× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thanks to the tunnel Chittagong will take the form of Shanghai
google_news print-icon

‘টানেলের সুবাদে সাংহাইয়ে রূপ নেবে চট্টগ্রাম’

টানেলের-সুবাদে-সাংহাইয়ে-রূপ-নেবে-চট্টগ্রাম
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশই শেষ। ২৪ ফেব্রুয়ারি এটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। আমি আশাবাদী চট্টগ্রাম আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’

‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের সুবাদে চীনের সাংহাই শহরে রূপ নেবে চট্টগ্রাম। এই বন্দর নগরী হবে ওয়ান সিটি টু টাউন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।

টানেলটি নির্মাণ কাজের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজই শেষ। ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এক সময় কেউ ভাবেনি বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাংহাই শহরে রূপ নেবে। আমি আশাবাদী চট্টগ্রাম আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’

বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি এখনও ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। আইএমএফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর ফলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মহামন্দার দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। ইউরোপের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় গত ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ তলানিতে। পাকিস্তানের রিজার্ভও সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। আমাদের দেশেও জ্বালানি তেলসহ সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা এখনও ভালো আছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দুটি অংশ। একটি অংশ স্বাধীনতা আরেকটি হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘অর্থনৈতিক মুক্তির বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন ছিল হতাশায় ঘেরা। ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই পদ্মা সেতু আজ স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা।’

আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়শীল দেশের রিজার্ভ এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এখনও দেশে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ আছে। দেশের অর্থনীতির চলমান ধারার মধ্যে একটি বলিষ্ঠ আভাস আছে। আগামীতে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি আরও বাড়বে।’

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ভালো মানুষরা রাজনীতিতে আসতে চান না: কাদের
আমরা চ্যালেঞ্জিং টাইম পার করছি: ওবায়দুল কাদের
ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভেঙে আহত ৬
মঞ্চ ভেঙে পড়লেন ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগ নেতারা
অর্থ পাচার ঘৃণা করি, কর্মকর্তাদের এত বিদেশ সফর কেন: কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Biman reduced ticket prices for Umrah passengers

ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান

ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান
এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আগে টিকিট কিনলে মিলবে সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা। আর যেসব যাত্রী পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য রয়েছে মূল্যছাড়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের দাম কমিয়েছে।

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আগে দু’টি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা রিজার্ভেশন বুকিং ডেজিগনেটর (আরবিডি) ব্যবহার করা হতো। এবার ওমরাহ যাত্রীদের টিকিট পাওয়া সহজ করতে চলমান দুটি বুকিং ক্লাসের পরিবর্তে সব বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে। তা সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত রয়েছে।

বিমান কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সুবাদে এখন ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আর যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট কিনবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন।

এছাড়াও যেসব যাত্রী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
চেয়ারম্যান হিসেবে বিমানে ফিরছেন মুয়ীদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus is backed by the US Senate Majority Whip

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার সিনেটে ফ্লোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বাসস জানায়, হুইপ সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সিনেটে ফ্লোর নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কয়েক দশক ধরে হয়রানির শিকার হওয়া ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানান।

ডারবিন তার মন্তব্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির বিকাশে ড. ইউনূসের জীবনব্যাপী কাজ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।

তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের লক্ষ্যে তার প্রথম বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন।

ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি আজ তাকে (ড. ইউনূস) আমার পূর্ণ সমর্থন দিতে যাচ্ছি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমি ২০ বছর আগেও করেছি এবং আজও করছি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও তাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।

‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েকদিন পর অধ্যাপক ড. ইউনূস নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের শপথ নেন।

ডারবিন বলেন, ‘গত মাসে আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন..., জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যে ছাত্ররা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা দাবি করে যে তাদের দেশের নেতা হবেন কেবলমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই একই অর্থনীতির অধ্যাপক, যার সঙ্গে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে আমার দেখা হয়েছিল।

’আমি তার সৌভাগ্যের কথা শুনে তাকে (ড. ইউনূস) ফোন করি। তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের মানুষ এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’

ডারবিন জুলাই মাসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশে তিন সহকর্মীর নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ড. ইউনূসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সন্দেহজনক অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে ডারবিন ও তার সহকর্মীদের একটি চিঠি পাঠানোর পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।

এ গ্রীষ্মের শুরুতেও ডারবিন সিনেট ফ্লোরে এক বক্তব্যে ড. ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ১০০ জনেরও বেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক প্রচারণার নিন্দা জানিয়েছেন।

ডারবিন ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূসকে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। পরে ২০১৩ সালে ইউনূসকে এই পদক প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
ড. ইউনূসের প্রতি ১৯৭ বিশ্বনেতার দৃঢ় সমর্থন ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস
চলতি মাসে ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Strengthened language of protest against border killings Foreign Adviser

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষা আরও শক্তিশালী করেছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষা আরও শক্তিশালী করেছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ফাইল ছবি
সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না। বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমরা প্রতি মুহূর্তে যা বলছি তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা আশা করি ভারত বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’

সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না। বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

‘তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমি কখনও কাউকে বলতে শুনিনি যে এটি ভারতের জন্য সুফল বয়ে আনে।’

বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ড তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাশ নামে এক কিশোরী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক জোরদারে বড় বাধা সীমান্ত হত্যা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কা আছে মনে করি না
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তি ও ভারত থেকে নিত্যপণ্য সরবরাহ চায় ঢাকা
নির্বাচ‌নের মাধ‌্যমে এই সরকার স‌রে যা‌বে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
10 more expatriates who were pardoned in the Emirates have returned to Chittagong

আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ১০ প্রবাসী চট্টগ্রামে ফিরেছেন

আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ১০ প্রবাসী চট্টগ্রামে ফিরেছেন
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, সোমবার বিকেলে ও রাতে পৃথক বিমানে করে মোট ১০ জন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। এর আগে শনিবার ১২ জন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে আরও ১০ জন দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মোট ২২ প্রবাসী দেশে ফিরলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা করে দেয় সে দেশের সরকার। ক্ষমা পাওয়া এসব প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে আমিরাত সরকার।

সোমবার সন্ধ্যা ও রাতে পৃথক দু’টি বিমানে করে তারা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর বলেন, বিমানবন্দরে আসা শ্রমিকদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, সোমবার বিকেলে ও রাতে পৃথক বিমানে করে মোট ১০ জন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ১২ জন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান।

আরও পড়ুন:
আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪ জন ফিরছেন সন্ধ্যায়
আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indias LoC projects are important to continue Finance Advisor

ভারতের এলওসি প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো চলবে: অর্থ উপদেষ্টা

ভারতের এলওসি প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো চলবে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের চাহিদার আলোকে শুরু করা হয়েছে। যদিও কিছু বিতরণ সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এগুলো অব্যাহত থাকবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং আমরা এগুলো অব্যাহত রাখব।’

উপদেষ্টা এই প্রকল্পগুলো অগুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার কোনো অবকাশ রাখেননি।

আলোচনাকালে ড. সালেহউদ্দিন ভারতীয় হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. সালেহউদ্দিন ভবিষ্যতে সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা বাড়বে এ প্রত্যাশায় রয়েছি।’

ভারতের বিদ্যমান তিনটি এলওসি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও বিতরণ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ভারতীয় পক্ষ এ বিষয়ে মতামত নিয়েছে।

ভারতকে প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দুই দেশ তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় খুঁজছে।

ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, এগুলো বাংলাদেশের চাহিদার আলোকে শুরু করা হয়েছে। যদিও কিছু বিতরণ সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’

ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় অর্থায়নের আওতায় নতুন প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা থেমে থাকব না। ভবিষ্যৎ প্রকল্প, সেগুলোর অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে।’

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে এটি মোকাবিলা করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় হাইকমিশনার তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে উভয় পক্ষেরই যেন সুবিধা হয় এমনভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আরও মানসম্পন্ন রপ্তানিকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চলছে।

বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষণাগারের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে থাকে ভারত।

ভারত বাংলাদেশে তাদের কোনো এলওসি প্রকল্প বন্ধ করেনি জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো চলমান এবং বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত বড় উদ্যোগ। ঠিকাদাররা আবার কাজে ফিরবেন।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভার্মা বলেন, 'আমরা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছি এবং উপদেষ্টার সঙ্গে আমার বৈঠক তার প্রমাণ।’

প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা হবে।

ভারতীয় অর্থায়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন হাইকমিশনার এবং এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জোর অঙ্গীকার জানান।

বাংলাদেশ ও ভারত এ পর্যন্ত তিনটি লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তি সই করেছে। প্রথমটি ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের, যা ২০১০ সালের আগস্টে সই হয়। দ্বিতীয়টি দুই বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৬ সালের মার্চে সই হয় এবং তৃতীয়টি সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৭ সালের মার্চে সই হয়।

আরও পড়ুন:
চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The US reiterated its willingness to work with the interim government

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এ সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী।’

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে দেশটির সম্পৃক্ততার জল্পনা-কল্পনা দৃঢ়তার সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সোমবার ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এ সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

তবে দেশটিতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বিদেশি প্রভাব সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি।

ছাত্র বিক্ষোভে চীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল জবাব দেন, ‘আমি শুধু শুধু অনুমান করতে যাচ্ছি না।’

এ সময় একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক মৈত্রী

তুলে ধরে কিছু ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে বলে উল্লেখ করেন।

জবাবে প্যাটেল দৃঢ়ভাবে এই দাবিগুনো নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমি সেই প্রতিবেদনগুলো দেখিনি। কিন্তু আমি যা দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলতে পারি তা হলো, সেগুলো (প্রতিবেদনগুলো) সত্য নয়; আর সম্ভবত সে কারণেই আমি সেগুলো দেখিনি।’

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন করে পুনরুজ্জীবিত গণতান্ত্রিক পথের আশা জাগিয়ে তুলেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Areas of Narsingdi where there will be no gas on Wednesday

নরসিংদীর যেসব এলাকায় বুধবার থাকবে না গ্যাস

নরসিংদীর যেসব এলাকায় বুধবার থাকবে না গ্যাস গ্যাসের জ্বলন্ত চুলা। ফাইল ছবি
শাটডাউন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নন্দীপাড়া জামে মসজিদ, ভেলানগর, নরসিংদী হতে ভেলানগর বাজার জামে মসজিদ পর্যন্ত বিদ্যমান পাইপলাইন স্থানন্তর কাজের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকা হতে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত (১২ ঘণ্টা) চিনিশপুর, আবেদ টেক্সটাইল ঘোড়াদিয়া নরসিংদী, থার্মেক্স গ্রুপ, বৈশাখ স্পিনিং, কারার চর, শিবপুর, নরসিংদী ও তদসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।”

পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজের জন্য বুধবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে নরসিংদীর কিছু এলাকায়। তিতাসের জরুরি গ্যাস শাটডাউন বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নন্দীপাড়া জামে মসজিদ, ভেলানগর, নরসিংদী হতে ভেলানগর বাজার জামে মসজিদ পর্যন্ত বিদ্যমান পাইপলাইন স্থানন্তর কাজের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকা হতে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত (১২ ঘণ্টা) চিনিশপুর, আবেদ টেক্সটাইল ঘোড়াদিয়া নরসিংদী, থার্মেক্স গ্রুপ, বৈশাখ স্পিনিং, কারার চর, শিবপুর, নরসিংদী ও তদসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

“এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

আরও পড়ুন:
গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
রাজধানীতে শুক্রবার ৯ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রাজধানীর যেসব এলাকায় মঙ্গলবার ৮ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
গ্যাস সংকট কখন কাটবে তা জানাল জ্বালানি মন্ত্রণালয়
‘সারা দেশে ১৫ জুলাই থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ’

মন্তব্য

p
উপরে