দেড় মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
এদিন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সালাম এবং দলটির প্রচার সম্পাদক এ্যানির আইনজীবী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের জুডিশিয়াল মুন্সিখানায় হাইকোর্টের জামিনের আদেশনামা দাখিল করেন।
এর আগে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাদের জামিন দেয়। পাশাপাশি তাদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত এবং আহত হন অনেকে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় বিএনপির দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। ওই ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয় মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায়।
৮ ডিসেম্বর ওই দুই নেতাসহ ৪৩৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে গোসল করার উদ্দেশে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ এক নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
গজারিয়া উপজোর গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চর চাষী এলাকায় মেঘনা নদী থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ২১ বছর বয়সী ইয়াছিন আহম্মেদ আবির ঢাকা আজিমপুর এলাকার মাজেদ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলার নতুন চর চাষী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে গোসল করতে যায় ইয়াসিন আহম্মমেদ আবির, বিশাল আহমেদ, রাফি আহমেদ নামে তিন তরুণ। তারা তিনজনই গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চাষী এলাকার ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, নদীতে গোসল করতে গিয়ে তারা তিনজনই নোঙ্গর করে রাখা একটি বাল্কহেডে উপর ওঠে। এ সময় ইয়াসিন বাল্কহেডের উপর থেকে পানিতে ঝাঁপ দেয়। বেশ কয়েক সেকেণ্ড অতিবাহিত হওয়ার পরেও সে ভেসে না ওঠলে তার সঙ্গে আসা বিশাল ও রাফি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে খোঁজা শুরু করে। বেশ কিছু সময় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে বিষয়টি তারা কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানায়।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সন্ধ্যা ছয়টার সময় মরদেহ উদ্ধার করে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘গজারিয়া থানার পুলিশ এবং নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিখোঁজ নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া ও তার সমর্থকদের নামে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারী সৈয়দা বদরুননেছা সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মো. সারওয়ারের স্ত্রী। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়াও একই গ্রামের বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার বদরুননেছা চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের নামে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে একটি মামলা করেন। বুধবার তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আরেকটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার বদরুননেছার শ্বশুর সামছুল হুদা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান জানান, আদালত দ্রুত বিচার আইনের ধারার মামলাসহ দুটি মামলা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আবদুর রশিদ ভূঁইয়া সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ উল্টো মামলার বাদীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। মামলার বাদী সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদের চাচি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই নারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের চাচা আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ১৯৬৯ নম্বর দলিলমূলে দেড় শতক এবং তার স্বামী ১৩৩২৩ নম্বর দলিলমূলে ৫ শতক জায়গা কেনেন। গত ইউপি নির্বাচনের আগে তাদের সেই জায়গার পেছনে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের আরেক চাচা রেনু ভূঁইয়ার কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ শতকের একটি জায়গা কিনে নেন স্থানীয় কালু মিয়া। ওই জায়গায় যাওয়ার রাস্তা না থাকলেও বিক্রির সময় চেয়ারম্যানের আত্মীয় ওই দম্পতির জায়গা দেখিয়ে নির্ধারিত দাম থেকে দ্বিগুণ মূল্যে দলিল করেন।
এরপর ওই জায়গায় যাওয়ার জন্য রেনু ভূঁইয়া ও কালু মিয়ার পক্ষ হয়ে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ওই নারীর জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে যায়। এতে ওই নারী বাধা দেন। পরে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন জোরপূর্বক ওই দম্পতির জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করার হুমকি দেন। এ সময় তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন দা, লাঠি, রড, কুড়াল, কোদাল ও শাবল নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ওই দম্পতির জায়গার গাছপালা কাটতে শুরু করে। ওই সময় মামলার আসামি রুবেল ভূঁইয়া ওই নারীকে মাটিয়ে ফেলে টানা হেঁচড়া করে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তার শ্লীলতাহানি করেন।
চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই মমিন ভূঁইয়া ও লিটন মিয়া ভুক্তভোগী নারীর এক আত্মীয়াকে মাটিতে ফেলে চুলে ধরে টানাহেঁচড়া করেন। এরপর তাদের দুইজনের কাছ থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ণাংলকার ছিনিয়ে নেন তারা। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নিরুপায় হয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান ওই নারী।
মামলার বাদী সৈয়দা বদরুননেছা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজন অত্যন্ত প্রভাবশালী। আদালতে মামলার করার পর উল্টো পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি। টাকা দিয়ে জায়গা কিনে এখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘সেখানে আমার পারিবারিক জায়গা রয়েছে। দুই চাচা আনোয়ার হোসেন ও রেনু ভূঁইয়া দুইজনের কাছে জায়গা বিক্রি করে। ২০০৭ সালে আমাদের একটি পারিবারিক বন্টকনামা করা হয়। সেখানে পেছনের জায়গায় যেতে তিন ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তার বিষয় উল্লেখ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন কয়েকজন গিয়ে গাছপালা কেটে ফেলে। সে সময় টানাহেঁচড়া হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি দেখিনি। জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটিতে একটি দা পড়ে থাকতে দেখি। দুর্ঘটনা এড়াতে আমি সেটি হাতে নেই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি আরও জানান, পুলিশ বাদীপক্ষকে কোনো ধরনের হয়রানি করেনি। এ অভিযোগ সত্য না।
আরও পড়ুন:বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের যাত্রী ভাই ও বোন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় বোনের স্বামী হুমায়ূন আহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা চকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিয়াম ও তার বোন কুহেলী আক্তার। তারা লালমনিরহাটের বাসিন্দা। আর হুমায়ূন বরিশালের হিজলা উপজেলার হোসেন আহম্মেদের ছেলে।
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রাসেল আহম্মেদ জানান, প্রাইভেট কারে তিনজন ছিলেন। তারা রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের চকপাড়া এলাকায় আসার পর প্রাইভেট কারের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরীত দিক থেকে আসা বগুড়াগামী এক ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷
দুর্ঘটনার পর তিনজনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক ভাই ও বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বোনের স্বামী হুমায়ূনের চিকিৎসা চলছে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দুর্ঘটনাকবলিত কার ও ট্রাক পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাইলে জনগণকে কষ্ট দিতে পারত না। তারা চায় আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে।
শনিবার বিকেলে বন্দর নগরীর কাজীর দেউরীতে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম।
উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে বিএনপি পদযাত্রা করবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে। সেটা আরও বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে আবার সেটা প্রয়োগের কথা বলছে। এ সরকারের পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আরও গতিশীল করতে হবে।
‘আমরা একটা মহাযুদ্ধের মধ্যে আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এ যুদ্ধ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যুদ্ধ, মানুষের ভোটের যুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ না খেয়ে আছে। দেশে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যূনতম সু্যোগ-সুবিধা নেই।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ-কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আরও বক্তব্য দেন- উদয় কুসুম বড়ুয়া, সাচিং প্রু জেরী, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম।
আরও পড়ুন:কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট আগামী সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা ।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এমনটি জানান।
প্রনয় ভার্মা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সব ধরনের পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করে প্লান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে সুন্দরবনের কেন ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশে-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রামপাল কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলার রিলিজ করতে কিছুটা সময় লাগার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে সমস্যা সমাধান হওয়ায় নতুন করে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে জুন মাস থেকে আবারও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জোরেশোরে কাজ চলছে। সবমিলিয়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কোনও সমস্যা হবে না।
গত ১৪ জানুয়ারি ডলার সংকটের জেরে কয়লা আমদানি না হওয়ায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় কয়লার আমদানি বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে শনিবার নিজেদের কর্মসূচিতে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এসব বক্তব্যের পর এদিন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে লাইভে এসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। যারা আমাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে আমাকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমাকে কেন বিএনপি দাঁড় করাবে? ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল?’
ফেসবুক লাইভে আশরাফুল হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম স্যার বলেছেন, বর্তমান সরকার আজকে হিরো আলমের কাছে অসহায়। আমি বলতে চাই, আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি। এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে। আমার ভোট যে কেড়ে নেয়া হলো তার প্রশ্নের জবাব কে দেবে?’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সঙ্গে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দেবেন না আমাকে নিয়ে।’
হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪-এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, জঙ্গিবাদ ও দৃশ্যমান নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবিতে শনিবার সমাবেশ করেছে ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ’। সমাবেশে ১৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ-এর সমন্বয়ক আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালু। সংগঠনটি ৭ জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের মূল চেতনা হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুসংহত করা। আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করি। আন্দোলনের নামে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা-অপপ্রচার এবং অপরাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তির রাজনীতি, দেশের উন্নয়ন ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে যায় তাহলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। আমরা গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এনপিপি’র মহাসচিব ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. ইদ্রিস চৌধুরী, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মণ্ডল, জাগপা সভাপতি ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের সদস্য সচিব এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি-ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল হাই সরকার, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মঞ্চের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শেখ আবুল কালাম, মিসেস আশা সিদ্দিকা, মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, শেখ জামাল উদ্দিন, সেলিম মাহমুদ, মো. ইমরুল কায়েস ও ফেরদৌসী আক্তার (নীলা মল্লীক)।
আরও বক্তব্য দেন- এনপিপির ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মেহেদী হাসান রনি, ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশ (ডিপিবি)-এর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন খান, ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মো. শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টির (বিসিপি) চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান দেশ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি খাজা মহিবউল্যাহ শান্তিপুরী ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. শাহাদাৎ হুসাইন।
আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ পার্টির সভাপতি মো. আসাদুল হক হাজরা হিমন, এনপিপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কে এম শামছুল আলম মিশুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ন্যাশনাল পিপলস শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. আবুল কালাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস ওলামা পার্টির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান সাইফী, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান সুমন।
মন্তব্য