আগামী দুই বছরের জন্য দেশের অন্যতম শীর্ষ আবৃত্তি সংগঠন আবৃত্তি একাডেমির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হিমাদ্রী মোর্শেদ তাহমিনা ও সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বেলায়েত হোসাইন।
বিগত মেয়াদে সংগঠনটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন হিমাদ্রী মোরশেদ তাহমিনা এবং বিদায়ী কমিটির প্রচার অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন বেলায়েত হোসাইন।
হিমাদ্রী মোর্শেদ তাহমিনা একজন গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের কর্মকর্তা। অন্যদিকে বেলায়েত হোসাইন পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে ‘এখন’ টিভিতে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ছিলেন বেলায়েত।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটরিয়ায় দিনব্যাপী আবৃত্তি একাডেমির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সদ্যোবিদায়ী পরিচালক কামরুল ইসলাম জুয়েল।
কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২২-২৩ সেশনের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটিতে প্রশিক্ষণ অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য আবদুর রহমান তিতুমীর।
অর্থ অধিকর্তা বেলাল হোসাইন অনিক, দপ্তর অধিকর্তা আব্দুস সালাম এবং প্রচার অধিকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রহমান তারেক। এ ছাড়া নির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাবেক পরিচালক মৃন্ময় মিজান, মাসুদ আহম্মেদ, দিলসাদ জাহান পিউলী, বিদায়ী কমিটির পরিচালক কামরুল ইসলাম জুয়েল ও বিদায়ী কমিটির অর্থ অধিকর্তা নাজনীন রিমি।
কাউন্সিলে নতুন কার্যকরী পরিষদে নতুন পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছেন আবৃত্তিশিল্পী মো. আল-আমিন। সব মিলিয়ে ৩৪ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের প্রায় ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলে।
‘উচ্চারিত প্রতিটি কথা হোক শিল্প’- এ স্লোগানকে ধারণ করে আবৃত্তি একাডেমির পথচলা দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে। ২৪ বছরের পরিক্রমায় পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে প্রমিত উচ্চারণ ও বাচনিক উৎকর্ষের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে সংগঠনটি।
আবৃত্তির ছোট বড় ৬৬টি প্রযোজনা একাডেমিকে করেছে সমৃদ্ধ ও সুপরিচিত। এ ছাড়া দেশের প্রথম সারির প্রায় সব গণমাধ্যমে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন আবৃত্তি একাডেমির সদস্যরা।
আবৃত্তি একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি আবৃত্তি একাডেমির।
অমর একুশে বইমেলায় আসছে এশরার লতিফের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘নক্ষত্র-নূপুর’-এর প্রথম খণ্ড।
রুশ ও বাঙালি বিপ্লবীদের জীবনকাহিনি উঠে এসেছে এ উপন্যাসে।
পাঠক বইটিতে কী পাবেন, তা নিয়ে লেখক বলেন, ‘এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে রাশিয়ার বিপ্লবী এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙালি বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূখণ্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব, রক্ত, ক্ষয় আর তীব্র প্রেমের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক উপন্যাস নক্ষত্র-নূপুর।’
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই, যেটি প্রকাশ করেছে ‘অন্যপ্রকাশ’।
প্রথম খণ্ডের মুদ্রিত দাম ৮০০ টাকা। রকমারি ডটকমে বইয়ের প্রি অর্ডার চলছে, যাতে বইটির মূল্য ৬০০ টাকা।
ড. এশরার লতিফ যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।
এশরার লতিফ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু অ্যাকাডেমিক জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম বাংলাদেশি সার্টিফায়েড প্যাসিভ হাউজ ডিজাইনার।
বইয়ের প্রতি লেখকের আগ্রহ, ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। তিনি মূলত গোয়েন্দা-কাহিনি, উপন্যাস, ছোট গল্প, ছড়া ও কবিতা লেখেন। তার প্রথম গল্প সংকলন ‘স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প’ ২০১৮ সালের শুরুতে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয়।
এ ছাড়া তার ইংরেজি ছোটগল্প ‘মীরা’ ২০১৯ সালের বার্লিন রাইটিং প্রাইজ প্রতিযোগিতায় লং-লিস্টেড হয়েছিল। তার উপন্যাস ‘গোধূলি রিসোর্ট’ ২০১৯ সালে, ‘অলাতচক্র’ ২০২০ সালে, ‘বর্ণ-পরমাণু’, ‘প্রপঞ্চভুজ’, ‘জেসমিন এবং একগুচ্ছ অন্ধকার’, ‘ত্র্যহস্পর্শ’ ২০২১ সালে, ‘ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে’, ‘ইতি, তোমার রূপা’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।
এশরার লতিফের গল্পগ্রন্থ ‘গল্পদ্রুম’ ২০২১ সালে এবং ‘গল্পবৃষ্টি’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়। তার কাব্যগ্রন্থ ‘শেয়ের-এ-এশরার’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।
আরও পড়ুন:‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার: দেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখা’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের প্রশাসন ব্যবস্থা, মন্ত্রিসভা, বাজেট, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, পরিকল্পনা, প্রতিরক্ষা, অবকাঠামো ও যোগাযোগ, নারী উন্নয়ন, বাণিজ্যনীতি, আইন প্রণয়ন, সিভিল সার্ভিস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ ইত্যাদিসহ সরকার পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট মোট ৪৭টি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
বৃহৎ পরিসরে গবেষণার আলোকে বইটি রচনায় লেখক তৎকালীন সরকারি রিপোর্ট, জাতীয় আর্কাইভ, দেশি-বিদেশি পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, শতাধিক গ্রন্থ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিবেদন ইত্যাদি পর্যালোচনা করেছেন। যেসব উৎস/সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলোর তথ্যসূত্র গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিপুল তথ্যভাণ্ডার সুবিন্যস্তভাবে গ্রন্থটিতে তুলে ধরেছেন। এর মধ্য দিয়ে এতে তৎকালীন সরকারের একটি মৌলিক রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তার একটি প্রতিচ্ছবি এ গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। এই পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান ও আগামী দিনের গবেষক, চিন্ত্যক, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক এবং রাজনৈতিক কমীদের জন্য এ গবেষণা দলিলটি দিকদর্শন হিসেবে কাজ করবে।
মোট ৪৯২ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ; মূল্য ১৪৯৫ টাকা। গ্রন্থটি পাঠক সমাবেশ, শাহবাগ ও কাঁটাবন-এ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:আর মাত্র ১০দিন। এরপরই শুরু হবে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বই মেলা।
এবারের বইমেলায় ৫৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। আর মোট স্টল থাকছে ৮৫৭টি। এসবের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠান ও ৭১০টি ইউনিট। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠান থাকবে ১০৩টি আর ইউনিট থাকবে ১৪৭টি।
সব মিলে মেলায় এবার প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৪টি।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শনিবার বইমেলার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনামাফিকই এগিয়ে যাচ্ছে। যথা সময়ে যেন মেলা শুরু করা যায় সেজন্য আমরা এটা সার্বক্ষণিক মনিটরে রাখব।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘বইমেলার জন্য একটা নীতিমালা আছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে তাদের সেই নীতিমালা মানতে হবে। যদি কেউ নীতিমালার বাইরে যায় তাদের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই ফোর্সের জন্য মেলা প্রাঙ্গণে একটা অফিসও আমরা করে দিয়েছি।’
টাস্কফোর্সের কারণে মুক্ত চিন্তার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যার যার মত সে প্রকাশ করবে। কিন্তু একটা জিনিসি মাথায় রাখতে হবে। কারও বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ বা অগ্রহণযোগ্য কিছু আমরা চাই না। এটি মুক্ত জায়গা। আমাদের প্রাণের মেলা। এখানে আমরা চাই না কেউ কাউকে নিয়ে কোনো ধরনের কটাক্ষ করুক।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় সশরীরে এসে মেলা উদ্বোধন করবেন। এখন পর্যন্ত তেমন সিদ্ধান্তই রয়েছে। তিনি উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
আদর্শ প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ নিয়ে কে এম খালিদ বলেন, ‘বইমেলার নিয়ম-নীতির বাইরে আমরা যেতে পারব না। তারা যদি নিয়মনীতির মধ্যে আসে তাহলে তাদের ব্যাপারে আামাদের যে সিদ্ধান্ত সেটি তাদের জানানো হবে।’
বইমেলার নিয়ম-নীতি সংস্কারের জন্য আদর্শ প্রকাশনী যে দাবি তুলেছে সেটির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার সময়ের ব্যাপার। তাৎক্ষণিক চাইলে তো আর হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কুৎসা বা অপবাদ রটানো মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না। সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা- এসবের ব্যাপারে কোনো আপোষ করা যাবে না।’
‘এখন মুক্ত চিন্তার দোহাই দিয়ে যদি জাতির পিতাকে কটাক্ষ করে কোনো বই লেখা হয় তাহলে সেই বই....। গত বছর আদর্শের বইতে আপত্তিকর কিছু বিষয় ছিল। সেসব বিষয়ে তাদের আপত্তি জানানো হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে মেলার নিয়ম মেনে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন:ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরের উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিন বছর পর এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটরিয়ামে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ চার দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সময় নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
মণিপুরী নৃত্যের মাধ্যমে ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। যদিও অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০টায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক সাদাফ সাফ, কাজী আনিস আহমেদ ও আহসান আকবার সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
উদ্বোধন ঘোষণা করে কে এম খালিদ বলেন, ‘এই আয়োজনের সঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় নানাভাবে সম্পৃক্ত থেকেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তিন বছর পর এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। আমাদের সম্পৃক্ততা আগের চেয়ে কমেছে। তবে আমি আশাবাদী যে আমরা আরও জোরালোভাবে এই উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব। এই আয়োজনের মাধ্যমে সাহিত্যাঙ্গনে যে দ্যুতি ছড়াবে, সেটির আলোয় আমরাও আলোকিত হতে চাই।’
অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ, আমার মা-বাবার বাড়ি এই বাংলাদেশে। বাংলা ও বাঙালি আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। এই বাংলাদেশ এক নতুন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ এখন জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক নেতা। এই বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক নেতা। বাংলাদেশের জিডিপি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাতে হয়। অভিনন্দন বাংলাদেশ।’
আবদুলরাজাক ঘুরনাহ মণিপুরী নাচ এবং শিল্পীদের কস্টিউমের প্রশংসা করেন। তিনি অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসবের সফলতা কামনা করেন।
চার দিনের এই উৎসবে ১৭৫টির বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন পাঁচ মহাদেশের ৫০০-এরও বেশি বক্তা, শিল্পী ও চিন্তাবিদ।
আয়োজকরা জানান, চার দিনের এই আয়োজনে থাকবে কথোপকথনের একটি বৈচিত্র্যময় মিশ্রণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেশন, শিশু ও তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় আয়োজন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাট্য, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। থাকছে বিজ্ঞান, মহামারি, উদ্ভাবনী, প্রাণ ও প্রকৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা।
বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনী নিয়ে আলোচনা করবেন করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। মহামারির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট। জীবনের গল্প করবেন লেখক সাদাত হোসেইন।
‘সাদা সাদা কালা কালা’ আলোড়ন তৈরি করা গানের গল্প শোনাবেন চলচ্চিত্র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন এবং শিবু কুমার শীল। এ ছাড়া নিজেদের পেশাগত পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করবেন দেশবরেণ্য সাংবাদিকরা। আরও থাকবে গল্প বলার আসর, সংগীত ও কবিতা চর্চা। আসছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্যরা।
এ ছাড়া নুরুদ্দিন ফারাহ, হানিফ কুরেশী, পঙ্কজ মিশ্র, টিলডা সুইন্টন, জন লি এন্ডারসন, অঞ্জলি রউফ, সারাহ চার্চওয়েল, গীতাঞ্জলি শ্রী, ডেইজি রকওয়েল, এস্থার ফ্রয়েড, অ্যালেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল, ডাইম সারাহ গিলবার্ট, মারিনা মাহাথির, জয় গোস্বামী, কামাল চৌধুরী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, মাসরুর আরেফিন, মারিনা তাবাসসুম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মিলন, কায়সার হক, শাহীন আখতার, অমিতাভ রেজা, আজমেরী হক বাঁধনসহ আরও অনেকেই থাকছেন উৎসবের সঙ্গে। থাকবেন দুজন রোহিঙ্গা কবিও।
চার দিনব্যাপী এই আয়োজন শুধু বড়দের জন্যই না, থাকছে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন। শিশুদের বিজ্ঞানচর্চা, বিনোদন, জ্ঞানচর্চার কথা মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের অনুষ্ঠানগুলো।
আরও পড়ুন:কাগজ সংকটের প্রভাব পড়বে এবার অমর একুশের বইমেলায়। কাগজের দাম বেড়েছে। ফলে এবার বইয়ের দাম বাড়বে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
কাগজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে কাগজ আমদানিতে লাগাম টানা আছে। এলসি (ঋণপত্র) না করতে পারার কারণে কাগজের কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না, যার প্রভাব পড়েছে কাগজের দেশীয় বাজারে। তিন মাসের ব্যবধানে কাগজের দাম হয়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি।
এবার সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা যেমন পূরণ হয়নি, তেমনি এবারের বইমেলাতেও বই সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হবে প্রকাশদের।
প্রকাশকদের মন খারাপ
সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশকদের আশঙ্কা, কাগজ সংকটের কারণে এবার বই প্রকাশের সংখ্যা কমবে একুশের বইমেলায়।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একাডেমিক বইয়ে প্রতি ফর্মা বইয়ের দাম ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বইমেলা বা সাহিত্যনির্ভর বইয়েও সেরকমই দাম বাড়বে। এখন ২০০ টাকার বই ৩০০ টাকা দাম পড়বে।’
তিনি বলনে, ‘আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি, অন্তত তিন মাস শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানির সুযোগ দিতে। এমন না যে কাগজ আমদানিতে অনেক বেশি ডলাররে প্রয়োজন হয়, তবে শুল্ক বেশি থাকা ও এলসি না করতে পারার কারণে সংকট আরও বেশি হচ্ছে।’
প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাগজের দাম বাড়ার প্রভাব তো কিছুটা পড়বে। বাইয়ের দাম বৃদ্ধি পাবে। আমরা এখন চিন্তিত, কারণ দাম যে পরিমাণ বাড়বে, তাতে পাঠকের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে।’
মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘কাগজের দাম হয়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। এই হিসেবে বইয়ের দাম বাড়ার কথা অনেক। আমরা চেষ্টা করছি একটা সহনীয় পর্যায়ে দাম রাখতে। দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।’
শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবিন আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বইমেলায় খুব কম বই ছাপাচ্ছি। অনেক বই রেডি, কিন্তু আমরা ছাপছি না। এটা আমরা লেখকদের বলে দিয়েছি। বেশি দামে কাগজ কিনে আমরা যদি বইগুলো ছাপাইও, সেটা আসলে পাঠক কিনতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্তের হাতে টাকা নেই। কাগজের দাম বাড়ার সাথে সাথে বইয়ের দাম বাড়বে। আমাদের মুদ্রিত বইয়ের বিক্রি কমেছে। পাশাপাশি কাগজের দাম বাড়ার ফলে বইয়ের দাম বাড়বে। কাগজের দাম তো তিন গুণ হয়েছে, তাহলে বইয়ের দাম দ্বিগুণ হবে। যে বইয়ের দাম ২০০ টাকা ছিল, তা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা হবে।’
‘আল হামরা প্রকাশনী’র প্রকাশক খান মুহাম্মদ মুরসালিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাগজের দামের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে আমাদের মতো মাঝারি মানের প্রকাশকদের। আগে আমরা কিছুটা কাগজ রেখে দিতে পারতাম, কারণ বই উৎসবের কারণে কাগজের সংকট থাকত। কিন্তু এবার এতো দাম, আর বাজারেও কাগজ না থাকায় সেটাও পারিনি।’
তিনি বলনে, ‘আমার হাতে প্রকাশের জন্য ১৫টি বইয়ের পাণ্ডুলিপি ছিল, তবে কাগজ সংকটের কারণে এখন পাঁচটা বই ছাপতে পারব।’
প্রকাশনা সংস্থা তাম্রলিপির প্রকাশক এ কে এম তারিকুল ইসলাম রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বই ছাপানো কমবে। বইয়ের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে যাবে। কাগজের দাম একটু বেশি বেড়েছে। অন্য কিছুর দামে সরকার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও কাগজের ক্ষেত্রে সেটা কম।’
তিনি বলেন, ‘কাগজের দাম যেহেতু দ্বিগুণ হয়েছে, সেহেতু বইয়ের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এমনিতেই আমাদের সৃজনশীল পাঠক অনেক কম, আর এবারে কাগজের দামের কারণে আরও কমে যাবে।’
তবে ভিন্ন কথাও বলছেন কিছু প্রকাশক। তারা মনে করেন, কাগজের দাম বাড়ার প্রভাব মেলার বইয়ের দামে প্রভাব পড়বে না। সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দাম বাড়া নিয়ে কোনো আশংকা নেই। বইমেলায় এটার কোনো প্রভাবও সেভাবে পড়বে না। কারণ আমরা এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমাদের সব জিনিসের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশও বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আমাদের ক্রেতাদের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। বইয়ের দাম বাড়লেও সেটা ২০ শতাংশের বেশি হবে না।’
প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাগজের দামের প্রভাব বইমেলাতে থাকবে, তবে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দাম খুবই মিনিমাম আকারে বাড়ানোর। নতুন বই আমরা যা অর্ডার পেয়েছি, তা বই মেলায় আসবে। এবার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বই নতুন থাকবে।’
কাগজের দামের পরিস্থিতি কী
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি ও বিদেশি– দুই ধরনের কাগজ চালু আছে বাজারে। দেশি কাগজ দিয়ে ক্যালেন্ডার, ডায়েরি, কার্ড ইত্যাদি ছাপা হয়। এর মধ্যে উন্নত ধরনের কাগজের মধ্যে আছে নিম্বো আর্ট কার্ড, অফসেট পেপার ও বই ছাপানোর কাগজ। আবার সরাসরি চীন, ইন্দোনেশিয়া ও কোরিয়া থেকেও কাগজ আমদানি করা হয়।
রাজধানীর ছাপাখানাগুলোর বড় অংশের অবস্থান আরামবাগ ও ফকিরাপুল এলাকায়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে উৎপাদিত কাগজের দাম গত তিন মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ৫৫ জিএসএম পুরুত্বের কাগজের দাম এক বছর আগেও ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, আর এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫০ টাকা। ধাপে ধাপে বাড়ছে এই দাম।
তিন মাস আগে এ কাগজের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ টাকা। অন্য দিকে ৮০ জিএসএমের দাম এক বছর আগে ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা, যা এখন ৩ হাজার ২০০ টাকা। তিন মাস আগেও এই কাগজের দাম ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। ডুপ্লেক্স বোর্ডের দাম ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে। আর্ট পেপারের দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দেশি কাগজের মধ্যে ‘বসুন্ধরা’ ও ‘ফ্রেশ বাংলা’ বেশি সমাদৃত। বাইরে থেকে কাঁচামাল বা পাল্প এনে বানানো হয় এই কাগজ। আবার চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও সরাসরি কাগজ আমদানি হয়। আবার ওইসব দেশ থেকেই কাগজের কাঁচামাল আনা হয়ে থাকে। তবে এখন ব্রাজিল থেকেও কাঁচামাল আনা হচ্ছে।
কাগজের দাম বাড়ার ফলে ঝুঁকিতে পড়েছেন ছাপাখানা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কাগজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কালির দামও। প্রাইড কালি যা ছাপায় ব্যবহৃত হয়, সেটি এক কেস এখন ১ হাজার ৬০০ টাকা। তিন মাস আগেও এটি ছিল ৮০০ টাকা।
মুদ্রণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, কাগজের দামের যে অবস্থা, তাতে পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে যে পরিস্থিতি দেখা গেছে, সেই একই পরিস্থিতি সৃজনশীল বইয়ের বেলাতেও। বইমেলায় বইয়ের দাম অনেক বাড়বে। এতে পাঠক বই কেনার আগ্রহ হারাতে পারেন।
কী বলছেন ব্যবসায়ীরা
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার দেশি মিলগুলোকে সুবিধা দিতে গিয়ে কাগজের আমদানির ওপর ৫৯ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। সেটির সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা।
আরামবাগের মদিনা পেপার হাউজের মালিক বাহারউদ্দিন বলেন, বাংলা কাগজের দাম বেশি। দেশে কাঁচামাল নেই অনেকদিন ধরে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্যাসের সংকট।
বাহারউদ্দিন বলেন, ‘এক টন কাগজ আগে কেনা হতো ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে। এখন কিনতে হচ্ছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। এক টনে ৪৭ রিম কাগজ থাকে। ৮০ জিএসএম অফসেট, যা দিয়ে মূলত বই মেলার সৃজনশীল বই ছাপা হয়, তার দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এই দাম এক বছরে ধাপে ধাপে বেড়েছে।’
আরামবাগের পারফেক্ট পেপার হাউজের মালিক মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘কার্ড আর ডায়েরি তৈরির কাগজ কিনে এনেছি, তবে কোনো বিক্রি নাই। আগে অনেক এনজিও থেকে ডায়েরি বা ক্যালেন্ডারের অর্ডার আসত। এখন তা নেমে এসেছে ২০ ভাগে। সব ধরনের কাগজের দাম এখন ৫০০ টাকা বেশি। মিল মালিককে ধরলে তো কিছু করা যাচ্ছে না। দেশে কাঁচামাল নেই। কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি করাও যাচ্ছে না।’
একই কথা জানালেন ছাপাখানা শাপলা প্রিন্টার্সের মালিক মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে সাত জন কর্মচারী থাকলেও এখন একজন কর্মচারী দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। অর্ডার নেমে এসেছে অর্ধেকের কমে।’
আরও পড়ুন:ঢাকা লিট ফেস্ট শুরো হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সাহিত্য নিয়ে এ আয়োজন চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে।
এ উপলক্ষে রোববার সকালে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের অন্যতম পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘লিট ফেস্ট হলো ফেস্টিভ্যাল অফ আইডিয়াস। তাই সাহিত্যের বাইরেও নানা কিছু থাকছে আয়োজনে।’
তিনি বলেন, ‘সিনেমা প্রসার ও ওটিটির জনপ্রিয়তার কারণে সিনেমা নিয়ে কিছু সেশন থাকছে। উৎসবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার সাইনটিস্ট আসবেন। ক্রিকেট নিয়ে একটি বই প্রকাশ হবে লিট ফেস্টে। সেটি উদ্বোধন করবেন গর্ডন গ্রিনিজ।
‘এবারও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আয়োজন থাকছে। আমাদের এখানে রোহিঙ্গা কবিও থাকবেন। এর জন্য যাবতীয় অনুমতি আমরা নিয়েছি। ঢাকার বাইরের কবি-সাহিত্যিকরা যেন আসতে পারেন, তরুণ ও নারী সাহিত্যিকদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি আমরা।’
উৎসব পরিচালক আহসান আকবর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এবার আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু সেশন রাখছি। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।’
লিখিত বক্তব্যে সাদাফ সায্ জানান, আয়োজনে থাকছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত পুরস্কার বিজয়ী বক্তারা, যার মধ্যে আছেন বুকার পুরস্কার জয়ী, নিউস্ট্যাড ইন্টারন্যাশনাল, পেন/পিন্টার, প্রি মেডিচি, অস্কার অ্যাওয়ার্ড, উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার, অ্যালবার্ট মেডেল, ওয়াটারস্টোনস চিলড্রেনস বুক প্রাইজ, আগা খান অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা।
চার দিনের এই উৎসবে ১৭৫টির বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন পাঁচটি মহাদেশের ৫০০-এর বেশি বক্তা, শিল্পী ও চিন্তাবিদ।
কয়েকজন অতিথির নাম উল্লেখ করে সায্ বলেন, ‘এ বছর আমাদের মাঝে আছেন নোবেল জয়ী আব্দুলরাজাক গুরনাহ, নোবেল মনোনয়ন পাওয়া নুরুদ্দিন ফারাহ, বুকার ও ইন্টারন্যাশনাল বুকার বিজয়ী অমিতাভ ঘোষ, হানিফ কুরেশী, পঙ্কজ মিশ্র, টিলডা সুইন্টন, জন লি এন্ডারসন, অঞ্জলি রউফ, সারাহ চার্চওয়েল, গীতাঞ্জলি শ্রী, ডেইজি রকওয়েল, এস্থার ফ্রয়েড, অ্যালেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল, ডাইম সারাহ গিলবার্ট, মারিনা মাহাথির, জয় গোস্বামী, কামাল চৌধুরী, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, মাসরুর আরেফিন, মারিনা তাবাসসুম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মিলন, কায়সার হক, শাহীন আখতার, অমিতাভ রেজা, আজমেরী হক বাঁধনসহ আরও অনেকে।’
দশমবারের মতো আয়োজিত এবারের উৎসবে আরও থাকছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেশন, শিশু, তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় আয়োজন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাট্য, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
চার দিনের আয়োজনে সংগীত পরিবেশনা করবে ব্যান্ড মেঘদল, ইমন চৌধুরী, পান্থ কানাই, অনিমেষ রায়, শফি মণ্ডল ও আরমীন মুসা।
ঢাকা লিট ফেস্টের টাইটেল স্পনসর হিসেবে আছে ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ট্রিবিউন। প্লাটিনাম স্পনসর হিসেবে আছে দ্য সিটি ব্যাঙ্ক লিমিটেড এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
আগ্রহীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট কিনতে পারবেন। -এ। ২০০ এবং ৫০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আর ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে একেবারে চার দিনের টিকিটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য