সিলেটকে প্রথম ডিজিটাল নগর হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু হয়েছিল ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প’, তবে এর কাজ শেষ হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে উদ্যোগ। এখন এ প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।
প্রকল্পের আওতায় নগরের ১২৬ পয়েন্টে চালু করা ফ্রি ওয়াইফাই সেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো সিলেট নগরের ১১০টি পয়েন্টে লাগানো চেহারা ও যানবাহনের নম্বরপ্লেট চিহ্নিতকরণে আইপি ক্যামেরার বেশির ভাগও নষ্ট হয়ে গেছে। আর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অটোমেশনের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
সিলেটকে ডিজিটালাইজ করতে ২০১৮ সালে শুরু হয় ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের কাজ। এর শুরুতে ১১টি উদ্যোগের প্রস্তাব ছিল। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশির ভাগ বাদ দিয়ে শুধু তিনটি উদ্যোগ প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়।
উদ্যোগগুলো হলো এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য তথ্য অটোমেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সড়কে চেহারা ও নম্বরপ্লেট চিহ্নিতকরণ ক্যামেরা স্থাপন এবং ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট।
আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওসমানী মেডিক্যালের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা অটোমেশন হয়নি।
এখনও ‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সিস্টেম’-এর সফটওয়্যার নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৪ সালের জুন নাগাদ এটি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিলছে না ওয়াইফাই সেবা
প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালু করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২১ সালের মার্চে সিলেট সিটি করপোরেশনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়, তবে হস্তান্তরের বছরখানেকের মধ্যেই বন্ধ হয়ে পড়ে এ সেবা। বর্তমানে নগরের কোনো জায়গা থেকে বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা মিলছে না।
ক্যামেরা নষ্ট
‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নগরের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছিল ১১০টি চেহারা ও গাড়ির নম্বরপ্লেট চিহ্নিতকরণ ক্যামেরা। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব ক্যামেরার বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অপরাধী শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে।
সিলেট মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে ৬৮টি নষ্ট হয়ে গেছে; সচল আছে ৪২টি। বেশির ভাগ আইপি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অপরাধী শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘নগরীতে আইপি ক্যামেরা স্থাপনের পর অপরাধী শনাক্তে বেশ সুবিধা হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু ক্যামেরায় ৩৬০ ডিগ্রি জুমিং সুবিধা রয়েছে। এসব ক্যামেরা ব্যবহার করে কয়েকটি ঘটনার রহস্য উদঘাটনেও সক্ষম হয় পুলিশ, কিন্তু এখন বেশিরভাগ ক্যামেরা নষ্ট হওয়াতে অপরাধী শনাক্ত কঠিন হয়েছে।’
ফ্রি ওয়াইফাই সেবা বন্ধের কারণ হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশন বলছে, আর্থিক সমস্যার কারণে তারা বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা দিতে পারছে না।
ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালুর পর ওই প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মধুসূদন চন্দ বলেছিলেন, প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ জন বিনা মূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চার দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে প্রতি সেকেন্ড ১০ মেগাবাইট।
শুরু থেকেই ইন্টারনেটের মন্থর গতি নিয়ে অভিযোগ ছিল ব্যবহারকারীদের। গতি ধীর হলেও প্রায় সব এলাকা থেকে বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা পাওয়া যেত, তবে এই সেবাও এখন মিলছে না।
রোববার নগরের আম্বরখানা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার এলাকায় ওয়াইফাই জোনে গিয়ে একাধিবার ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের চেষ্টা করেও তা ব্যবহার করা যায়নি। নির্ধারিত ইউজার নেম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও পাসওয়ার্ড ‘জয় বাংলা’ দেয়ার পর শুধু ওয়াইফাই কানেক্ট হয়, তবে ইন্টারনেন্ট ব্যবহার করা যায় না।
নগরের আম্বরখানা এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফ আহমদ বলেন, ‘চালুর পর কিছুদিন আমরা ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পেরেছিলাম, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে এটি আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কেন ব্যবহার করা যাচ্ছে না, তাও জানি না।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার পর ওয়াইফাই সেবা বিকল হয়ে পড়া নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম বলেন, ‘সিসিকের বাজেট স্বল্পতার কারণে এ খাতে কোনো বরাদ্দ না থাকায় ইন্টারনেটের বিল দেয়া যাচ্ছে না। তাই ওয়াইফাই হটস্পটে ইন্টারনেট সংযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তারা মাসে প্রায় ৮ লাখ টাকার মতো বিল চেয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবারও ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হবে।’
এই প্রকল্পের অধীনে নগরে উন্নত প্রযুক্তির ১১০টি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, যেগুলোর মধ্যে চেহারা ও গাড়ির নাম্বার প্লেট চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা ছিল। ২০১৯ সালের জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এগুলোর উদ্বোধন করে। ক্যামেরাগুলোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসানো হয় সিলেটের কোতোয়ালি থানায়। আর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল সিলেট মহানগর পুলিশ।
এসব ক্যামেরার বেশিরভাগই বিকল হয়ে পড়া নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে হস্তান্তরের আগেই সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজের জন্য ৮০টির মতো ক্যামেরা কিংবা ক্যামেরার ফাইবার অপটিকস সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা নিজস্ব বাজেটে ৫০টির মতো ক্যামেরা ও সংযোগ চালু করেছি, কিন্তু নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় ফেস ও নম্বর প্লেট রিকগনিশন সফটওয়্যার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘এ খাতে বিশেষ বরাদ্দের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি।’
কেবল উন্নয়নকাজের জন্য নয়, সিসিটিভি ক্যামেরার অনেক যন্ত্রপাতি চুরিও হয়ে গেছে জানিয়ে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো মাসে তিনবার নষ্ট হয়। ক্যামেরা ও তার সংযোগ লাইন বারবার চুরি হয়ে যায়, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা চোরকেও পুলিশ ধরতে পারেনি। এগুলো নজরদারির জন্য পুলিশের একটা বিশেষ টিম করা প্রয়োজন।’
‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশনস) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান বলেন, ‘প্রথম দিকে প্রায় এক বছর আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা পরিচালনা করেছিল। চেহারা চিহ্নিতকরণ ক্যামেরাও আমরা দেখভাল করেছি।
‘পরীক্ষামূলক এক বছর চালুর পর ওয়াইফাইয়ের দায়িত্ব সিলেট সিটি করপোরেশনকে ও ক্যামেরার দায়িত্ব সিলেট মহানগর পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন এগুলো দেখভালের দায়িত্ব তাদের।’
আরও পড়ুন:প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী পাল্টাচ্ছে প্রতিদিন। বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজ, শিক্ষা কিংবা বিনোদনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ল্যাপটপের ব্যবহার। আধুনিক জীবনের সব রকমের প্রয়োজন মেটাতে ক্রমাগত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এসব ডিভাইস।
ফলে যত বেশি কাজ, তাপও উৎপন্ন হচ্ছে সেই হারে। এই তাপ কমাতে সাধারণত পোর্টেবল কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। এভাবে বাহ্যিক তাপ কমানো গেলেও ল্যাপটপের ভেতরে আটকে পড়া তাপ নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়।
তবে ল্যাপটপেই যদি একটি শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম থাকে, তাহলে বাহ্যিক কুলিং ফ্যানের আর প্রয়োজন হয় না। বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছর ইনবুক সিরিজের এক্স২ ল্যাপটপ বাজারে আনে ইনফিনিক্স। এই ল্যাপটপের ভেতরে আছে আইস স্টর্ম ১.০ নামক কুলিং প্রযুক্তি। এটি ল্যাপটপে একটি আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্যে করে। আইস স্টর্ম কুলিং সিস্টেম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে মিলিটারি-গ্রেডের বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। গেমিংসহ অন্যান্য কাজ কিংবা বিনোদনের সময় যা নিঃশব্দে পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
ইনফিনিক্সের এই প্রযুক্তিটি ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরে। ল্যাপটপ কিংবা এর ব্যবহারকারী, উভয়ক্ষেত্রেই এর প্রভাব রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে কার্যকর কুলিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের কাজে আসে এবং এর মাধ্যমে কী কী সমস্যার সমাধান হয়?
পারফরম্যান্স
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে প্রথম সমস্যা হয় এর পারফরম্যান্সে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ল্যাপটপের কাজের মান ও গতি কমে যায় এবং ল্যাগ সৃষ্টি হয়। একে থার্মাল থ্রটলিং বলে। কার্যকর কুলিং সিস্টেম দ্রুত এই তাপমাত্রা কমিয়ে এনে নিরবচ্ছিন্নভাবে উন্নত পারফরম্যান্সের লেভেল বজায় রাখতে পারে। ফলে মাল্টিটাস্কিং করা সহজ হয়, সফটওয়্যারগুলো দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাও ভালো হয়।
স্থায়িত্ব ও জীবনকাল
ল্যাপটপের সিপিউ ও জিপিউ’র মতো অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো বেশ তাপ সংবেদনশীল। সময়ের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এসব উপাদানের ক্ষতি হয়। এতে ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা কমে যায় এবং জীবনকালও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। এক্ষেত্রে একটি ভালো কুলিং সিস্টেম দক্ষতার সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অকালে হার্ডওয়্যার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এমন সক্রিয় ব্যবস্থা ল্যাপটপের জীবনকাল বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আর্থিক লোকসানও কমিয়ে আনে।
পরিবেশবান্ধব
তাপমাত্রা বেশি হলে ফ্যানকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, ফলে আরও বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপে সার্বক্ষণিক ফ্যানের ব্যবহার কমিয়ে কার্যকরভাবে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে উন্নত কুলিং সিস্টেম। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, বিদ্যুৎ বিল কমে আসে এবং পরিবেশের সুরক্ষা হয়।
স্বস্তি এবং স্বাস্থ্য
ডিভাইসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ল্যাপটপ ব্যবহার করা খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষভাবে, যখন কোলের উপর রেখে ব্যবহার করতে হয় তা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ সময় এভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ত্বক পুড়ে যাওয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, ফ্যান অতিরিক্ত শব্দ করলে তা ব্যবহারকারীর মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটায়। ল্যাপটপ ঠান্ডা রেখে নিঃশব্দে কার্যক্রম বজায় রাখার মাধ্যমে এসব ঝুঁকি কমিয়ে আনে আইস স্টর্ম ১.০-এর মতো অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমগুলো।
তাই ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম শুধু ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও জীবনকালের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ব্যবহারকারীর স্বস্তি, সুস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্যও এটি জরুরি।
ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের এক্স২ এবং ওয়াই২ প্লাস ল্যাপটপ দেশজুড়ে রায়ানস, স্টারটেক ও দারাজের মতো অনুমোদিত রিটেইলারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ থেকে ২০ মার্চ রায়ানস-এর ব্র্যান্ড উইক চলাকালীন ইনফিনিক্স ল্যাপটপ কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি পাওয়ার ব্যাংক, একটি মাউস প্যাড এবং ১০০০ টাকার শপিং ভাউচার।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ করতে স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৩৫২-৬৫ ভোটে এই বিলটি পাস হওয়ার পর এখন তা সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিষয়টি আইনে পরিণত হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশ বিক্রি করতে ছয় মাস সময় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এর মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে টিকটক ব্লক করে দেবে তারা।
আইনপ্রণেতারা টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় টিকটকে, যুক্তরাষ্ট্রে এর ব্যবহারকারী ১৭০ মিলিয়নেরও বেশি।
ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
সাফ জয়ী সেই নারী ফুটবল দলকে মঙ্গলবার বিশেষ সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৩৩ সদস্যের দলের প্রত্যেককে একটি করে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার দেয়া হয়।
ঈদের আগে ওয়ালটনের প্রতিশ্রুত ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার পেয়ে সাফ জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলের সবাই বেশ খুশি হন। বিশেষ করে কিশোরী ফুটবলাররা। তাদের চোখে-মুখে সেই খুশির ঝিলিক দেখা যায়।
দুপুরে বাফুফে ভবনে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন ও বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
হঠাৎ করেই যেন রাতের অন্ধকার নেমে এসেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারীদের জীবনে। আচমকা বিভ্রাটে পড়ে ভীত হয়ে পড়েন অনেকে।
তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নন, বরং ক্ষতির মুখে পড়েছিল কর্তৃপক্ষ। আর এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সময়ও নিতে হয়েছে বেশ।
এমন অবস্থায় ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম বন্ধ থাকায় কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মূল প্রতিষ্ঠান মেটা, তা নিয়ে সূত্রের বরাতে তথ্য দিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন।
প্রতিবেদন বলছে, প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বিভ্রাটে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মেটা। সবমিলিয়ে ৩ বিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অকেজো হয়ে পড়ে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইউজারদের অ্যাকাউন্ট নিজে থেকেই লগ আউট হয়ে যায়।
পরে অবশ্য এক্সে এসে মার্ক জাকারবার্গ জানান, সার্ভার ডাউন। সেই কারণেই কাজ করছে না মেটার দুই প্ল্যাটফর্ম। তবে দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
এর পরই মাস্ককে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ইলন মাস্কও অবাক হয়ে যাবেন এই ভেবে যে এক্স হ্যান্ডেলে আচমকা এত ভিড় কেন?
পাল্টা জবাব দিয়েছেন এক্সের মালিক মাস্কও। তিনি লেখেন, এই প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের মেসেজ লেখা যাচ্ছে, সবাই তা দেখতে পাচ্ছে। কারণ আমাদের সার্ভার খুব ভালো চলছে।
আরও পড়ুন:এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঠিক হয়েছে ফেসবুক। রাত দশটা ৩৫ মিনিটে লগইনের চেষ্টা করলে দেখা যায়, সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম বৃহৎ এ প্লাটফরমটি।
এদিকে রাত সাড়ে নয়টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে দেশের অনেক নাগরিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের আশ্বস্ত করে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঠিক হয়েছে ফেসবুক। রাত দশটা ৩৫ মিনিটে লগইনের চেষ্টা করলে দেখা যায়, সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম বৃহৎ এ প্লাটফরমটি।
বিস্তারিত আসছে…
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। এমনকি ফেসবুকে সক্রিয় থাকা আইডিগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফেসবুকের পাশাপাশি মেটার আওতাধীন ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ব্যবহারকারীরা জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
মেটা কিংবা ফেসবুক তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
মন্তব্য