মাদারীপুরের কালকিনিতে লোকালয়ে চলে আসা একটি বানরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ কৃষ্ণনগর এলাকায় বানরটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় লোকজন। পরে এটিকে একটি খালের পাড়ে মাটিচাপা দেয়া হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দেড় মাস আগে মাদারীপুর শহরের চরমুগরিয়া থেকে একটি পুরুষ বানর কালকিনি পৌর এলাকায় প্রবেশ করে। বানরটি প্রায়ই খাবারের জন্য কালকিনি পৌর এলাকার অনেক বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে হানা দিত। পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে মানুষের ওপর হামলা করারও কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। এতে গত দেড় মাসে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এক পর্যায়ে বানরটির উৎপাত থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা বনবিভাগের সহযোগিতা চায়। পরে খুলনা থেকে বনবিভাগের একটি দল এসে বানরটি ধরতে একাধিক অভিযান চালায়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হলে স্থানীয় কয়েক যুবক বানরটিকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেয়।
এ অবস্থায় খাবার খেয়ে বানরটি প্রায় অচেতন হয়ে পড়লে দক্ষিণ কৃষ্ণনগর এলাকার ১০-১৫ জন যুবক লাঠিসোটা দিয়ে এটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা লিটন ফকির বলেন, ‘দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বানরটি এলাকায়। এর ডান পায়ের অর্ধেক ছিল না। এলাকায় খুবই উৎপাত করছিল। এভাবে মেরে ফেলা হয়তো ঠিক হয়নি। কিন্তু এটিকে না মারলে মানুষের ওপর আরও উৎপাত করতো।’
কালকিনি শহরের বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, ‘অবলা প্রাণিটিকে এভাবে মেরে ফেলার পক্ষে আমি নাই। সকালে শুনেছি, এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। খবরটা শোনার পর থেকেই খারাপ লাগছে।’
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিংকি সাহা বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই বানরটি লোকলয়ে চলাফেরা করছিল। এটি স্থানীয়দের খুবই উৎপাত করতো। এ জন্য খুলনা থেকে বনবিভাগের একটি দল এসেও চতুর বানরটিকে ধরতে পারেনি। আজ সকালে এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে, তাহলে তারা অন্যায় করেছেন। এভাবে একটি প্রাণিকে হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’
এ সম্পর্কে মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বানরটি যারা পিটিয়ে মেরেছে তাদের বিষয় খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কালকিনি থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, ‘বানরটিকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বনবিভাগের পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। বন বিভাগ কর্মকর্তরা থানায় অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চুনিয়াপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সুনীল চন্দ্র দাস।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আর হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খোদাদাতপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে বুধবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মনোয়ার হোসেন (২৪) ও রাকিব হোসেন (২৫) নামের দুজন নিহত হন। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুজনের জানাজা চলছিল। এ সময় নিহত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন চুনিয়াপাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে অগ্নিসংযোগ করেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন। অগ্নিসংযোগকালে লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালান। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নারী, শিশু ও পুরুষেরা বাড়িঘর ছেড়ে দৌড়ে পালান।
মামলার এজাহারে বাদী সুনীল চন্দ্র দাস উল্লেখ করেছেন, নিহত দুজনের জানাজা ও দাফনকাজে উপস্থিত খোদাদাতপুর ও পাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে চুনিয়াপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত থানা-পুলিশসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে হামলাকারীরা চুনিয়াপাড়ার আবদুস সালাম, তোতা মিয়া, নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানের বাড়িসহ আশপাশের কিছু টিনের বসতবাড়ি এবং বাড়ির সামনে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবদুল ওহাব, মোগেন ওরফে মকবুল হোসেনের বাড়িসহ ২০ থেকে ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন লাগানো, ভাঙচুর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট এবং গরু-ছাগল চুরির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী থানাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন:হাওরাঞ্চলের সব বাঁধের কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমিনুল হক ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এ কাজ শেষ করতে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে শনিবার বিভিন্ন বাঁধের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ওই সময় গুণগত মান বজায় রাখার পাশাপাশি টেকসই বাঁধ নির্মাণে গোড়া থেকে মাটি উত্তোলনে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলোকে (পিআইসি) নির্দেশনা দেন পাউবোর শীর্ষস্থানীয় এ কর্মকর্তা।
বাঁধ নির্মাণকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলেও জানান আমিনুল।
বাঁধ পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা।
এর আগে তাহিরপুর উপজেলার হলরুমে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) নীতিমালার আলোকে সুষ্ঠুভাবে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য তাহিরপুর উপজেলাধীন বাঁধের পিআইসি সদস্যদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা করেন পাউবো কর্মকর্তারা।
তাহিরপুর উপজেলায় ১১৩ প্রকল্পের মধ্যে ৮৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১ হাজার ১০২ প্রকল্পে ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:নাটোরের লালপুর ও গুরুদাসপুর থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লালপুরের বড়বাদকয়া গ্রাম এবং গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা বিশ্বরোড এলাকা থেকে শনিবার সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ৫০ বছর বয়সী আবুল কালাম বড়বাদকয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর ৪৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বগুড়ার কাহালু উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৬টার দিকে বড়বাদকয়া গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরের একটি পুকুরপাড়ে আবুল কালামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক সুরতহালে কালামের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি জানান, শুক্রবার রাতে কালামের সঙ্গে তার স্ত্রী আর্জিনার ঝগড়া হয়। এতে আর্জিনার আগের পক্ষের ছেলে আল আমিনও যোগ দেয়। এ ঘটনায় কালামের ভাই শহিদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেছে। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা মোড় এলাকা থেকে আবু সাঈদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আবু সাঈদ ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সাদুল্লাপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর বাঁধের পাশের জমি থেকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ৬০ বছর বয়সী সুরত আলী প্রামাণিক সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষক ছিলেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত কবির জানান, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বাজার করতে সাদুল্লাপুর বন্দরে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সুরত আলী। এরপর রাতে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি তারা। শনিবার সকালে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করে স্বজনরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ও একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সুরত আলীর গলা ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় একটি বিরল প্রজাতির তুষার পেঁচা ও দুটি লজ্জাবতী বানর পাচারকালে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার বার আউলিয়া কলেজ এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
আটক চারজন হলেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দানু সদ্দার পাড়ার ২৭ বছর বয়সী মোবার হোসেন, একই উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব পাড়ার ২৮ বছর বয়সী মো. সাদ্দাম হোসেন, উত্তর পালং বাড়ির ২৪ বছর বয়সী মহিউদ্দিন ও খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলা বইরা গ্রামের ৪২ বছর বয়সী আজাহার সিকদার।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরল প্রজাতির তুষার পেঁচা ও লজ্জাবতী বানরসহ তাদের আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪(খ) ধারা অনুযায়ী এভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় এবং আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘প্রাণীগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের এই পরিবেশে তুষার পেঁচা পাওয়া যায় না, অতিথি পাখি হিসেবে এই এলাকায় এসে থাকতে পারে। তবে এখনো যেহেতু বেঁচে আছে, তাই আমরা ধারণা করছি হয়তো সার্ভাইব করবে এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাচারকারীরা বিরল এই পেঁচাটি বান্দরবানের আলীকদম এলাকা থেকে ধরেছে।’
তুষার পেঁচা সাধারণত বরফাচ্ছন্ন এলাকায় বসবাস করে। উত্তর মেরু, উত্তর আমেরিকা, উত্তর এশিয়া আর ইউরোপের বরফ ঢাকা এলাকায় এদের দেখা যায়। বাংলাদেশে এই পেঁচার দেখা না মিললেও অতিথি পাখি হিসেবে এটি বরফাচ্ছন্ন কোনো এলাকা থেকে এদেশে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়েছে। যুগান্তকারী এমন পদক্ষেপে আশা দেখছেন অভিভাবকরা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার থেকে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে ইংরেজি মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি মাধ্যমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিষ ঘোষ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরাসহ অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ছিমছাম সাজানো-গোছানো স্কুল প্রাঙ্গণ। স্কুলে প্রবেশ করতেই চোখ আটকে যায় বাহারি জাতের ফুলের গাছ লাগানো বাগানটায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেখা যায় নির্দিষ্ট পোশাকে ক্লাসে পাঠগ্রহণে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বলেন, ‘চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ইংরেজি মাধ্যমের যাত্রা শুরু হল। আট জন শিক্ষক রয়েছেন স্কুলে। তার মধ্যে একজন শিক্ষক রয়েছেন যিনি ইংরেজি মাধ্যম পরিচালনা করছেন। বছর দুয়েকের মধ্যে পুরো স্কুলটি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান শুরু হবে। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘২০১৯ সালের মার্চের দিকে কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান সদর দক্ষিণ উপজেলায় বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। সে সময় জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভার্সন চালুর কথা জানান। স্যারের স্বপ্ন ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও যেন পাঠদান হয়।
‘সেই থেকে আমরা চেষ্টা করেছি। এ বছর দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ভর্তি শুরু হল। সারা দেশের খবরটা জানি না। তবে আমরা এটা জানি কুমিল্লায় ইংরেজি মাধ্যমের সরকারি স্কুল হল চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ভাষা হবে অগ্রগণ্য। বাংলা ভাষার পাশাপাশি যে ভালো ইংরেজি জানবে সে পুরো পৃথিবী বিচরণ করতে পারবে।
‘আগামীর চ্যালেঞ্জিং সময়গুলোর জন্য আমরা এখন থেকেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যম শুরু করেছি।’
বুধবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাত্রা শুরু হলো। বৃহস্পতিবার এলজিআরডি মন্ত্রী মহোদয় উনার নির্বাচনী এলাকার লাকসামে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শুক্রবার দুপুরে ইউপি সদস্য মাসুদ খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
এর আগে শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ মাসুদের নামে মামলা করেন। মামলায় জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
মাসুদ খান মির্জাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুন্দ্র কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মামলার অভিযোগের বরাদ দিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে যৌনপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মাসুদ। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর ঘরের সামনে গিয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, ‘আপনার মামাতো বোনের চাকরির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কাগজ নিয়ে আসছি।’ পরে ঘরের দরজা খুললে ওই গৃহবধূরকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন মাসুদ। এ সময় ওই গৃহবধূ চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে মাসুদকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় মামলা করেন। পরে ইউপি সদস্য মাসুদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য