কাজ শেষে ভবন বুঝে নেয়ার প্রায় আড়াই বছর হলেও ঝুলে আছে ১০০ শয্যার রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম । কী কারণে বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না তা অস্পষ্ট। এ নিয়ে নগরবাসীর ক্ষোভ বাড়ছে। তবে সিভিল সার্জনের দাবি, হাসপাতালটি চালুর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।
রংপুরের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রংপুরের তৎকালীন সদর হাসপাতালের ১ দশমিক ৭৮ একর জমির মধ্যে শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর। ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮০৯ টাকা মূল্যের সেই কাজটি করেছেন ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মল্লিক এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স অণিক ট্রেডিং করপোরেশন।
ভবন নির্মাণের জন্য দুই বছরের সময়সীমা বেধে দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের আড়াই মাস আগে কাজ শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ৮ মার্চ এই হাসপাতাল ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা সিভিল সার্জনকে হস্তান্তর করা হয়।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালটি হয়েছে তিন তলার। মূল ভবনের ১ম তলায় থাকবে ইমার্জেন্সি, আউটডোর, চিকিৎসকদের চেম্বার এবং ল্যাব। দ্বিতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটার, বার্ন ইউনিট এবং ৩য় তলায় ওয়ার্ড এবং কেবিন থাকবে।
প্রতি তলার আয়তন ২০ হাজার ৮৮২ দশমিক ৯৭ বর্গফুট। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে চার তলা ভিত্তির তিন তলা সুপারিনটেনডেন্ট কোয়ার্টার। সিঁড়ি বাদে প্রতি তলার আয়তন দেড় হাজার বর্গফুট। ছয় তলা ডক্টরস কোয়ার্টারের নিচতলায় গাড়ি পার্কিং, দ্বিতীয় তলা থেকে ডাবল ইউনিট। আছে ছয় তলা বিশিষ্ট স্টাফ অ্যান্ড নার্স কোয়ার্টার। দুই তলা বিশিষ্ট গ্যারেজ কাম ড্রাইভার কোয়ার্টার। নিচে দুটি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপনের জন্যও নির্মাণ করা হয়েছে একটি ভবন।
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় গরীব সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে।
‘অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিক, হসপিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি চিকিৎসাসেবার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই শিশু হাসপাতালটি চালু হলে অল্প ব্যয়ে সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে। আমরা কোনো অজুহাত দেখতে চাই না, দ্রুত হাসপাতালের কার্যক্রম চালু চাই।’
জনতার রংপুর এর আহবায়ক ড. সৈয়দ মামুনুর রহমান বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি এই হাসপাতালের কার্যক্রম সব কমপ্লিট, এখন শুধু পোস্টিং পর্যায়ে ম্যান পাওয়ার আর অবকাঠামোগত সুবিধা দরকার। সব মানুষের দাবি থাকা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এটি হচ্ছে না। এই অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় ভুমিকা প্রয়োজন।’
রংপুরের কামালকাচনা এলাকার বাসিন্দা আজহার আলী বলেন, ‘রংপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল নির্মাণের জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে। বর্তমান সরকার আমাদের সেই দাবি পূরণ করে সদর হাসপাতালের জমিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করেছেন । কিন্তু ভবন হল, হাসপাতাল চালু হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না তা সংশ্লিষ্টরাই বলতে পারবেন, আমরা এতটুকু বলতে চাই যেকোনো উপায়ে এটি চালু করা হোক।’
নগরীর পূর্ব কামালকাচনা আরসিসিআই এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস আলী বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশুদের চিকিৎসার যে খরচ তার অর্ধেকে আমরা এখানে চিকিৎসা পেতাম। তখন ক্লিনিকে ক্লিনিকে যাওয়ার দরকার পড়তো না। আমাদের খরচ অনেক কম হত।’
সুজন রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘প্রশাসনিক কী জটিলতা আছে আমরা সেটা জানি না। কিন্তু সরকার এই হাসপাতাল যে উদ্দেশে তৈরি করল তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না রংপুরবাসী।
‘অন্যদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। মানুষজন চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এই অবস্থা আমরা জোর দাবি করছি, যত দ্রুত সম্ভব এই শিশু হাসপাতালটি চালু করতে হবে।’
রংপুর সিভিল সার্জন ড. শামীম আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় সেটি পেয়েছে বলে আমি জানি। আমরা খোঁজখবর রাখছি, চিঠিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলে হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে। তবে কবে নাগাদ এই হাসপাতাল চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহীন একটি দিন পার করার পরদিনই এই রোগে মারা গেলেন আরও পাঁচজন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ ডেঙ্গু রোগী।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ জন রোগী।
মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এই সময়ে ৭১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী।
এ ছাড়া একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোহাম্মদ ছিদ্দিক নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে শিশুটির স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছেন হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের এ ঘটনায় দুই সহকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বজনরা শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। পরে স্বজনরা এসে হাসপাতালে হামলা চালায়।’
মারা যাওয়া শিশুটি টেকনাফের গোদারবিলের আবদুল জব্বারের ছেলে। শিশুটির বাবা বলেন, ‘টমটম দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটা আহত হলে চিকিৎসার জন্য ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে ভুল চিকিৎসার কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা আমাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করার কথা বলেননি।’
তবে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আহত শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেলে কক্সবাজারে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আড়াই ঘণ্টা পর এসে শিশুটি মারা যাওয়ার কথা বলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা হাসপাতালেও ভাংচুর করে।’
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে শিশুটির স্বজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা. এনামুল হক, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান জিয়ার রহমান জিহাদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, শিশুটির মৃত্যুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না। আর স্বজনরা হাসপাতালে যে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা-ও তারা আবেগের বশবর্তী হয়ে করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। এ নিয়ে কাউকেই সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী করা হয়নি।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সময়কালে নতুন করে চারজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ নারী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. মোস্তফা ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নাসিমা।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোস্তফা। রোববার রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি। অপরদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ভর্তি হয়েছিলেন নাসিমা। তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যান।’
মহিউদ্দিন খান জানান, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা পাঁচজন ও একটি শিশু রয়েছে।
মন্তব্য