× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Crowds flock to Sagarkanya to watch the New Year sunrise
google_news print-icon

নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যায় ভিড়

নতুন-বছরের-সূর্যোদয়-দেখতে-সাগরকন্যায়-ভিড়
বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যায় ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা/ ছবি: নিউজবাংলা
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা দিনভর সৈকতের পূর্ব প্রান্তে লাল কাঁকড়া ও সাদা শামুক দেখে বেড়িয়েছেন। অনেকে গেছেন ফাতরার বন, লেম্বুর চর, গঙ্গামতী আর ঝাউ বাগানের বিশাল বনাঞ্চলে। ২০০ বছরের পুরোনো সাম্পান নৌকা, মিশ্রিপাড়ার রাখাইন পল্লি, চরবিজয় নামের নতুন জেগে ওঠা চর ছিল বাড়তি আকর্ষণ।

নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার এক অদ্বিতীয় সুযোগ করে দিয়েছে সাগরকন্যা। তাই বছরের শেষ দিনকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণে গত কয়েক দিনে হাজার-হাজার পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন।

স্বজনদের নিয়ে বেড়াতে এসে সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন দর্শনীয় সব স্থান। এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে প্রশাসন।

খুলনা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসা নিশাদ তালুকদার বলেন, ‘বছরের অন্যান্য সময় ছুটি একটা তেমন পাই না। তাই বছর শেষে এসেছি থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে। আগামীকাল নতুন সূর্যোদয় দেখে আবার ব্যাক করব।’

নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যায় ভিড়

ঢাকার মোহাম্মদপুর নিবাসী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। গত বছর ঠিক এমন সময় ছিলাম কক্সবাজার। এবার পদ্মা সেতু হয়েছে, তাই বাচ্চারা বলল পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে কুয়াকাটায় আসবে। বাচ্চাদের আবদার মেটাতেই এসেছি। বেশ ভালো লাগছে। বিকেলে সূর্যাস্ত দেখার জন্য বাচ্চারা বালুর ওপর বসে ছিল। তবে কুয়াশার জন্য সূর্য পরিষ্কারভাবে দেখতে পারিনি। কাল ভোরে যাব গঙ্গামতীর দিকে সূর্যোদয় দেখতে।’

বিকেলে কথা হয় সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে আসা ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আনিসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সূর্যাস্তের চমৎকার দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মনে হচ্ছে পানির মধ্যে লাল কী যেন গলে যাচ্ছে। তবে কুয়াশা না থাকলে আরো ভালো লাগত।’

শিক্ষার্থী মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে তাই পরিবারের সবার সঙ্গে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে এসেছি। বছরের শেষ সূর্যাস্ত এবং বছর শুরুর সূর্যোদয় দেখে কুয়াকাটা থেকে বাড়ি ফিরব।’

কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা দিনভর সৈকতের পূর্ব প্রান্তে লাল কাঁকড়া ও সাদা শামুক দেখে বেড়িয়েছেন। অনেকে গেছেন ফাতরার বন, লেম্বুর চর, গঙ্গামতী আর ঝাউ বাগানের বিশাল বনাঞ্চলে। ২০০ বছরের পুরোনো সাম্পান নৌকা, মিশ্রিপাড়ার রাখাইন পল্লি, চরবিজয় নামের নতুন জেগে ওঠা চর ছিল বাড়তি আকর্ষণ।

নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যায় ভিড়

এদিকে পদ্মা সেতুর বদৌলতে এবার শীত মৌসুমে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা অন্যবারের চেয়ে বেশি। করোনা মহামারির লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘শীতকে পর্যটক মৌসুম হিসেবেই ধরি। তবে এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ পদ্মা আর পায়রা সেতুর সুবাদে অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি পর্যটকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। আশা করি, সারা বছরই এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যায় ভিড়

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজন পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তৎপর আছে। বাড়তি নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’

থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন এবং নতুন বছর বরণে যাতে পর্যটকরা কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য বাড়তি টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
শীতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কুয়াকাটা
ভ্রমণপিপাসুদের অপেক্ষায় কুয়াকাটা
পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে ‘সাগরকন্যা’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ
News of the Environmental Advisor to Sherpur is not right

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয়।

সোমবার (২৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই খবরটি বিভ্রান্তিকর ও এটি সত্যনির্ভর নয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মধুটিলা রেঞ্জে দীর্ঘমেয়াদি বাগান এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।

‘পরবর্তীতে তিনি মধুটিলাতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন এবং হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক বন রক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করেন, যা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।’

এসব অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। ‘এরপরে একটি স্থানে কয়েকজন সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’

তবে, এটি উপদেষ্টার সফরের সম্পর্কিত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kishoreganj Journalist Forum Dhaka took charge of the new committee

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ছবি: সংগৃহীত

আজ রবিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাবেক কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু নব নির্বাচিত সভাপতি এরফানুল হক নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম আঙ্গুর, সংগঠনের সাবেক সভাপতি এরশাদ উদ্দিন, নবনির্বাচিত কমিটির সিনিয়র সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ এনায়েত উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক যোবায়ের আহসান জাবের, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসূল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম শাহীন আরিফিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাছান, মুশতাক আহমেদ লিটন, জহুরুল আলম জাবেদ।

দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল হক এরশাদ, সিনিয়র সহসভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসাইন, নির্বাহী সদস্য জহুরুল আলম জাবেদ, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসুল ভূইয়া, মুস্তাক আহমেদ লিটন, আবুল হাছান প্রমুখ।

বক্তারা সংগঠন কে অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। সংগঠনের প্রয়াত নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করা হয় এবং যারা অসুস্থ আছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। বক্তারা বেকার সদস্যদের চাকুরির ব্যবস্থা করা, সদস্যদের যে কোনো সমস্যায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, জনকল্যাণ ফান্ড কে শক্তিশালী করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য গত ১৭ মে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ কমিটি ষোষণা করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
May rain all four days across the country

সারা দেশে চার দিন বৃষ্টি হতে পারে

সারা দেশে চার দিন বৃষ্টি হতে পারে ছবি: সংগৃহীত

আগামী চার দিন সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া ২৭ মে পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পাবে।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আর আগামী বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhola Borhanuddin upazila

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় লাগামহীন মাদকের বিস্তার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়  লাগামহীন মাদকের বিস্তার প্রতীকী ছবি।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দিনদিন বেড়েই চলেছে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। মাদকের নীল দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শত চেষ্টা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক বিরোধী র‍্যালী সেমিনার কোনো কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছেনা মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। ৫ই আগষ্টের আগে প্রশাসনের তৎপরতা থাকায় উপজেলায় মাদকের ভয়াবহতা কিছুটা কম থাকলেও সম্প্রতি আবার বেড়েছে মাদকের বিস্তার।

মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তারে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন উপজেলার অভিভাবকরা।

কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মাদক কারবারীরা মাদকের কেনাবেচা করে থাকে। এর মধ্যে পৌর শহরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদকের স্পট। পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা রোড, আঃ জঃ কলেজ গেইট ও তৎসংলগ্ন এলাকা, উত্তর বাসষ্টান্ড, দক্ষিণ বাসষ্টান্ড, পঞ্চায়েত বাড়ির চৌরাস্তা, পৌর ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি বাজার, পৌর ১নং ওয়ার্ডের জয়া সড়ক, পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন কমিশনারের বাড়ির পাশে রয়েছে ২টি স্পট। এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের মানিকার হাট বাজারের পাশে একটি স্পট, কুতুবা ইউনিয়নের ছাগলা গ্রাম, পক্ষিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজার, টবগী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা, নতুন ও পুরান হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকা, হাসাননগর ইউনিয়নের খাসমহল, কাজীরহাট সহ এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে।

জানা যায়, বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র কুঞ্জেরহাট ও এর পাশে ফুলকাচিয়ায় রয়েছে ইয়াবা ও গাজার সবচেয়ে বড়স্পট আর এসব স্পটের নিয়ন্ত্রক ওই এলাকার প্রভাবশালী জ্বীন প্রতারকরা। এদের রয়েছে বেশ শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাত ধরে মাদকের চালান পৌছে যায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের হাতে। সুত্রটি জানায় এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে অটোরিকশা ড্রাইভার, মটরসাইকেল ড্রাইভার, এরা এই পেশায় কাজ করলেও এরা মাদক বহন করে নিরাপদে কাষ্টমারের কাছে মাদকের চালান পৌছে দেয়।

আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের (২২ডিসেম্বর) টবগী ইউনিয়নের হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকার মাদক বিক্রেতা ইউসুফ কে স্থানীয় জনতা মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে। একইদিনে টবগী ইউনিয়নের বেড়িবাধ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামে ঐ এলাকার এক মাদক বিক্রেতা ইয়াবা ডেলিভারি দিতে আসলে স্থানীয় লোকজন দাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে যায়।

এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পেড়ে বাবা- মায়ের কাছে টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে অভিমান করে আত্নহত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মাদকাসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা।

পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করে মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে যুবসমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন এখানকার সচেতন মহল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhola arrested in connection with the attack on a journalist

ভোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার -১

ভোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার -১

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলমান একটি জলকপাট নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার দৈনিক ইত্তেফাকের তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি রফিক সাদী ও আজকের ভোলার প্রতিনিধি মো: ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইস গেট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি আজগর (৪০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজগর হাজারীগঞ্জ এলাকার মো: মোস্তফার পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি রফিক সাদী ও আজকের ভোলা প্রতিনিধি মো: ফারুক নির্মাণস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোলাম রাব্বানী কন্সট্রাকশন এর কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে হামলার শিকার ওই দুই সাংবাদিকদের মধ্যে মো: ফারুক তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোহাব্বত খাঁন জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Feni does not have water in tube wells 

ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ
ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীর কয়েকটি উপজেলায়। এসব এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ নলকূপে পানি নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির নলকূপে মিলছে না সুপেয় পানি। বেশিরভাগ গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। একই চিত্র দেখা দিয়েছে পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঁঞা ও সদর উপজেলায়। ফলে পানি সংগ্রহে বেশ দূরে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। বাধ্য হয়ে পুকুর বা ডোবার জীবাণুযুক্ত পানি ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে অনেককে।

প্রায় এলাকায় পুকুর, খাল ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের তীব্রতা বাড়ায় ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না পানি। জেলার লক্ষাধিক নলকূপে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

‘গত দুই-তিন মাস ধরে গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছি না। পানির জন্য এলাকার লোকজন হাহাকার করছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে নলকূপ দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি করছি,’ এসব কথা বলেন ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ দৌলা।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আছমত আরা শিরি বলেন, ‘নলকূপে পানি না উঠায় আমরা পানির জন্য কষ্ট করছি। অপরদিকে নলকূপের সঙ্গে থাকা মোটরেও পানি উঠছে না। অনেক দূর থেকে পানি এনে পান করছি। ওখানেও পানি উঠছে না, দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে এক কলস পানি ভর্তি করতে হয়। নলকূপের পানির জন্য সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’

এলাকাবাসী জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গত ৪-৫ মাস ধরে তারা কোনো গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছেন না। পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করা হচ্ছে।

ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিউল হক বলেন, ‘গত ছয় মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির লেয়ার নিচে নেমে গিয়ে ফেনীর অনেক এলাকায় গভীর নলকূপে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে না। সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নষ্ট করে ফেলছি। অপ্রয়োজনীয় পানি তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নলকূপের নির্ভরশীলতা থেকে ফিরে আসতে হবে। ফেনীতে দেড় লাখ নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না। বর্তমানে প্রতি ইউনিয়নে ৮টি করে নলকূপ বরাদ্দ রয়েছে। সামনে অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The people of the river have begun in a severe breakdown in Jamuna

যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

বন্যার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জিগাতলা এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সেইসঙ্গে অসময়ে শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙন। গত বছর নদীভাঙনের পর যেটুক ভূমি ছিল, সেটুকুও এবার ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশার দিন পার করছেন নদীপাড়ের শত শত ভাঙন-কবলিত মানুষ।

সরেজমিনে উপজেলার জিগাতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জিগাতলা গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সেখানে এবার স্থানীয়রা ভুট্টা, তিল, বাদাম, বোরো ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করেছিল। এ ছাড়া রামপুর, গোপিনাথপুর, বাসুদেবকোল এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যায়।

গত বছরের মতো এবারও উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বারবার আশ্বাস দিলেও বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে না।

এদিকে প্রতিবছর বন্যায় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে মাটি ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, বসতবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

জিগাতলা গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এখান থেকে প্রতিবছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হতো। সেসময় কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না, প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। সাবেক এমপি ছোট মনির খোকার মাধ্যমে ঘাটটি পরিচালনা করতেন। এখন তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে ফসলিজমির সঙ্গে তাদের ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আবদুল্লাহ খানকে একাধিবার মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়া জানান, ভূঞাপুরের ইউএনও এসিল্যান্ডের সঙ্গে তিনি ভাঙন-কবলিত জিগাতলা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নদীভাঙনের স্থান থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার নিকটে ঘরবাড়ি রয়েছে। সুতরাং এলাকাটি মনিটরিং করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে