× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Crores of trade with the cards of the poor in Roumari
google_news print-icon

রৌমারীতে হতদরিদ্রের কার্ড নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য

রৌমারীতে-হতদরিদ্রের-কার্ড-নিয়ে-কোটি-টাকার-বাণিজ্য
দুস্থ ও হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে ভালনারেবল ওমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের কার্ড। পরে সেসব কার্ড বিক্রি করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে দুই কোটি টাকা।

উত্তরের দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ভালনারেবল ওমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। এভাবে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

ভিজিডির নতুন নামে চালু হওয়া এ প্রকল্পে এমন কাণ্ডে সরকারের মহতী এ প্রকল্পের সুফল থেকে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হ‌ওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তালিকা থেকে হচ্ছেন অস্বচ্ছল, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ হতদরিদ্ররা।

অভিযোগ উঠেছে, কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের নির্দেশনায়ই ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে এমন তুঘলকি কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

রৌমারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত ভিডব্লিউবি ২০২৩-২৪ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট তিন হাজার ২৫৩টি কার্ড বরাদ্দ করা হয়। এর বিপরীতে অনলাইনে আবেদন পড়ে ১২ হাজার ৪০০টি।

নীতিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সভাপতিত্বে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপকারভোগীদের তালিকা করতে হবে। পরে ইউনিয়ন কমিটি সব তালিকা সমন্বয় করে উপজেলা কমিটিতে জমা দেবে। অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকারের কথাও বলা আছে নীতিমালায়।

অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালার তোয়াক্কা না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ভিডব্লিউবি কার্ড বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৬; দুই ভাইস চেয়ারম্যান ৬; প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রেসক্লাব ২৩ এবং ছয়টি ইউনিয়নে ৬৫ শতাংশ কার্ড ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

কার্ড ভাগাভাগি পর্ব শেষে এখন চলছে কার্ড বিক্রির প্রতিযোগিতা। কার্ডপ্রতি নেয়া হচ্ছে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

অনিয়ম-স্বজনপ্রীতিতে পিছিয়ে নেই ৬৫ শতাংশ কার্ড বরাদ্দ পাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরাও। তারা ইচ্ছেমাফিক সদস্যদের মাঝে ভাগ করে দেন এসব কার্ড। এভাবে কাগজ-কলমে ক্ষমতা দিলেও বাস্তবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টাকার অভাবে ও প্রচারের ঘাটতিতে হতদরিদ্রদের অনেকেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি। আর যারা আবেদন করেছেন তাদেরকেও বাছাইয়ের জন্য ডাকা হয়নি।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের কর্মক্ষমহীন মোতালেবের স্ত্রী মাকছুদা খাতুন বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ। তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নেতাদের কাছে গিয়েছিলাম একটি কার্ডের জন্য। তারা বলে দিয়েছেন, টাকা ছাড়া কার্ড মিলবে না। টাকা দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে।’

রৌমারীতে হতদরিদ্রের কার্ড নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য

শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল গফুরের বিধবা মেয়ে মমিরন নেছা অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ঠাঁই নিয়ে আছি। মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সরকার আমাদের মতো অসহায় মানুষের জন্য হাজার হাজার নাম বরাদ্দ দিলেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সেগুলো টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল ও ধনী মানুষের কাছে বিক্রি করেছে।’

দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী হাছনা বানু জানান, তার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। আয়-রোজগার নেই। খেয়ে-না খেয়ে সন্তানদের নিয়ে দিন কাটছে। ভিডব্লিউবি কার্ডের জন্য মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে ঘুরেও পাত্তা পাননি। দালালের মাধ্যমে তার কাছে ৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে না পারায় তালিকায় তার নাম ওঠেনি।

বন্দবেড় ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রুবি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী ভাগের কার্ড চাইতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ‌আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই বলেও জানান চেয়ারম্যান।

‘নীতিমালা অনুযায়ী একশ’ নামের তালিকা করার এখতিয়ার থাকলেও আমাকে ২০টি নাম তালিকাভুক্ত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।’

যাদুরচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য রহিতন নেছা বলেন, ‘ভাগে ২০টি নাম পেয়েছি। তা নিজের দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদের নামে দেয়া হয়েছে। তবে কার্ডের বিনিময়ে আমি কোনো টাকাপয়সা নেইনি।’

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামছুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘যাদের ঘরে খাবার আছে এবং যারা টাকা দিতে পারছেন তাদের নামই কার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কোনো কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।’

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, ‘ভিডব্লিউবি কার্ড বণ্টন করার বিষয়টি আগে থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এই কার্ড বণ্টন করে থাকেন। এটা কোনো সরকারি নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না। আমি নতুন এসেছি। পরে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশের এভাবে কার্ড বণ্টন করা হয়েছে।’

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা বলেন, ‘৪২২টি নাম ভাগে পাওয়া গেছে। তা দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।’

বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, ‘সংরক্ষিত সদস্যরা ভিডব্লিউবি তালিকা যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান হবেন এমন নিয়ম নেই। জনসংখ্যার অনুপাতে নাম ভাগ করে দেয়া হয়েছে।’
টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যাদের নাম তালিকায় আসেনি তারাই এমন অভিযোগ করছেন। ইউনিয়নে যে নাম ভাগে পাওয়া গেছে, তা আমরা ১৩ জন সদস্য মিলে ভাগাভাগি করে নিয়েছি।’

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান চিশতী বলেন, ‘ভিডব্লিউবি কার্ডের জন্য নাম দিতে টাকা নেয়ার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। যাচাই-বাছাই ছাড়া টাকায়ই যদি নাম তালিকায় ওঠে তাহলে অনলাইনে আবেদনের নামে গরিবের সঙ্গে তামাশা করা হলো কেন?’
রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা অভিযোগ করে বলেন, প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র ভিডব্লিউবির কার্ড ভাগভাগি করে নিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি মেম্বার বলেন, ‘অন্যান্য উপজেলা থেকে রৌমারী উপজেলা আলাদা। এখানে টাকা লেনদেন ওপেন ঘটনা। টাকা ছাড়া কিছুই মেলে না। এখানকার উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপজেলার সবাই জানে টাকা ছাড়া কোনো নাম তালিকাভুক্ত হয় না।’

টাকার অংকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৬ হাজার, ৭ হাজার ও ৯ হাজার টাকা করে নেয়। যার কাছ থেকে যেমন নিতে পারে। প্রতিমন্ত্রীর ভাগের কার্ড মোস্তাফিজুর রহমান রবিন ও মশিউর রহমান বিতরণ করেন। তারা দুজনই প্রতিমন্ত্রীর আপন চাচাতো ভাই। তারা রৌমারী উপজেলায় সব কর্মকাণ্ডে প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন।’

এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান রবিন বলেন, ‘আমি পারিবারিক কাজে রৌমারীর বাইরে ছিলাম। কার্ড বিতরণ আমি করিনি। সম্ভবত মশিউর করেছে।’

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, ‘ভিডব্লিউবি কার্ড বণ্টন করার বিষয়টি আগে থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এই কার্ড বণ্টন করে থাকেন। এটা কোনো সরকারি নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না। আমি নতুন এসেছি। পরে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশের এভাবে কার্ড বণ্টন করা হয়েছে।’

ভিডব্লিউবি প্রকল্পের সদস্য সচিব ও রৌমারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেবুন নেছা বলেন, ‘কার্ড ভাগাভাগির বিষয়টি আমার জানা নেই। নিয়ম অনুযায়ী নামের তালিকা করা হয়েছে।’

তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি সঠিকভাবে মনিটরিং করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনবল সঙ্কটের কারণে এতো নাম মনিটরিং করা সম্ভব হয়নি। টাকা নেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভিডব্লিউবি প্রকল্পের কার্ড বিতরণ নিয়ে এমন অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

গত পাঁচ দিনে তার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় উল্লেখ করে খুদে বার্তাও পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।

সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য চাওয়া হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Is this April heat unusual?

এপ্রিলের এ গরম কি অস্বাভাবিক

এপ্রিলের এ গরম কি অস্বাভাবিক তীব্র গরমে শরীরকে প্রশান্ত করার চেষ্টা। ফাইল ছবি
গরম বাড়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে; গাছগাছড়া কমে যাচ্ছে। মানুষের এসি (এয়ার কন্ডিশনার), ফ্রিজ ব্যবহার বেশি হয়ে যাচ্ছে।’

দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ মাসে সাধারণত অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে গরম। চলতি বছরের এপ্রিলে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে বিভিন্ন জেলায়, যার ফলে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছেন বিভিন্ন বয়সীরা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, দেশের ছয়টি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র দাবদাহ।

এমন বাস্তবতায় অধিদপ্তরের এক আবহাওয়াবিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ সময়ে এমন গরম অস্বাভাবিক কি না। জবাবে খন্দকার হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাবনরমাল (অস্বাভাবিক) কোন সেন্সে বলবেন? আমাদের দেশে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রারও রেকর্ড আছে কিন্তু। এখন তো গ্রীষ্মকাল। মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রাটা কম হবে।

‘বৃষ্টিপাত যখনই বন্ধ হবে, তাপমাত্রাটা বাড়বে, তবে এখন তাপমাত্রা যেটা স্বাভাবিক কথার কথা, তার চাইতে বেশি আছে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা দুইটাই বেশি আছে স্বাভাবিকের চাইতে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি আছে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় এক থেকে দুই ডিগ্রি বেশি আছে।’

দুপুর দুইটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় অ্যাকুওয়েদার ডটকম নামের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ।

একই সময়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ুগতভাবে কিন্তু এপ্রিল মাসটা আমাদের উষ্ণতম মাস। এ সময়ে দিনের স্থায়িত্বটা বড় (বেশি)। সূর্য মাথার ওপর। তা ছাড়া বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বৃষ্টিপাত যে এলাকাগুলোতে, সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে।

‘আর যে জায়গাগুলোতে বৃষ্টিপাত নাই, সেই জায়গাগুলোতে কিন্তু আপনার তাপমাত্রার ইয়েটা বেশি হচ্ছে। গরমটা বেশি হচ্ছে।’

গরম বাড়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে; গাছগাছড়া কমে যাচ্ছে। মানুষের এসি (এয়ার কন্ডিশনার), ফ্রিজ ব্যবহার বেশি হয়ে যাচ্ছে।’

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্লাইমেট চেঞ্জে (জলবায়ু পরিবর্তন) অবদান রাখছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ তো আছেই।’

আরও পড়ুন:
তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায়
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A nation of beggars has no dignity PM

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চায় বাংলাদেশ।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে খাদ্যে ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যবস্থা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি, আমরা দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি। আর তা ছাড়া প্রাণী, পশুর খাদ্যের তো অভাবই। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। আবার ইনফ্লেশনও (মূল্যস্ফীতি) অনেক বেশি ছিল।

“এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। ওই অবস্থায় যাত্রা শুরু করে আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তার কারণ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন যে, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।’”

তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MV Abdullah surrounded by barbed wire may reach Dubai on April 22

কাঁটাতারে ঘেরা এমভি আবদুল্লাহ, দুবাই পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল

কাঁটাতারে ঘেরা এমভি আবদুল্লাহ, দুবাই পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল ফাইল ছবি
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত এলাকা দিয়ে চলাচল করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সুরক্ষা বাড়াতে জাহাজ ঘিরে কাঁটাতারে বেড়া দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি দুবাইয়ের কঙিক্ষত বন্দরে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিলের মধ্যে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত এলাকা দিয়ে চলাচল করছে।

এমভি আবদুল্লাহ প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল স্পিডে দুবাই অভিমুখে চলছে। জাহাজটির দুই পাশে এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে।

মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি আগামী ২২ এপ্রিল সকালে গন্তব্যস্থল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় হাইরিস্ক এরিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে জাহাজটি।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ বাহিনীর দুটি জাহাজ এখনো এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি আছে। নেভির জাহাজের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে; যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

এর আগে ১৩ এপ্রিল রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। আশা করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্ক্ষিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। মুক্ত হওয়ার সময় ওই জাহাজ থেকে নেমে যায় ৬৫ জন জলদস্যু। এরপর জাহাজ ও নাবিকরা মুক্ত হন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Intense fire is spreading in six districts

তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায়

তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায় গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, ‘রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

দেশের ছয়টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, ‘পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।’

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

‘এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।’

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, ‘রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণ অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A total of 261 BGP members have taken refuge in Bangladesh

বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ২৬১ বিজিপি সদস্য

বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ২৬১ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি। ছবি: নিউজবাংলা
বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার নতুন করে আরও একজন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার আশ্রয় নেয় ৪৬ জন। তাদের সবাইকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র মোট ২৬১ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে বুধবার একজন ও আগের দিন আসা ৪৬ রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মুখে বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে বিজিপি’র এক সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এপারে চলে আসেন আরও ৪৬ জন বিজিপি সদস্য। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি তাদের সবাইকে হেফাজতে নিয়েছে।

আইন-শৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের গোলাযোগ চলছে৷ মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।

স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে ৪৬ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে মঙ্গলবার সকালে আশ্রয় নেয়া ১২ জনের সঙ্গে নতুনদেরও হেফাজতে রেখেছে।

বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আজ (বুধবার) নতুন করে আরও একজন আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে মোট ২৬১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়িতে পালিয়ে এলো আরও ১৪৬ বিজিপি সদস্য
এবার বাংলাদেশে আশ্রয় মিয়ানমারের ২৯ সীমান্তরক্ষীর
দুই রাত গোলাগুলির পর শান্ত টেকনাফ সীমান্ত
উখিয়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারীর গ্রেনেডে আহত যুবকের মৃত্যু
মিয়ানমারে গুলির শব্দ, সীমান্তে ফের আতঙ্ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
565 people died in 552 road accidents in March
যাত্রী কল্যাণ সমিতি

মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত

মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ফাইল ছবি
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংঘঠিত সড়ক দুঘর্টনার প্রকৃতচিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংঘঠিত সড়ক দুঘর্টনার একটি বড় অংশ গণমাধ্যমে স্থান পায় না।

মার্চ মাসে সারা দেশে মোট ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এসব দুর্ঘটনায় মোট ৫৬৫ জন নিহত এবং এক হাজার ২২৮ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চ মাসে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নৌপথে ৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৮১ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত, ১৬৬ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এ বিভাগে ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে, যেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৮৩ জন চালক, ৮২ জন পথচারী, ৮২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩১ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, ১০৯ জন নারী, ৭০ শিশু, ৩ জন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন- ৫ পুলিশ সদস্য, ১ আনসার, ৩ সৈনিক, ২ জন চিকিৎসক , ১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১৩০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৮ জন পথচারী, ৬৪ জন নারী, ৬৩ শিশু, ২১ শিক্ষার্থী, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬ জন শিক্ষক, ও ৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৭৯৩টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৫.৮৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১.২২ শতাংশ বাস, ১৬.৩৯ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫.১৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১০.৪৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৬.৪৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৪২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ১৭.২১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৭৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ২.৮৩ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং শূন্য দশমিক ৭২ ট্রোন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৪.৬০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৭.২১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯.৪৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৭.৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংঘঠিত সড়ক দুঘর্টনার প্রকৃতচিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংঘঠিত সড়ক দুঘর্টনার একটি বড় অংশ (প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত) গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, ‘দেশে সড়ক দুঘর্টনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে। ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হয়।

‘বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ৬ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় ৩ লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক ভাগ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ

১. ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি।

২. মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল।

৩. সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কে বাতি না থাকা। রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার।

৪. সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি।

৫. ফুটপাত দখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

৬. উল্টোপথে যানবাহন চালানো ও সড়কে চাদাঁবাজি।

৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা।

২. স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা।

৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান।

৪. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।

৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা; চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

৬. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।

৭. ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা ও স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা।

৮. দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ-এর চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা ও প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Ministers order to keep an eye on the situation in the Middle East
মন্ত্রিসভার বৈঠক

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে অর্থাৎ যুদ্ধ শুরু হলে এবং সৃষ্ট উত্তেজনা দীর্ঘ সময়ে গড়ালে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দিকে যথাযথ নজর রাখতে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে অর্থাৎ যুদ্ধ শুরু হলে এবং সৃষ্ট উত্তেজনা দীর্ঘ সময়ে গড়ালে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ফলে সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকেই সে বিষয় বিবেচনায় প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমরা কী করতে পারি; সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তিনি। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, যুদ্ধ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, সেটি সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ করে তা মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন সরকার প্রধান। তিনি বলেছেন, যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়।

ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। তখন কী করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মন্ত্রিসভাকে জানাতে বলেন।

দেশে এখনও ১৬টি আইন তালিকাভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে সচিব মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিগগির আইনগুলো বাদ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রিসভা ‘মহেশখালী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) অ্যাক্ট-২০২৪’ এবং ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন-২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বিত প্রক্রিয়ায় পরিচালনার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে এমআইডিএ আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব।

আইনটির আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন এবং এটি ১৭ সদস্যের বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। গভর্নিং বোর্ড ছাড়াও সরকার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে, যিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অফিসটি পরিচালনা করবেন।

কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- প্রায় ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমির নির্দিষ্ট এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা আনা, বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং এলাকাটিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন-২০২৪’ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত প্রচলিত ইংরেজির বাংলা সংস্করণ এবং এই সংস্করণে কোনো পরিবর্তন নেই। এর আগে এই আইনের ইংরেজি ভার্সন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি যে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও সেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ আইনটিই পুনরায় বাংলায় করা হয়েছে। সেটির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে