× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Lakhs of worshipers flocked to the shores of Turag for the largest Friday observance
google_news print-icon

বৃহত্তম জুমা আদায়ে তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির ঢল

বৃহত্তম-জুমা-আদায়ে-তুরাগ-তীরে-লাখো-মুসল্লির-ঢল
বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে দলে দলে আসছেন লাখো মুসল্লি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয় মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামায়াতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ নামাজে শরিক হবেন।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপক্ষো করে লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণায় পরিপূর্ণ তুরাগ তীর।

দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার দলে দলে আসছেন লাখো মুসল্লি। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা জোবায়ের এ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন।

ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয় মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামাআতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ নামাজে শরিক হবেন।

ইতোমধ্যে অনেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান নিচ্ছেন। জুমার নামাজে কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের ইমামতি করবেন।

বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে ইজতেমায় তাবলীগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশেপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিতে থাকেন লাখো মুসল্লি।

এ ছাড়াও শুক্রবার মুসল্লিরা ভোর থেকেই টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরিবহন সংকটে অনেকেই জুমার নামাজে অংশ নিতে হেঁটে রওনা দিয়ে আসছেন তুরাগ তীরে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাঁপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশেপাশের অলি-গলিতেও কাতারবদ্ধ হয়ে জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসল্লিরা।

বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম প্রতিবছরই ইজতেমায় আসেন, কিন্তু এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইজতেমায় আসতে না পারলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বৃহত্তম জামাআতে অংশ নিতে এসেছেন।

ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন দুলাল মিয়া। তিনি জানান, তার এলাকা থেকে ইজতেমায় একটি জামায়াত এসেছেন। সেখানে মুসল্লিরা খিত্তায় অবস্থান করছেন। তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত ও এক সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতে ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন।

শ্রীপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কারখানার আরও দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ফজর নামাজ শেষে ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোরেই চলে এসেছি।’

পরপর দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবারের ইজতেমায় সাধারণ মুসল্লিদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি। অনেকেই মূল শামিয়ানার নিচে স্থান না পেয়ে সড়কের পাশে ফুটপাতে পলিথিন টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

বিদেশি তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ময়দান এলাকায় থাকছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম।

আরব, ইউরোপসহ কয়েকটি দেশের মুসল্লিরাও ইতোমধ্যে ইজতেমা মাঠের বিদেশি মেহমানদের প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারিতে
আখেরি মোনাজাতে শান্তি কামনা
রংপুরে চলছে জেলা ইজতেমা
কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা বন্ধ, মুসল্লিদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
জোড় ইজতেমায় করোনা-মুক্তি কামনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Holy Eid Miladunnabi 16 September

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের আকাশে বুধবার আরবি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার।

পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে। কারণ বুধবার বাংলাদেশের আকাশে আরবি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

এ অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Temple Attackers Are Animals Religion Advisor

উপাসনালয়ে হামলাকারীরা পশু: ধর্ম উপদেষ্টা

উপাসনালয়ে হামলাকারীরা পশু: ধর্ম উপদেষ্টা রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। ছবি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ‘উপাসনালয়ে যারা হামলা করে, এরা মানুষ নয়; এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’

ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাকারীদের পশু আখ্যা দিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারকে বিব্রত করার জন্য এক শ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।

‘উপাসনালয়ে যারা হামলা করে, এরা মানুষ নয়; এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই এ দেশে অসাম্প্রদায়িক আবহ বিরাজমান। এটাকে কোনোক্রমেই নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের নানা ধর্মের বৈচিত্র্য রয়েছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য।

‘এই ঐতিহ্যকে আমরা লালন করতে চাই, ধারণ করতে চাই এবং বিশ্ববাসীকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।’

ড. খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে স্পষ্ট দলিল আছে, এমন কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি যদি কেউ দখল করে থাকে, তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা থাকলে সেটাও দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।’

তিনি মন্দিরের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ দেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সুন্দর কথা বলা সহজ, কিন্তু সুন্দর কাজ করা কঠিন। সুন্দর কথাকে অবশ্যই কাজে পরিণত করতে হবে। আমরা সুন্দর কথা যেমন বলব, তেমনই সুন্দর কাজও করে যাব।

‘আমরা সুন্দর, শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে: রাষ্ট্রদূত
সরকারে দপ্তর পুনর্বণ্টন, বাড়তি দায়িত্বে চার উপদেষ্টা
সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ জনগণের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khatib was not appointed in Baitul Mukarram
ইফার বিজ্ঞপ্তি

বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি

বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে মুসল্লিরা। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রকৃত বিষয়টি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন কিছুদিন যাবত মসজিদে না আসায় তার স্থলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ 

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ সংক্রান্ত খবরটি সঠিক নয় জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) শুক্রবার বলেছে, কাউকে এখনও খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি।

ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব বা ভারপ্রাপ্ত খতিব নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গোচরীভূত হয়েছে। এরূপ সংবাদটি ভিত্তিহীন ও অসত্য।

‘প্রকৃতপক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কাউকে খতিব বা ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে নিয়োগ কিংবা দায়িত্ব দেয়া হয়নি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এরূপ কোনো পত্র বা অফিস আদেশ জারি করা হয়নি।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রকৃত বিষয়টি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন কিছুদিন যাবত মসজিদে না আসায় তার স্থলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ঈদে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত, প্রথমটি সকাল ৭টায়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government shall protect the rights of every citizen Principal Adviser

সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা

সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে কোনও মন্দির পাহারা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবার। এখানে সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা। সেই দায়িত্ব পালনে সরকার বদ্ধপরিকর।

সোমবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের ধর্ম চর্চা করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আগত হিন্দু নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’

হিন্দু নেতারা শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা দেশের সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ চেয়েছেন।

হিন্দু নেতারা জানান, তারা দেশের বন্যাকবলিত অংশে জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করেছেন এবং এই অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন।

পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রশংসা করে হিন্দু নেতারা বলেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

মন্দিরের জমিসহ হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তারা।

হিন্দু নেতাদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনিন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ জনগণের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন
বন্যা মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অনুদান পাঠানোর আহ্বান
পাচারের অর্থ ফেরাতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A Hindu family set fire to a temple to trap a freedom fighter 2

মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২

মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২ নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে জুড়ী থানা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়েছে এক হিন্দু পরিবার। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা প্রচার করতে থাকে যে তাদের মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়েছে একটি হিন্দু পরিবার। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা প্রচার করতে থাকে যে ওই মুক্তিযোদ্ধা তাদের মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের অনুসন্ধানে সত্য ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে জুড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিনোদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাজী আলাউদ্দিনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান প্রতিবেশী অসিত কুমারসহ তার লোকজন। অসিতের বাড়িতে নিয়ে একটি চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখে বাড়ির উঠোনে থাকা পারিবারিক মন্দিরে খড় দিয়ে আগুন লাগায় অসিতের পরিবারের লোকজন। পরে ধর্মীয় উস্কানির লক্ষ্যে প্রচার করা হয় যে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মন্দির ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

খবর পেয়ে টহলে থাকা ওয়ারেন্ট অফিসার ছায়েম আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টিম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে। পরে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে।

শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে জুড়ী থানায় মামলা করেন। সন্ধ্যায় এজাহারভুক্ত আসামি বাড়ির মালিক অসিত রুদ্র পাল ও নাদিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জুড়ী থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করে ধর্মীয় উস্কানির লক্ষ্যে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসামি পক্ষ মন্দির পোড়ানোর মতো একটি স্পর্শকাতর অপরাধ করেছে। মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indias right wing extremists are spreading fake news about the attack on Bangladesh
বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য

বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের উগ্র ডানপন্থীরা

বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের উগ্র ডানপন্থীরা ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে ভুয়া খবর প্রচার করা হয়। ছবি: বিবিসি
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থীরা ‘ইসলামি চরমপন্থীরা হিন্দুদের ওপর হামলা করছে’ এমন শিরোনামে সহিংসতার বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভিডিও ছড়িয়ে মিথ্যা প্রচার করেছে। যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশকে আরও উসকে দেয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভারত থেকে পরিচালিত।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ‘হিন্দু গণহত্যা’ চলছে এমন অভিযোগ তুলে বাড়ি পোড়ানো, সহিংসতা ও নারীদের সাহায্যের আকুতির ভিডিও অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর যে অস্থিরতা শুরু হয়, তাতে চার শতাধিক মানুষ মারা যায়। ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সে সময় তার দল আওয়ামী লীগের সদস্যদের লক্ষ্য করে সহিংসতা শুরু হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থীরা, বিশেষ করে ভারত থেকে, ‘ইসলামি চরমপন্থীরা হিন্দুদের ওপর হামলা করছে’ এমন শিরোনামে সহিংসতার বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভিডিও ছড়িয়ে মিথ্যা প্রচার করেছে।

উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয় যে চট্টগ্রামের একটি মন্দিরে ইসলামপন্থীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে বিবিসি খোঁজ নিয়ে জেনেছে যে, নবগ্রহ মন্দিরটি অক্ষত রয়েছে। আগুন লাগানো হয়েছিল পাশের একটি আওয়ামী লীগ অফিসে। মন্দিরের কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে মন্দিরে হামলা হয়নি, যদিও পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল।

এছাড়াও একজন হিন্দু ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার মিথ্যা দাবি করা হয়, যা আসলে একজন মুসলিম আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের বাড়ি। এছাড়াও একটি স্কুলে আগুন দেয়া হয়, যার পেছনে কোনো ধর্মীয় উদ্দেশ্য নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করেছে।

যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশকে আরও উসকে দেয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভারত থেকে পরিচালিত বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া নতুন কিছু নয়। তবে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর কার্যকর আইন প্রয়োগের অভাবে তা আরও তীব্র হয়েছে।

বাংলাদেশে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাঈদ আল-জামান বিবিসিকে বলেন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

হিন্দু নিপীড়নের দাবি করে কিছু পোস্ট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যে দাঙ্গার সময় উস্কানিমূলক পোস্ট করার জন্য সমালোচিত ব্রিটিশ উগ্র ডানপন্থী কর্মী স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন যিনি টমি রবিনসন নামে বেশি পরিচিত। তার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দাবি করা হয় যে, ইসলামপন্থীরা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, ধর্মীয় সহিংসতা নয়; এটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং বাসিন্দারাও জানিয়েছেন যে হামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এতে হিন্দু ও মুসলিম উভয়েই জড়িত ছিল।

এই জটিল পরিস্থিতিতে সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়েও ধারণা পরিষ্কার নয় এবং সেগুলো ধর্মীয় আক্রমণ হিসেবেও ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ ও এএফপির প্রতিবেদনে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাহতের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যাদের রাজনৈতিক-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

এদিকে মন্দিরে হামলার মিথ্যা দাবির জবাবে মুসলিম বিক্ষোভকারীরা মন্দির রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। সংঘাত ও সহিংসতা প্রতিহত করতে তারা কাজ করছে।

স্থানীয় বিক্ষোভকারী মইনুল জানান, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মন্দির রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
7 crore 22 lakh taka in the donation box of Pagla mosque

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা চলে শনিবার দিনভর। ছবি: নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তুায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢালা হয়। পরে দিনভর গণনা শেষে সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ‌উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

দিনভর গণনা শেষে কিশোরগঞ্জের আলোচিত মসজিদটিতে এই পরিমাণ অর্থ পাওয়ার কথা শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত।

তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তুায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢালা হয়। পরে দিনভর গণনা শেষে সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ‌উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

জেলা শহরের ঐতিহাসিক এই মসজিদের নয়টি দানবাক্স তিন মাস পরপর খোলা হয়। এবার বাক্সগুলো খোলা হয়েছে প্রায় চার মাস পর।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমতের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূর-দুরান্ত থেকে।

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভ ভূইয়া সিফাত জানান, টেলিভিশন, পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের টাকা গণনা দেখে সরাসরি দেখার ইচ্ছে জাগে তার। সেই ইচ্ছে থেকে আজ দানবাক্স খোলা হয়েছে জেনে গণনা দেখতে এসেছেন তিনি। একসঙ্গে দানের এত টাকা দেখে খুব ভালো লেগেছে বলেও জানান তিনি।

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ২৪৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন।

এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তখন ২৭ বস্তায় দিনভর গণনা শেষে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা আগে পাওয়া যায়নি। এবার বস্তার সংখ্যা বাড়লেও কমেছে টাকার পরিমাণ।

মসজিদে নগদ টাকা ছাড়াও নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। দানবাক্সে টাকার সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান অলংকারও।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ডিসি। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পৌরসভার মেয়র।

জেলা প্রশাসক জানান, পাগলা মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য হিসেবে বানানো হবে। এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ২০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূইয়া জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লির চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।

তা ছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদেরও এ দানের টাকা থেকে সহায়তা করা হয়েছে।

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করে থাকেন এ মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পর তাদের আশা পূরণ হয়েছে। তাই এখানে দান করেন তারা।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে তিন একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা
তিন বছরে সোয়া তিন গুণ বেড়েছে পাগলা মসজিদে দানের টাকা
সব রেকর্ড ভেঙে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা
পাগলা মসজিদে দানের অঙ্ক রেকর্ড ছাড়াল, গণনা চলছে
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

মন্তব্য

p
উপরে