৯৯৭ সালে নাছিমা পারভীন জমি কিনেছেন। সে সময় সেখানে কোনো পথ ছিল না। তারপরও নাছিমা আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বাড়ি করেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।’
নাছিমা পারভীন বলেন, ‘আমি ১৯৯৭ সালে ওই জমি কিনেছি। এরপর ২০০৭ সালে আমি বাড়ি তৈরি করেছি। এর কিছুদির পর আলিম ওই পথটি বন্ধ করে দেয়। এরপর ভোগান্তি শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিবেশী কামরুজ্জামান এর বাড়ির ভেতর দিয়ে আমার বাড়ি যেতে হচ্ছে।
‘অন্যের বাড়ির ভেতর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বকাঝকা খেতে হয়। যেকোনো সময় তারাও পথ বন্ধ করে দিতে পারে। ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েছি। ওই পথটি চালু হলে আমার জন্য সুবিধা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মীর্জা ইমাম উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, সদর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:খুলনা মহানগর বিএনপির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অথচ যেদিনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এই নাশকতার অভিযোগ, সেদিন তিনি ছিলেন পুলিশের হেফাজতে।
তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই দিন তিনি ঘটনাস্থলে তো ছিলেই না, ছিলেন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশের জিম্মায়। এই বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে খুলনা সদর থানা এলাকায় আহসান আহমেদ রোডে নিজের ছেলেকে কোচিং সেন্টারে দিতে এসে গ্রেপ্তার হন এইচ এম আসলাম হোসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে পুলিশ বাদী একটি মামলার অজ্ঞাত আসামির তালিকায় ফেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা সূত্র জানায়, এইচ এম আসলাম হোসেনকে ৪ ডিসেম্বর সদর থানায় পুলিশের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন সদর থানার এস আই মো. শাহিন কবির। তাতে ৮০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যাদের মধ্যে ৩৮ জন এজাহারনামীয় ও বাকিরা অজ্ঞাত।
ওই মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে খুলনার লোয়ার যশোর রোডের বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের দক্ষিণ পাশের গেটের সামনে এই মামলার আসামিরা সারাদেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কেপিআই ধ্বংস ও নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ও ককটেল বোমা নিয়ে সমবেত হন। সেখান থেকে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি স্টিলের রামদা, একটি কাঠের বাতা ও তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাকিদেরকে মামলার আসইম করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, এসব আসামি বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য নাশকতার যড়যন্ত্র করছিল।
মামলাটি ১৯৭৪ সালের দ্য স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের ১৫(৩)/২৫-ডি ও ১৯০৮ সালের দ্য এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্স অ্যাক্টের ৪ ধারায় রেকর্ড করেছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনা সদর থানা এলাকা থেকে এইচ এম আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময়ে তাকে গত বছরের ২৬ মে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক করে পরদিন সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
খুলনার জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদেরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নথিপত্র দেখে নিশ্চিত করেন যে ৪ ডিসেম্বর এইচ এম আসলাম অন্য এক মারামারির মামলায় জেলে ছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানা পুলিশের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে ঘটনাটি জানতে পেরে কোর্ট পুলিশের কাছে থানা থেকে আসলামকে ফেরত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক আসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কিছু জানি না। পরে জেনে জানানো হবে।’
খুলনা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমাদের খুলনা বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে সরকার বিরোধী নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশ যে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠাচ্ছে তার বড় প্রমাণ আসলামের এই ঘটনা। বাস্তবে আসলে সেদিন ওইরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে ওইদিনের ঘটনার সব নথি উদ্ধার করেছি। তাতে স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে, ঘটনার সময়ে তিনি পুলিশের জিম্মায় ছিলেন। কারাগারে থেকে তিনি বাইরে নাশকতা কীভাবে করলেন?
‘মূল কথা হলো, শনিবার খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে পুলিশ আবার ধড়পাকড় শুরু করেছে। তবে এভাবে আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না।’
সোয়া তিন ঘণ্টা পর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা চালু হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সোয়া একটার দিকে এই বন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটের চাকা ফেটে রানওয়ে অচল হয়ে পড়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাকা মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হয়।
নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। এটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা কমান। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন আবার ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।’
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল বলে জানান বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:‘রাতে শুনতে প্যানু যে হাঁর ছ্যালাকে পিটিয়া ম্যারা ফ্যালাছে। হ্যামার ছ্যালা দোষী লয়, হামি হাঁর ছ্যালাকে মারার বিচার চায়।’
আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন রাকিবুল ইসলামের (রাকিব) মা। রাজশাহীতে পিটিয়ে মেরে ফেলা দুই শ্রমিকের একজন এই রাকিব।
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা বেদনা বেগমের কান্না আর থামছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীতে এই ঘটনা ঘটলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মায়ের কাছে এই খবর পৌঁছে রাত ১২টায়।
রাজশাহীতে খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাসায় দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কারখানা মালিকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মহানগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিবের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের মানুষ রাকিবের এমন করুণ মৃত্যুর খবরে হতবাক। তারা বলছেন, রাকিবকে তারা ভালো ছেলে হিসেবেই চেনেন, জানেন।
চৈতন্যপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম ছিলেন সবার বড়। গত ৮ বছর ধরে তিনি রাজশাহীতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী শ্যামলী খাতুন এবং দুই মেয়ে রাবিয়া বাসরী ও রাইসা খাতুনকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
স্বজনরা জানান, রাকিব নির্মাণ শ্রমিকদের সর্দার বা ঠিকাদার ছিলেন। বিভিন্ন নির্মাণ কাছে তিনি গ্রাম থেকে শ্রমিকদের নিয়ে যেতেন।
প্রতিবেশী শাহানারা বেগম বলেন, ‘বিনা অপরাধে একটা নির্দোষ ছেলেকে ওরা মিটিয়ে ম্যারা ফেলল; এটার সত্য বিচার চাই। দেশে আইন আদালত আছে, থানা-পুলিশ আছে। কোনো কিছু না কর্যার পরও কোনো মানুষ এভাবে মারা ফেল্যা দিতে পারে? এখন ওই যে দুটো ছোট ছোট মেয়ে আছে, স্ত্রীটা আছে, এদের কী হবে? এখন পরিবারটার কী হবে?’
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকদের ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সাভার থানাধীন বাইপাইল ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ৫২ বছর বয়সী ছেলে কামাল হোসেন, তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা, তাদের ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে এবং নবী হোসেনের ১৯ বছর বয়সী ছেলে মো. নাঈম।
নিহতরা হলেন একই এলাকার ৬০ বছর বয়সী আবুল খায়ের ও তার ২০ বছর বয়সী ছেলে ফরহাদ হোসেন।
র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ জমিতে আবুল খায়ের হাল চাষ করছিল। এ সময় কামাল হোসেনের সঙ্গে জমির মাপযোপ করা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কামাল হোসেন তার স্ত্রী, ছেলেসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে।
পরে তারা ধারালো দা, চাকু, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসে আবুল খায়েরকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ অবস্থায় তার ডাক-চিৎকারে ছোট ছেলে ফরহাদসহ অন্যান্য ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে বাঁচাতে আসলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সবাইকেই এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের ছেলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই হত্যায় জাড়িতরা পলাতক ছিলেন। ঘটনাটি র্যাব জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।’
অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়ন সময়ের বিকট শব্দে একটি বোয়িং উড়োজাহাজের চাকা পাংচার হয়ে গেছে।
ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়, যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ১৪৮ যাত্রী, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
সে সময় থেকে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। এটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা কমান। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন আবার ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।’
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘ওই উড়োজাহাজের চাকা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হবে।’
বিকেলের দিকে বিমানবন্দেরর কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার চেঙ্গারকান্দি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩২ বছর বয়সী আঁখি বেগম পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন তার স্বামী সাঈদুল ইসলাম। তিনি ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরির্দশক আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
স্থানীয় ও ওই গৃহবধূর শিশু সন্তানদের বরাতে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সাঈদুলের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো আঁখি বেগমের। বৃহস্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়।
পরে আঁখিকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাইদুল। পরে ঘর থেকে তার দুই সন্তানের চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার রক্তাক্ত মুখ থেতলানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে সাইদুলের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আখিঁর। তাদের দুই ছেলে ও চার মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সাঈদুল তাকে নানা অজুহাতে মারধর করত। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন শালিসও করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তার পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা হবে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকার কয়লা গ্রেডিং মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ওই চারজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন রামপালের বর্ণী গ্রামের বাদশা শেখ, পিরোজপুরের নরখালি গ্রামের রাব্বি ইসলাম, ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের কার্তিক শীল ও খাজুরা গ্রামের আবুল কারিম।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাধে শ্যাম সরকার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে চুরি হওয়া মেশিনটি উদ্ধার করে। গত ১৬ জানুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মেশিনটি চুরি হয়।’
মন্তব্য