প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জিতিয়ে আনতে কাজ করতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এটি তাদের কর্তব্য, দেশপ্রেমের অংশ।
বুধবার নানা আয়োজনে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে সরকারের ভার্তৃপ্রতীম সংগঠনটি। এদিন আয়োজনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শীতার্তদের মাঝে দুই হাজারেরও বেশি কম্বলও বিতরণ করা হয়।
সকাল ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় দিনটি। এরপর সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালন করেন ছাত্রলীগ।
বিকেল ৩ টায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে হয় আলোচনা সভা।
সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ মনে করে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করা হচ্ছে দেশপ্রেমের অংশ, আমাদের নৈতিক কর্তব্য।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্র সমাজের প্রতি আমাদের আহ্বান, আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা লাখো শহীদের উত্তরাধিকার। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা বাস্তবায়ন করব।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ইতোমধ্যে ৫ কোটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা স্মার্ট ক্যাম্পাস ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলছি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সংকটে আমরা পাশে থাকব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগকে তাদের কর্মের জন্য ভালোবাসি। যখন কৃষকের ধান কাটার লোক থাকে না তখন ছাত্রলীগ তাদের ধান কেটে দেয়, দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। করোনার সময় মানুষের মাঝে অক্সিজেন নিয়ে সেবা দিয়েছে।’
দেশব্যাপী দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ছাত্রলীগকে আরও ৫ হাজার কম্বল অনুদান দেয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় কম্বল বিতরণের প্রশংসা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আগামী দিনেও ছাত্রলীগকে সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা সময় অলীক কল্পনা হলেও এখন তা বাস্তব। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপীই শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন:নয় লাখ টাকা কমে মিলবে হুন্দাইয়ের এসইউভি- ক্রেটা। যা গাড়ি প্রেমিদের জন্য সুখবরই বটে।
এসইউভির পূর্ণ অর্থ হচ্ছে- স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল। সহজ ভাষায়, উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে পারবে গাড়িটি।
হুন্দাই এসইউভি ক্রেটার হচ্ছে ১৫০০ সিসির গাড়ি, যেটিতে চালকসহ পাঁচজন বসতে পারবেন।
এর আগে আমদানি করা এ গাড়িটির দাম ছিল ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কিন্তু দেশে উৎপাদন হওয়ায় এটি এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফেয়ার টেকনোলজি পরিচালক মুতাসসিম দায়ান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এতদিন ফেয়ার গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে এনে ‘হুন্দাই ক্রেটা’ বিক্রি করত, যা কিনতে গুণতে হতো প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। এখন বাংলাদেশে সংযোজিত একই মডেলের গাড়ি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে স্থাপিত কারখানায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু করছে ফেয়ার গ্রুপ।
ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলীম কবির বলেন,‘ আমাদের সব আউটলেটে আজ থেকেই এই গাড়ি পাওয়া যাবে। রেডি স্টক আছে। আমরা ১৯ জানুয়ারি কারখানা উদ্বোধন করলাম। তারপর থেকে প্রতিদিন ৮টি করে গাড়ি তৈরি হচ্ছে। এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে আমরা গাড়ি দিয়ে দিতে পারব,তবে রেজিস্ট্রেশন খরচ আলাদা।’
দেশের বাজারে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হুন্দাইর এসইউভির দামের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং বলেন,‘আমি কালকে খোঁজ নিলাম রিকন্ডিশন শোরুমে টয়োটা এস প্রিমিও গাড়ির দাম চাচ্ছে ৩২ লাখ টাকা। এটা কিন্তু পুরানো গাড়ি। টয়োটা ইয়ারিস বিক্রি হচ্ছে ৪২ লাখ টাকায়। আর চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো আমাদের প্রতিযোগী না।’
তিনি আরও বলেন,‘ ভারতে গাড়িটি এখনো মুক্তি পায়নি। এর আগেই বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।’
ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ বিজনেস অরিন্দম চক্রবর্তী, হেড অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড কর্পোরেট ফিলানথ্রপি হাসনাইন খুরশিদ, এবং ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ সেলস আবু নাসের মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য নিয়ে দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে মেলার আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রথম এসএমই মেলা শুরু হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়ের গ্রিন প্লাজা চত্বরে সকালে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল বাতেন, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল ও রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।
রাজশাহী বিভাগের এসএমই মেলায় ৬০টি স্টলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরপর ১ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ৫-১১ ফেব্রুয়ারি সিলেটে ও ১২-১৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে (রংপুর বিভাগের) বিভাগীয় এমএমই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামী মার্চে ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে এসব মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও যোগাযোগ বাড়াতে পারবেন; অন্যদিকে উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। বাংলাদেশের অতিদরিদ্র দুই লক্ষাধিক খানার টেকসই উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি ও ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের হেড অফ কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুদান চুক্তির আওতায় পিকেএসএফ-কে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইইউ।
প্রকল্পটির আওতায় দেশের অতি দারিদ্র্যপ্রবণ ১২টি জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সহায়তা দেয়া হবে। প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, লক্ষিত জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিতকরণ।
উত্তর-পশ্চিমের নদী-তীরবর্তী বন্যাপ্রবণ অঞ্চল (রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলা); দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাপ্রবণ অঞ্চল (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা); উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ জেলা) এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু নির্বাচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অতিদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি কাজ করবে।
প্রকল্পটির আওতায় রয়েছে জীবিকায়ন ও উদ্যোগ উন্নয়ন; পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা; কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ; প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ; জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে। প্রকল্পের লক্ষিত খানার মধ্যে রয়েছে নারী-প্রধান খানা; বিধবা ও স্বামী-পরিত্যক্তা, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত খানা এবং শিশুশ্রমে নিয়োজিত খানা।
যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ও ইইউর যৌথ অর্থায়নে ২০১৯ সালে পিপিইপিপি প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে প্রকল্পের চার বছরের মাথায় এফসিডিও প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর প্রকল্পের অপর উন্নয়ন সহযোগী ইইউ বর্ধিত তহবিলের যোগান দিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ শীর্ষক প্রকল্পটি আরো তিন বছর অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পিকেএসএফ-এর সঙ্গে পৃথক দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন:সাধারণ মানুষকে সহজে আর্থিক সেবার তথ্য দিতে নতুন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এ ওয়েবসাইটটিতে সংক্ষিপ্ত ও সহজ ভাষায় জনসাধারণের জন্য আর্থিক বিষয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট, লেখা ও ভিডিও প্রচার করা হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন ওয়েবসাইটে দেশে আর্থিক স্বাক্ষরতা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হার বাড়াবে। ফলে জনগণ আর্থিক খাতের সুফল পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নতুন এ ওয়েবসাইটটি সংক্ষিপ্ত, সাবলীল ও সহজ ভাষায় জনসাধারণের জন্য আর্থিক বিষয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট, লেখা ও ভিডিও প্রচার করবে।
ওয়েবসাইটটিতে সাধারণ ব্যাংকিং, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, স্কুল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, নারী উদ্যোক্তা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, আর্থিক পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে আর্থিক সাক্ষরতা ও অন্তর্ভুক্তির হার বাড়বে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দ্রুত প্রসারের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং ‘জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশলপত্র’ এর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন:সরকার ৩০ ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
‘একই সঙ্গে দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।’
আগামী বুধবার ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইনের দুই পাশে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।
আগামী বৃহস্পতিবারের আগে ফ্ল্যাটে নতুন ভাড়াটে উঠা, মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন ছাদে কাপড় শুকাতে দেয়া, নতুন কোনো অফিস বা দোকান চালুতেও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে সাতটি বিষয়ে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।
২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উত্তরা থেকে আগারগাঁও ভ্রমণ করবেন। এ জন্য উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তার নিরাপত্তায় থাকা বিশেষ বাহিনী এসএসএফ।
এ জন্য মেট্রোরেলের আশপাশের ভবন মালিকদের জন্য সাতটি নির্দেশনা চূড়ান্ত করে সেগুলো বাস্তবায়নে পল্লবী ও তুরাগ থানাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দুই থানার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে এই নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
কী কী করতে মানা
১. মেট্রোরেলসংলগ্ন এলাকার কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন ভাড়াটে উঠতে পারবেন না।
২. কোনো বাণিজ্যিক ভবনে ২৮ ডিসেম্বরে নতুন কোনো অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না।
৩. ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলসংলগ্ন কোনো ভবনের বেলকনি ও ছাদে কাপড় শুকাতে দেয়া যাবে না এবং কেউ (বেলকনি ও ছাদে) দাঁড়াতে পারবেন না।
৪. ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলসংলগ্ন এলাকার ভবন বা ফ্ল্যাটে কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না।
৫. মেট্রোরেলসংলগ্ন কোনো ভবনের হোটেল-রেস্তোরাঁ বা বাণিজ্যিক কার্যালয়ে সেদিন কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
৬. মেট্রোরেলসংলগ্ন এলাকার কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে যদি বৈধ অস্ত্র থাকে, তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে।
৭. মেট্রোরেলসংলগ্ন এলাকার সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ওই দিন সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
এই ৭ নির্দেশনা তুরাগ ও পল্লবী থানাধীন এলাকার মেট্রোরেলের নিকটস্থ ভবনগুলোর মালিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত পালন করবেন।
নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল হালিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য এসএসএফ সরাসরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনাগুলো দিয়েছে। সে অনুযায়ী আজ পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশনাগুলো উল্লেখ করে ছাপানো লিফলেট ভবন মালিকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এই নির্দেশনা শুধু মেট্রোরেল আওতাধীন থানা এলাকার জন্যই প্রযোজ্য৷’
একই বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএসএফ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপন থাকা উচিত। তাই আমাদের প্রতি কী ধরনের নির্দেশনা আছে তা বলা যাবে না। তবে আমরা নির্দেশনার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য