× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
If BNP does not come it is an indication of one sided elections
google_news print-icon

বিএনপি না এলে একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত

বিএনপি-না-এলে-একতরফা-নির্বাচনের-ইঙ্গিত-
বিএনপির বর্জনের কারণে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ব্যালটে ছিল না ধানের শীষ মার্কা। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপে নিয়ে আসতে, গণতন্ত্রের শিকড় বাংলাদেশে শক্ত করতে যথেষ্ট চেষ্টা করছে। বর্তমানে গণতন্ত্রের যে বিকাশ, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। যে কারণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। এরপর সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে নির্বাচন হবে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক দেশ। নির্বাচন গণতান্ত্রিক দেশের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কাজেই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: আইনমন্ত্রী

২০১৪ সালের মতোই বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে আবার একতরফা নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেছেন, কোনো দল নির্বাচনে না এলে সেটি তাদের দায়িত্ব না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে কেউ ভোটে বাধা দিলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া। সেটি তারা করবেন।

রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছাবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার না হলে ২০১৪ সালের মতোই নির্বাচন বর্জন করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো দল নির্বাচনে না আসে, সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। আমরা আশা করব, পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সংবিধানে যে সময়ে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে—সেটা ২০২৩ সালের শেষে হোক, কিংবা ২০২৪ সালের প্রথমে—যখন নির্বাচন হবে, আমরা আশা করব সবাই তাতে অংশগ্রহণ করবে।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১১ সালের প্রথম প্রান্তিকে উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ওই বছর নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফেরায় আওয়ামী লীগ সরকার।

এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। সেই সঙ্গে সেই নির্বাচন বানচালে যায় আন্দোলনে। তবে বিরোধীদের বর্জনের মুখে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ।

একতরফা নির্বাচন করেছে জাতীয় পার্টি এবং বিএনপিও। তবে তাদের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সরকার দুই বছরের কিছু বেশি সময় এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটের পর বিএনপি সরকার টিকে থাকে অল্প কদিন।

তবে আওয়ামী লীগ সরকার মেয়াদ পূর্তি করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেয়। সেই নির্বাচনের আগে আবার আন্দোলনের ঘোষণা দিলেও তাতে অংশ নেয় বিএনপি। ২০-দলীয় জোটের পাশাপাশি গড়ে তোলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে আরও একটি জোট।

তবে সেই নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে আবার তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের এই দাবি নাকচ করে এমনকি আলোচনায় না বসার কথাও বলছে। তারা বলছে, উচ্চ আদালত এবং জাতীয় সংসদ- দুই জায়গাতেই তত্ত্বাবধায়কের বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেটি ফেরার আর ‍সুযোগ নেই।

বিএনপি না এলে একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত
বিএনপি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ফিরে গিয়ে বলছে, না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না

আইনমন্ত্রী আবারও সরকারের সেই দৃঢ় অবস্থানের কথাই তুলে ধরলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপে নিয়ে আসতে, গণতন্ত্রের শিকড় বাংলাদেশে শক্ত করতে যথেষ্ট চেষ্টা করছে। বর্তমানে গণতন্ত্রের যে বিকাশ, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। যে কারণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। এরপর সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে নির্বাচন হবে।

‘যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক দেশ। নির্বাচনী গণতান্ত্রিক দেশের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কাজেই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার এবং বিরোধী পক্ষ যদি এই অবস্থানে থাকে, তাহলে ২০১৩-১৪ এবং ২০১৫ সালের মতো সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবার ফিরে আসে কি না, সেই আশঙ্কার কথাও বলাবলি হচ্ছে।

এই আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গেল নির্বাচনের আগে দেখেছি যে মাঠে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ছিল না। আগুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।

‘আমাদের (সরকার) দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে। আমরা জনগণকে দেশের উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছিলাম। তা পূরণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার যদি কেউ বাধা দিতে চায়, তাহলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা প্রশ্রয় দেয়া হবে না, জামায়াত প্রসঙ্গে সতর্কতা

গত শুক্রবার রাজধানীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিত বিএনপির মিছিলের দিন যুগপৎ কর্মসূচি দেয়া জামায়াত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়েও প্রশ্ন ছিল মন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে। এটা পরিষ্কার কথা।

‘কারণ, এখন জনগণ উন্নয়ন চায়। আমরা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। কাজেই এর মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিএনপি না এলে একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক: ফাইল ছবি

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনারও জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চেয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের সময়। আমি বলব, যেসব ক্ষেত্রে জনগণ বিচার পাইনি, সেসব ক্ষেত্রে বিচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

‘যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে, তারা কিন্তু অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেননি। কাজেই তাদের বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযাগ্য, তা আপনারা নির্ধারণ করবেন।’

প্রতিশ্রুতি পূরণই চ্যালেঞ্জ

সরকার তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা। যেসব অঙ্গীকার এখনো শেষ হয়নি, সেগুলো শেষ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘শেখ হাসিনা বলেছিলেন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করবে। ২০২২ সালের ২৫ জুন সেই পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে। ইনশা আল্লাহ, এ বছরে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাক-সিলেটের ফোর লেনের সড়কের কাজ শেষ হবে। যেসব উন্নয়ন কাজ এ বছর শেষ হওয়ার কথা, তা শেষ হবে। আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে প্রকল্পগুলো শেষ করব।

‘আমরা করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এখনো চীনে যথেষ্ট করোনা রোগী আছে বলে আপনারা শুনছেন। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-তো রয়েছে। এগুলোর প্রভাব কাঠিয়ে ওঠে আমরা যেসব প্রকল্পের কথা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবয়ন করা চ্যালেঞ্জ। যে কারণে আমি চ্যালেঞ্জের কথা বলেছি।’

আরও পড়ুন:
চরফ্যাশনের ২ ইউপিতে স্বতন্ত্র, একটিতে নৌকা বিজয়ী
বাঘায় বিকেলের ভোট সন্ধ্যার পরও
ঝাঁকি দিয়ে ইভিএম চালুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নৌকা পেতে ১৪ নেতা-কর্মীর দৌড়ঝাঁপ
এজেন্টকে পিলারে বেঁধে শাস্তি দিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government does not know what status Sheikh Hasina has in India

শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন জানে না সরকার

শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন জানে না সরকার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার সেটি জানে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে সেখানে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়নি ঢাকা।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন এবং আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়েছি কি না?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। আমি অফিশিয়ালি তাদের কোনো কিছু বলিনি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ ৪৫ দিন পর শেষ হওয়ার কথা। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি কোন প্রক্রিয়ায় সেখানে অবস্থান করবেন জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সবকিছুই আইন দিয়ে চলে না। ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে, তিনি সেখানে থাকছেন। আমাদের এটা সেভাবে দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি: জয়শঙ্কর
ভারত অন্য দেশে গণতন্ত্র রপ্তানি করছে না: পঙ্কজ শরণ
বন্ধন সুদৃঢ় করার বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে ভারতের পাপ্পু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
I will take forward the relationship with the current government of Bangladesh Jaishankar

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রশের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় সবকিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। কোথাও না কোথাও থেকে কিছু কথা আসতে থাকে। কেউ না কেউ কিছু একটা বলে ফেলে বা করে ফেলে। এটা হয়, স্বাভাবিক।’

সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনসহ যা কিছু হচ্ছে তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ নিয়ে ভারতের মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিবেশী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘সবসময় সবকিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। কোথাও না কোথাও থেকে কিছু কথা আসতে থাকে। কেউ না কেউ কিছু একটা বলে ফেলে বা করে ফেলে। এটা হয়, স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হয়েছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। তারা তাদের অবস্থান বুঝে নিক, সম্পর্কের মহত্ব বুঝুক। তাহলে প্রতিবেশীদের মধ্যকার সম্পর্কের মান ও মাত্রা অন্যরকম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী উভয়েই উভয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়। আমাদের অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আগে যেসব রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও অভ্যন্তরীণভাবে যা হওয়ার হবে। সেটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

‘তবে দুই দেশের সম্পর্ক আমাদের দিক থেকে স্থিতিশীল রাখতে চাই, সামনে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের পারস্পরিক ভালো সহযোগিতা রয়েছে, আমাদের ভালো বাণিজ্য রয়েছে। জনগণের সঙ্গে জনগণের ভালো সহযোগিতা রয়েছে। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই।’

ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারতের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, আমাদের কূটনীতি ও অন্যান্য আলোচনা সেটাকে কেন্দ্র করেই হয়। সেসঙ্গে এটা আমাদেরও দায়িত্ব যে পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকুক। এটা আমাদের জন্যও প্রয়োজন।'

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি: জয়শঙ্কর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Damage in recent floods is Tk 14 thousand 269 crores

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বন্যাকবলিত এলাকার ফাইল ছবি।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরবিক্রম জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা সমমূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান তিনি।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ইতোমধ্যে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন:
বন্যা: কুমিল্লায় প্রায় এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The World Bank has pledged two billion dollars in aid to Bangladesh

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের চরম অপশাসনের পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে। এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে।’

বাংলাদেশকে ঋণ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি সংস্কার, বন্যা মোকাবিলা, উন্নত বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্যের জন্য চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার নতুন অর্থায়ন করতে পারে।’

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি নতুন এই সহায়তার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করার জন্য চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘ব্যাংকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে। আমরা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি এবং যত বেশি সম্ভব সমর্থন করতে চাই।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও বাংলাদেশের সব উন্নয়ন সহযোগীকে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোতে আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেবে কি না তা পুনর্বিবেচনা করবে।’

সেক বলেন, ‘বিদ্যমান প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে যে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ বলেন, ‘সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ দেয়া ২০ লাখ মানুষসহ তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের চরম অপশাসনের পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে।

‘এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের অংশ হোন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ থেকে চুরি করা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চুরি যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি আপনাদের আছে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন হবে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ডেটা স্বচ্ছতা, ডেটা সম্পূর্ণতা, কর সংগ্রহে ডিজিটালাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারেও সহায়তা করতে চায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করা এবং বড় ধরনের সংস্কার করার এই সুযোগ হারাতে পারে না। এই সুযোগ একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না।’

আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা দেয়ালচিত্র ও ম্যুরাল দেখে আমি মুগ্ধ। আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্য কোথাও দেখিনি।’

আরও পড়ুন:
মাজারে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর ছাড়া এগোনো কষ্টকর হবে
স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আসুন একযোগে কাজ করি
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত গুম-সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Drug godfathers must be caught Home Advisor

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: বাসস
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’

মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওই নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’

এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না।

তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ৯ হাজার লিটার অবৈধ চীনা বিয়ার জব্দ, আটক ৩
মাদক সেবন: ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ যুবকের দুই দিনের সাজা
মাদক মামলায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে মাদকের প্রতিবাদ
মদের দোকানে ‘৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি’, মাদকের ডিডি অবরুদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Germany will give 100 million Euros to Bangladesh
নবায়নযোগ্য জ্বালানি

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি


বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা করতে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে উভয় দেশই বেসরকারি খাত, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো নন স্টেট অ্যাক্টরদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার করবে।’

সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী এবং যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে, যা বহু স্টেকহোল্ডার পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবে।’

উপদেষ্টা পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বৈঠকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণ করার জন্য একটি চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না ভারত সিরিজ: গাঙ্গুলী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death of senior journalist Ajmal Hossain Khadem

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু আজমল হোসেন খাদেম ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছবি: ফেসবুক
আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেন।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সোমবার রাত পৌনে একটার দিকে প্রাণ হারান।

রাজধানীর বনানী মসজিদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।

আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
লুতু মিয়াকে পিষে মারলো বন্যহাতি
সাবেক এমপি আব্দুল মালেক মারা গেছেন
চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একজনের মৃত্যু
সাপের ছোবলে প্রাণ গেল দুই স্কুল শিক্ষার্থীর
চিকিৎসার জন্য ছুটি মেলেনি, অফিসে যাওয়ার পথেই ‘চিরদিনের ছুটি’

মন্তব্য

p
উপরে