বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগে মারধরে মোনারুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে মোনারুল মারধরের শিকার হন।
৩৫ বছরের মোনারুল শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। তিনি প্রতিভা কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও শেরপুর উপজেলা সেমি অটো চালকল মালিক সমিতির সদস্য।
শনিবার দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি জানান শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, প্রতিভা স্কুলের এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচালক মোনারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে পার্শ্ববর্তী নওদাপাড়া গ্রামের এক বাড়িতে যান মোনারুল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে বেদম মারধর করেন।
আহত মোনারুলকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১ জানুয়ারি তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতোয়ার রহমান খন্দকার বলেন, ‘মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বগুড়ায় আনা হবে। এ বিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারি আনি পাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৩৫ বছর বয়সী নাজমা আক্তার একই এলাকার আবদুল মান্নানের স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের মা।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া শেষে রাতে পান কিনতে বের হন নাজমা আক্তার। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করলে সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানক্ষেতে ওই নারীকে ক্ষতবিক্ষত উলঙ্গ অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
‘পরে খবর পেয়ে নাজমার পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁন মিয়া, ফাহিম ও নাঈম নামে তিন যুবককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নাজমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন:কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ ও ফেসবুকে তা সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গত ৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
অবসরে যাওয়া ওই কর্মকর্তা হলেন মো. শাহেদ ফেরদৌস রানা। তিনি পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন।
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকা এসপিবিএন–১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের সময় দুজন পুলিশ পরিদর্শক ও তিনজন উপপরিদর্শকের সহায়তায় তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় এসপি শাহেদ ফেরদৌস তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে তা সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
এতে বলা হয়, পরে এ ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত এবং শাহেদ ফেরদৌসের জবাব নেয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিল পর্যালোচনা সরেজমিনের তদন্ত করার পর তার বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে ওই কর্মকর্তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বারুনীর মেলায় রাতভর জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বুধবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউপি সদস্যের নামে সাদুল্লাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে জুয়া আইনে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আল-আমিন সরকার, যিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
জামালপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরে গত ১৫ এপ্রিল রাতে বারুনীর মেলা উপলক্ষে জামুডাঙ্গা গ্রামের গোলজারের বাড়ির সামনে জুয়া বসান আল-আমিন।
জুয়ার আসরের একটি ভিডিও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
জুয়া খেলার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজনের ধারণ করা ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়ার বোর্ডে বসে আল-আমিন নিজেই গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন।
ইউপি সদস্যের জুয়ার আসর বসানোর ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিন সরকার তার নেতৃত্বে জুয়া বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি মেলা উপলক্ষে জুয়ার আসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি জুয়ার আসরে ছিলাম, কিন্তু জুয়া আমি বসাইনি।’
মামলার বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
‘এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে, তবে ঘটনার পর থেকে আল-আমিন পলাতক। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জ পৌরসভায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে একজন নিহত হয়েছেন।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো কমল রায় (৬২) মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বদাশড়া এলাকার প্রয়াত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কমল রায়ের সঙ্গে ছোট ভাই মিঠু রায়ের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিতে বড় ভাই কমল রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেলিম ও শফিউল আলম নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গত ইউপি নির্বাচনের সৃষ্ট বিরোধের জের রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। অপরজন শফিউল আলম একই এলাকার আবু সালামের ছেলে।
নিহত সেলিমের পিতা নুর মোহাম্মদ জানান, স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম ও সেলিমের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মানিকপুর উত্তরপাড়া বাজার এলাকার নবীন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় নিহতদের ওপর।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত সেলিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন শফিউল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শফিউল আলমের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক।
প্রসঙ্গত, বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে সেলিম ও শফিউল আলমের বড় ভাই শামসুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিহত দুজনই একটি হত্যা মামলার আসামি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লার হোমনায় এক নারীকে তার ছেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ এলাকায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাণ হারানো রায়জুলের নেসা (৬৫) হোমনা থানার নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ এলাকার প্রয়াত চাঁদ মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় ছেলে আবুল হোসেনকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুল হোসেন তার মাকে নিয়ে একই ঘরে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি তার মায়ের সঙ্গে ছিলেন।
তিনি জানান, রায়জুলের নেসার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় ছেলে আবুল হোসেন ঘরে ছিলেন না। পরে সকালে পুলিশ তাকে আটক করে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওই ছেলে তার মায়ের সঙ্গে একাই থাকত। তাই আমরা তদন্তের স্বার্থে তাকে আটক করেছি। মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান।’
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পুঁইবিল গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি মানিক হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরের সময় তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। মানিক ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চক লক্ষীকোল গ্রামের দুগ্ধ ব্যবসায়ী রাজীব আহমেদ এবং কৈডাঙ্গা গ্রামের আবুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ তৈরির করে বাজারজাত করে আসছেন। এ নিয়ে কিছুদিন আগে মানিক হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিক নকল দুধ তৈরির ভিডিও ধারণ করেন।
এসব ভিডিও উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনকে দেখালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সুশীল সমাজের বক্তারা এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব আহমেদ ও আবুল বাশারের নেতৃত্বে বায়েজিদ, রাজিব ও মাহাতাবসহ ১০ থেকে ১২জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মঙ্গলবার সকালে পুঁইবিল সড়কে মানিককে একা পেয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেযন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা মানিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আহত প্রতিনিধি মানিক বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর থেকে নকল দুধ তৈরির ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কয়েকদিন হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে এবং সেই পেটানোর ভিডিও করেছে তারা। আমার মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইকরামুন নাহার শেলী বলেন, ‘এক্সরেতে দেখা যায় মানিকের পায়ের হার ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। এর চিকিৎসা ভাঙ্গুড়ায় সম্ভব নয়। তাই পাবনা পাঠানো হয়েছে।’
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ বিষয়ে মামলা রুজু হলে আসামিদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া নকল দুধ তৈরির বিষয়টি বর্তমানে খুবই আলোচিত। এ বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্তব্য