চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় এক জেলে মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন।
সদর উপজেলার হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে রোববার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিহত জেলে হলেন সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর এলাকার মো. জয়নালের ছেলে আ. জলিল। নিখোঁজ দুই জেলে হলেন-একই এলাকার আ. মতিন ভূঁইয়ার ছেলে রিয়াদ হোসেন ও নূরুজ্জামান শেখের ছেলে মুক্তার শেখ। এই ঘটনায় গফুর বেপারীর ছেলে ফারুক বেপারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
চাঁদপুর হরিণা নৌফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ ঘন কুয়াশার কারণে না দেখতে পেয়ে নৌকার ওপরে লঞ্চ তুলে দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় এক জেলের মরদেহ এবং একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ দুই জেলেকে উদ্ধারে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের কমপাউন্ডে অবস্থিত জাদুঘর ঘুরে দেখলেন ২৮ বিদেশি পর্যটক।
২৭ জন সুইস ও একজন জার্মান পর্যটক নিয়ে মোংলা থেকে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে পৌঁছান। এ সময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৮ জন বিদেশি পর্যটক নিয়ে ভারতের বানারস থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায়।
ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখে মুগ্ধ হয়ে বিদেশি এক পর্যটক বলেন, ‘এটির স্থাপত্যশৈলী সত্যিই অসাধারণ। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। তবে এই মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। আমি বিশ্বের পর্যটকদের অনুরোধ করব, এই স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখার জন্য।’
এমভি গঙ্গা বিলাসের ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান জানান, ১৩ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বানারাসে এর উদ্বোধন করেন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে লং ট্যুর রিভার ক্রুজ। এটি ৩২০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেবে। বাংলাদেশ-ভারতের ২৭টি নদী ও ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে যাবে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর রোববার যাবে সুন্দরবন। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণ শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী হয়ে ভারতের আসামে ঢুকবে। ১ মার্চ আসামের ধুপড়ি হয়ে আসামের শেষ সীমান্তের দিপড়ুগড়ে গিয়ে ৫১ দিনের ট্যুর শেষ হবে পর্যটকদের।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে গোসল করার উদ্দেশে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ এক নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
গজারিয়া উপজোর গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চর চাষী এলাকায় মেঘনা নদী থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ২১ বছর বয়সী ইয়াছিন আহম্মেদ আবির ঢাকা আজিমপুর এলাকার মাজেদ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলার নতুন চর চাষী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে গোসল করতে যায় ইয়াসিন আহম্মমেদ আবির, বিশাল আহমেদ, রাফি আহমেদ নামে তিন তরুণ। তারা তিনজনই গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চাষী এলাকার ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, নদীতে গোসল করতে গিয়ে তারা তিনজনই নোঙ্গর করে রাখা একটি বাল্কহেডে উপর ওঠে। এ সময় ইয়াসিন বাল্কহেডের উপর থেকে পানিতে ঝাঁপ দেয়। বেশ কয়েক সেকেণ্ড অতিবাহিত হওয়ার পরেও সে ভেসে না ওঠলে তার সঙ্গে আসা বিশাল ও রাফি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে খোঁজা শুরু করে। বেশ কিছু সময় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে বিষয়টি তারা কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানায়।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সন্ধ্যা ছয়টার সময় মরদেহ উদ্ধার করে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘গজারিয়া থানার পুলিশ এবং নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিখোঁজ নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া ও তার সমর্থকদের নামে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারী সৈয়দা বদরুননেছা সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মো. সারওয়ারের স্ত্রী। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়াও একই গ্রামের বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার বদরুননেছা চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের নামে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে একটি মামলা করেন। বুধবার তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আরেকটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার বদরুননেছার শ্বশুর সামছুল হুদা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান জানান, আদালত দ্রুত বিচার আইনের ধারার মামলাসহ দুটি মামলা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আবদুর রশিদ ভূঁইয়া সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ উল্টো মামলার বাদীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। মামলার বাদী সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদের চাচি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই নারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের চাচা আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ১৯৬৯ নম্বর দলিলমূলে দেড় শতক এবং তার স্বামী ১৩৩২৩ নম্বর দলিলমূলে ৫ শতক জায়গা কেনেন। গত ইউপি নির্বাচনের আগে তাদের সেই জায়গার পেছনে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের আরেক চাচা রেনু ভূঁইয়ার কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ শতকের একটি জায়গা কিনে নেন স্থানীয় কালু মিয়া। ওই জায়গায় যাওয়ার রাস্তা না থাকলেও বিক্রির সময় চেয়ারম্যানের আত্মীয় ওই দম্পতির জায়গা দেখিয়ে নির্ধারিত দাম থেকে দ্বিগুণ মূল্যে দলিল করেন।
এরপর ওই জায়গায় যাওয়ার জন্য রেনু ভূঁইয়া ও কালু মিয়ার পক্ষ হয়ে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ওই নারীর জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে যায়। এতে ওই নারী বাধা দেন। পরে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন জোরপূর্বক ওই দম্পতির জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করার হুমকি দেন। এ সময় তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন দা, লাঠি, রড, কুড়াল, কোদাল ও শাবল নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ওই দম্পতির জায়গার গাছপালা কাটতে শুরু করে। ওই সময় মামলার আসামি রুবেল ভূঁইয়া ওই নারীকে মাটিয়ে ফেলে টানা হেঁচড়া করে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তার শ্লীলতাহানি করেন।
চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই মমিন ভূঁইয়া ও লিটন মিয়া ভুক্তভোগী নারীর এক আত্মীয়াকে মাটিতে ফেলে চুলে ধরে টানাহেঁচড়া করেন। এরপর তাদের দুইজনের কাছ থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ণাংলকার ছিনিয়ে নেন তারা। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নিরুপায় হয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান ওই নারী।
মামলার বাদী সৈয়দা বদরুননেছা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজন অত্যন্ত প্রভাবশালী। আদালতে মামলার করার পর উল্টো পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি। টাকা দিয়ে জায়গা কিনে এখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘সেখানে আমার পারিবারিক জায়গা রয়েছে। দুই চাচা আনোয়ার হোসেন ও রেনু ভূঁইয়া দুইজনের কাছে জায়গা বিক্রি করে। ২০০৭ সালে আমাদের একটি পারিবারিক বন্টকনামা করা হয়। সেখানে পেছনের জায়গায় যেতে তিন ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তার বিষয় উল্লেখ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন কয়েকজন গিয়ে গাছপালা কেটে ফেলে। সে সময় টানাহেঁচড়া হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি দেখিনি। জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটিতে একটি দা পড়ে থাকতে দেখি। দুর্ঘটনা এড়াতে আমি সেটি হাতে নেই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি আরও জানান, পুলিশ বাদীপক্ষকে কোনো ধরনের হয়রানি করেনি। এ অভিযোগ সত্য না।
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাইলে জনগণকে কষ্ট দিতে পারত না। তারা চায় আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে।
শনিবার বিকেলে বন্দর নগরীর কাজীর দেউরীতে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম।
উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে বিএনপি পদযাত্রা করবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে। সেটা আরও বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে আবার সেটা প্রয়োগের কথা বলছে। এ সরকারের পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আরও গতিশীল করতে হবে।
‘আমরা একটা মহাযুদ্ধের মধ্যে আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এ যুদ্ধ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যুদ্ধ, মানুষের ভোটের যুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ না খেয়ে আছে। দেশে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যূনতম সু্যোগ-সুবিধা নেই।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ-কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আরও বক্তব্য দেন- উদয় কুসুম বড়ুয়া, সাচিং প্রু জেরী, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম।
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে শনিবার নিজেদের কর্মসূচিতে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এসব বক্তব্যের পর এদিন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে লাইভে এসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। যারা আমাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে আমাকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমাকে কেন বিএনপি দাঁড় করাবে? ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল?’
ফেসবুক লাইভে আশরাফুল হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম স্যার বলেছেন, বর্তমান সরকার আজকে হিরো আলমের কাছে অসহায়। আমি বলতে চাই, আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি। এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে। আমার ভোট যে কেড়ে নেয়া হলো তার প্রশ্নের জবাব কে দেবে?’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সঙ্গে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দেবেন না আমাকে নিয়ে।’
হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪-এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেন।
বাদুড় থেকে সংক্রমিত নিপাহ ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মানিকগঞ্জ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে শনিবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমনটি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপাহ একটি মারাত্বক ভাইরাস। এতে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশেরই মৃত্যু হয়। এ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা নেই। কাজেই আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’
জাহিদ মালেক জানান, চলতি শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন। এরইমধ্যে আক্রান্তদের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) হাসপাতালে ২০টি এবং মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫টি বেড চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে ও অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে, গরীব মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। কারন ইতিপূর্বে বিএনপির আমলে আমরা তা দেখেছি।’
বিএনপি করোনাভাইরাসের টিকাবিরোধী প্রচারণা চলিয়েছিল উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। কাজেই আমরা নিরাপদে আছি। বিএনপি ভ্যাকসিনকে গঙ্গার জল বলেছিল।’
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘জনগনের পেটে লাথি মেরে সরকার উন্নয়নের গান গাইছে। উন্নয়ন মানে হলো জনগণের উন্নয়ন। কিন্তু এই সরকার জনগনের কোন উন্নয়ন করেনি। আজ দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। বিদ্যুতসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই জনগণ আর এই সরকারকে চায় না।’
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। তাদের কেবল আছে দখল আর লুটপাট। এসব করে তারা আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।’
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ওপর চেপে বসেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। তাদের দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ।
‘না খেয়ে মরার চেয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে মরা অনেক সম্মানের। তাই জনগণকে এই সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে না পারলে রাষ্ট্র মেরামত করা যাবে না। এজন্য বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে হায়েনাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। সরকার যদি গণতন্ত্রের ভাষা না বোঝে তাহলে দেশে শ্রীলংকার অবস্থা হবে।’
যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা যখন এখানে সমাবেশ করছি তখন সিলেটে আরেকটি সমাবেশ হচ্ছে। পিস্তল, রাইফেল, বন্দুক নিয়ে শান্তি সমাবেশ করা হচ্ছে। আমাদের চুলকানি দেয়ার জন্যই একই দিনে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান, শাম্মী আখতার প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য