বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে কোনো শর্ত দিয়ে ঋণ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বলে বাসস জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইএমএফ কেবল তখনই (যে কোন দেশকে) ঋণ দেয় যখন দেশটি ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা অর্জন করে। আমরা তো তেমন কোনো শর্ত দিয়ে ঋণ (আইএমএফ থেকে) নিচ্ছি না।’
একটি পয়েন্ট অফ অর্ডারের ওপর ভিত্তি করে, মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ এখন আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে কিছু শর্ত পূরণ করছে এবং ইতোমধ্যে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়িয়েছে, ঋণের কারণে গ্যাসের শুল্ক বৃদ্ধি করবে, যা পণ্যের দাম এবং মূল্যস্ফীতির দিকে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন হলো পৃথিবীর কোন দেশ গ্যাস আর বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়? কেউ দেয় না।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পার্টির সাংসদের আলোচ্য প্রশ্নের জবাবে কিছু ব্যবসায়ী ও শিল্পকারখানার মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চাইলে যে মূল্যে কিনে আনবো সেই মূল্য তাদের দিতে হবে। এখানে ভর্তুকি দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।
সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম যদি বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি মানুষ যদি একটু সাশ্রয়ী হয় তবে গায়ে লাগবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে বিদ্যুতের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। এভাবে যদি সবাই উদ্যোগ নেয়- তাহলে বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয়ী হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সরকার জোর দেওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ছয় জন ছাত্র আহত হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহাসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামানের সমর্থকদের মাঝে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পালং মডেল থানা পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সংঘর্ষে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বুধবার একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাশ চলাকালে ক্যাম্পাসে মহরা দিচ্ছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষই চাইনিজ কুরাল, রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। কলেজ মাঠে চলমান একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান, স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণীর মিনহাজ আহত হয়েছেন। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, গত বছর মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। এরপর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিরোধে জড়ায় দুই পক্ষ। একটি পক্ষকে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর, আরেক পক্ষকে নেতৃত্ব দেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান।
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহাসিন মাদবর বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে কিছু বহিরাগত কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে। এখানে ছাত্রলীগের কোনো অভ্যন্তরীন কোন্দল নেই।’
ছাত্রদলের কারা কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মহাসিন মাদবর।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামানও একই কথা বলে নিজেদের কোনো কোন্দল নেই বলে দাবি করেন।
ওসি আকতার হোসেন বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় ছাত্রলীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সকালে কলেজে একাদশ শ্রেণীর অরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্ররা মিছিল বের করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথম দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অন্য একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা বললেও মূলত নিজের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে চলছে ভোট গ্রহণ। সচারচর ভোট এলেই যেন গ্রামগঞ্জে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। কিন্তু এই উপনির্বাচনের সরাইল আশুগঞ্জের বেশিরভাগ কেন্দ্রেই দেখা মিলছে না ভোটারের। ভোটার সমাগম না থাকায় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় পার করছে।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলবে ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলার ছড়া), আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি), জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (গোলাপ ফুল)।
ইতোমধ্যে আশুগঞ্জ ও সরাইলের বারোটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে মোটরগাড়ি মার্কার এজেন্ট দেখা যায়নি। বাকি তিন প্রার্থীর এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবু আসিফের এক সমর্থক জানান, আবু আসিফ নিখোঁজ থাকায় সমর্থক ও এজেন্টরা ভয়ে রয়েছে। তাছাড়া কিছু কিছু ভোটকেন্দ্র থেকে আবু আসিফের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে দুপুরে রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার কথা ছিল আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিসা মেহরিনের। তবে আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিসা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, অনেক কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাছাড়া এখনো পর্যন্ত আবু আসিফকে খুঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেও ভোট দেয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
এদিকে বেলা ১১ টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। বার্ধক্যজনিত কারণে দুজনের কাঁধে ভর করে তিনি ভোট দেন।
ভোট দেয়ার পর আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজের ভোটটি দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। জয়ী হতে পারলে সরাইলের উন্নয়ন কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এ সময় আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে ছিলেন তার পুত্র মাইনুল হাসান তুষার, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রিফাত জিয়া, ভাতিজা মুকসুদ আলী।
মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে এসে ভোট দিয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ প্রত্যাশী।’
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থী আর অবকাঠামো না থাকলেও তবুও সেটি কুড়িগ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল। বাস্তবে আছে শুধু পতাকা, সাইনবোর্ড আর শিক্ষক। এ যেন ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধারাম সরদার।
চারদিকে কৃষি জমি। ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। জমির মাঝখানে চোখে পড়বে একটি টিনের চাল। বেড়া-দরজা-জানালা কিছুই নেই। শুধুমাত্র টিনের চালার সামনে বাঁশের মধ্যে লাগানো জাতীয় পতাকা উড়ছে আর সামনে একটি সাইনবোর্ডে লেখা উত্তর মাঝের চর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি ভাঙা বেঞ্চ আর কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার এবং একটি মাত্র টেবিলের ওপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর হাজিরা খাতা।
সেখানে দুয়েকজন অভিভাবকসহ বসে আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। নেই কোনো শিক্ষার্থীর কোলাহল কিংবা শিক্ষকদের পাঠদানের জন্য ব্যস্ততা। বিদ্যালয় যাবার পথ না থাকায় যেতে হবে জমির আইল বেয়ে। না এটা কোনো ছবি বা কল্পকাহিনীর গল্প নয়, এমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোঁজ মিলবে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। বিদ্যালয়ের চিত্র দেখে জরাজীর্ণ বললেও ভুল হবে। বিদ্যালয়টিতে শুধুমাত্র কাগজ কলমে ৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ৫ জন শিক্ষক।
মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজায় ২০০৪ সালে বেসরকারিভাবে গঠিত উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু নিচু স্থান হওয়ায় বন্যার পানিতে ডুবে থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। তাই ২০১১ সালে পাশেই উত্তর মাঝের চর গ্রামে উঁচুস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যালয়টি। সেখানে থাকাকালীন ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়।
গত বছরের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙনে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী চর কৃষ্ণপুর গ্রামের চর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে যায়। এরপর সেই বিদ্যালয়টিও স্থানান্তরিত করা হয় উত্তর মাঝের চর গ্রামেই। পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের অবস্থান হওয়ায় উত্তর মাঝের চর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ের এমন চিত্র হলেও কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ নেই। বিদ্যালয়ের পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন না অভিভাবক।
সহকারি শিক্ষক আশরাফিয়া বিনতে আকতার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আসার কোনো পথ নেই। জমির আইল দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এজন্য বাচ্চারা বিদ্যালয়ে আসে না। বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী আসে। জমির আইল ভেজা থাকায় প্রায় সময় পিছলে পরে আহত এবং পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।’
অভিভাবক কাজলি বেগম বলেন, ‘স্কুলের ঘর নেই শুধু পতাকা, সাইনবোর্ড আছে দেখে বোঝা যায় এটি স্কুল। কিন্তু বাস্তবে টিনের চালটুকু দেখে কেউ বুঝতে পারবে না এটা সরকারি স্কুল।’
অভিভাবক লাইলী বেগম বলেন, ‘সরকারি স্কুল হলেও এখানে ঘর, বেঞ্চ, টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন এমন কি স্কুল আসার রাস্তাও নেই। এমন পরিবেশে কোনো অভিভাবক কি তার সন্তান দিতে পারে?’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয় স্থানান্তর আর জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এমন করুণ চিত্র। দান করা জমিতে দাগ নম্বরের সমস্যার কারণে নতুন ভবন হচ্ছে না। অথচ একই মালিকের জমি বিদ্যালয়ের চারপাশে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ আসলেও অর্থ ছাড় হচ্ছে না জমি জটিলতার কারণে।’
জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘আমি এক বিঘা জমি দান করেছি বিদ্যালয়ের নামে। এখন জমি সংক্রান্ত কি জটিলতা হয়েছে তারাই ভালো জানে। প্রায় দুবছর থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকা এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন না হবার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী।’
সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজ আখতারের কাছে বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকায় প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের ফোনে অফিস আসার নিদের্শ দেন।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় ভবন করা যাচ্ছে না। সদর ভূমি কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে এবং জমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের নাজুক অবস্থা।’
আরও পড়ুন:অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে তার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মেলার এবার আসর।
উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে বইমেলা ঘুরে দেখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
তিন বছর পর সশরীরে হাজির হয়ে বাঙালির বই উৎসব উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতি বছরই তিনি সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করতেন। তিনি মেলায় ঘুরে বইও কিনতেন।
গত তিন বছর মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী মেলায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বইমেলা উদ্বোধন করেছেন ডিজিটালি সংযুক্ত হয়ে। এবার তার উপস্থিতি বইমেলায় ভিন্ন মাত্রা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারকাজের অংশ হিসেবে আগামী দুই মাস ৫ ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে শুরু হবে এ সংস্কারকাজ।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইন লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়বে। এর অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ এপ্রিল বিমানবন্দরের রানওয়ে রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ চলবে, যে কারণে এ ৫ ঘণ্টায় বন্ধ থাকবে উড়োজাহাজ ওঠানামা।
এই সময়ে যেসব ফ্লাইটের শিডিউল থাকবে, সেগুলো দিনের অন্য সময়ে চলবে। ফ্লাইট চলাচলের সূচি পুর্নবিন্যাস করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) বিভাগ থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
ফ্লাইট পুর্নবিন্যাসের ফলে সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইটের চাপ হতে পারে। এ চাপ সামলাতে মনিটরিং টিম গঠন করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সাধারণত রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাত থেকে আটটি ফ্লাইট চলাচল করে।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থার সংস্কারকাজ শুরু হবে। এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাস রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
‘বছরের এ সময়ে কুয়াশা থাকায় ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যে কারণে লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারকাজ করতে এ সময়কে বেছে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
নেত্রকোণার পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে বুধবার ভোর চারটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আমানউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই গৃহবধূ তার বাড়ি থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিল। এ সময় সুমন মিয়া নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দিবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সুমন আমানউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।
সাড়ে ছয়টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালী মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমানউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমানউল্লাহকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:বিএনপির ছেড়ে দেয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।
বুধবার সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন।
এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের জোর করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যদিও নৌকার প্রার্থী বলছেন, বগুড়া-৬ আসনে নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে হঠাৎ দুই-একজন ভোটার আসছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ বেশি। এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৭২। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভোট দিয়েছেন ৩১ জন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কার্তিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, শীতের সকাল হওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। হয়তো দুপুরের দিকে ভোটার বাড়বে।
শহরের চকসুত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ১০৭। এর মধ্যে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৬টি।
সদরের সবগ্রাম কুদরতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৯৭২। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৩০০টি।
বগুড়া-৪ আসনের কহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটার ২ হাজার ৩৪৮। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৭০ জন। অর্থাৎ ভোট দিয়েছেন ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভোটার।
বগুড়া সদরের জুবিলি ইনস্টিটিউশন পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৪৮৬। এর মধ্যে আধা ঘণ্টায় ভোট দেন ৯৯ জন। নারী কেন্দ্রের ৩ হাজার ৬৫৪ ভোটারের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট দেন ১২০ জন।
বগুড়ার জুবলি ইনস্টিটিউশনে নারী ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবু হেনা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতিও গড়ে ভালো রয়েছে। দিন শেষে ভালো ভোট উপহার দেওয়া যাবে।’
এ কেন্দ্রের ফটকের ভেতরে ও বাহিরে ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছিলেন বগুড়ার যুবলীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেতা মতিন সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা কারও কাছ থেকে ভোট চাচ্ছি না। আমাদের নেতা-কর্মীরা ভোটাদের বুথ চিনিয়ে দিচ্ছে।’
কেন্দ্র দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেন বগুড়া-৬ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, শুধু জুবিলি ইনস্টিটিউশন নয়, বগুড়া সদর আসনের ৭৮টি কেন্দ্র যুবলীগ দখল করেছে।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমার প্রার্থীদের বলে দিছি সব ভোট বস্তায় করে নৌকার প্রার্থীকে দিয়ে দিতে।’
বগুড়া-৬ আসনে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমানও অভিযোগ করেছেন ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়েছে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকালে বগুড়া শহরের হাসনাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু।
তিনি বলেন, ‘নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে কোনো সমস্যা ছাড়াই। ভোটারদের মাঝে কোনো ভীতি নেই। সব দলের প্রার্থীর এজেন্ট এখানে রয়েছে।’
বগুড়া-৬ এবং ৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জুবলি ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, কিন্তু ওখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে কাউকে পায়নি, তবে বাহিরে কিছু লোকজনের জটলা ছিল। সেগুলোও আর নেই। আর দুই আসনের কোথাও এমন পরিস্থিতি হলে আমরা তৎপর আছি; ব্যবস্থা নেব।’
নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১৭ টহল দল মোতায়েন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি ভোটকেন্দ্রে গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তার জন্য তিনজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও এপিবিএন, আনসার ভিডিপিসহ ১৭ নিরাপত্তকর্মী দায়িত্বে আছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বগুড়া-৪ আসনের ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল। আর ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি। আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৭৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী কক্ষ আছে ৪২টি।
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী ১১ জন। পাঁচজন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত।
উপনির্বাচনে বগুড়ার দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ময়দানের পাশাপাশি ভার্চুয়াল জগতের প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া দেখিয়েছেন এ প্রার্থী।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩। ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি ও কক্ষ ১ হাজার ১৭টি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ছয় এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে খালি হওয়া আসনগুলোতে আজ উপনির্বাচন হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য