× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
14 weapons and bullets were detained in Teknaf along with six people
google_news print-icon

টেকনাফে ১৪ অস্ত্র ও গুলিসহ ছয়জন আটক

টেকনাফে-১৪-অস্ত্র-ও-গুলিসহ-ছয়জন-আটক
কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক ব্যক্তি ও উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় একটি অস্ত্রধারী ডাকাতদল ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোপন তথ্য পেয়ে রাত ১টার দিকে কোস্টগার্ড বিশেষ অভিযানে নামে।

কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ৯ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ছয়জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এন আব্দুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় একটি অস্ত্রধারী ডাকাতদল ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোপন তথ্য পেয়ে রাত ১টার দিকে কোস্টগার্ড বিশেষ অভিযানে নামে।

আব্দুর রহমান জানান, এক পর্যায়ে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল তাদের বোট নিয়ে নাফ নদীর মোহনা থেকে টেকনাফের দিকে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বোটটি টেকনাফের রঙ্গিখালীর খড়ের দ্বীপে ডাকাত সদস্যদেরকে নামিয়ে দ্রুত মিয়ানমারে চলে যায়।

তিনি জানান, এ সময় ডাকাত সদস্যরা দ্বীপের বনের মধ্যে লুকিয়ে যায়। পরে কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের দল দুটি যৌথভাবে দ্বীপটির চারদিক থেকে ডাকাত দলের মূল আস্তানা ঘেরাও করে ৬ জন সশস্ত্র ডাকাত সদস্যকে আটক করে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা জানান, ডাকাত সদস্যদের দেয়া তথ্যে খড়ের দ্বীপের বনের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ১৪টি অস্ত্র, ৪৮৬ রাউন্ড গোলা, চারটি রামদা, বিদেশি মদ ও ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, সবমিলিয়ে ৯ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
পিস্তল-ককটেলসহ গ্রেপ্তার ২

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The victims live with the painful memories of Rana Plaza

রানা প্লাজার দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা

রানা প্লাজার দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক শ্রমিক এসেছেন সেদিনের সেই স্মৃতিকে মনে করে। ছবি: নিউজবাংলা
শ্রমিক ও তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, ১১ বছর আগে সেদিন পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার এতদিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত হতাহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মালিক কিংবা সরকারপক্ষ।

ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ৯ তলা ভবনের পুরোটাই ধসে পড়ে আহত হয়েছেন অনেক শ্রমিক। পঙ্গুত্ব নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মানবেতর দিনযাপন করছেন তাদের অনেকে।

শারীরিক যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছেন কেউ কেউ। যারা বেঁচে আছেন এখনও তাদের তাড়া করে দুঃসহ সেদিনের স্মৃতি। পুনর্বাসন আর ক্ষতিপূরণের আশায় বুক বেঁধে আছেন রানা প্লাজার সেই ক্ষতিগ্রস্তরা।

শ্রমিক ও তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, ১১ বছর আগে সেদিন পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার এতদিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত হতাহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মালিক কিংবা সরকারপক্ষ।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনার ৫টি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক মারা যান। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ২ সহস্রাধিক শ্রমিক।

কী ঘটেছিল সেদিন, সে কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আহত শ্রমিক শিলা বেগম। তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল সকালে কারখানায় আসার পর মালিকপক্ষ ছুটি দিয়ে দেয়। আবার পরদিন ২৪ এপ্রিল বিকেলে শিপমেন্ট আছে জানিয়ে কারখানায় বাধ্যতামূলক আসার কথা জানিয়ে মাইকিং করে। না আসলে ওভারটাইমের টাকা কেটে নেয়ার কথা বলে মালিকপক্ষ।

তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল সকালে কারখানায় সব শ্রমিক আসার পর সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারটের চালু করা হয়। এরপরই হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো কারখানা ধুলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ওই সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমি বিশাল আকৃতির বীমের নিচে আটকে পড়ে আছি।

শিলা বেগম বলেন, উদ্ধারকারীরা এরপর আমাকে বাঁচাতে পারলেও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। অপারেশনের পর এত বছর ধরে নানা শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। ওই সময় সরকার ও বিদেশি বায়ারদের সামান্য সহযোগিতা পেলেও তা চিকিৎসার পেছনেই শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকার কিংবা মালিকপক্ষ দীর্ঘ ১১ বছর হয়ে গেলেও আমাদের কোনো খোঁজ রাখেনি। এ রকমভাবে বেঁচে থাকার চাইতে সেদিন মরে গেলেও অনেক শান্তি পেতাম। অন্তত এত কষ্ট বয়ে বেড়াতে হতো না। অর্থাভাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হতো না। আমরা দ্রুত আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন চাই।

মনির হোসেন নামে ষষ্ঠ তলায় কাজ করা আরেক শ্রমিক বলেন, ঘটনার দিন আমিসহ আরও সাতজন ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছিলাম। পাশেই আরও দুই-তিনজন আটকে পড়ে বাঁচার আকুতি করছিল। সেই দৃশ্য আমি কোনদিনও ভুলতে পারব না। ওই ঘটনায় আমার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের অনেক জায়গায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই।

তিনি বলেb, রানা প্লাজা ভবন ধসের ১১ বছর পার হয়ে গেলেও আমি ক্ষতিপূরণ পাইনি। সাহায্য হিসেবে যে অর্থ পেয়েছিলাম তা চিকিৎসার পেছনেই খরচ হয়ে গেছে। শুধু ২৪ এপ্রিল আসলেই আমাদের খোঁজ করে সাংবাদিকরা। তা ছাড়া আর কেউ আমাদের খবরও নেয় না। আমরা দুঃসহ যন্ত্রণার জীবন নিয়ে বেঁচে থেকেও যেন মরে গেছি।

রানা প্লাজার দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা
সেদিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি স্মরণ করে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন শ্রমিকরা। ছবি: নিউজবাংলা

গুরুতর আহত ইয়ানুর আক্তার নামে এক শ্রমিক বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর তখন পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে বাধ্য হয়েই রানা প্লাজায় চাকরি নিয়েছিলাম। চতুর্থ তলার একটি কারখানায় হেলপার পদে কাজ করতাম। ছয় ভাই-বোন ও মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু সেদিনের ঘটনা আমার জীবন থেকে সব কেড়ে নিয়ে গেছে। ভবনের নিচে চাপা পড়ার কারণে আমার হাত ও পায়ে ছয়টি অপারেশন করতে হয়েছে। এরপর থেকে কাজ তো দূরের কথা স্বাভাবিক কাজও করতে পারি না। তারপরও পরিবারকে বাঁচাতে কাজ খুঁজে যাচ্ছি। যখন যা পাই তাই করি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১১ বছর পার হয়ে গেল এখনও আমাদের পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিবছর এই দিনে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে আসি আমাদের দুঃখের কথাগুলো জানানোর জন্য। কিন্তু মিডিয়ায় সেগুলো প্রচার হলেও তা কেউ শোনে না বলে আমার মনে হয় না। আমাদের চোখের পানির মূল্য যেন কারও কাছে নেই। অভিশপ্ত এই জীবন নিয়ে বাঁচা আর সম্ভব হচ্ছে না। একে তো শারীরিক যন্ত্রণা। তার উপর মাঝে মধ্যেই সেই ভয়ানক স্মৃতি মনে হলে ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, বাংলাদেশে এই যে, এত বড় ঘটনা ঘটল। বিশ্বের মধ্যে এত বড় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী গার্মেন্টস মালিকরা দায়ী থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, গার্মেন্টস মালিকরা দায়ী থাকলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং তাদের ব্যাপারে কোনো আওয়াজ নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেই।

তিনি বলেন, শুধু ভবন মালিক রানা শাস্তি পাচ্ছে, রানা জেলে আছে। কিন্তু যারা যারা গার্মেন্টসের মালিক তারা সবাই বাইরে। তারা হয়তো তাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছে। অথচ ওই কারখানাতে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করত। তারা হয়ত বড় ব্যবসা করছে। মালিকরা ব্যবসা করছে। শুধু এটাতে ভিকটিম হয়েছে যারা শ্রমিক তারা। চিকিৎসা, বিচারের ও পুনর্বাসনের দাবিতে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ১১ বছরেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। উপরন্তু অনেক ঘটনা আছে, মামলা আছে সেসব মামলায় কিন্তু দ্রুত শাস্তি হয়, বিচার হয়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করা হয়। কিন্তু এই রানা প্লাজার এত বড় ঘটনার পরেও আমরা দেখছি, বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি এবং এটার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা শাস্তি পায়নি। আদৌ হবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।

গার্মেন্টস খাতে এর প্রভাব পড়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা গার্মেন্টস সেক্টরে প্রভাব পড়বে অবশ্যই। গার্মেন্টসের মালিকরা চাচ্ছে যে, গার্মেন্টসে যদি কাজ করতে এসে কোনো শ্রমিক মারা যায় তাহলে এর জন্য তার কোনো শাস্তি হবে না। বিচারের আওতায় আনা হবে না। এর আগেও তাজরিনসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। মানে মানুষের যে বিচার পাওয়ার যে অধিকার সেই জায়গাটা কিন্ত হারিয়েছে। শ্রমিকরা কর্মস্থলে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারছে না।

খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা যারা আমাদের প্রডাক্টটা ব্যবহার করে তারাও কিন্তু আওয়াজ তুলছে। এখনও চলছে যাতে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয়। কিন্তু আওয়াজ ওঠার পরও আমরা দেখছি যে যথাযথ ব্যবস্থা কিন্তু নেয়া হচ্ছে না। যার কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি হলে আমাদের দেশের গার্মেন্টসের এক্সপোর্টে কিন্তু এই প্রভাবটা পড়বে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Istiska prayer in Pabna for rain

বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ

বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য বুধবার সকালে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে মাওলানা আবদুস শাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনা পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।’

অতি তীব্র দাবদাহ, সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল।

তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পাবনা জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেছেন পাবনাবাসী।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আবদুস শাকুর।

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনাও করা হয়।

নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে আবদুস শাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনা পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।’

এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে এ তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
এবার ভারি বর্ষণের কবলে সৌদি আরব, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট
বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না
আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১
তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
21 children who lost their parents in the Rana Plaza collapse are growing up in Orca Homes

রানা প্লাজা ধসে বাবা-মা হারানো ২১ শিশু বেড়ে উঠছে ‘অরকা হোমসে’

রানা প্লাজা ধসে বাবা-মা হারানো ২১ শিশু বেড়ে উঠছে ‘অরকা হোমসে’ গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’-এ বেড়ে উঠছে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ভাগা ২১ শিশু, কিশোর-কিশোরী মমতার আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। কেউ হারিয়েছে বাবাকে, কেউ বা মাকে। কেউ কেউ আবার বাবা-মা উভয়কে হারিয়ে একেবারেই হয়েছে নিঃস্ব। কারও কারও বাবা-মা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আজীবনের জন্যও।

ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটেছিল বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যতম বড় এই শিল্প দুর্ঘটনা।

সেদিন অত্যন্ত ব্যস্ততম সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে একটি ৯ তলা ভবন ধসে মারা যান ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক, আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকেই আজীবন পঙ্গুত্ববরণ করে বেঁচেও যেন মরে গেছেন।

লোমহর্ষক এই ট্রাজেডির সাথে সাথে আল আমিন মিয়া, জিয়াদ হোসেন, তাহমিনা আক্তার ও বীথিসহ অনেক শিশু, কিশোরের জীবনেও নেমে আসে ট্রাজেডি। সেদিনের হতাহতের অনেকের সন্তানই এখন নিঃসঙ্গতা আর অর্থাভাবে ভিন্ন ভিন্ন পথে।

এমন দুর্ভাগা ২১ শিশু, কিশোর-কিশোরী মমতার আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। কেউ হারিয়েছে বাবাকে, কেউ বা মাকে। কেউ কেউ আবার বাবা-মা উভয়কে হারিয়ে একেবারেই হয়েছে নিঃস্ব। কারও কারও বাবা-মা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আজীবনের জন্যও। এ ছাড়াও আরও ৩১ জন এতিম-অসহায় শিশু-কিশোর-কিশোরীর ঠিকানা হয়েছে অরকা হোমসে।

বাবা-মা হারানো দেশের বিভিন্ন জেলার এসব শিশুর লেখাপড়া, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন (অরকা)।

২০১৪ সালে অরকা হোমসের প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায়। রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একই বছরের ২২ ডিসেম্বর গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দুরে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অরকা-হোমস প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট দুটি এবং পরবর্তীতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চার তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে ৫২ জন এতিম অসহায় শিশু, কিশোর-কিশোরী বসবাস করছে।

এর মধ্যে ২১ জন মেয়ে ও ৩১ জন ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২১ জন রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির শিশু-কিশোর-কিশোরী রয়েছে। সেখানে তারা থেকে-খেয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ জন মেয়ে, ১২ জন ছেলে। এই ২১ জন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এখানকার ৩১ জন শিশু-কিশোরের কেউ মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে, কেউ কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হতে আবার কারও কর্ম-সংস্থান হওয়ায় অরকা হোমস ছেড়ে চলেও গেছেন।

কেবল মা হারাদের মধ্যে ওই সময়ে (২০১৪) আসা সব থেকে কম বয়সী শিশু ছিল সৌরভ। সৌরভের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বলমুই পাড়া গ্রামে। সৌরভ যখন অরকা হোমসে তখন বয়স মাত্র ছয় বছর। সৌরভের বয়স এখন ১৭। সে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ছয় বছর বয়সে আসা শিশু সৌরভের তখনকার কোনো কিছুই মনে পড়ে না। তবে, বড় হওয়ার সাথে সাথে সবই জেনে গেছে সৌরভ। প্রতিবছরই পড়ে পত্রিকার পাতায়, দেখে টেলিভিশনে। হতে হয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি। মনে না থাকলেও যেন আজকের এই দিনে সৌরভকে তার মায়ের কথা মনে করিয়ে দেন গণমাধ্যমকর্মীরাই।

একান্ত সাক্ষাৎকারে নিউজবাংলার গাইবান্ধার এই প্রতিবেদককে সৌরভ জানায়, তারা বাবা বাদশা মিয়া কাজ করতে অক্ষম হওয়ায় তার মা কল্পনা বেগম সাভাবের একটি পোশাক শ্রমিকের কাজ নেয়। তার মা ওই ভবনের তিন তলায় পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান তিনি। এরপর এতিম সৌরভের জায়গা হয় গাইবান্ধার অরকা হোমসে।

রানা প্লাজা ধসে বাবা-মা হারানো ২১ শিশু বেড়ে উঠছে ‘অরকা হোমসে’
জীবনের গল্প শোনাচ্ছে শিশু সৌরভ। ছবি: নিউজবাংলা

সৌরভ বলে, ‘শুনেছি আমার যখন ছয় বছর; তখন মা রানা প্লাজায় মারা যায়। ধ্বংসযজ্ঞের ১৬ দিন পর মাকে খুঁজে পায় বাবা-ভাই ও আমার স্বজনরা। তখন নাকি মায়ের দেহ গলে পঁচে গেছিলো, কিন্তু তার গলায় থাকা পোশাক কারখানার আইডি কার্ড দেখে বাবা-মাকে চিনে নেয়।’

সৌরভ বলে, ‘মায়ের আয় করা টাকায় আমাদের পরিবার চলত। মা চলে যাওয়ার পর আমাদের ভালো চলছিল না। পরে এখানে রেখে যায় বাবা। একমাত্র বড় ভাই বিয়ে করে সংসার করছে। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এখন খোঁজ-খবর রাখছে বয়স্ক (বৃদ্ধ) দাদা। এখানে আমি ভাল আছি।’

মাকে মনে পড়ে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলে, ‘সব সয়ে গেছে। ছয় বছরের শিশু থাকতেই আমি মাকে হারিয়েছি তো, এখন খুব একটা কষ্ট হয় না! তবে, প্রতিবছর এই দিনটি আসলে সাংবাদিক এবং বিভিন্নভাবে মায়ের কথা মনে পড়ে।’

কোনো স্বপ্ন আছে- এমন প্রশ্নে সৌরভ বলে, বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আমার মা জীবন দিয়েছেন। একটা মা হারা শিশুর আশ্রয় হয়েছে অরকা হোমসে। আমিও এরকম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখি। যেখানে অসহায়-এতিম ছেলে-মেয়েরা ছাড়াও আমাদের মতো গরীব ঘরের সন্তানেরা বিনা টাকায় খেয়ে- থেকে পড়া লেখা করতে পারেব। তারাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের অসহায়দের পাশে দাঁড়াবে। এভাবেই দেশটি একদিন সহযোগিতার হাতেই পূর্ণ হবে। হয়তো তখন কেনো মাকে শ্রমিকের কাজে গিয়ে জীবন দিতে হবে না।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারি ম্যানেজার মিল্লাত মন্ডল। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় (২০১৪) থেকেই অরকা হোমসে আছেন। পরে সৌরভকে নিয়ে কথা হয় তার সাথে।

সৌরভের সম্পর্কে জানতে চাইলে স্মৃতিচারণ করে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন, ২০১৪ সালে সৌরভ যখন এখানে আসে তখন ওর বয়স ছয় বছর। তখন এটি এতো প্রসারিত ছিল না, ছিল না জনবলও। ও এখন অনেক বড় হয়েছে। এখানে আসার পর টানা এক মাসেরর বেশি সময় ধরে সৌরভ প্রায় সার্বক্ষণিক মায়ের জন্য, বাড়ির জন্য কেঁদেছে। ওকে আমরা সবাই অনেক স্নেহে মানুষ করেছি। কারণ, সব থেকে ছোট এবং কম বয়সের ছিল সেদিনের মা হারা শিশু এই সৌরভ।

তিনি আরও বলেন, মা হারা সৌরভ অনেক ভদ্র এবং নম্র। সৌরভ প্রচণ্ড মেধাবী। এখানে আসার পর পড়া-লেখা শুরু হয় সৌরভের। সৌরভ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসেই প্রথম (এক রোল)। আর এবার নবম শ্রেণিতে উঠেছে সৌরভ। সৌরভ জীবনে অনেক বড় হোক।

শুধু সৌরভই নয়, আল আমিন মিয়া, জিয়াদ হোসেন, তাহমিনা আক্তার, বীথিসহ হোমসে আশ্রয় হওয়া সবারই আছে প্রায় একই রকম শোকগাথা ইতিহাস। তবে, এতিম-অসহায় এই শিশুদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করেই চলেছেন অরকা হোমস।

ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃতির ছাঁয়াঘেরা অরকা হোমসের পুরো ক্যাম্পাস। এক ক্যাম্পাসের ভেতরেই সকল ভবন। চারতলা ভবনটিতে থাকে ছেলেরা। আর মেয়েরা থাকে তিন তলার দুটি ভবনের একটিতে। এখানে থাকা শিশু-কিশোরের সবাই পড়াশোনা করছে পাশের মুসলিম একাডেমিতে।

এখানে আছে খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এছাড়া তাদের দেখভালের জন্য রয়েছেন একজন তত্ত্বাবধায়ক, একজন ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, নারী কেয়ারটেকারসহ আটজন। তাদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকজন গৃহশিক্ষকও। রয়েছেন শরীরচর্চার শিক্ষক। ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। নামাজের জন্য ক্যাম্পাসের ভিতরের রয়েছে সুন্দর পাকা মসজিদ।

গাইবান্ধা অরকা হোমসের তত্বাবধায়ক মো. জাহিদুল হক নিউজবাংলকে বলেন, ‘রানা প্লাজা ধ্বসের পর ২০১৪ সালে মাত্র ৮টি বাচ্চা নিয়ে গাইবান্ধায় অরকা হোমসের যাত্রা শুরু হয়। এখন এখানে বাচ্চা রয়েছে ৫২টি। তার মধ্যে ২১ টি বাচ্চা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বাবা-মা হারানো; বাকিরা এতিম অসহায়। তাদের পড়াশোনা থেকে সবকিছুই আমরা দিচ্ছি। এছাড়া তাদের কর্মসংস্থান এবং মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থাও আমাদেরি দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন অরকার দেশ-বিদেশে থাকা সদস্যদের আর্থিক সহায়তায়ই মূলত হোমসের ব্যয় মেটানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বিজিএমইএ প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে।’

তবে, সম্প্রতি তারা (বিজিএমইএ) সেই সহযোগিতা করতে গরিমসি করছেন বলে অভিযোগ ছিল তত্ত্বাবধায়কের।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 dead 10 injured after bus overturns on expressway in Madaripur

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে একজন নিহত, আহত ১০

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে একজন নিহত, আহত ১০ প্রতীকী ছবি
শিবচর হাইও‌য়ে থানার এসআই তমাল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোর রাতে প‌রিবহন‌টি কুয়াকাটার দিকে যা‌চ্ছি‌ল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হা‌রিয়ে বাসটি উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।

এক্সপ্রেসওয়ের বন্দরখোলা নামক স্থানে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিল।

প্রাণ হারানো গোলাম রহমান (৫৫) র‌বিশালের বাখেরগ‌ঞ্জ উপজেলার কোলোসকা‌ঠি গ্রামের বাসিন্দা।

শিবচর হাইও‌য়ে থানার এসআই তমাল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোর রাতে প‌রিবহন‌টি কুয়াকাটার দিকে যা‌চ্ছি‌ল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হা‌রিয়ে বাসটি উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এ সময় আরও ১০ জন আহত হন। তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে ভ‌র্তি করা হয়।

এসআই তমাল বলেন, ‘ঘটনার পরে ভেঙে যাওয়া বাস‌টি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চি‌কিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নাটোরে ট্রাকচাপায় ছাত্রদল নেতা নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Goods and passenger crossing closed again for three days in Banglabandha

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছবি: নিউজবাংলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতের দার্জিলিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের কারণে বুধবার থেকে টানা তিন দিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার প্রীতি গোয়েলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে শুক্রবার (২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন্ধের পর আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তারা জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পাথরসহ সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। পাশাপাশি এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও বন্ধ ছিল।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ
চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বিরল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শিগগিরই
দুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধায় ৮ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
স্থবির নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বেকার কয়েক হাজার শ্রমিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a train in Mymensingh

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত ময়মনসিংহে মঙ্গলবার রাতে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তা জানতে চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।

শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকা পর্যন্ত আসতেই যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা রেলক্রসিংয়ের ওপর উঠে পড়ে। এ সময় অটোরিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।’

তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তসহ রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তাও জানতে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে, কার্যকর ৪ মে থেকে
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চাচার মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three people died of heat stroke in three districts

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু ফাইল ছবি
শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে দেশ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় জামালপুর, নাটোর ও কুমিল্লায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জামালপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরের ইসলামপুরে চলমান তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে গোলাম রাব্বানী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

৪৮ বছর বয়সী রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিনের চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, ‘গোলাম রাব্বানীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা।’

বড়াইগ্রামে কৃষকের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষিখেতে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক করে রকুল হোসেন নামের এক কৃষকের মুত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল বিলে এই ঘটনা ঘটে।

৩০ বছর বয়সী রকুল উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘সকাল থেকে জমিতে কাজ করছিল কৃষক রকুল হোসেন। এক পর্যায়ে তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে তিনি পাশের জলাশয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে পোঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’

বুড়িচংয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

তীব্র গরমে কাজ করতে গিয়ে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হিট স্ট্রোক করে মজিবুর রহমান নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িচং উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

৪৫ বছর বয়সী মজিবুর রহমান উপজেলার জগতপুর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল নয়টার দিকে রুহুল আমিনের বাড়িতে কাজ করতে যান মজিবুর। কিছুক্ষণ পর ভবনের বেইজ কাটার সময় হিটস্ট্রোক করেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ সারা দেশে এখনও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। আদালতেও আইনজীবীদের কালো পোশাক পরা শিথিল করা হয়েছে।

এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। সেদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

p
উপরে